আজঃ বুধবার ২৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম

কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি, সবজির দাম চড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। একদিনের ব্যবধানেই কেজিপ্রতি কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আজ শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, মতিঝিল, মুগদা, রামপুরা এলাকার কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে দেশি কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। ভারতীয় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি করে। এ ছাড়া অন্যান্য সবজি আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুমুখি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দোকানিরা জানান, কোরবানির ঈদের আগে সবজির সরবরাহ রাজধানীতে কমেছে। রাস্তায় যানজট এবং বেশিরভাগ পণ্যবাহী গাড়ি পশু বহন করার কারণে সবজির সবরাহ কম। তবে ঈদের পরপর দাম কমতে পারে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ১৭ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হবে

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দেশের ১৭ অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাত ১টার মধ্যে ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্র-বৃষ্টিসহ ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (২৭ মে) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাত ১টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব/পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ঝড়ের রাতে ঘরে ঢুকে দাদি-নাতিকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বসতঘরে ঢুকে দাদি ও নাতিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরেক নাতনি।

সোমবার (২৭ মে) রাত ১টার দিকে বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন দাদি হামিদুন্নেছা ও নাতি আরাফাত হোসেন। আহত নাতনি হালিমা আক্তার মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার ভাই আরাফাত একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার রাত ১টার দিকে বোরকা পড়া এক যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। দাদি হামিদুন্নেছা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর নাতি আরাফাত হোসেনকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে নাতনি হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. অরুণ জানান, ওই পরিবারের তিনজন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকেন। দাদিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ  পাওয়া গেছে।


আরও খবর



ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শনিবার, পাবে ২ কোটি ২২ লাখ শিশু

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ভিটামিন প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার (১ জুন)। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় দুই কোটি ২২ লক্ষ শিশুকে।

ক্যাপসুল খাওয়ার সময় শিশুদের ভরাপেটে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গম এলাকায় আরও চার দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে বলেও অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় এক হাজার ২২৪টি কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এসব কেন্দ্রে পরবর্তী সময়ে এক কর্মসূচি পালন করা হবে।

এসব প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমরা বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন করে থাকি। প্রতিবছরই আমরা দুরকমের ক্যাপসুল খাইয়ে থাকি। ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের এবং ১২-৫৯ বয়সী শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে শিশুদের এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলটি কেটে চিপে শিশুর মুখে দিতে হবে। তবে শিশু বেশি কান্নাকাটি করলে কিংবা তার শ্বাসকষ্ট হলে খাওয়ানো যাবে না।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতের কারণে অনেক কাজ ব্যাহত হয়েছে। সে সমস্ত জায়গায় স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় তারা পারলে সারা দেশের সঙ্গে করবেন। তবে সম্ভব না হলে অথবা যখন পারবেন তখন করবেন তারা। এ ছাড়া সিলেটের বেশ কিছু জায়গাও বন্যা কবলিত। এ কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা হয়ত এখনই এই কর্মসূচির আওতায় নাও আসতে পারে। এর বাইরে সারা দেশে সব জায়গায় এটা চলবে।

ভিটামিন এ ক্যাপসুলের উপকারিতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভিটামিন এ খাওয়ালে শিশুর পুষ্টি বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাড়ে। এ ছাড়া, রাতকানা রোগ, কো-মরবিডিটি এবং মৃত্যুহার হ্রাস করা যায়। পাশাপাশি হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো রোগ কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন এ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ভিটামিন মূলত দুই ধরনের। একটি ওয়াটার সলিউবল, অপরটি ফ্যাট সলিউবল। যেগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয় সেগুলো ওয়াটার সলিউবল, যেমন ভিটামিন সি। আর ফ্যাট সলিউবল হচ্ছে যেগুলো চর্বিতে জমা হয়। ভিটামিন এ ফ্যাট সলিউবল। এটা অনেকদিন পর্যন্ত শিশুর শরীরে জমা হয়ে থাকবে এবং কার্যকর থাকবে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে কৃষক সামছুল ইসলাম হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি সহকারী কৌশলী আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম শামীম।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের মৃত হাফেজের ছেলে ছাবদুল, ছাবদুলের চার ছেলে হেলাল ওরফে হেলু, আলম, ইদ্রিস ও রেজাউল, ছাবদুলের স্ত্রী ফাতেমা, আলমের স্ত্রী ফারজানা, হেলালের স্ত্রী লিলিফা, আমেজ উদ্দীনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর গ্রামের জিয়াউল হকের স্ত্রী ফুত্তি বেগম। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে দুইজনকে খালাশ দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের ছাবদুলের কাছ থেকে প্রায় ৪০ শতক জমি কবলা করে প্রায় ২১ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন একই গ্রামের কৃষক সামছুল ইসলাম। পরে সেই জমি নিয়ে আসামীরা তার সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরে সামছুল ও তার বাবা সেই জমিতে আলুর বীজ বপণ করছিলেন। সেই সময় আসামীরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে এসে সামছুল ও তার বাবাকে মারপিট করে আহত করেন।

এসময় সামছুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জয়পুরহাট সদর, পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে বাড়িতে আনা হলে সেখানে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মেরিনা বেগম বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র আঘাতে সারা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেশের উপকূলীয় ১৯ জেলায় পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত করেছে। এছাড়া দেশের মধ্যভাগেও তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ে দেশের ১৯ জেলার ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় দেড় লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের মধ্যে ঢাকায় ৪ জন, পটুয়াখালীতে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, বরিশালে ২ জন এবং খুলনা, লক্ষ্মীপুর, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে মারা গেছেন।

বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে:

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীতে দিনভর ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পৃথক স্থানে চারজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা ও বাড্ডা থানা এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন খিলগাঁও রিয়াজবাগ এলাকার রিকশার গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া রাকিব (২৫), খিলগাঁও সিপাহীবাগে রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া মরিয়ম বেগম (৪৫), যাত্রাবাড়ীতে টিনের প্রাচীর স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া লিজা আক্তার (১৬) ও অন্যজন বাড্ডার বাসিন্দা। তবে তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সোমবার তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সবার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে মারা গেছেন তিনজন। এর মধ্যে দুমকি উপজেলায় ঝড়ো হাওয়ায় গাছচাপায় জয়নাল হাওলাদার নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার পাঙ্গা‌শিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড নলদোয়া‌নি স্লুইসগেট এলাকার বাসিন্দা।

পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় রিমালে মৃত্যু হয়েছে মো. আব্দুল করিম নামে এক পথচারীর। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

এর আগে রবিবার দুপুরে সৈকত-সংলগ্ন ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার সময় সাগরের ঢেউয়ে তলিয়ে যায় মো. শরীফুল ইসলাম (২৪)। এক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের কাছ থেকে মৃত শরীফুলকে উদ্ধার করেন স্থানীয় মানুষেরা। শরীফুল পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাশ্বর ইউনিয়নের অনন্তপাড়া গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।

ভোলা: জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নারী ও শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোররাতের দিকে লালমোহন, দৌলতখান ও বোরহান উদ্দিন উপজেলায় ঘরচাপায় তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- মনেজা খাতুন (৫৪), মাইসা (৪) ও জাহাঙ্গীর (৫০)।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, গতরাতে লালমোহন উপজেলার চরউমেদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তীব্র বাতাসে ঘর চাপায় মনেজা খাতুন মারা যান। এছাড়া একই সময় দৌলতখান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের উপর গাছচাপায় মাইশা (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। বোরহান উদ্দিন উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাথানবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর (৫০) এর মৃত্যু হয় ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে।

বরিশাল: সোমবার (২৭ মে) ভোরে বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। পুলিশ জানিয়েছে, চারজন রেন্টুরেন্টে অবস্থান করছিলেন। বাতাসের তীব্রতায় আকস্মিক পাশের চারতলা ভবনের একটি অংশের দেয়াল ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন হোটেল মালিক লোকমান ও কর্মচারী মোকছেদুল। আহত হন কর্মচারী সাকিব। তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

খুলনা: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তীব্র বাতাস ও বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে ঘরের ওপর পড়ে লালচাঁদ মোড়ল (৩৬) নামের এক যুবক মারা গেছেন। রবিবার রাতে উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গাওঘরা গরিয়ারডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লালচাঁদ মোড়ল গরিয়ারডাঙ্গা গ্রামের গহর মোড়লের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

লক্ষীপুর: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ঘরচাপা পড়ে পুষ্প (৭) নামে এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) বিকেলে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চাঙ্গিরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘরে থাকা ওই শিশুর নানি হোসনোয়ারা বেগম আহত হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম: সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় মারা যান এক পথচারী। স্থানীয়রা জানায়, ঝড়ের সময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় একটি দেয়ালের পাশে আশ্রয় নেন সাইফুল ইসলাম হৃদয়। হঠাৎ সীমানা দেয়ালটি ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে মারা যান হৃদয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তার মরদেহ উদ্ধার করে।

সাতক্ষীরা: রবিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল নামে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ মারা যান। একইদিন বিকেলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্লা‌বিত এলাকা থেকে বোন ও ফুফুকে রক্ষা করতে গিয়ে স্রোতে ভেসে প্রাণ হারান শরীফ হাওলাদার নামে এক যুবক।

কুমিল্লা: কুমিল্লায় বিদ্যালয়ে ক্লাসরত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন সাততলা ভবনের দেয়াল ধসে সাইফুল ইসলাম সাগর (১২) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগাঁও চৌমুহনী এলাকায় নুর আইডিয়াল স্কুলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম সাগর সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা গ্রামের অলি হোসেনের ছেলে। সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: ঘূর্ণিঝড় রেমাল

আরও খবর