আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

কলড্রপ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশন: প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, কল ড্রপ এখন একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে অসন্তোষের শেষ নেই। আমরা আগামী জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকেই অ্যাকশনে যাব। কল ড্রপের বিষয়ে কোনো মোবাইল অপারেটর ছাড় পাবে না।

রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।

পলক বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে কল ড্রপের হার কমিয়ে আনার জন্যই আজকে আমরা বৈঠকে বসেছি। সরকার মোবাইল অপারেটরদের যেসব সুবিধা দিয়েছে তার বিপরীতে গ্রাহকরা প্রতিশ্রুত সেবা পাচ্ছেন কি না সেটিই বড় বিষয়। সম্প্রতি বিটিআরসি কল ড্রপ নিয়ে যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব সন্তোষজনক নয়। মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিক্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের (মোবাইল অপারেটরদের) পরিষ্কার বার্তাটি দেওয়ার জন্য আজ আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা একটি স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই। কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাব। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে যে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পলক আরও বলেন, আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কলড্রপ রেট কাগজে-কলমে যাই থাকুক, আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টির ওপর জোর দেব। ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্র্যাজুয়ালি রোল আউট করা। আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে। অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল অনেক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় বেশি। আমার বিশ্বাস এখানেও মনোযোগ দেবে।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বাজেট: শিল্প খাতে বরাদ্দ কমেছে ৫১৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্প খাতে ৫১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ কমিয়ে ২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের বাজেটে ছিল ৩ হাজার ২৪ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে শিল্প পণ্যের বৈচিত্র্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতকে গতিশীল করতে উৎপাদন প্রযুক্তি এবং পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন, নতুন পণ্য উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি এবং বেসরকারি খাতের শিল্প উদ্যোগকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছি। ইউরিয়া সারের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কারখানা এবং ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু করা হয়েছে।

কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, এ খাতের উন্নয়নে সরকার সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, পুনঃঅর্থায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় ও রফতানিমুখী ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনের লক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় ২০০ একর জমিতে অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্প পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত মোট ৪৪টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এসব দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমেও রফতানি সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছি। রফতানি পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণে স্থানীয় শিল্পের সুষম বিকাশ, বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ, পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ প্রণয়ন করেছি এবং রফতানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছি। এছাড়া ই-কমার্স/ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাকল্পে ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) প্লাটফর্ম চালু করা হয়েছে।


আরও খবর



পুলিশ সদস্য খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বারিধারায় ডিউটিরত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে তার সহকর্মী কাউসার আহমেদের গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তার তথ্যমতে, হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য ডিসি গুলশানকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (৮ জুন) রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল মনিরুল এবং কাউসার। রাত পৌনে ১২টার দিকে হঠাৎ সহকর্মী মনিরুলকে নিজের বন্দুক দিয়ে গুলি করেন কনস্টেবল কাউসার। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল।

এ সময় কাউসারের এলোপাতাড়ি গুলিতে সাজ্জাদ হোসেন নামে জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক আহত হন। ঘটনার সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাজ্জাদ। বর্তমানে তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার (৯ জুন) কাউসার আহমেদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে এক শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) বেলা আনুমানি দেড়টার দিকে ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী শাকরিগাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চরমিরকামারী সাকরেগাড়ী এলাকার মৃত মনসুর আলী মোল্লার ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাবু (৪২) মোল্লার বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কন্যার মা চরমিরকামারী (সাকরেগাড়ী) এলকায় অবস্থিত প্রাণ কোম্পানীতে রান্নার কাজ করতেন এবং স্থানীয় আসাদুল মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন কুলসুম (৬), মীম (৫), আয়েশা (৩), নাদিয়া (৪) ও সুমাইয়া আবাকার রিংকি (৭) বাড়ির নিকটবর্তী রাস্তার পাশে ধানের খোলায় খেলা করতেছিল। ঐসময় টাইলস দিয়ে বানানো ফোন দিয়ে সিরাজুলের ছবি তোলে ভিকটীম সুমাইয়া। এক পর্যায়ে খেলা থেকে সবাই চলে গেলেও সুমাইয়া ও কুলসুমকে ফুসলিয়ে সলিমপুর ইউনিয়নের সাকরেগাড়ী গ্রামের স্যান্ডেল ফ্যাক্টরীর পাশে নিজবাড়ির টিনসেড ঘরে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজুল। তখন বাড়িতে কোন লোক ছিল না। কুলসুম ঘরের ভিতর থেকে চলে গেলে জোরপূর্বক সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে সিরাজুল।  

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর মা ফিরে আসলে ভুক্তভোগী শিশু কন্যার থেকে ঘটনা জানতে পারেন। তখন সে বাড়িওয়ালা সিরাজুলের বড় ভাই আসাদুল মোল্লার নিকট এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। তখন আসাদুল ও তার স্ত্রী ভুক্তভোগীর মাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঐ রাতেই বাড়ি থেকে বের করে দেন।

বাড়িওয়ালা আসাদুল মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার ভাই সিরাজুল কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক, সাকরেগারী এলাকার কয়েকজন জানান, ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে অর্থনৈতিক লেনদেন হওয়ায় এতদিন গোপন ছিল।

এ বিষয়ে জানতে রুপপুর ফাঁড়ীর ইনচার্জ কান্তি কুমার মোদক জানান, পাবলিক ইপিজেট গ্রেট এর রাস্তায় মেয়েটিকে কান্না করা অবস্থায় পেয়ে ফাঁড়িতে জমা দেয়। মেয়েটি সাকরেগাড়ী এলাকার বলায় তাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে তার ভাড়া বাসায় রেখে আসি। এছাড়া আমি কিছু জানিনা।

ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর মা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভিকটিম ও তার মাকে আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছেন : মোমেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতিকে সরকারের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রধান প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন সংসদ সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি গত ১৬ বছর ধরে যেভাবে ধরে রেখেছেন তা বিশ্বের বিস্ময়। বর্তমানে তার এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার প্রধান প্রতিবন্ধক হচ্ছে দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এই দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলো যথা সময়ে শেষ হয় না। ফলে খরচ বাড়ে, জনগণের হয়রানি বাড়ে। আমলাদের একটি অংশ দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছেন এবং তাতে জনগণের হয়রানি বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এ কে মোমেন বলেন, এই অল্প সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ আমলাদের জন্য সারা আমলাতন্ত্র বদনামের ভাগীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এই বাজেটে দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার বন্ধের নির্দেশনা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জনগণের আস্থা অর্জনে সহায়ক হবে। সরকারি কর্মচারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হিসাব বাধ্যতামূলক করা এখন সময়ের দাবি। কিছু সংখ্যক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে দেশের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে দুর্নীতি কমবে।

সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে, মাঠে ময়দানে সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। সাধারণ নাগরিক এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। তাই তারা সবাই জাতির আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, সাধারণ নাগরিকের মধ্যে বড় প্রশ্ন রয়েছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। অধিকতর কর্মসংস্থান, রাজস্ব বৃদ্ধি ও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ও প্রশাসনের হয়রানি নিয়ে জনগণের নানা প্রশ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিবছর হাজার হাজার কর্মক্ষম লোক বৈধ ও অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। কর্মসংস্থান বা উদ্যোক্তা সৃষ্টি সাধারণত প্রাইভেট সেক্টর করে থাকে। সেজন্য তাদের যথেষ্ট ব্যাংক ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত। এবারের বাজেটে ঘাটতি মেটানোর জন্য ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা ঋণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

মোমেন বলেন, ইতোমধ্যে অনেক ব্যাংকের বেহাল অবস্থা। বাজেটে এর প্রতিকারের কথা থাকলে জনমনে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হতো। বরং কালো টাকাকে শতকরা ১৫ % কর দিয়ে সাদা করার ঘোষণায় যারা সৎ করদাতা তারা হতাশ হয়েছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগের পরিমার্জন প্রয়োজন বোধ করি।

তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা অর্জনে, সাদাকে সাদা, কালকে কালো না বললে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অবিচার করা হয়। অর্থমন্ত্রী বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে যা যা করা প্রয়োজন তা করবেন বলে বিশ্বাস করি।


আরও খবর



চট্টগ্রামে কর্মরত নারী সাংবাদিকের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

নারীদের সুরক্ষার জন্য নারী সাংবাদিকদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। তখন থেকেই সদস্যরা দেশের নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিধি বাড়ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিকূলতার মধ্যেও সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন।

গতকাল শনিবার (১৫ জুন) বিকেলে নগরীর কাজীর দেওড়িতে অবস্থিত রেড সিলি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক চট্টগ্রাম কেন্দ্রের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

চট্টগ্রাম নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভানেত্রী ও দৈনিক বাংলার ব্যুরো চিফ ডেইজি মওদুদ ও চট্টগ্রাম নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সেক্রেটারি ও চট্টগ্রামের দীপ্ত টিভির ব্যুরো প্রধান লতিফা আনসারী রুনা, দৈনিক আজাদী পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক ইয়াসমিন ইউসুফ ও শামীম আরা লুসি, সময় টিভির জিন্নাত-উল-ফেরদৌস, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের শারমিন মুনমুন সুমি ও দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার মনীষা আচার্য চট্টগ্রামে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এতে সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করণসহ সমস্যা থেকে উত্তরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, নারীর সাংবাদিকরা নতুন প্রযুক্তি আয়ত্ত করার মধ্য দিয়ে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলছে। বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শুরু করে ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো কাজে নারীরা মাঠে ময়দানে থেকে রিপোর্টিং করছে। নারী সাংবাদিকদের এগিয়ে নিতে এ সংগঠন। চট্টগ্রামর নারী সাংবাদিকতায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি নারী সাংবাদিকদের নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর