আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

কালিয়াকৈরে ডিজিটাল ল্যাব দখল করে চলছে কোচিং বাণিজ্য

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক এমপিওভুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে চলছে কোচিং বাণিজ্য। এ বিষয়ে অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষিকা হিমেল রানী।

জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারাও বিদ্যালয়ের কক্ষ ব্যবহার করে ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে কৌশলে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতর কোচিং বাণিজ্য সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষিকা হিমেল রানি প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের দলবদ্ধ ভাবে কোচিং করাচ্ছেন। কোচিং ফি বাবদ তিনি প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে থেকে নিচ্ছেন ৫০০ টাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষিকা হিমেল রানির পাশাপাশি একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা স্মৃতি রানী পাল প্রতিষ্ঠানের একটি শ্রেণি কক্ষে কোচিং বানিজ্য করে প্রতি মাসে শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু আদায় করছেন ৫০০ টাকা। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক রুস্তম আলী ও অমল বাবু নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাহিরে নিয়ে কোচিং বাণিজ্য করছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কোন কথা বলেননি। তবে কথার এক ফাকে হিমেল রানী বলেন শিক্ষামন্ত্রী কোচিং করানোর অনুমতি দিয়েছেন।

এভাবে কোচিং বাণিজ্যের ফলে একদিকে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের ধারাবাহিক ক্লাসের প্রতি অনিহার সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে শিক্ষকদের চাপে কোচিং এ ভর্তি হয়ে প্রতি মাসে অতিরিক্ত টাকা বেতন দিতে হচ্ছে।

বাঙ্গুরী আব্দুল হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আরসেদ আলী জানান, শুনেছি ক্লাস শুরুর আগে কোচিং হয়। বিষয়টি আমি দেখব।

কালিয়াকৈরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা জানান, কোচিং বানিজ্যের বিষয়টি দেখবে প্রধান শিক্ষক। তার অনুমতি ছাড়া তো এটা হবে না। তবে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব দখল করে কোচিং বাণিজ্য করার বিষয়ে আমার জানা নেই। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: কোচিং বাণিজ্য

আরও খবর



আজ থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে সরকারি অফিস

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আজ খুলছে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। চাকরিজীবীরা প্রথম কর্মদিবস শুরু করবেন নতুন সময়সূচি অনুযায়ী।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অর্থাৎ আট ঘণ্টা অফিস করবেন তারা। মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের পর গত ৬ জুন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, সরকার আগামী ১৯ জুন (পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী প্রথম কর্মদিবস) থেকে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সরকার নির্ধারণ করল।

আরও বলা হয়, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জরুরি পরিষেবাগুলো নতুন অফিস সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংক, বিমা ও অন্যান্য অর্থিক প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।

আগে সরকারি কর্মীরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস করতেন। জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট থেকে কর্মঘণ্টা কমিয়ে অফিস ও ব্যাংকের সময়সূচি বদলে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী দুই বছরের বেশি সময় সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।


আরও খবর



আজ থেকে ৪৪ দিন বন্ধ সব কোচিং সেন্টার

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল রবিবার (৩০ জুন) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকল মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহনের লক্ষ্যে আজ (২৯ জুন) থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

গত ৫ জুন সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ তথ্য জানান।

এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল) /ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখা সাত লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখা সাত লাখ ৫০৯ জন।

এবার মোট কেন্দ্র দুই হাজার ৭২৫ টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় হাজার ৪৬৩টি।

এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এর মধ্যে ছাত্র সংখা পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ছাত্রী সংখা পাঁচ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন। মোট কেন্দ্র এক হাজার ৫৬৬টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চার হাজার ৮৭০টি।

আলিম পরীক্ষায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন এবং ছাত্রী সংখা ৪০ হাজার ৪৮৪ জন। মোট কেন্দ্র ৪৫২টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ৬৮৫টি।

এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) এইচএসসি (ভোকেশনাল) /ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা (কারিগরি) বোর্ডে চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুই লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা এক লাখ ৬৯ হাজার নয়জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৬৫ হাজার ৪২৪ জন। মোট কেন্দ্র ৭০৭টি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক হাজার ৯০৮টি।

২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১,৪৪৮ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪টি, মোট কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন হতে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। কারিগরি বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই হতে শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেটে যে বন্যা হচ্ছে এর ফলে সেখানকার এইচএসসি পরীক্ষা বন্ধ রাখার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি, সেখানেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যদি বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দুই বিষয়ে ফেল করলেও এইচএসসিতে ভর্তি হওয়া যাবে। তবে পূর্ণ সনদ পাবে না; তারা মাকর্শিট পাবে। পূর্ণ সনদ পেতে দুই বিষয়ে পরবর্তীকালে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তা ও সানিয়াজান নদী পাড়ের বাসিন্দারা বন্যার আশঙ্কা করছেন। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।

বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার পানি ছিল, যা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এতে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারে ঘরবাড়িতে পানি উঠে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।

অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে সানিয়াজানে পানি বৃদ্ধিতে হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

চর সিন্দুর্নার বাসিন্দা মফিজার রহমান বলেন, গতরাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর এলাকার বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। পরিবারগুলো ঘর থেকে বের হতে পারছে না।

হাতীবান্ধার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, গতকাল থেকে ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ডের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, গজলডোবায় পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


আরও খবর



নতুন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ২৩ জুন থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে। তিনি বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ জুন অপরাহ্ন থেকে বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস)-কে জেনারেল পদবিতে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক ওই তারিখ অপরাহ্ন থেকে ৩ বছসরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আরও ৬ মাস অপেক্ষা করতে বলছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, এই বছরের শেষের দিকে এটি কমতে শুরু করবে।

শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি। যাতে করে মূল্যস্ফীতির ওপর কোনো চাপ না পড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব) আব্দুস সালাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।

এর আগে গতকাল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে। যদিও গত ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের এ আকার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।


আরও খবর