আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

ক্ষুধায় প্রতি চার সেকেন্ডে প্রাণ যাচ্ছে একজনের

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বে কেবল ক্ষুধার কারণেই প্রতি চার সেকেন্ডে একজন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক ক্ষুধা সংকটের অবসানে চূড়ান্ত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার এই সতর্ক বার্তা দিয়েছে বিশ্বের দুই শতাধিক এনজিও।

বিবৃতিতে এনজিওগুলো বলেছে, ৭৫টি দেশের বিভিন্ন সংগঠন আকাশচুম্বী ক্ষুধার মাত্রা এবং তা মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুপারিশ নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। এতে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, আশ্চর্যজনক বিষয় হলো বিশ্বের ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এখন তীব্র ক্ষুধার্ত। আর ক্ষুধার্ত মানুষের এই সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।  একুশ শতকে বিশ্বে আর দুর্ভিক্ষ ঘটবে না বলে বিশ্ব নেতারা প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও সোমালিয়ায় আরও একবার দুর্ভিক্ষ আসন্ন। বিশ্বের ৪৫টি দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন।

বিশ্বের দুই শতাধিক এনজিওর ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রত্যেকদিন প্রায় ১৯ হাজার ৭০০ জন মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন। তাদের হিসেবে, প্রতি চার সেকেন্ডে অন্তত একজন মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন। খোলা চিঠির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ইয়েমেনের ফ্যামিলি কেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মোহান্না আহমেদ আলী এলজাবালি বলেছেন, এটি অত্যন্ত ভয়াবহ এক সংকট যে, কৃষি এবং ফসল কাটার সব ধরনের প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও আজ আমরা একুশ শতকে এসেও দুর্ভিক্ষের কথা বলছি।

তিনি বলেন, এটি কেবল একটি দেশ অথবা একটি মহাদেশের কথা নয়। আর ক্ষুধার কখনই একটি কারণ থাকে না। এটি সমগ্র মানবতার অবিচার। লোকজন যাতে তাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে এবং নিজেদের ও পরিবারের জন্য সরবরাহ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক জীবনরক্ষাকারী খাদ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী সহায়তার জন্য আমাদের আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করা উচিত নয়।

নিউজ ট্যাগ: বৈশ্বিক ক্ষুধা

আরও খবর



চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক।

কোরিয়ার ৫ম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানকার ম্যানুফ্যাকচারার, অটোমোবাইল, মোবাইল ও হোম ইলেক্ট্রনিক্স খাতে বিনিয়োগ রয়েছে কোরিয়ান কোম্পানীর। এছাড়াও বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্পে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে কোরিয়ান কোম্পানীগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাথে  চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালকদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণ করবে। তাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে গুণগত অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রয়োজন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈচিত্রতা আনতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে পোশাক শিল্পের ৭৫ শতাংশ কটনবেইজড পোশাক রপ্তানি হয়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ম্যান মেইড ফাইবার পোশাকের  কদর রয়েছে। বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমি, ট্যুরিজম, এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং সেক্টরে অনেক উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে কোরিয়ার। বর্তমানে বাংলাদেশের কোরিয়ান কোম্পানীগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানির উপর উচ্চ ট্যারিফ, ভিসা জটিলতা এবং কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বিলম্বজনিত সমস্যা একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। বিনিয়োগের এসব বাধাসমূহ সমাধান প্রয়োজন।

চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরিপোশাক খাত আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও রয়েছে কোরিয়ার অবদান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশ হচ্ছে কোরিয়ার বিনিয়োগ। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে ম্যান মেইড ফাইবার তৈরিপোশাকের চাহিদা বাড়ছে। তাই এই সেক্টরে কোরিয়ার বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্লু ইকোনমি, শিপ বিল্ডিং ও শিপিং খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের খাদ্য উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য অপচয় হচ্ছে। তাই আধুনিক এগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে কোরিয়ার অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন মেঘনা নদী থেকে পানি সরবরাহ লাইন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড তথা চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে হবে।

চেম্বার সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান ফুডের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া কোরিয়ার কসমেটিক্স, প্রসাধন ও ফুটওয়্যারের কদর রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বাজার এবং বিদেশের চাহিদা মাথায় রেখে বাংলাদেশের কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

 এসময় চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, আখতার উদ্দিন মাহমুদ ও দূতাবাসের কনসুল কিম জেয়ং কি, চট্টগ্রামে কোরিয়ান এসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট জিন হুক পিক, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান তাইয়ং প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, মাহবুবুল হক মিয়া ও মোঃ রেজাউল করিম আজাদ উপস্থিত ছিলেন


আরও খবর



দেশে বেকারের সংখ্যা কত, জানাল বিবিএস

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমানে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৯০ হাজার। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। এছাড়া পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য-উপাত্ত উঠে এসেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসেবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়।


আরও খবর



ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর: মিলছে না পানির ন্যায্য হিস্যা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা চুক্তির ২৮ বছর পরও পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। শুকনো মৌসুমে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী হার্ডিঞ্জ সেতুর উজান ও ভাটিতে পদ্মার পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এ অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা পরিণত হয়েছে ছোট নদীতে। মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছে এই অঞ্চলের সুতা নদী, কমলা নদী, ইছামতি নদী ছাড়াও আরও অন্তত ১৭টি নদীর।

ভারতের সঙ্গে গঙ্গা চুক্তি হয়েছিল সেই ১৯৯৬ সালে। এরই মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে, পানির চাহিদা বেড়েছে এবং অনেক কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। তাই পদ্মাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে এবং এ অঞ্চলের মানুষকে বাঁচাতে গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এবারের ফারাক্কা দিবসের প্রাক্কালে এমন দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে নদী গবেষক ও বিশ্লেষক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীকে নদীর মত করে বাঁচতে না দিলে প্রাণ-প্রকৃতি ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পৃথিবী। গঙ্গা পানি চুক্তি রিভিউ করে তা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষক ও পরিবেশবিদরা।

তাদের মতে, পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পদ্মাসহ সকল শাখা নদী এখন মৃতপ্রায়। ফলে বছরের পর বছর ধরে হুমকির মুখে পড়ে আছে পদ্মার দুই পাড়ের পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও হাইড্রোলজি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এ বছর খরা ও অনাবৃষ্টির ফলে ফারাক্কায় পানির প্রবাহ কমে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন। ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মায় পানির প্রবাহও কমেছে একই কারণে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৩০ বছরের পানি চুক্তি হয়। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেব গৌড় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে হায়দ্রাবাদ হাউজে ঐতিহাসিক ৩০ শালা পানি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ হাজার ১৬৯ কিউসেক। তার আগের দিন মঙ্গলবার এখানে পানি পাওয়া গেছে ২৬ হাজার ৬৫৬ কিউসেক।

পাবনা হাইড্রোলজি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দিন জানান, বুধবার ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ ও সুদীপ্তা মাহান্তিসহ ভারতীয় প্রতিনিধি দল পদ্মা নদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিনে পানি পরিমাপ করেছেন। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা পনির প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পানির প্রবাহ প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে।

ভারতীয় নদী কমিশনের সদস্য ও নির্বাহী প্রকৌশলী অপর্ভা রাজ বলেন, পানি কমের কারণে এখন ফারাক্কা প্রান্তে যে পানি প্রবাহ হচ্ছে তা দুই ভাগে ভাগ করে অর্ধেক বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শাহনেওয়াজ সালাম বলেন, পরিবেশ ও জৈববৈচিত্র এখনো হুমকির মুখে। এসব থেকে রক্ষা পেতে আমার মনে হয় নতুন করে গঙ্গার পানি চুক্তি হওয়া দরকার।

উত্তরাঞ্চলীয় পানি পরিমাপ বিভাগ ও পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বর্তমানে আমরা কম পানি পাচ্ছি।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হাত খুলে ব্যাট করতে দেয়নি বাংলাদেশ। পেস-স্পিনের ইন্দ্রজালে জিম্বাবুয়েকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে অল্পতেই আটকে রেখেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাতে ২০ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকে হারায় জিম্বাবুয়ে। শেখ মেহেদীর বল হালকা টার্ন করে আঘাত হানে স্টাম্পে। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় তাকে।

এর আগে অবশ্য প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে দুইবার সীমানার ওপারে পাঠিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন এই ম্যাচ দিয়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষিক্ত ওপেনার জয়লর্ড গামবি।

নিজের দ্বিতীয় ওভারেও মার খেতে হয় শরিফুলকে। তার প্রথম তিন বলে টানা তিন চার হাঁকান তিনে নামা ব্রায়ান বেনেট।

এরপরই শুরু জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৩৬ থেকে ৪১ এই ৫ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হাওয়া জিম্বাবুয়ের।

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরে সাইফউদ্দিন তুলে নেন ওপেনার গামবির (১৭) উইকেট। শেখ মেহেদীর করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেটও (১৬)। পরের বলে ক্রিজে এসেই শেখ মেহেদীর বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও (০)। রিভিউ নিতেও বাঁচতে পারেননি তিনি।

অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস আর রায়ান বার্লও রাজার মতোই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন। এমন ব্যাটিং ধসে দিশেহারা জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন ক্লাইভ মাদান্দে এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। শুরুটা একদম ধীরগতির হলেও ক্রমেই দুজন দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন। অষ্টম উইকেটে তাদের গড়া ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। ব্লক হোলে বল ফেলে মাদান্দের প্রতিরোধের ইতি টানেন তিনি। ৩৯ বলে ৬ চারে ৪৩ রান আসে তার ব্যাটে। ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুই উইকেট যায় শেখ মেহেদীর ঝুলিতে।


আরও খবর



প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

আজ রবিবার (৫ মে) ফেসবুকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড একাউন্টে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

সেখানে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখন বছরে স্কুলের মোট কর্মদিবস ১৮৫টি। এর মধ্যে ২০ দিন নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের জন্য রাখা হয়েছে। স্কুলের কর্মদিবস যদি আরও কমে যায়, শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস নেওয়া হবে।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেওয়া ছুটি শেষে আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগেই ঘোষণা দিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের দীর্ঘ ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহের কারণে তা এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। গত রোববার স্কুল-কলেজ চালু হলে শিক্ষার্থীরা অনেক দিন পর ক্লাসে ফেরে। তবে প্রচণ্ড গরমে বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়।

গরমে অসুস্থ হয়ে শিক্ষকসহ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত সোমবার হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। এরপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে চলমান তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