আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ঝুঁকিতে শতাধিক এমপি

প্রকাশিত:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ার প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে নিচ্ছে টানা মেয়াদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন। এই সরকার গঠনের পর পরই মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে ধরেই গ্রহণযোগ্য ও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা চিন্তা করে ভোট প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। সে লক্ষ্যে প্রতি আসনের জন্য দুই জন করে প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ।

জানা গেছে, বর্তমান সংসদের শতাধিক সংসদ সদস্য দ্বাদশের ভোটযুদ্ধে মনোনয়ন বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন। এই সংখ্যা ১২০ অতিক্রম করবে। সেই হিসাব ধরেই ওইসব আসনের জন্য বিকল্প প্রার্থী চূড়ান্ত করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে দলীয় হাই কমান্ডের হাতে পৌঁছে গেছে। এমন তথ্যই জানিয়েছেন দলটির নীতি নির্ধারকরা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন হারান আওয়ামী লীগের ৫৬ জন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। তার আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনেও বাদ পড়েন ছয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৯ জন।

বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী ইতোমধ্যে সংক্ষিপ্ত তালিকায় নামিয়ে এনেছেন। এখন মাত্র ৪৫টি আসনে চূড়ান্ত জরিপের কাজ চলছে। এসব আসনে জরিপ প্রতিবেদন আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দলীয় প্রধানের হাতে পৌঁছবে। তবে মনোনয়ন নিশ্চিত এমন কিছু সংসদ সদস্যকে ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে সংকেত দিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা গ্রুপিং এড়িয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, বিএনপি নির্বাচনে আসবে, এমন সম্ভাবনা মাথায় রেখেই দলের মনোনয়ন কার্যক্রম গুছিয়ে এনেছেন দলীয় সভাপতি। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি আসনে শুধু দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য জনপ্রিয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলেও দলীয় মনোনয়নের বাইরে বিকল্প প্রার্থীদের ভোটযুদ্ধে শামিল করে নির্বাচনি বৈতরণী পার করারও কৌশল রয়েছে দলটির।

নির্বাচন ও মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে- সেটা নির্বাচন কমিশনই বলে দিয়েছে। তার আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে। সম্ভবত অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথমদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে এবং তারপর নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হবে। যতদূর আমি জানি, বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। বিএনপি বাইরে বাইরে যত যাই বলুক না কেন ভেতরে ভেতরে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নেতারা জানান, দ্বাদশের ভোটেযুদ্ধের লড়াইয়ে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের অবস্থান খুবই নাজুক। এরকম অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের সন্তানদের দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে শামিল করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ একাদশ সংসদের উপ-নির্বাচনগুলোতে যত প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে সেখানে কেবলমাত্র সিরাজগঞ্জ-১ আসন বাদে সব বাকি সব জায়গায় তৃণমূলের গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা দ্বাদশের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায়ও অব্যাহত থাকবে।

মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নের কাজ গত এক বছর থেকে চলছে। কারণ, প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। জরিপ চলছে। আমরা তৃণমূল নেতাদেরও মতামত নেব। তৃণমূলের মতামত সম্ভবত শিডিউল ঘোষণার পর নেয়া হবে। তবে ফাইনালি আমাদের পার্লামেন্টারি বোর্ড নির্ধারণ করবে কাকে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। আমি আশা করি, যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক না কেন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করবে।

ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় আট থেকে দশ জন যোগ্য প্রার্থী আছে। কিন্তু সবাইকে তো আর মনোনয়ন দেয়া যাবে না। সেজন্য আমরা প্রধানত চারটি ক্রাইটেরিয়া ঠিক করেছি।

এক. এলাকায় জনপ্রিয়তা, দুই. দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক, ৩. কোভিড-১৯ পিরিয়ডে তার কর্মকাণ্ড, ৪. তার নামে কোনো বদনাম আছে কি না। এসবের উপর ভিত্তি করে জরিপ হয়েছে। তৃণমূল থেকে মতামত আসবে এবং তার উপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দেয়া হবে। যদি কেউ চারটি ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করতে না পারেন, তাহলে মনোনয়ন পাবেন না।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যতদূর জানি, মনোনয়নের বিষয়গুলো প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছেন মাননীয় নেত্রী পার্টির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি সবকিছু যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে মাঠ জরিপ করে একটি চূড়ান্ত জায়গায় রয়েছেন বলে মনে করি। যারা যোগ্যপ্রার্থী, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে- তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। যারা বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি মনোনয়ন পাবেন না। মনোনয়ন চূড়ান্ত সঠিক ও সুন্দরভাবে হবে; নেত্রী সেভাবেই যাচাই-বাছাই করছেন।

এদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য এবং দলের নীতিনির্ধারক নেতা হওয়ার পরও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি বেশ কয়েকজন। তারা হলেন- দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক। এদের মধ্যে তিন জন দ্বাদশের ভোটযুদ্ধে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেজন্য ওই নেতারা ইতোমধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীসহ জনগণের কাছাকাছি যাচ্ছেন।

