আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মেধাশূন্য ভবিষ্যতের দিকে ঝুঁকছে দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ফিরোজ মাহমুদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের মধ্যে মোবাইল আসক্তি বাড়ছে। তাদের মেধা-মননে জায়গা করে নিচ্ছে ভার্চুয়াল এক অস্বাভাবিক জগত, যে কারণে অনেক শিশুর মধ্যেই আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন মা-বাবারা।

অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল খোলা থাকলে পড়াশোনা কিছুটা হয়। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় বাচ্চারা সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে। গেমস ছাড়া তারা কিছুই বোঝে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেধাশূন্য ও পঙ্গু এক ভবিষ্যতের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রæত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার তাগিদ দেন তারা।

করোনা ভাইরাসের কারণে দুবছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘসময় স্কুলের বাইরে থাকার কারণে অনেক শিশুর মধ্যেই আচরণগত পরিবর্তন আসতে পারে। একের পর এক নয়া প্রজাতির দাপটে বিপন্ন শৈশব, প্রায় দুবছরের বেশি সময় ধরে স্কুলের গেটে তালা ঝুলছে। অনলাইন ক্লাস, আর বাড়ির একঘেয়ে পরিবেশ শিশুদের মানসিক বিকাশ অনেকাংশেই ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করছেন চিকিৎসকরা। জোরালো হচ্ছে স্কুল খোলার দাবিও।

গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা বাড়ি থেকে স্কুলের পরিবেশে অনেকে বেশি স্বচ্ছন্দ। সম্প্রতি শিশুদের মানসিক বিকাশের উপর করা এক সমীক্ষায় জানা গেছে, শিশুর জীবনে পরিবারের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তার স্কুল জীবন। যুক্তরাজ্যে করা এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। গবেষণায় জড়িত গবেষকরা দেখেছেন যে স্কুলে শিশুরা নিরাপত্তা এবং সম্মানের পরিবেশ উপভোগ করেছে, তাদের শিক্ষকদের সঙ্গে ভাল সংযোগ ছিল, সেই স্কুলের শিশুদের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা ভালো ছিল। কিছু শিশু বাড়ির নেতিবাচক পরিবেশ ইতিমধ্যে তাদের অনেক মানসিক চাপ বাড়ছে। তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতি একদিকে যেমন তাদের সঠিক মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে অন্যদিকে নিয়মতান্ত্রিক জীবনে অনভ্যস্ত হওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে শিশুদের মধ্যে।

এর মধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, অনলাইন ক্লাসের কারণে শিশুদের মোবাইল এবং ইন্টানেটের প্রতি আসক্তি বাড়ছে।

রোকেয়া বেগম, চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, স্বামী সরকারি কর্মচারী। তার এক সন্তান, ক্লাস টুতে পড়ে। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সারাক্ষণই প্রায় বাড়িতে থাকছে তার সন্তান। আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল এবং ইন্টারনেটের প্রতি। মনোযোগ হারাচ্ছে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও। অনেক বেশি খিটখিটে স্বভাবের হয়ে পড়ছে সে। সারাক্ষণই ওদের মাথায় থাকে যে কখন মোবাইলটা নিয়ে গেমস খেলতে বসবে। পড়াশোনার কথা বললে সেখানে কোন কান দেয় না। যেটুকু সময় অনলাইন ক্লাস চলছে সেটুকু সময় ধরে বেধে পড়াতে হয়, বাকি সময়ে চলে দস্যিপনা!

তার কথায়, অবিলম্বে স্কুল খোলা দরকার, না হলে বাচ্চাদের পড়াশোনার অভ্যাসটাই নষ্ট হয়ে যাবে। বিপন্ন হবে শৈশব!

