আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

খালেদা জিয়া সরকারের হেফাজতে নেই: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্ত দেওয়া হয়েছে। তিনি দুটো শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। উনি আমাদের হেফাজতে নাই। উনি সরকারের হেফাজতে নাই। মুক্ত বলে তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এ নিয়ে জাতীয় সংসদে কয়েকবার বক্তব্যও দিয়েছে দলটির সংসদ সদস্যরা। রাজপথে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে আসছেন তাঁরা। দলটির দাবি খালেদা জিয়া সরকারের হেফাজতে রয়েছে। তবে তাঁদের এ দাবি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ রোববার সংসদে সংসদে একটি আইন পাসের সময় যাচাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিলটির ওপর আলোচনাকালে বিএনপির এমপিরা অভিযোগ করেন খালেদা জিয়ার বাসাকে সাব জেল বানিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্ত দেওয়া হয়েছে। তিনি দুটো শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। উনি আমাদের হেফাজতে নাই। উনি সরকারের হেফাজতে নাই। মুক্ত বলে তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন। মুক্ত আছেন বলেই তিনি মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।'

খালেদা জিয়ার বাসাকে সাব জেল বানানোর দাবি অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী বলেন, 'তাঁরা কেবল বলেন সাব জেল বানিয়ে রাখা হয়েছে। ওনার বাসাটাকে কোন জেলই বানানো হয়নি। তাঁদের (বিএনপির) তথ্যেই এতই বিভ্রাট তা বুঝতে পারি না। এতই যদি ভালোবাসা থাকে তাহলে তো তথ্যটি জেনে এখানে কথা বলতে পারেন। এত সুপারফিসিয়ালী কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাঁকে (বেগম জিয়াকে) ৬ মাস করে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত। সেখানে দুটো শর্ত যুক্ত ছিল, সেটা এখনো আছে। মুক্ত বলে তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন। মুক্ত আছেন বলেই তিনি মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।'

' ৪০১ ধারায় যাকে মুক্তি দেওয়া হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন কোন কথা নেই। কিন্তু কথা আছে শর্তযুক্ত অথবা শর্ত মুক্ত। আমরা সেখানে বলেছি তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না বাংলাদেশে থেকে চিকিৎসা নেবেন। তিনি অবশ্যই মুক্ত। অবশ্যই মুক্ত। তিনি আমাদের কাস্টডিতে নাই। তিনি সরকারের কাস্টডিতে নাই। তিনি এখানকার যেখানে ইচ্ছা সেখানেই চিকিৎসা নিতে পারেন এবং সেটা তিনি নিচ্ছেন। বিএনপির সংসদ সদস্যরা বলছেন তাঁদের নেত্রী কাস্টডিতে। তিনি কাস্টডিতে নাই। শি ইজ ফ্রি অ্যান্ড শি ইজ টেকিং ট্রিটমেন্ট অ্যাকোর্ডিং টু হার উইল।'

তিনি বলেন, আমি বলেছি একটা বিষয় সিদ্ধান্ত হলে সেখানে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এটা চাইলে তাঁকে অরিজিনাল প্রিজনে যেতে হবে। তারপর নতুন সিদ্ধান্ত হয়তো নেওয়া যাবে। ৪০১ ধারার বিষয়ে বিএনপি থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে আমার তার সঙ্গে দ্বিমত আছে। আমি আমার অবস্থান থেকে নড়ব না।


আরও খবর



বিকেলে দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি আজ রোববার সকালে পারস্য উপসাগরের কাসাব উপকূল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রাফিক এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।

মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, এমভি আবদুল্লাহ গতকাল রাতে ওমান সাগর পারি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটি ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে দুবাইয়ের দিকে আগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজটির অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টার মধ্যে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুইজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়েছিল। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।


আরও খবর



মেহেরপুরে ফের দেড় হাজার শতবর্ষী গাছ কাটার তোড়জোড়

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

রাস্তা সম্প্রসারণ ও সড়ক দুর্ঘটনার অজুহাতে ফের জেলা পরিষদের দেড় হাজার শতবর্ষে গাছ কাটার তোড়জোড় শুরু করেছে মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

এর আগে বছরখানেক আগে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ২ হাজার ৭৮৬ টি শতবর্ষী গাছ কেটে রাস্তা প্রশস্তের উদ্যোগ নিয়েছিলো মেহেরপুর সড়ক বিভাগ। আর সেই গাছ মুহুর্তের মধ্যেই কাটা হয়ে গেছিলো। গাছ কাটা হলেও নতুন করে লাগানো হয়নি একটিও গাছ।

রাস্তার দুপাশ এখন ধু ধু মরুভূমি। গাছ কাটা নিয়ে পরিবেশবাদিরা ও সাধারণ মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সে-সময়। শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল, বাবলা ও নিম গাছগুলো কাটার কারণেই চলতি মৌসুমে মেহেরপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।

আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো মেহেরপুর-মুজিবনগর ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আরও ১ হাজার ৪৪০ টি গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে মেহেরপুর সড়ক বিভাগ।

ইতিমধ্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদ বরাবর একটি চিঠি দিয়ে গাছগুলো কাটার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

মেহেরপুর সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের আমঝুপি পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ করা হবে। যাতে প্রধান বাধা হয়ে আছে রাস্তার পাশে ৯৭৬টি ছোট বড় বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছ। এছাড়াও মুজিবনগর সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানোর অযুহাতে কাটা হবে আরও ৪৬৪টি গাছ। এই সড়কে শতবর্ষী কড়ই, মেহগনি, শিমুল ও নিম গাছগুলোকে সড়ক বিভাগ লাল রং করে নাম্বারিং করে গেছে। কিছু গাছ রয়েছে সড়কের কিছুটা উপরে, আবার বেশির ভাগ গাছ রয়েছে সড়কের বাইরে। তবে প্রায় সবগুলো গাছেই নাম্বারিং করা হয়েছে। এসব গাছগুলো কেটে ফেলার উদ্যোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে যদি ফের দেড় হাজার শতবর্ষী পুরানো গাছগুলো কাটা হয় তবে মেহেরপুর আর বসবাসের উপযোগী থাকবেনা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত গাছ না লাগানোই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার পথচারী ও এলাকাবাসী।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, গাছগুলো রাস্তার উপরে চলে এসেছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া গাছগুলোর কারণে সড়ক সংস্কার বা প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। সেজন্য আমরা জেলা পরিষদকে চিঠির মাধ্যমে তালিকাসহ জানিয়েছি। এবং কাটার ব্যবস্থা করার জন্য বলেছি।

মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, আমরা একটি তালিকাসহ চিঠি পেয়েছি। আমাদের সার্বেয়ার (পর্যবেক্ষক) যাবে। তারা যেগুলো কাটা প্রয়োজন বলে মনে করবে সেগুলোই কাটা হবে বলে জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।


আরও খবর



বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গ, হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ’ করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনার জয়ে লজ্জা এড়ালো রোডেশিয়ানরা। এই জয়ে ৪-১ ব্যবধান শেষ হলো বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

রবিবার (১২ মে) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রিয়াদ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই এগোতে থাকে সফরকারীদের দুই ওপেনার। তবে সাকিবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন মারুমানি। এতে ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় রোডেশিয়ানরা। সাকিবের আউট সাইট অফের ডেলিভারিতে তার স্টাম্প ভাঙেন জাকের আলী।

একপর্যায়ে সাকিব, মোস্তাফিজ, রিশাদ-ত্রয়ীতে বেশ চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে মোটে ১৩ রান দেন তারা। তবে পানি পানের বিরতির পর রিশাদের ওপর চড়াও হয়ে ১৬ রান তুলে নেয় সফরকারীরা।

টাইগার বোলারদের সামনে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বেনেট। ৩৬ বলে এই মাইলফলক পূর্ণ করেন তিনি। তাকে থামান সাইফউদ্দিন। তার শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৪৯ বলে ৭০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি রাজা। তার ৪৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার সৌম্য (৭) ও তামিম (২)। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি হৃদয়ও। বেনেটের বলে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন এই ব্যাটার। এতে ৪ দশমিক ১ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

পরপর তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ভিন্ন পথে দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল। এই জুটি ইনিংসের অষ্টম ওভারে ৫০ ছাড়ায় বাংলাদেশ।

তবে রিয়াদের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটির পর আউট হয়ে যান শান্ত। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ২৮ বলে ৩৬ রানে ফেরেন টাইগার দলপতি।

শান্ত ফিরলেও সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের গতি বাড়ান রিয়াদ। এই জুটিতে ইনিংসের ১৪তম ওভারে এসে দলীয় ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

তবে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১ হাজার রান পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি সাকিব। মিডউইকেটে দারুণ ডাইভে সাকিবের ক্যাচ নেন ক্যাম্পবেল জুনিয়র। এতে ১৭ বলে ২১ রান করে সাকিবকে ফিরতে হয়।

অন্যদিকে ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মুজারাবানির বলে রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ রানে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।


আরও খবর



নির্বাচনে প্রভাব খাটালেই ব্যবস্থা: ইসি রাশেদা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রভাবশালীরা প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

শনিবার (৪ মে) সকালে রাজশাহীতে উপজেলা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা নির্বাচন হবে প্রভাবমুক্ত। প্রভাবশালীরা এই নির্বাচনে প্রভাব খাটালে কমিশন প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরও বলেন, আপনারা দয়া করে আপনাদের জায়গায় থাকেন। আপনার মান ইজ্জত, মর্যাদা আপনি রক্ষা করবেন। প্রার্থীরা সংসদ সদস্যদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কারো সুবিধা নিলে দয়া করে সরে আসেন। এ রকম অবস্থা যদি দাঁড়ায়, যদি অভিযোগ আসে, তাহলে প্রার্থীতা বাতিলও হতে পারে।

বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।


আরও খবর



জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার (১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিহত সৈকত সরদার (১৯) জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তাকে গতিরোধ করে। এরপরে তাকে সেখানে গণধোলাই দিলে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য: গত ২৭ মার্চ দু'পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ককটেল বিস্ফোরণ

আরও খবর