আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

জিম্বাবুয়ে নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যারা জিম্বাবুয়েতে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে বলে মনে করে, সেসব ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে, যে কেউ জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন- সেটা জিম্বাবুয়েতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের নির্বাচন চলাকালীন এবং তারপরে হলেও- এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এমন ঘোষণা দিয়েছেন।

এই ধরনের কাজের মধ্যে নির্বাচনি প্রক্রিয়া নষ্ট করা বা নির্বাচনে কারচুপি, ভোটারদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া, রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া; গণতান্ত্রিক, শাসন, বা মানবাধিকার সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিয়োজিত নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর ক্ষমতা সীমিত করা; ভোটার, নির্বাচনি পর্যবেক্ষক বা নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে হুমকি কিংবা শারীরিক সহিংসতার মাধ্যমে ভয় দেখানোর মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

ওই ধরনের ব্যক্তিরা ঘুসসহ দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত থাকতে পারেন যা নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে; নির্বাচনি মামলার বিচারের সময় বিচার বিভাগের স্বাধীন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে থাকতে পারেন কিংবা জিম্বাবুয়েতে মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘন করতে পারেন। ওই ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এই বিধিনিষেধের অধীন হতে পারেন। যে কেউ জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন- সেটা জিম্বাবুয়েতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের নির্বাচন চলাকালীন এবং তার পরে হলেও- এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি উক্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য হবে, জিম্বাবুয়ের সাধারণ জনগণের জন্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র জিম্বাবুয়ের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন চায় এবং গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সুরক্ষাকে শক্তিশালী করার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জিম্বাবুয়ের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।


আরও খবর



সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। এটিই এবারের হজে প্রথম কোন বাংলাদেশির মৃত্যু। মো. আসাদুজ্জামান নামের এ হজযাত্রী গত ১৫ মে মদিনায় মারা গেছেন। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।


আরও খবর



আনোয়ারায় জমে উঠেছে ভোটের মাঠ, প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

আসন্ন ২৯মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও চায়ের দোকানগুলোতে চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টারে ছেয়ে গেছে গ্রাম-গঞ্জের হাটবাজার, অলিগলিসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে। জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান( পুরুষ) পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী দোয়াত কলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী  মোটরসাইকেল ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক "আনারস প্রতীক।

ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবু জাফর চৌধুরীটিয়া পাখি, সালাহ উদ্দিন সারো টিউবওয়েল, আবদুল মান্নান মান্না চশমা, প্রদীপ দত্ত কনক মাইক, সন্তোষ কুমার দে বই, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম পেয়েছেন ফুটবল, পারভীন আক্তার কলসি ও এডভোকেট চুমকি চৌধুরী হাঁস

নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা দিন রাত এক করে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের মন জয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের কাছ থেকে সারা পেয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সব প্রার্থী।

অন্যদিকে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা তত বাড়ছে কে হবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৎ, যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবেন এমন প্রার্থীকেই বিজয়ী করবেন তারা। যে প্রার্থী আনোয়ারায় উন্নয়ন করতে পারবে, সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারবে তাকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করতে চান সাধারণ ভোটাররা।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে উপজেলাজুড়ে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এমন সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি।

প্রসঙ্গত, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৭৪টি ভোট কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন ভোটার সংখ্যা রয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৮জন এবং মহিলা ১ লাখ ৯ হাজার ২২১জন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



২৪ ঘণ্টায়ও শেষ হয়নি সেই ট্রেনের উদ্ধার অভিযান

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ২৩ ঘণ্টা পার হলেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকেও পুরোদমে উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। তবে ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এর আগে, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্টেশনের দক্ষিণে আউটার সিগন্যালে সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন দুই ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ছোট দেওড়া এলাকায় তেলবাহী ওয়াগন ও যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়।

এছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি বগি অপসারণ করে পার্শ্ববর্তী স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বগি রেললাইনের পাশে রাখা হয়েছে। দুটি ইঞ্জিন ও ওয়াগনের দুটি বগি উদ্ধার তৎপরতা চলছে।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া জানান, গতকাল পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম ছিল। এ কারণে হতাহত মানুষের সংখ্যা কম।


আরও খবর



গুলিস্তানে ‘হিট স্ট্রোকে’ পথচারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলিস্তানে রাস্তায় আলমগীর শিকদার (৫৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হিট স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পথচারীরা ওই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আনোয়ার হোসেন জানান, ওই ব্যক্তি বাসে করে হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজ দিয়ে গুলিস্তান নামেন। ফ্লাইওভারের ওপরে গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে নেমে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। দেখতে পেয়ে প্রথমে তাঁর মাথায় পানি ঢালা হয়। তবে অবস্থা খারাপ দেখে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম। তিনি জানান, দুই পথচারী ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। তাদের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে এবং চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। তার পকেটে থাকা এনআইডি কার্ড ও বিভিন্ন ফোন নম্বরের সূত্র ধরে তাঁর নাম পরিচয় জানা গেছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।

এদিকে মৃত আলমগীর শিকদারের বন্ধু আব্বাস মোল্লা জানান, আলমগীর পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী কাজলা পেট্রল পাম্পের পেছনে থাকেন। মিরপুরে একটি ছাপাখানায় চাকরি করেন। সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মিরপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। পরে ফোনের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।


আরও খবর



ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সব ধরনের ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওষুধ প্রশাসনের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ রিট দায়ের করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহেও দাম বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ওষুধের।

সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। এছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বেড়েছে। বাদ যায়নি জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও।

বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং বিক্রি থেকে আয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দাম বাড়ানোর হার অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে কোম্পানিগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করছে। এসময় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ কোম্পানিগুলোর শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা।


আরও খবর