এর আগে, শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়নের যোগ্যতার বিষয় স্পষ্ট করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন? যোগ্যতা খুব স্বাভাবিক। জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি, বা এত বছর যারা সংসদ সদস্য আছেন তারা জনগণের জন্য কতটুকু কাজ করছেন এবং তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছেন কিনা- সেটাই আমরা বিবেচনায় নিই। আর নিই বলেই আমরা নির্বাচনে জয়ী হই এবং মানুষের জন্য কাজও করতে পারি।

দলীয়প্রধান সংসদীয় বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা আরো বলেন, করোনার সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আমাদের অনেক সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। কাজেই মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে সেটা আমরা বিবেচনা করব। আমি প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর সার্ভে করি। কারও পরিস্থিতি একটু খারাপ হলে মুখের উপর বলে দিই, আপনার অবস্থা কিন্তু খারাপ। এখানে এই জায়গায় এই কাজ করতে হবে। আমরা সচেতন বলেই কিন্তু ইলেকশনে জনগণের আস্থা পাই, ভোট পাই, জয়ী হই। এবং পর পর তিন বার সরকার গঠন দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি।


আরও খবর



বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৮ দলই ঘোষণা করেছে নিজেদের বিশ্বকাপের দল। বাকি ছিল কেবল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। মঙ্গলবার ১৯তম দল হিসেবে বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপের দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বেছে নিয়েছে বিশ্বকাপের ১৫ স্বপ্ন সারথি।

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে সবকটি বিশ্বকাপে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের একমাত্র এবং সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন অর্জনে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন সাকিব। ভারতের রোহিত শর্মাও খেলেছেন সবকটি বিশ্বকাপ।

আইসিসির বেঁধে দেওয়া সূচি অনুযায়ী, পহেলা মের মধ্যে বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করতে হতো। অন্যান্য দলগুলোর মতো বিসিবিও নির্ধারিত সময়ে দল বাছাই করে আইসিসির কাছে পাঠিয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। মঙ্গলবার সেই অপেক্ষা ফুরায়।

এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু একে একে ঘোষণা করেন ১৫ ক্রিকেটারের নাম। তবে এই স্কোয়াডেও পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। ২৫ মের মধ্যে স্কোয়াডে পরিবর্তন করা যাবে কোন কারণ ছাড়াই। এ সময়ের পরও পরিবর্তন করা যাবে। তখন প্রয়োজন হবে আইসিসির অনুমোদনের।

বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। ডি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে সহযোগী সদস্য নেদারল্যান্ডস ও নেপাল আছে বাংলাদেশের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পরের দুই ম্যাচ সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে।

বৈশ্বিক ইভেন্টের আগে বিসিবি বেশিরভাগ সময় খেলোয়াড়দের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিরিজ, প্রস্তুতি ম্যাচ বা অনুশীলন পর্বের আয়োজন করে। অনুশীলনে কোনো ঘাটতির সুযোগ রাখে না। এবারও বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। হুস্টনে ২১, ২৩ ও ২৫ মে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্বকাপের ৫৫টি ম্যাচ দুই দেশের নয়টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এবং ক্যারিবিয়ানের ছয়টি। ডালাসের মেট্রো এরিয়ার গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে পহেলা জুন বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র। ২৯ জুন ফাইনাল ম্যাচ হবে বার্বাডোজে। দুটি সেমিফাইনাল হবে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও গায়ানাতে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাশ, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

রিজার্ভ খেলোয়াড়: হাসান মাহমুদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে তাদের দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ, তরুণ জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক, পেসার জ্যাসন বেহেরেনডর্ফ ও অলরাউন্ডার ম্যাট শর্টের।

দলে জায়গা পেয়েছেন ২০২২ সালের পর আর টি-টোয়েন্টি না খেলা অ্যাস্টন অ্যাগার। প্রত্যাশিতভাবে আছেন মার্কাস স্টয়েনিস, টিম ডেভিড, ক্যামেরন গ্রিন ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা।

১৫ সদস্যের দলটিকে নেতৃত্ব দিবেন মিচেল মার্শ। গেল ১২ মাস ধরে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা থেকে পূর্ণকালিন অধিনায়ক করা হয়েছে তাকে।

এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া আছে বি গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ওমান, ইংল্যান্ড, নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ড। ৫ জুন বার্বাডোজে ওমানের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে।

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দল:

মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, টিম ডেভিড, নাথান এলিস, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজেলউড, ট্র্যাভিস হেড, জশ ইঙ্গলিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়েনিস, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যাডাম জাম্পা।


আরও খবর



আফতাবনগরে গরুর হাট বসানো যাবে না : হাইকোর্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে কোরবানির ঈদে আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার (৮ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও অ্যাডভোকেট এস এম শামীম হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। এর আগে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ঢালী।

গত ৪ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আযহা ২০২৪ উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) ২০০৯ আইনের ধারা ৩ (২) ও ১ম তফসিল অনুযায়ী আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অন্তর্ভুক্ত।


আরও খবর



সিলেটে টাকা নিয়ে লাপাত্তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারী

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন কর্মচারী মিনহাজ। গত ৩ আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া টাকার পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ছাড়াও অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আরও অর্ধকোটি টাকা তিনি ঋণ নিয়েছেন বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। অনুপস্থিত থাকায় এখন তার ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। এমন ঘটনায় সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যে কর্মকর্তারা বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছে।

প্রধান কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের কর্মকর্তারা। সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল মিনহাজ ওরফে ফারুক। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে।

কর্মচারীরা জানিয়েছে, মিনহাজ ২০১১ সালে মাস্টার রোলের কর্মচারী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে সে নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পায়। তার মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নিয়েছে।

আর এই টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমিও কিনেছেন। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও আরেকটি ঋণ ব্যাংক থেকে নিয়েছেন। দুটি ঋণে জামিনদার হিসেবে ব্যাংকের প্রকৌশল শাখার একাধিক কর্মচারীকে রাখেন মিনহাজ। এ ছাড়া ব্যাংকের কর্মচারীদের যে সমিতি রয়েছে সেই সমিতি থেকেও সে ঋণ নিয়েছে। ব্যাংক ও সমিতির ঋণ মিলে কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরিতে থাকার সময় তার সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে বিভিন্ন সময় তার নামে নেয়া ঋণের জামিনদার হয়েছেন পরিচিতরা। গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত মিনহাজ ওরফে ফারুক। ব্যাংকের তরফ থেকে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। কর্মচারীদের ধারণা ঋণের টাকা নিয়ে দেশ ছেড়েছে মিনহাজ।

এই অবস্থায় জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে তাদের চাপ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন জামিনদার। তারা জানিয়েছেন, মিনহাজ টাকা না দিলে জামিনদারদের বেতন থেকে টাকা কর্তন করা হবে। এটাই হচ্ছে ব্যাংকের নিয়ম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঋণের টাকা নিয়ে কর্মচারী উধাওয়ের ঘটনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই অবস্থায় মিনহাজ ওরফে ফারুকের সন্ধানে অনেকেই সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান চেয়ে তারা লিখেছেন- ফারুক ওরফে মিনহাজ বাটপার লোকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরিয়ে দিন। সহজ সরল মানুষগুলোকে এই প্রতারক বাটপার ঠকিয়েছে। তাকে দয়া করে ধরিয়ে দিয়ে সহজ সরল মানুষগুলোকে সহায়তা করেন।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ব্যাংক থেকে যে টাকা পয়সা নিয়েছে তা উদ্ধারেও অনেক নিয়ম মানতে হয়।

লাপাত্তা থাকা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, মিনহাজ ওরফে ফারুক তার ভাগিনা হলেও তার সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। লাপাত্তা হওয়ার পর জানতে পারেন সে ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়েছে। তার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না।

সাইফুল জানান, মিনহাজ ওরফে ফারুক কোথায় আছে তিনি জানেন না। সে বিদেশে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত নন। পলাতক হওয়ার পর অনেকে এসে ব্যক্তিগতভাবে জানাচ্ছেন, তার কাছে পাওনা টাকা রয়েছে। যেহেতু ঋণ দেয়ার সময় আমার অনুমতি নিয়ে কেউ টাকা দেননি, এ কারণে এখন তাদের এই টাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না। মিনহাজ ওরফে ফারুকের দুই স্ত্রীর মধ্যে এক স্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখায় কাজ করেন বলে জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



মোংলা বন্দরে এ মাসে ভিড়ল ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

মার্কস লাইনের ১৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী মার্কস হাই পং কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরের ৯ নং জেটিতে আগমনের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারি পরবর্তী মোংলা বন্দরের জেটিতে এক মাসে সর্বোচ্চ ৮ টি কন্টেইনারবাহী বাণিজ্য জাহাজ আগমনের রেকর্ড করে।

এ সময়ে জাহাজে ১৮৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রপ্তানি করা হয়।

এ সকল বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেবরিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই সাইকেলপার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রপ্তানি করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) মোংলা বন্দরের পি.পি জেটি নং-৭ এ সিংগাপুর পতাকাবাহী কোটা টেনেগা এবং এমভি কোটা রানচাক, এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক, এমভি মার্কস কুইনজু, এমভি মার্কস চট্টগ্রাম, এমভি মার্কস ঢাকা বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২ টি করে কন্টেইনার জাহাজ আগমন করছে।

শিপিং এজেন্ট, মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, চেম্বার অব কমার্স খুলনা ও বাগেরহাট, আমদানি-রপ্তানিকারক ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে মিটিং ও সমন্বয়সহ বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সাথে স্বল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে।

একই সাথে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিং এর সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বাড়ার পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধ পরিকর। বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের স্মার্ট বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর