আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

মামলা করলেন এমপি আনারের মেয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। বুধবার (২২ মে) রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলাটি করেন তিনি।

মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

তিনি বলেন, নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে এই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এখন তদন্ত-পূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এর আগে, বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে বাবার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করতে শেরেবাংলা নগর থানায় যান নিহত এমপি আনারের কন্যা মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন। ওই সময় তার সঙ্গে আরও একজন ছিলেন।

তার আগে দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান এমপি আনারের কন্যা। পরে সেখানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। সাংবাদিকদের মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, আজ আমি এতিম হয়েছি, যার বাবা থাকে না তার কেউ থাকে না। বাবার সঙ্গে আমার ভিডিও কলে সর্বশেষ কথা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে- আমি সেটা দেখতে চাই। আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। তবে আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের আমি দেখতে চাই। এ সময় বাবার হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

এদিকে, এমপি আনারের হত্যার ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এমপি আনোয়ারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত মূলহোতাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ নিয়ে বিস্তারিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানাতে পারবে। আমরা আমাদের মিশনের মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি। আমাদের মিশনও কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যার ঘটনা খুবই দুঃখজনক, মর্মান্তিক, অনভিপ্রেত। বিষয়টি তদন্তাধীন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এটা একটা পরিকল্পিত হত্যা।

এদিন দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব রয়েছে। তারা আমাদের সব ধরনের কোঅপারেশন করছে। ভারত সরকারের যতটুকু দায়িত্ব তা তারা করছে। সম্পর্কের ফাটল ধরবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ এই ঘটনায় ভারতের কেউ জড়িত নয়। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে ইনফরমেশন তাতে আমাদের দেশের মানুষই এ হত্যার সঙ্গে জড়িত।

এর আগে এমপি মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য ১২ মে ভারত গিয়েছিলেন। ভারতে যাওয়ার দুদিন পর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে তার মেয়ে আমাদের জানালে আমাদের পুলিশ ইন্ডিয়ান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। আমরা আজকে সকালবেলা নিশ্চিত হয়েছি, ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে যে, তিনি খুন হয়েছেন। ভারতের পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুনের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে ধরা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমাদের তদন্ত চলছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ঝিনাইদহ সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকা, সীমান্ত এলাকা। আনোয়ার সাহেব ওই এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পরে এই ঘটনাটি ঘটে। আমাদের পুলিশ এটা নিয়ে তদন্ত করছে। এই খুনের মোটিভ কী ছিল তা আমরা অচিরেই জানাতে পারব। ভারতের পুলিশ আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে তথ্য অনুযায়ী, তিনি কলকাতার একটি বাসায় পরিকল্পিতভাবে খুনের শিকার হয়েছেন। খুনের মোটিভ নিয়ে আমাদের পুলিশ ও ভারতীয় পুলিশ কাজ করছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়েতে আমাদের যতটুকু করা দরকার তার সবই আমরা করছি।

উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ মে কলকাতায় যান আনার। একজন অফিসারের ফ্ল্যাটে উঠেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন। বরানগর এলাকার সিঁথিতে যে বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন আজিম তার নাম গোপাল বিশ্বাস। গত ১৩ মে দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে তার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভাড়া করা গাড়িতে ওঠেন আজিম। তারপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



গাড়ি তল্লাশি করে মিলল ২৭৮ বোতল ফেনসিডিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে ২৭৮ বোতল ফেনসিডিলসহ একজনকে আটক করেছে র‍্যাব। সদর উপজেলার পরানপুর এলাকায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় একজনকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-১০ এর ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক কে. এম. শাইখ আকতার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটক ব্যক্তির নাম আমিনুল ইসলাম (৫২)। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার হাটকালুগঞ্জ গ্রামের কালু শেখের ছেলে।

র‍্যাব কর্মকর্তা কে. এম. শাইখ আকতার বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা হতে কিছু মাদক কারবারি নানা কৌশলে ফরিদপুর এলাকায় মাদক চালান করে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে জেলার সদর উপজেলার পরানপুর এলাকায় অভিযান চালায় র‍্যাব। এ সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা একটি তিনচাকার যান নসিমন গাড়ি তল্লাশি করা হয়। এতে অভিনব কৌশলে নসিমন গাড়ির বডির ভেতরে বাক্সের মতো তৈরি করে ফেনসিডিলগুলো বহন করে আসছিল। পরে গাড়ির বডির ওপরের কাঠের পাটাতনগুলো খুলে ২৭৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। এর আনুমানিক বাজার ‍মূল্য ৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এ সময় গাড়ির চালককে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি মাদককারবারি বলে স্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার সকালে আটক আমিনুলকে মাদক মামলায় কোতয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ২১ লাখ টাকার টোল আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেড়েই চলছে যানবাহন চলাচলের সংখ্যা। এর পাশাপাশি প্রতিদিনই টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাড়ছে টোল আদায়ের পরিমাণ।

গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ৩ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর বিপরীত সেতু দিয়ে ৪০ হাজার ৯০৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪০ হাজার ৯০৬টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। এই সময়ে সেতু থেকে ৩ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ২২ হাজার ৬৪৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ সেতু পশ্চিম অংশে ১৮ হাজার ২৬১টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা।

তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

এদিকে, আজ শুক্রবার ভোর রাত থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তবে তেমন কোনো যানজট নেই।


আরও খবর



জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কথা ভাবছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কথা ভাবছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিশেষ দূত গিলাদ এরডান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ শিশুদের ওপর হামলা ও হাজার হাজার শিশুর মৃত্যুর কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অপরাধী দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে জাতিসংঘ।

সে সময়ই ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, এই পদক্ষেপের কারণে জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং জাতিসংঘকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ইসরায়েল জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কথা চিন্তা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের একটি রেডিও চ্যানেলকে গিলাদ এরডান বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ইসরায়েল তার ভূখণ্ড থেকে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের দেশটি থেকে প্রত্যারের এবং ইসরায়েলের ভালো-মন্দ বিবেচনা করার সময় এসে গেছে।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির পরিকল্পনায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তার দিয়েছে হামাস। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন হামাসের উদ্দেশে বলেছেন, দরকষাকষি বন্ধের সময় এসেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন প্রস্তাব নিয়ে কাজ করা গেলেও অন্যগুলো নিয়ে কাজের সুযোগ নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং আলোচনার মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর এই চুক্তিটির জন্য চেষ্টা করে যাবে।

হামাস গত মঙ্গলবার বলেছে, তারা এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক তবে তারা গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও সংকটময় হয়ে উঠছে। যতই দিন যাচ্ছে সেখানে খাবার-পানির সংকটে দিশেহারা হয়ে উঠছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এমনকি শিশুদের মুখে তুলে দেওয়ার মতো খাবারের জোগানও দেওয়া যাচ্ছে না। গাজা হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ২৫০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে ১৫ হাজার ৬৯৪ জন শিশু নিহত হয়েছে এবং ১৭ হাজার শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম হয়ে গেছে।

এদিকে গাজায় খাদ্য সংকটের বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস। যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলে পাঁচ বছরের কম বয়সী আট হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানানো হয়েছে।

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে কর্মরত এক সরকারি কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, সেখানে অধিকাংশ খাদ্যপণ্য ফুরিয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘ সমর্থিত একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজাযুদ্ধের প্রথম দিকেই ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধাপরাধ করেছে। এতে বলা হয়েছে, শুধু যুদ্ধাপরাধ নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধও করেছে ইসরায়েল। কারণ তাদের হামলায় বেসামরিক অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: সিয়ামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় মো. সিয়াম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার (৩ জুন) আদালত সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আদালতের তথ্যমতে রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি সিয়ামের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। নেপালে পলাতক সিয়ামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। তিনি আক্তারুজ্জামানের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

এর আগে শনিবার (১ জুন) রাতে ডিবির একটি সূত্র জানায়, এমপি আনার হত্যায় জড়িত আসামি সিয়ামকে গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভাব্য অবস্থান বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবির মাধ্যমে কাঠমান্ডু পুলিশের এনসিবিকে জানানো হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের অনুরোধ করা হয়েছে। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাঠমান্ডু পুলিশ কাজ শুরু করেছে। খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে ডিবি।

ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত ১৩ মে কলকাতায় আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার পর লাশ গুম করার ক্ষেত্রে সিয়ামও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি কলকাতা থেকে নেপাল চলে যান। এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পুলিশ যে আক্তারুজ্জামান শাহীনের কথা বলছে, তিনিও ২০ মে ঢাকা থেকে দিল্লি হয়ে কাঠমুন্ডু যান। পরে সেখান থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

এদিকে, এমপি আনার হত্যার তদন্তের জন্য শনিবার (১ জুন) সকালে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। প্রতিনিধিদলে ডিবির দুজন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদরদপ্তরের এনসিবির একজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম দফা রিমান্ড শেষ হয় কয়েকজনের। এ কয়েকজন আসামি হলেন, সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলিস্তি রহমানকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের আটদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৪ মে দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিন আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগের দিন ২৩ মে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলিস্তি রহমানকে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো। এছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।’

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। আমার বাবার কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করেছে। বাবাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করেও পাইনি।


আরও খবর



আ.লীগ নেতা গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে স্থানান্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের জেলার মহিউদ্দিন হায়দার বলেন, কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে আমরা বুঝে পেয়েছি। ঢাকা সিএমএম আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে পুলিশ ভ্যানের মাধ্যমে তাকে এখানে পাঠানো হয়। পৌনে ৪টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের স্থানান্তর উপলক্ষে কারাগারের প্রধান ফটকে জোরদার করা হয় নিরাপত্তাব্যবস্থা। এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে প্রটোকলের মাধ্যমে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয় গ্যাস বাবুকে। এরপর একে একে জেলা কারাগারের মধ্যে গাড়িগুলো প্রবেশ করে। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে গেলে আর সামনে এগোতে দেওয়া হয়নি। পরে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ কারাগারে হস্তান্তর করে গাড়িটি ফিরে যায়।

গ্যাস বাবুকে নিয়ে যেকোনো সময় মোবাইলফোনসহ আলামত উদ্ধারে অভিযান চালানো হতে পারে বলে জানা গেছে।


আরও খবর