আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন ৫০৪ বীরাঙ্গনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশে ৫০৪ জন বীরাঙ্গনাকে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বলেন, যুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী সব নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে এরই মধ্যে ৫০৪ জন বীরাঙ্গনাকে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূরের প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদের নাম এমআইএস এবং সমন্বিত তালিকায় রয়েছে, তাদের অনুকূলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৮০টি ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক লাখ ৮০৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে প্রবাসে অবস্থানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তবে এমআইএস ও সমন্বিত তালিকায় যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে, কিন্তু অদ্যাবধি ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাননি, তাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ, স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




ঠাকুরগাঁওয়ে সুদারুদের চাপে চিরকুট লিখে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে সুদারুদের চাপ ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিক্ষকসহ সাতজনের নাম চিরকুটে লিখে আত্মহত্যার করেছে এক যুবক।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত শফিকুল ইসলাম (৪৫) ওই এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফি‌রোজ ওয়া‌হিদ। তবে সুদখোরদের হুমকিতে আতঙ্কে রয়েছে নিহতের পরিবারের লোকজন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্ভবত রাত তিন থেকে চারটার দিকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সকালে তার লাশটি ঘরের বারান্দায় দেখতে পায় তারা। পরে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওই চিরকুটে ৭ জনের নাম রয়েছে। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সেটা জানি না। আমরা টাঙ্গাইল থেকে এসেছি। আমাদের এখানে আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই বলে জানান নিহতের পরিবার।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত শফিকুল ইসলাম পাঁচ মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মাদ্রাসা পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি ফেরি করে কাপড় ব্যবসা করতেন। পুলিশ লাইনের সামনে একটি পানের দোকান রয়েছেও তাঁর। এই বড় পরিবার তিনি চালাতে গিয়ে প্রায় হিমশিম খেতে ছিলেন। এ সময় তিনি বেশ কয়েকজনের কাছে ঋণ মাহাজন করেছিলান। আর ঋণ মাহাজনের টাকার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন সুদখোররা। চাপ সহ্য করতে না পেরে ভোররাতে ঘরের বারান্দায় চালার বাশের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। তবে মৃত্যুর আগে এক চিরকুটে শিক্ষকসহ সাতজনের নাম লিখে যান তিনি।

চিরকুটে যে সাতজনের নাম লিখে গেছেন তারা হলেন, মো. জুয়েল ইসলাম, মো. হুমায়ুন কবীর, মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. হাবু ও পৌর শহরের কলোনির একজন।

চিরকুটে যাদের নাম রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা তাঁরা কেউ কথা বলতে রাজী হননি।

সুদের ভয়াল ছোবলে নি:শ্ব হওয়া নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন জানান, আমি বিপদে পরে এক বোর্ড অফিস এলাকার জাহাঙ্গীর সুদারুর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে ছিলাম। সে আমার ব্যাংক চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। সেই টাকার ৫ গুন লাভ দিয়েও  ঋণের হাত থেকে রেহাই পাইনি। পরে সুদ পরিশোধ করতে সমিতি থেকে কিস্তি তুলি। এভাবে দেনা বাড়তে বাড়তে বাড়ির জায়গা পর্যন্ত বিক্রি করে এখন আমি নিঃস্ব।

সুদের টাকা দিতে দেরি হলে বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও করে সুদখোররা। প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করা যায় না। সুদারুদের কাছে সর্বস্ব দিয়েও এর হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেন না ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ।

সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, বর্তমানে সুদখোরেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আইন না থাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ-প্রশাসন। সুদ গ্রহিতার কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও ফাঁকা চেক নিয়ে জিম্মি করছে তাদের। অনেক ক্ষেত্রে আসল ও কিছু সুদের টাকা পরিশোধ করলেও সুদের সুদ দিতে না পারলে ঐ দুই কাগজের বলে আইনের মারপ্যাচে জেলে যেতে হচ্ছে অসহায় সুদ গ্রহিতাকে।

তিনি আরো বলেন, এখানে ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। গরিব আরো গরিব হচ্ছে। যার ন্যূনতম একটা সম্মানবোধ আছে, তিনি হয়ত আত্মহত্যা করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়ে অনেকেই আয়েসে জীবন যাপন করছেন। তাদের ঐ সম্মানবোধটাই নেই। ফলে অনেকে জীবন বাঁচাতে ঋণ নিয়ে সেটারই ফাঁদে পড়ছে। যার ফলে এই ধরনের ঘটনায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানা ওসি এবি এম ফি‌রোজ ওয়া‌হিদ বলেন, পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। তিনি চিরকুটে কয়েকজনের নাম লিখে আত্মহত্যা করেছেন এটি কি তিনি লিখেছেন নাকি কাউকে ফাঁসানোর জন্য অন্য কেউ লিখে রেখেছেন সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি। এ মুহূর্তে অন্য কিছু বলা সম্ভব না।


আরও খবর



ইনস্টিটিউট থেকে নিজের নাম বাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মাদারীপুরের শিবচরে প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি থেকে নিজের নাম বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির নাম বদলে হচ্ছে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি

সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ দেন।

পরে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে উপস্থাপিত শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন-২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের জন্য আজকের সভায় উপস্থাপিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বললেন- এটি তার নামে হবে না। এটি থেকে শেখ হাসিনা নাম বাদ দিয়ে ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টি‌য়ার টেকনোলজি আইন-২০২৪ এই নামে অনুমোদিত হয়েছে।

এই ইনস্টিটিউটটি মূলত আইসিটিসংক্রান্ত প্রযুক্তি, গবেষণা, প্রযুক্তি উৎপাদন, গবেষণায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এটি হবে মাদারীপুরের শিবচরে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটির একটি গভর্নিং বর্ডি থাকবে এবং একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনার নামটা বাদ দিয়েছেন, তিনি তার নামটি গ্রহণ করেননি। তিনি এর আগেও একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওনার নামে নিষেধ করেছেন। যেহেতু এই জাতীয় একটি প্রথম প্রতিষ্ঠান হবে এবং এটির মূল উদ্দেশ্য এটি যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করতে পারে। মন্ত্রিসভা থেকে অনুরোধ করা হয়েছে (প্রধানমন্ত্রীর নামে) কিন্তু উনি সম্মত হননি। উনি উনার নামে প্রতিষ্ঠান না করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। দুর্নীতি তো সবাই করে না। যারা দুর্নীতি করছে, সরকারের নজরে এলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, দুর্নীতি করে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরে সরকার কাউকে ছেড়ে দিয়েছে এমন নজির নেই।


আরও খবর



কোম্পানীগঞ্জে বাইরং নদীর বালু লুট, ভাঙ্গনের কবলে তীরবর্তী ফসলি জমি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাইরং নদীতে ইজারা ছাড়াই চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। এতে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে তীরবর্তী অনেক ফসলি জমি। বালুখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না।

কোম্পানীগঞ্জের শিমুলতলা ও ছাতকের রাজেন্দ্রপুর এলাকাস্থ বাইরং নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন শত শত স্টিল বডি নৌকায় বালু তোলা হচ্ছে। আর এই বালু কোম্পানীগঞ্জের আমবাড়ি, ইছাকলস এবং ছাতকের বিভিন্ন স্পটে স্তুপ করে রাখা হয়। প্রভাবশালী ও একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট অবৈধ এ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।

কোম্পানীগঞ্জের চাটিবহর গ্রামের রশিদ আহমদ, এনাম খান ও জুয়েল আহমদ জানান, কোনো প্রকার ইজারা ছাড়াই এ বছরের ২২ মে থেকে এ নদী হতে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

অভিযোগে প্রকাশ ৪০-৫০ জনের একটি বালুখেকো সিন্ডিকেট বাইরং নদী থেকে নির্বিঘ্নে বালু লুট করতে নিয়োগ করেছেন কয়েকজন লাইনম্যান। এই লাইনম্যানদের মাধ্যমে দুই উপজেলা প্রশাসনকে তারা মেইনটেইন করে থাকেন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, এই এলাকায় বাইরং নদী থেকে হাইড্রলিক ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক স্টীলবডি নৌকায় বালু তোলা হয়ে থাকে। এতে ভয়াবহ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে নদী তীর ও আশপাশের বহু কৃষি জমি নদীতে বিলীন হতে দেখা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার কয়েকজন জানান, বালু সিন্ডিকেটের এই ধ্বংসাত্মক কাজে এলাকার পরিবেশ ও প্রতিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব প্রপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে নদীতে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। তবে বালু উত্তোলনকারীদের দাবি, জেলা প্রশাসন থেকে লিজ নিয়ে নিয়ম মেনেই তারা বালু তুলছেন।

এ বিষয়ে চাটিবহর গ্রামের সুজন মিয়ার দাবি, তিনি জেলা প্রশাসন থেকে উজানের পিয়াইন নদীর বালু মহাল লিজ নিয়েছেন। নিয়ম মেনে লীজকৃত জায়গা থেকেই তারা বালু তুলছেন। বাইরং নদী থেকে বালু তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

কোম্পানীগন্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, উপজেলার বাইরং নদী, বালুমহাল ইজারার বিষয়টি তার জানা নেই। জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হলে উপজেলা প্রশাসনসহ অধস্তন ভূ-প্রশাসনকে আদেশক্রমে অবহিত করার নিয়ম রয়েছে। বাইরং নদী নামে বালুমহাল ইজারা দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়নি।

তিনি বলেন, ইজারা ছাড়া কোনোভাবেই নদী থেকে বালু তোলা যাবে না। এরকম হয়ে থাকলে সরেজমিন গিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



স্ত্রীর মৃত্যুর পরদিন জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা চাঁদ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ (চাঁদ)। রোববার (৩০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

এদিকে আবু সাঈদ চাঁদের স্ত্রী শাহানা বেগম (৬০) শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে মারা গেছেন। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে রোববার বিকেলে তার জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আবু সাঈদ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। এর আগে গত ২৪ মার্চ আবু সাঈদের মা আশরাফুন্নেশা মারা যান। সেদিন আড়াই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নেন এই বিএনপি নেতা।

চাঁদের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন জানান, চাঁদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মোট ২১টি মামলা হয়েছে। সব মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিতে হয়েছে। সবশেষ ঈদের আগে ফরিদপুরের একটি মামলায় চাঁদের জামিন হয়। এরপর থেকে তিনি মুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন। রোববার দুপুরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়।

গত বছরের ১৯ মার্চ রাজশাহীর পুঠিয়ায় জেলা বিএনপির এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এর জেরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে থাকে। পরে ২৪ মার্চ পুলিশ মহানগরের ভেড়িপাড়া মোড় থেকে বিএনপির এই নেতাকে গ্রেপ্তার করে।


আরও খবর



৪২ মামলায় রাবির সাবেক শিবির নেতা ইমনের আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

২০১৩ সালে রাজশাহীতে আলোচিত পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যা মামলার এক আসামি আশরাফুল ইসলাম ইমন আত্মসমর্পণ করেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে রাজশাহীর জেলা ও দায়রা জজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আশরাফুল ইসলাম ইমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি। পরে, তিনি রাজশাহী মহানগর শিবিরেরও সভাপতি ছিলেন। এ‌ মামলাটি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলেন, ইমন পুলিশ কনস্টেবল সিদ্ধার্থ হত্যার বিস্ফোরক মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত উনাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমনের বিরুদ্ধে রাবি ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হত্যা, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলা, ইট দিয়ে পুলিশের মাথা থেঁতলে দেওয়া, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের ওপর নৃশংস হামলার পর পায়ের রগ কেটে দেওয়া, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাকিমের রগ কেটে দেওয়া এবং আন্দোলনের নামে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোসহ অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মোট ৪২টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে একাধিক মামলা এখনো চলমান আছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার রাজাহাতা লোকনাথ স্কুল মোড়ে তৎকালীন ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ থেকে পুলিশের চলন্ত ট্রাকে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় পুলিশের বেশ কিছু সদস্য আহত হন। এর মধ্যে আহত কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকারের অবস্থার গুরুতর হলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কনস্টেবল সিদ্ধার্থ মারা যান। এছাড়া এ ঘটনায় আরও আহত হন ৮ পুলিশ সদস্য।

ওই রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তৎকালীন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর বিএনপি সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপি সভাপতি নাদিম মোস্তফা ও মহানগর জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮ দলের সাড়ে ৩শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর