আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালুর প্রস্তুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ এবং এ বছরের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধনের তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে এই মুহূর্তে আরও ১৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু করা যাবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে আরও এক হাজার বিদ্যালয়ে তা চালু করা যাবে। তবে এই কাজ পর্যায়ক্রমে এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। ২০১০ সালে করা জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অষ্টম শ্রেণি ও মাধ্যমিক শিক্ষার স্তর দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত করার কথা বলা আছে। ছয় বছর পর ২০১৬ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। যদিও সরকার সেটি বাস্তবায়ন করেনি।

গত ৫ মে আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অবৈতনিক পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।

এ বিষয়ে আজকে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব। তিনি বলেন, এখানে দুটি বিষয়। একটি হলো- প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা। আরেকটি হলো- শতভাগ অবৈতনিক করা।

তিনি আরও বলেন, ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ হাজারের কাছাকাছি বিদ্যালয়ে যদি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা যায় এবং নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ২৩ হাজারের কাছাকাছি বিদ্যালয়ে যদি অবৈতনিক করা যায় তাহলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব।


আরও খবর



অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন পি কে হালদার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে ১৪ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। প্যারোলে (অন্তর্বর্তী জামিন) মুক্তি পাচ্ছেন তার ভাই এবং এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রাণেশ হালদারও।

এই মুহূর্তে তারা কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে বন্দি। সূত্র জানিয়েছে, আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে তারা ছাড়া পেতে পারেন।

মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য মানবিক কারণে পি কে হালদার ও প্রাণেশ হালদারের পক্ষে গত সোমবার (৩ জুন) ১৫ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। এর বিরোধিতা করে মাত্র চারদিনের প্যারোলের দাবি জানান ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ফের তার শুনানি ছিল।

এদিন দুপক্ষের আইনজীবীদের কথা শোনার পর কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১র বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তাদের দুই ভাইকে ১৪ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন দেন।

এ প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তরা প্যারোলে মুক্তি পেলেও কলকাতা পুলিশ কমিশনারেট এবং বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের এখতিয়ারের বাইরে বেরোতে পারবেন না। তারা সারাক্ষণ জেল কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে থাকবেন। ১৪ দিনের প্যারোলের মেয়াদ শেষে আগামী ১৮ জুন আদালতে এসে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।

পি কে হালদারের মা প্রয়াত লীলাবতী হালদারের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন রোগে ভোগার পর গত ২৮ মে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় লীলাবতী দেবীর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আপাতত লীলাবতীর মরদেহ সংরকক্ষণ করা রয়েছে কলকাতার পিস ওয়ার্ল্ডে।

কিন্তু তার দুই সন্তান এই মামলার অন্যতম দুই অভিযুক্ত পি কে হালদার এবং প্রাণেশ কুমার হালদার কারাগারে বন্দি থাকায় এখন পর্যন্ত মায়ের সৎকার সম্ভব হয়নি। ফলে হিন্দু ধর্মমতে প্রয়াত মায়ের অন্ত্যেক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আদালতের কাছে অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবী।


আরও খবর



হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধে ভাঙন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে শহরতলীর জালালাবাদে নদীর বাঁধে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। ফলে প্রবল বেগে নদীর পানি জালালাবাদসহ আশপাশের এলাকায় প্রবেশ করছে। এদিকে সকাল থেকেই খোয়াই, কুশিয়ারা, কালনী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, দুপুর ১টার দিকে খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। খুব দ্রুতই পানি নিচে নেমে যাবে।

তিনি বলেন, আসলে শহরের গরুর বাজারের পরের অংশটিকে আমরা বলি ফসলরক্ষা বাঁধ। যদি বর্ষা মৌসুমে এসব বাঁধ না ভাঙে, তাহলে শহররক্ষা বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে পানি শহরে প্রবেশ করতে পারে। তাই শহরকে রক্ষার স্বার্থেই আসলে এসব অংশের ভাঙন দিয়ে পানি ছাড়তে হয়। আর তাছাড়া এখন আসলে হাওরে পানি প্রয়োজনও। নদীর পানি ভাটিতে হাওরে প্রবেশ করবে এটিই স্বাভাবিক। এসব ভাঙন আবার ফসল রক্ষার জন্য বর্ষার পর সংস্কার করা হবে। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যে জানা গেছে, দুদিনের টানা বর্ষণ এবং উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বুধবার সকাল থেকে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে চলে যায়। সকাল ১০টায় নদীর চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্তে খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার এবং শহরের মাছুলিয়া পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

কুশিয়ারা নদীর পানি বানিয়াচং উপজেলার মার্কুলী পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার এবং কালনী নদীর পানি আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুর ১টার পর থেকে খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে কমতে শুরু করেছে।


আরও খবর



ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৩৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে বিষাক্ত মদপানে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাই থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী কল্লাকুরিচি জেলায় গত কয়েকদিন ধরে বিষাক্ত মদপানে আরও কমপক্ষে ৫৫ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যু হওয়াদের অধিকাংশই কারুনাপুরাম এলাকার। এক নারী জানান, বিষাক্ত মদপানে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা করছিল এবং সে চোখ খুলতে পারছিল না। মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালেও ভর্তি করা যায়নি।

অন্য এক মা জানান, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা। সে কিছু দেখতেও পারছে না আর কিছু শুনতেও পাচ্ছে না। তিনি বলেন, এমনটা কারও সঙ্গে যেন না হয়। এ ধরনের বিষাক্ত মদ বিক্রি বন্ধ হওয়া উচিত।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার কল্লাকুরিচির জেলা প্রশাসক এমএস প্রশান্ত জানিয়েছেন, অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কাছাকাছি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসাকর্মীদের জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। লাইফ-সাপোর্ট সিস্টেমসহ বাড়তি অ্যাম্বুলেন্সও মোতায়েন করা হয়েছে। বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এই ঘটনার এর জের ধরে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বিষাক্ত মদপানে একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু ও অসুস্থতা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ও গাফিলতির অভিযোগে কল্লাকুরচির জেলা প্রশাসককে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ২৬ জনের পান করা দেশি মদের প্যাকেট থেকে নমুনা নিয়ে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, কল্লাকুড়িতে বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর ঘটনায় আমি মর্মাহত ও ব্যথিত হয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে গত বছর তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপাট্টু এবং ভিল্লুপুরমে বিষাক্ত মদ পান করে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় একাধিক রিপোর্টে জানা যায় যে, দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যে বেআইনিভাবে মদ বিক্রির রমরমা ব্যবসার কথা। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর



সবজির বাজারে আগুন, মুরগি-খাসির দামও বেড়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোয় বেড়েছে মুরগি, খাসির মাংস ও সবজির দাম। বিশেষ করে গত দুদিনের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। এর জন্য সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

যদিও শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতারাও ভিড় করছেন বাজার করতে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি কচুরমুখী ১২০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০-৮০ টাকা, দেশি গাজর ৭০-৮০ টাকা, চায়না গাজর ১২০ টাকা কাঁঠালের বিচি ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৯০-১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, উস্তা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, শসা ১০০-১২০ টাকা, সজনে ডাটা ১০০ টাকা, বরবটি ৯০-১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, কাঁকরোল ৯০-১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬৫-৭০ টাকা, ধুন্দুল ৬৫-৭০ টাকা, কুমড়া ৩০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। এর জন্য সরবরাহের ঘটতিকে দায়ী করছেন তারা। মফিজুল ইসলাম নামের এক বিক্রেতা বলেন, গত দুদিন ধরে সবজির দাম বেশি। চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজি কম আসছে। তাই সবজির দাম কিছুটা বাড়তি।

জাকির হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বাড়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই। আমরা বেশি দামে সবজি আনলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। কেজিতে প্রায় ৪-৫ টাকা বেড়েছে আলুর দামও। বর্তামানে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) আলু ২৭০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা কয়দিন আগেও ২৫০ টাকা ছিল।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কোল্ড স্টোর মালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন বিক্রেতারা। চাঁন মিয়া নামের এক বিক্রেতা বলেন, কোল্ড স্টোরগুলো থেকে আলু কম ছাড়া হচ্ছে। এতে বাজারে কম বাজারে সংকট দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি তারা দামও বেশি রাখছে। যার কারণে আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।

সবজির দামের এমন ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে সবজির দাম অনেকটা বেশি। বলা যায়, সবজির দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহের ঘাটতির কথা। কিন্তু বাজারে কোনো জিনিসের অভাব দেখছি না। আমার মতে, পরিবহন খরচ বাড়ায় বাজারে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে।

এদিকে গত দুই দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, লাল লেয়ার ও খাসির মাংসের দাম। তবে আগের মতোই আছে গরুর মাংসের দাম।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুদিন আগেও ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া ৩২০ টাকায় বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। তবে আগের মতোই ৩২০-৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। সাদা কক বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায় ও সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়।

জিয়াউল হক জিয়া নামের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, একে সামনে কোরবানির ঈদ। মুরগির দাম এখন কিছুটা বাড়তি থাকবে। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন বাজারে সবকিছুর দাম একটু বেশি থাকে।

বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কয়দিন আগেও ১১০০ টাকা ছিল। তবে গরুর মাংস আগের মতোই ৭৫০-৭৮০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খাসির মাংসের দাম বাড়ার জন্য কোরবানির ঈদের কথা বলছেন বিক্রেতারা। আব্দুল মোতালেব নামের এক বিক্রেতা বলেন, কয়েকদিন পর ঈদ। এখন কিনতে গেলে যে খাসির দাম ৫০০০ টাকা হওয়া উচিত, সেটি অন্য আরেকজন ৭০০০ টাকায় কিনে নিচ্ছে। যে কারণে খাসির দাম বেশি পড়ছে।

তবে আগের মতোই আছে পেঁয়াজ, রসুন, ডিমের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পাবনার পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৭৮-৮০ টাকা, ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৭৫-৭৬ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লাল ডিম ৫০ টাকা ও সাদা ডিম ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে চালের দাম। প্রতি কেজি মিনিকেট ৬৬-৬৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫-৮০ টাকা, মোট আটাশ চাল ৫২-৫৩ টাকা, স্বর্ণা (গুটি) ৪৮-৫০ টাকা ও স্বর্ণা (পাইজাম) ৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: কারওয়ান বাজার

আরও খবর



বাজেট: বরাদ্দ কমল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে মোট ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জন্য বরাদ্দ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। সে হিসেবে আগামী অর্থবছরে এ খাতে মোট ৪ হাজার ৫০২ কোটি টাকা কম বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ কমিয়ে ২৮ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এরই মধ্যে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াটে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।

জ্বালানি খাতে অগ্রগতির কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানিকৃত এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি হতে জানুয়ারি ২০২৪ সময় পর্যন্ত প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে অনশোর এলাকায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ৪৮টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সামুদ্রিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের আহরণ এবং এর সুষ্ঠু ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনায় সুনীল অর্থনীতি খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।


আরও খবর