সবার লক্ষ্য উত্তরের ট্রেন দ্রুতযান। ট্রেনটির ঢাকা ছাড়ার সময় ছিল রাত ৮টা।
তার আগে থেকেই যাত্রীরা অপেক্ষায়। ট্রেনও প্ল্যাটফর্মে আসে সময় মতোই।
তারপর যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে হুমড়ি খেয়ে
পড়তে দেখা যায়। যাদের আসনের টিকিট আছে তারা যেমন দ্রুত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন, তেমনই
যাদের আসনের টিকিট নেই তারাও ব্যস্ত হয়ে পড়েন ট্রেনের ছাদে উঠতে। কিছুক্ষণ পরেই দেখা
যায়, উত্তরবঙ্গের এই ট্রেন পুরোপুরি যাত্রীতে ঠাসা। ট্রেনটি ৯টা ৫১ মিনিটে কমলাপুর
ছেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন<< পদ্মা সেতুতে গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা টোল আদায়
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাতে কমলাপুর স্টেশনে
ঘরেফেরা মানুষের এমন চিত্র দেখা গেছে। এরপর রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা
রয়েছে রাত ১১টায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে অবস্থান
নিয়েছেন উত্তরের আরেক ট্রেনের জন্য।
জীবিকার তাগিদে সারা দিন কাজ আর কাজ। একঘেয়েমি
জীবন। আর এ একঘেয়েমি জীবনে সাময়িক বিরতি দিয়ে কর্মজীবী এসব মানুষের সামনে আসে প্রিয়জনের
সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মুহূর্ত। প্রিয়জনের সঙ্গে আনান্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার
ঐতিহ্য বাঙালির দীর্ঘদিনের। তাই তো শত ভোগান্তি আর বিড়ম্বনা পেরিয়ে মানুষ ছুটে নাড়ির
টানে। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বা প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে
সবার ব্যস্ত ছুটে চলা। কমলাপুর রেল স্টেশনে চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। এ যেন জনস্রোত।
প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতেই সবার এই ছুটে চলা।
আরও পড়ুন<< কোরবানির পশুর সংকট নেই, একুশ লাখের বেশি উদ্বৃত্ত
টিকিটের অপ্রতুলতা, বিলম্বে ট্রেন ছাড়াসহ নানা ভোগান্তি আর বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যারা রাজধানী ছাড়ছেন তাদের চোখে-মুখে ছিল ঘরেফেরার উচ্ছ্বাস।
এর আগে কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ
মাসুদ সারওয়ার জানান, আজ ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন। অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ
আজ বেশি ছিল। যাত্রীর চাপ বাড়লেও শিডিউল বিপর্যয়ের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। দু’একটি ট্রেন বিলম্বে
ছাড়তে পারে। এই ট্রেনগুলো ঢাকায় আসতেই দেরি করেছে। তাই ছাড়তে দেরি হয়েছে। আজকের পর
যাত্রীর চাপ কমে যাবে স্টেশনে।