পিরোজপুরের নাজিরপুরে সংখ্যালঘু পরিবারে এক নৌকার কর্মীর দোকানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের মধ্য জয়পুর গ্রামে ওই আগুন লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী চিন্ময় মজুমদার জানান, মধ্য জয়পুর গ্রামের সুখরঞ্জন হালদারের দোকান-ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে তিনি মুদি মনোহরী ও চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি দোকান বন্ধ করে দোকানের ভিতরেই ঘুমিয়ে পরি। রাত অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে দোকানের সামনে দিকে আগুন জ্বলতে দেখে দ্রুত বের হয়ে চিৎকার করি এবং নিজে দোকানে থাকা পানি দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করি। ইতোমধ্যে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিভায়।’
কিভাবে আগুন লাগলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদারের একজন মানুষ, নৌকার সমর্থন করি। আসন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। আমার ধারণা নৌকার প্রতিপক্ষে লোকজন এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আমি দোকানের ভিতরে থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মৃধা জানান, আমার বাড়ি থেকে ৫০-৬০ গজ দূরে চিন্ময় মজুমদারের দোকান। রাতে আমি বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম, ডাক চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে লোকজন নিয়ে আগুন নিভাই। চিন্ময় মজুমদার আসন্ন নির্বাচনে নৌকার একজন সক্রিয় কর্মী। এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। তাছাড়া চিন্ময়ও এরকম সন্দেহ করছে। তবে এ ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।