আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

মসলার বাজারে আগুন, হাত পুড়ছে জিরায়

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদের আগে গরম হয়ে উঠেছে মসলার বাজার। দেশি পেঁয়াজ, রসুন, হলুদ, শুকনা মরিচ, আদাসহ বহু মসলার দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় অবাক হয়েছেন ক্রেতারা। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জিরার দাম। কয়েকদিনের ব্যবধানে মসলাটির দাম বেড়ে হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ক্রেতারা বলছেন, এবার জিরা কিনতে গিয়ে হাত পুড়ছে।

গতকাল যাত্রাবাড়ী বাজার থেকে জিরা না কিনেই ফিরে যাচ্ছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আলতাফ হোসেন। কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় মসলা কেনার পর তিনি বলেন, সাধারণ মানের জিরার দামই চাইছে ৮৯০ টাকা। আর ভালো মানেরটার কেজি এক হাজার টাকা। রাতারাতি এত দাম বাড়লে পকেটে কুলায় কী করে, তাই জিরা না কিনেই চলে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন: সাইবার হামলার ব্যাপারে সতর্কতা জারি

গতবারের তুলনায় এই বছর দাম আরও বেশি বেড়েছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতা মো. হানিফ সরকার। তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় জিরাসহ কয়েকটি মসলার দাম বেশি বেড়েছে। হিলি স্থলবন্দরেই মঙ্গলবার জিরা বিক্রি হয়েছে এক হাজার টাকা কেজি। আমদানিকারকরা বলছেন, এবার ভারতেই জিরার দাম বেশি। এর সঙ্গে সরকারি শুল্ক, পরিবহন খরচও বেড়েছে। সব মিলে জিরার দাম অনেক বেড়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার বেশির ভাগ মসলার দাম অত্যধিক বেড়েছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, গতবার কোরবানির আগমুহূর্তের বাজারের তুলনায় এবার প্রায় ১৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। আর দারুচিনিতে ১৪ শতাংশ, লবঙ্গে ৩৪ দশমিক ৭৮, ধনে ৮২ দশমিক ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

আরও পড়ুন: কমলাপুর রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মানুষের ঢল

টিসিবির এ হিসাব থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এবার কোরবানির বাজারে মসলা কিনতে গতবারের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, মসলার বাজারে সরবরাহে ঘাটতি নেই। আন্তর্জাতিক বাজারেই দাম চড়া রয়েছে।

রাজধানীর মৌলভীবাজারের পাইকারি বাজারের উপহার স্টোরের ব্যবসায়ী মো. স্বপন বলেন, বাজারে পণ্যের সংকট নেই। মূলত আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ডলার সংকটের কারণে এখনো এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। যারা আমদানি করতে পেরেছেন, তারাই মূলত দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। খুচরায় গিয়ে দাম আরও বেড়েছে।

হিলি বন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হিলি বন্দর দিয়ে গত সোমবার পর্যন্ত মসলাজাত পণ্য আমদানি হয়েছে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে। তবে জিরার দাম একটু বেশি। পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাপ জানান, গতকাল সোমবার (২৬ জুন) পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে মসলাজাত পণ্য আমদানি হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি লবঙ্গ ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত, দারুচিনি ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা, ধনিয়া ১৭০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। জয়ত্রিকের দামও বেড়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ঠেকেছে। তবে এবার এলাচের দাম তুলনামূলক কম বেড়েছে। বাজার ও মানভেদে এলাচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২৬০০ টাকা পর্যন্ত। যদিও এর বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও।

আরও পড়ুন: ঈদে সার্বক্ষণিক চালু থাকছে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯

কদমতলী সাদ্দাম মার্কেট বাজারের মসলা বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, বরাবরই কোরবানির আগে মসলার চাহিদা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। তবে এবার আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম আরও বেড়েছে। যেমন মোকামে জিরার কেজি পড়ছে ৮৩০ থেকে ৮৪০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে খুচরায় দেশি পেঁয়াজের কেজি এখনো ৮০ টাকায় রয়েছে। একইভাবে রসুনের দামও ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। এক কোয়া রসুনের দাম আরও বেশি। আদার কেজি ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে দেশি শুকনা মরিচ যেখানে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখন শ্যামবাজারেই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা পর্যন্ত। আমদানিকৃত শুকনা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে তা ৪৮০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: চূড়ান্ত ফলে বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৫৪২টি আসনের মধ্যে ২৪০টিতে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।

অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) সাতটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে।

পাঁচটি আসন পেয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)- সিপিআই (এম), ওয়াইএসআরসিপি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। আম আদমি পার্টি, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) তিনটি করে আসন পেয়েছে।

কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট) (লিবারেশন)সিপিআই (এমএল) (এল), জনতা দল-জেডি (এস), জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন), রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি), জনসেনা পার্টি (জেএনপি) ও ভিসিকে দুটি করে আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দল একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাতজন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর তথ্যমতে, ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স–এনডিএ জোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৬টি। অপর দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মোট আসনসংখ্যা হয়েছে ২০১টি। যে আসনটির ফল এখনো ঘোষণা হয়নি, সেটিতে এগিয়ে আছে শারদ পাওয়ারের এনসিপিএসপি। এই দলটিও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে রয়েছে। আসনটি তারা পেলে বিরোধী এই জোটের আসন সংখ্যা হবে ২০২টি।

এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। সেবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। এবার বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সে ক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। গত নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।

লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সে ক্ষেত্রে বিজেপি তার জোটসঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে। তবে জোটসঙ্গীদের মধ্যে বেশি আসন পাওয়া দলগুলো বিরোধী শিবিরে গেলে চিত্র ভিন্ন হতে পারে।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি ১৬টি এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।


আরও খবর



‘সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষায় শিক্ষক ও গবেষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে’

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে যথাক্রমে মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সমুদ্র বিজয়ের বিষয়। সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মেরিন সায়েন্স এবং সমুদ্র সম্পদ নিয়ে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষক-গবেষকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে চবি সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগ বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলনে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির ব্যক্তব্য রাখেন চবি মেরিন সাইন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শফিকুল ইসলাম। সেমিনারে উক্ত ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চবি উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও লক্ষমাত্রা অর্জনে কাজ করার আহবান জানান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ আফতাব উদ্দিন সভাপতিত্বে সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সাইন্সেস এর প্রফেসর সাইদুর রহমান চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোঃ সাহাদাত হোসেন এবং প্রফেসর মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী।

৭০০ কোটি মানুষের বসবাসের এই ছোট্ট সবুজ পৃথিবীর তিন-চতুর্তাংশই সমুদ্র। সভ্যতার এই অত্যাধুনিক যুগে বিশাল এই সমুদ্রকে জানতে, সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতিকে বেগবান করতে বহুবছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস। এরই ধারাবাহিকতায়, অত্র ইনস্টিটিউটের তরুণ সমুদ্র বিজ্ঞানীদের মধ্যে সমুদ্র বিষয়ক জ্ঞান, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ এবং সমুদ্র সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে একটি র‍্যালি চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

উল্লেখ্য, একুশ শতকে সমুদ্র সম্পর্কিত জ্ঞানকে পৃথিবীর সর্বত্র পৌঁছে দিতে, বিশাল সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ আহরণ, সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান, সমুদ্রের পরিবেশ ও আবহাওয়া বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা, উপকূলীয় জনসাধারণের উপর জলবায়ুর প্রভাব নিরুপণ এবং সমুদ্র সম্পদের টেকশই ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সাল থেকে সমুদ্র বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উপর পাঠদান করে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট।


আরও খবর



সোমবার থেকে মেট্রোরেলের টিকিটে বসছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর সোমবার (১ জুলাই) থেকে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট বসতে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর বর্তমানে ভ্যাট মওকুফ রয়েছে, যার সময়সীমা আজ (৩০ জুন) শেষ হবে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ওই সুবিধা দিয়ে আসছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু এই জুনের পরে ওই ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বাতিল করছে প্রতিষ্ঠানটি। এ কারণে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেল সেবার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট কর্তন ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জমা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা দক্ষিণ এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদীর সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এনবিআর ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মেট্রোরেল সেবার ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করে। পরবর্তী সময়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনরায় আলোচনা হলেও মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদানে অপারগতা জ্ঞাপন করে এনবিআর।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর আদায় করতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা পরিপালন যেমন-১৫ শতাংশ মূসকসহ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করে মূসক আদায় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করার বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পর্কে বিভাগীয় দপ্তরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চলাচল মতিঝিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারেন।

এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ফুট উচ্চতার শিশুরা বিনা ভাড়ায় এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু, সবার জন্য মেট্রোরেল ও মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের সেবার ওপর এই মুহূর্তে কোনো ধরনের মূসক বা ভ্যাট প্রযোজ্য ছিল না এতদিন।


আরও খবর



আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

রাজধানীর যেসব রাস্তায় যান চলাচল সীমিত থাকবে আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ রোববার প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করবে দলটি।

দিনটি উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

আজ ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আশেপাশের এলাকার কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা সীমিত করা হবে।

এর মধ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, শাহবাগ ক্রসিং, কাটাবন ক্রসিং, টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও মৎস্য ভবন ক্রসিংয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখবে ডিএমপির ট্রাফিক-রমনা বিভাগ। এ অবস্থায় নগরবাসীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করছে ডিএমপি।

রমনা-ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনায় সমাবেশে আসা গাড়িগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠ, মুহসীন হল মাঠ ও ফুলার রোডে পার্কিং করার জন্য বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন পুরান ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনে জন্ম হয় পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ১৯৫৫ সালে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। নতুন নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর দলটির নাম হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সাফল্য বহুমুখী, রয়েছে অনেক অর্জন। দলটি দেশের বহু উন্নয়ন স্মারকের সঙ্গী। তবে লড়াই-সংগ্রামের ঐতিহ্যে লালিত আওয়ামী লীগের ত্রুটি-বিচ্যুতিও কম নয়। এ অবস্থায় ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন করবে দলটি।


আরও খবর



কলকাতায় এমপি আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হকার সমস্যা নিরসনে রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ডাকা বৈঠকে উঠে এসেছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা প্রসঙ্গ। রাজ্যের সেফটি ও সিকিউরিটি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই আনার হত্যার প্রসঙ্গে কথা বলেন মমতা।

মূখ্যমন্ত্রী ভাষ্য, বাইরের লোক অর্থ দিয়ে কলকাতাসহ রাজ্যের যত্রতত্র বসে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে।

সেই সঙ্গে রাজ্যের আইডেন্টিটিও নষ্ট হচ্ছে। ফলে রাজ্যের সেফটি এবং সিকিউরিটিও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই তো দেখলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন এমপি, কিভাবে তাকে নিয়ে এসে প্ল্যান করে খুন করল। রাজ্যের সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করাটাই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তার একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন মমতা। আর সেই লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গের যত্রতত্র হকার বসতে না দেওয়ার চিন্তাভাবনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে হকার সমস্যার সমাধানের বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমসহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, নিউমার্কেট সহ কলকাতার বিভিন্ন হকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাজার কমিটির কর্মকর্তারা।


আরও খবর