আজঃ রবিবার ১৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম
২৮ অক্টোবর

কেন্দ্রের নির্দেশে ‌‌‘পুলিশ হত্যার নেতৃত্বে’ ছাত্রদল নেতা আমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনের মঞ্চে অবস্থিত বিএনপির এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল পুলিশের ওপর বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলার মাধ্যমে পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া। প্রয়োজনে এক বা একাধিক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, যাতে করে একটি নতুন ইস্যুর সৃষ্টি হয়। এরই ভিত্তিতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে হত্যা করা হয়।

এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমান উল্লাহ আমানকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তিনি বিএনপির সমাবেশে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় প্রধান নেতৃত্বদানকারী। আমান কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব। সোমবার রাতে আমানকে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি।

সিটিটিসি জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় আমান উল্লাহ আমান পুলিশ সদস্য আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা করে। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে এবং সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দেয়। বিক্ষোভকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কনস্টেবল পারভেজের নিথর দেহের ওপরে বর্বরভাবে আঘাত করতে থাকে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর বিএনপি এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সমাবেশের দিন আমান তার অনুসারীদের নিয়ে নয়াপল্টনকেন্দ্রিক মঞ্চের পাশে অবস্থান নেয়। মঞ্চে অবস্থিত বিএনপির এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল পুলিশের ওপর বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলার মাধ্যমে পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া। প্রয়োজনে এক বা একাধিক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, যাতে করে একটি নতুন ইস্যুর সৃষ্টি হয়।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, কাকরাইলে সমাবেশে উপস্থিত বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কাকরাইলে সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের হাইকমান্ড নেতাদের নির্দেশে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি পার্টি অফিসের পাশে ভিক্টরি হোটেলের পাশের গলি দিয়ে গ্রেফতার আমান ছাত্রদলের একটি বড় অংশ নিয়ে পুলিশের ওপরে হামলা করার জন্য অগ্রসর হয়। সমাবেশকেন্দ্রিক দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে আগে থেকেই তাদের জানা ছিল। সে তার দলবল নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে।

পল্টন টাওয়ারের সম্মুখে এসে অগ্রসরমান দলের একটি অংশ বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম প্রান্তে বিজয় নগর পানির ট্যাংকির দিকে যায় এবং অপর অংশটি তার নেতৃত্বে বক্স কালভার্ট রোডের আগের প্রান্তের দিকে অগ্রসর হয়। বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছানোর পরে ছাত্রদলের কর্মীরা সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপরে অতর্কিত হামলা করে। এ হামলার প্রেক্ষিতে বক্স কালভার্টের পশ্চিম প্রান্তে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরকে সাহায্য করার অভিপ্রায়ে আগের প্রান্তে পুলিশ সদস্যরা বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়। পশ্চিম দিকে অগ্রসরমান পুলিশ দলটির ওপর আমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় হামলা শুরু করে বিএনপি কর্মীরা।

সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ছাত্রদলের এই অংশটি আমানের নেতৃত্বে পুলিশদের ওপরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ছাত্রদলের আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে। জানমাল রক্ষা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে এবং সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এই পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের একটি বড় অংশ বক্স কালভার্ট রোডের পূর্বদিকে অবস্থিত ডিআর টাওয়ার ও আশেপাশের স্থাপনায় অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় আমানের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা পুলিশ সদস্যদের হামলা করার জন্য ক্রমাগত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। বিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ রাস্থায় লুটিয়ে পড়েন। এমন সময় নৃশংসভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে তাকে।

তিনি বলেন, এসময় কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকে। পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীর গুরুতর জখম হয়। বিক্ষোভকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কনস্টেবল পারভেজের নিথর দেহের ওপরে বর্বরভাবে আঘাত করতে থাকে। পরবর্তীতে কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে আমান তার অনুসারীদেরকে নিয়ে বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম দিক দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।


আরও খবর



ইউক্রেনকে রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দিলেন বাইডেন

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ইউক্রেন শুধুমাত্র খারকিভ অঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত রুশ ভূখণ্ডে এই হামলা চালাতে পারবে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

অবশ্য পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানো হলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য আমেরিকান সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন। তবে এই অনুমতি শুধুমাত্র খারকিভ অঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত রুশ ভূখণ্ডে হামলার জন্য।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসি নিউজকে বলেছেন, ইউক্রেন যেন পাল্টা-হামলার উদ্দেশ্যে’ মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করতে সক্ষম হয় তা নিশ্চিত করার জন্য তার দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত যেখান থেকে রুশ বাহিনী তাদের (ইউক্রেনকে) আঘাত করছে বা তাদের আঘাত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে’ সেখানে হামলা করতে পারবে ইউক্রেন।

বিবিসি বলছে, রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় নজিরবিহীন আক্রমণের পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ান বাহিনী খারকিভ অঞ্চলে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে এবং অগ্রসর হয়েছে।

শুক্রবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে একটি আবাসিক ভবনে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে তিনজন নিহত এবং আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন।

মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসিকে আরও বলেছেন, আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) বা রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার হামলা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আমাদের নীতি পরিবর্তন হয়নি।’

এদিকে নতুন নীতিতে রাশিয়ার বিমানে আক্রমণ করা অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা তাদের (ইউক্রেন) কখনও বলিনি, তারা রাশিয়ার ভূখণ্ডে রাশিয়ান বিমানকে গুলি করতে পারবে না যেটি তাদেরকে আক্রমণ করতে আসছে।’

হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

অবশ্য এই ধরনের অনুমতি বা পদক্ষেপ চলমান সংঘর্ষের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন উদ্বেগ সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় নেতা সম্প্রতি এই ধরনের অস্ত্রের ব্যবহারে বিধিনিষেধ শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছেন।

কিন্তু ওয়াশিংটন সংঘাত আরও জোরালো হওয়ার ভয়ে এই ধরনের বিধিনিষেধগুলো শিথিল করতে বাধা দিয়ে থাকে। মূলত রাশিয়াকে মোকাবিলায় ইউক্রেনকে বেশিরভাগ অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রই সরবরাহ করে থাকে।

তবে বুধবার মলদোভা সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রুশ ভূখণ্ডে হামলা না করার বিষয়ে মার্কিন নীতিতে এই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেন। সেদিন তিনি বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপে, আমরা প্রয়োজন অনুসারে মানিয়ে নিয়েছি এবং সামঞ্জস্য করেছি। এবং এভাবেই আমরা সামনে এগিয়ে যাবো।’

অবশ্য পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালানো হলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সম্প্রতি উজবেকিস্তান সফরকালে তিনি বলেন, সংঘাতের এই ক্রমাগত বৃদ্ধি গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ইউরোপে, বিশেষত ছোট দেশগুলোতে, তারা কী নিয়ে খেলছে সে সম্পর্কে তাদের সচেতন হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, এমন অনেক ইউরোপীয় দেশ রয়েছে যারা আয়তনে ছোট’ এবং সেসব দেশের ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যা’ রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে আঘাত করার কথা বলার আগে এই বাস্তবতাটি তাদের মনে রাখা উচিত, এটি গুরুতর বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের বাহিনী হামলা চালালেও তার দায়ভার পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহকারীদের ওপরই বর্তাবে।’

প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন পশ্চিমা সামরিক প্রশিক্ষকরা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে ভাড়াটে হিসাবে গোপনে কাজ করছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সেনাদের ইউক্রেনে পাঠানোর কোনও পদক্ষেপ নিলে তা সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে এবং ইউরোপকে গুরুতর সংঘাতের দিকে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেটি হবে বৈশ্বিক সংঘাতের দিকেও আরেকটি পদক্ষেপ।


আরও খবর



বিশ্ব শান্তি সূচকে ভারত-পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্ব শান্তি সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। শান্তি সূচকের এ তালিকায় ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম।

মঙ্গলবার (১২ জুন) প্রকাশিত হয়েছে গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৪-এর প্রতিবেদন। এই তালিকা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড পিস’ নামের একটি সংস্থা। তারা জানিয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, সামরিকীকরণ এবং চলমান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেশগুলোকে মুল্যায়ন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (জিপিআই) ২০২৪-এর রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২ দশমিক ১২৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৯৩তম স্থানে একটি মাঝারি মানের শান্তির দেশ বলে চিহ্নিত হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, সূচকে যে দেশের স্কোর পয়েন্ট যত কম সেই দেশ তত বেশি শান্তিপূর্ণ। তারা বিশ্ব শান্তি সূচক অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ উৎস থেকে ২৩টি গুণগত এবং পরিমাণগত সূচক ব্যবহার করেছে। সেইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার মাত্রা, চলমান অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের পরিধি এবং সামরিকীকরণের মাত্রা এই তিনটি ক্ষেত্রে শান্তি পরিস্থিতি পরিমাপ করেছে।

চলমান অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৫১৫, সামাজিক নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩২২ এবং সামরিকীকরণ ক্ষেত্রে ১ দশমিক ৫০৬ স্কোর পেয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় সবথেকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভুটান। বিশ্ব শান্তি সূচকে ২০১১ সাল থেকে এই অবস্থান ধরে রেখেছে ভুটান। বিশ্বে সব থেকে শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ২১তম স্থানে আছে এই দেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পরেই আছে নেপাল। বিশ্ব সূচকে নেপাল ৮১তম আর দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চতুর্থ এবং বিশ্বে ১১০তম স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ভারত। বিশ্বে ভারতের অবস্থান ১১৬তম। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় পাকিস্তান ১৪০তম এবং আফগানিস্তান ১৬০তম স্থানে আছে।


আরও খবর



সাভারে সংবাদ সংগ্রহকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে সংবাদ সংগ্রহকালে দুর্বৃত্তদের হামলায় আখলাকুর রহমান আকাশ (৩৬) নামের এক বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

পরে তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুর সিরাক্সি বাজারে বেঙ্গল সিরাক্সি কারখানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত আখলাকুর রহমান আকাশ সাভার পৌর এলাকার তালবাগ মহল্লায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি ডেইলি স্টার পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও নাগরিক টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।

ভুক্তভোগী আকাশ বলেন, সকালে হঠাৎ খবর পাই সাভারের সিরাক্সি বাজারে বেঙ্গল সিরামিক্স কারখানা কে বা কারা জোরপূর্বক দখল নিচ্ছে। এসময় আমি ঘটনাস্থলে যাই। পরে দেখি দুর্বৃত্তরা সিরামিক্স কারখানাটির কম্পিউটার ও সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলছে। এমন দৃশ্য দেখে আমি মোবাইল ফোনে ভাঙচুরের ছবি তুলি। এসময় হঠাৎ কয়েকজন লোক এসে আমাকে মারধর শুরু করে। পরে আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়মুল হুদা বলেন, আহত সাংবাদিকের নাক ও চোখে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ হামলার ঘটনায় সাভার ও আশুলিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা দোষীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।


আরও খবর



দোহারে ৫২ কেজি গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার ঘাটা এলাকা হতে ৫২ কেজি গাঁজাসহ সোনিয়া (৩৫) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। গ্রেফতারকৃত সোনিয়া উপজেলার বানাঘাটা এলাকার শেখ শহিদের মেয়ে। এসময় মাদক বহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (৭ জুন) র‌্যাব-১০ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকের বড় চালানসহ ঢাকার দোহার উপজেলার দোহার ঘাটা এলাকায় অবস্থান করছে। পরবর্তীতে রাত আড়াইটার দিকে র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল  ঘটনাস্থলে পৌঁছে র‌্যাবের নারী সদস্যের সহায়তায় মাদক ব্যবসায়ী সোনিয়াকে আটক করা হয়। এসময় তার ভাড়াকৃত বাসার কক্ষ হতে পলিব্যাগে রক্ষিত ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, নারী মাদক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় তার ভাড়াকৃত বাসার কক্ষের সামনে থাকা মাইক্রোবাসে অবৈধ আরও মাদকদ্রব্য রয়েছে। এরপর মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে মাইক্রোবাসের সিটের পাটাতনের নিচ হতে আরো ৪২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক পনেরো লক্ষ ষাট হাজার টাকা।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ঢাকার দোহারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক সরবরাহ করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে দোহার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



সিলেটে ভূমি ধসে আটকা ৩ জনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট মহানগরের ৩৫নং ওয়ার্ডের মেজরটিলার চামেলীবাগ আবাসিক এলাকায় ভূমিধসে একই পরিবারের ৩ জন আটকা পড়েছেন। প্রায় ৬ ঘণ্টা হতে চললেও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তাদের উদ্ধার করা এখনো সম্ভব হয়নি। শুরু থেকে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এবার এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। তাদের আরও দুটি টিম পথে আছে বলেও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, উদ্ধারের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে হাতে চালাতে হচ্ছে কার্যক্রম। যে কারণে আটকা পড়াদের উদ্ধার করতে দেরি হচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করবো- এই ৩ জনকে উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য। কারণ- দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার গলিটি অত্যন্ত সরু। যে কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিসিকের গাড়ি বা মাটি কাটার যন্ত্র ঢুকানো যাচ্ছে না। উদ্ধার তৎপরতা ম্যানুয়ালি চালানো হচ্ছে।

সোমবার ভোর ৬টার দিকে ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনীও উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করে।

সকাল ১০টায় শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী জানান, সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ভারি বৃষ্টির কারণে টিলার মাটি ধসে একটি আধাপাকা ঘরের উপরে পড়েছে। এর নিচে ৩ জন লোক আটকা পড়েছেন। ঘরটি টিলার নিচেই ছিল।

সিসিকের ৩৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভোর ৬টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এই বাসায় দুই ভাই তাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভূমি ধসে ঘরের নিচে ৬ জন আটকা পড়েছিলেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আমরা এসে এক ভাই, তার স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পেরেছি। তবে আরেক ভাই, তার স্ত্রী ও ১ বছরের সন্তান এখনো আটকা আছেন। বৃষ্টির কারণে উদ্ধার আভিযান কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া রাস্তা ছোট হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি ঢুকতে পারছে না। ফলে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই হাত দিয়েই উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে। সঙ্গে পুলিশ, সিসিক কর্মী ও স্থানীয়রা সহযোগিতা করছেন।

বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলতে দেখা গেছে। কিন্তু কাউকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট ভূমি ধস

আরও খবর