সবরকম ক্লাস কোচিং অনলাইনে হওয়ার কারণে সারাক্ষণই ঘরবন্দি, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তিশা। তার সঙ্গে কথা বলতেই তার গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর, তিশা জানালো, কতদিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়না। এভাবে আর ভালো লাগছে না। কবে যে স্কুলটা খুলবে। সারাদিন প্রায় দুবছর ধরে একঘেয়ে রুটিনে বিরক্ত হয়ে পড়েছে ছোট্ট তিশা। বাবা-মায়েরা বলছেন, শিশুরা বাড়িতে থাকলেও নিয়মতান্ত্রিক জীবনে আর অভ্যস্ত নয় তারা।

ইউনেসকোর তথ্য অনুযায়ী, করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের তালিকায় বিশ্বে সবার ওপরে বাংলাদেশ। কিন্তু উল্টো অবস্থা আক্রান্তের হারে। শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ টিকাও দেওয়া হয়ে গেছে। তারপরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ, এমন প্রশ্ন অনেকের।

ইউনিসেফের তথ্য বলছে বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজন শিশু। আর প্রতিদিন এক লাখ ৭৫ হাজার অর্থাৎ প্রতি আধা সেকেন্ডে একজন শিশু নতুন করে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ২৫ শতাংশের বয়সই ১০ বছরের কম এবং ফেসবুকসহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার ৯০ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়সই ১৮ থেকে ২৯-এর মধ্যে। বাংলাদেশেও ইন্টারনেট প্রসারের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী, যার মধ্যে শিশুরাও আছে। বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের প্রায় ৩.৫ শতাংশ নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে, যার বড় একটা অংশই যুক্ত থাকে নানা ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের সঙ্গে।

শিশু ও কিশোরদের ভার্চুয়াল জগতের প্রতি এই আসক্তি কতটা বিপদ ডেকে নিয়ে আসছে, সেটা কি আমরা কখনও গভীরভাবে ভেবে দেখেছি?

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ মোহিত কামাল বলেন, শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিনোদনের জায়গা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় সেই বিনোদন আর পাচ্ছে না। এতে শিশুরা দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার কারণে বিরক্তি প্রকাশ করছে, রেগে যাচ্ছে। অল্পতেই ভাঙচুর করছে। শিশুদের শান্ত করতে গিয়ে বাবা-মা তাদের সামনে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দিচ্ছেন। ফলে টেলিভিশন ও ভিডিও গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা। এর ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও হীনমন্যতার শিকার হচ্ছে তারা। এতে অনেকের অটিজম, মনোযোগ হ্রাস ও তীব্র বিষণœতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

তার কাছে আসা রোগীদের মধ্যে একাধিক কেস স্টাডির কথা উল্লেখ করে দেশের খ্যাতনামা এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, কোনো গেমসের মধ্যে ঢুকে পড়লে তার ব্রেন নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন গেমস ছাড়া অন্য কিছু কাজ করে না। সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যায়।

করোনাকালে শিশুর এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় বলতে গিয়ে মোহিত কামাল বলেন, স্মার্টফোনে কবিতা আবৃত্তি, চিত্র আঁকা, গান ও ছড়া পরিবেশন করে শিশুর সৃজনশীলতা বাড়ানো যেতে পারে। অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইসের ইতিবাচক দিকগুলোতে শিশুদের ব্যস্ত রাখতে পারেন অভিভাবকরা। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ রাখার কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কে বেশি আতঙ্কিত না করে এ বিষয়ে শিশুদের বুঝিয়ে বলতে হবে।

এডুকেশন ওয়াচের গবেষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা পঙ্গু এক ভবিষ্যতের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছি। তাই স্বাস্থ্যবিধি আরও শক্তিশালী করে হলেও স্কুলগুলো খুলে দিতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলছেন, করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হবে; যার কারণে বৃহত্তর পরিকল্পনার দিকে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টিভি ক্লাস, অনলাইন ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্ট রয়েছে।

তবে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষে অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের।

নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণগোপাল দত্ত শিশুদের মোবাইল ফোন আসক্তি বিষয়ে বলেছেন, এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রশ্মি শিশুদের দৃষ্টিশক্তির ভীষণ ক্ষতি করে। যেসব শিশু দৈনিক পাঁচ-ছয় ঘণ্টা মোবাইল ফোনে ভিডিও গেমস খেলে, খুব অল্পবয়সে তাদের চোখের সমস্যা হবে। সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যখন মোবাইল ফোনকে সিগারেটের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

করোনার প্রাদুর্ভাবে আগের চেয়ে বেশি শিশুরোগী পাচ্ছি। একথা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেটিনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী বলেন, চোখের জ্বালাপোড়া, চোখ লাল হওয়া, চোখ পিটপিট করা, চোখ দিয়ে পানি পড়া এসব অভিযোগই বেশি শিশুদের।

তিনি বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে শিশুদের চোখের মাইনাস পাওয়ার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। যাকে বলে মায়োপিয়া। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা কাছের জিনিস ভালো দেখলেও দূরের জিনিস দেখতে পায় না। এ সমস্যা বাড়লে দূরের বস্তু আর দেখবেই না। দূর থেকে আসা যানবাহনও দেখতে পাবে না।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, একটানা কম্পিউটার, মোবাইল বা যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তাকিয়ে থাকাটা বড় ছোট সবার চোখের জন্যই ক্ষতিকর। ছোটদের বেলায় সেটা আরও বেশি বিপজ্জনক। অভিভাবকদের অনেকে ভাবেন, শিশুদের চোখের সমস্যা বোধহয় কম হয়। এই ধারণা থেকে তারা ওদের চোখ পরীক্ষাও করান না। এসব শিশুর জন্য তখন সমস্যাটা আরও প্রকট হয়।

তিনি জানান, গত কয়েক মাস ধরে শিশুরা চোখ আর মাথাব্যথা নিয়ে হাসপাতালে বেশি আসছে। এর কারণ, রিফ্লেক্টিভ এরর। অর্থাৎ তাদের চশমার প্রয়োজন হচ্ছে।


আরও খবর



মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে: এমপি বাহার

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার বলেছেন, আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্নবাজ হতে হবে, জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এ যুগে প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে।

সোমবার (১৩ মে) সকালে কুমিল্লা জিলা স্কুলে দুই দিনব্যাপী ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে উঠতে হবে।দেশকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপনার জন্য শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিকে নিজের মেধাকে বিকশিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান বলেন, তরুণ বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবনের ফলে পাল্টে যাবে দেশ। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে পরিবর্তন আনবে এই মেলা।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) কামরান হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইকবাল হোসেন, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার, জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল হাফিজ প্রমুখ।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৯৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৫তম।

ভারতের দিল্লি, মিসরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৮৫, ১৮৭ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান নেমেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। চট্টগ্রাম জেলা এবং হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় পৃথক দুটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিআরটিএর দুটি ইউনিট চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের ভ্রাম্যমাণ আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না। এসময় বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো-১ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৮টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। লাইসেন্সবিহীন ৩ জন চালকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ফিটনেসবিহীন ৪টি গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা। অন্য একটি গাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রো-ন-১৪-০০৩২ গাড়িকে জব্দ করে ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী। এ সময় বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ ইকবাল আহমেদ ও বিআরটিএ চট্ট মেট্রো-২ সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এই অভিযানে ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সবিহীন দুজন চালকের কাছ থেকে আদায় করা হয় ৬ হাজার টাকা।এতে ফিটনেসবিহীন ৩টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং অন্যান্য অপরাধে ৪টি গাড়ি থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত রেজিস্ট্রেশনবিহীন তিনটি ট্রাক ডাম্পিং ইয়ার্ডে পাঠিয়েছে। বৃহৎ দুই মহাসড়কে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিআরটিএ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করলেন ছেলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

বিয়ে না দেওয়ায় চাঁদপুরে মা রানু বেগমকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাসেল খানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানু বেগম ওই গ্রামের আতর খানের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী আতর খান বলেন, আমার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও মেরেছে। স্থানীয় একটি মাদরাসায় রান্নার কাজ করি। আমার ছেলে দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানয় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাসেল পালিয়ে গেছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত সে তাঁর বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জনজীবন। গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর