আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরিশালে বীরদর্পে চলছে কোচিং বাণিজ্য

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজমুল হক সানী, বরিশাল ব্যুরো

Image

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরিশালে বীরদর্পে অব্যাহত রয়েছে কোচিং বাণিজ্য। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা চলার সময় দেড় মাস দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে। তবে বরিশালে সেই নির্দেশনা মানার বালাই নেই। আর এসব বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোনো কার্যকারি পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

সূত্রমতে, বরিশাল নগরীতে প্রায় ২ শতাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে নগরীর বগুরা রোডের বরিশাল সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে রয়েছে নগরীর সিংহভাগ কোচিং সেন্টার। শুধু বিদ্যালয়টির অপরদিকে সালাম সাইকেল স্টোর সংলগ্ন লস্কর লেনের মধ্যেই রয়েছে নাম-বেনামে প্রায় ডজন তিনের বেশি কোচিং সেন্টার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বগুরা রোডের লস্কর লেনের সকল কোচিং সেন্টারেই ক্লাস চলছে। একই গলিতে কিছু বেনামের কোচিং সেন্টার গুলোতে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে ক্লাস নিতে দেখাগেছে।

শুধু বগুড়া রোডেই নয়। নগরীর বিভিন্ন বিএম কলেজ রোড, কলেজ অ্যাভিনিউ, নবগ্রাম রোড, বটতলা, রুপাতলি হাউজিং, হাসপাতাল রোডসহ প্রায় এলাকার সব ধরনের কোচিং সেন্টারই চলছে পুরোদমে। পরীক্ষা চলাকালে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কেন কোচিং খোলা রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের সদুত্তর নেই সংশ্লিষ্টদের। তবে কেউ কেই বলছে, অফিস খোলা রাখা হয়েছে, ক্লাস বন্ধ আছে। আর চলমান এসব কোচিং সেন্টারের অধিকাংশই সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হছে বলে জানাগেছে। এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য সরেজমিনে গেলে সাংবাদিকদের উৎকোচ দেয়ার চেষ্টাও করেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

কোচিং করানোর বিষয়টি স্বীকার করে আলেকান্দা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের শিক্ষক তাইজুল ইসলাম বলেন, শুধু আমি নয়, সবাই তো কোচিং করায়। আর আমার কোচিং সেন্টার না শিক্ষার্থীদের ব্যাচের মাধ্যমে পড়ানো হয়।

অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, কোচিং কর্তৃপক্ষ খোলা রাখায় ক্লাস করছেন তারা। কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ না করলে তারা কি করবেন। প্রতি মাসে বেতন দিতে হবে ক্লাস করুক অথবা না করুক। আর সিলেবাস সম্পন্ন করতে ক্লাসে আসা প্রয়োজন দাবি শিক্ষার্থীদের।

তবে নগরীর বটতলার প্লাটিপ্লাস, হাসপাতাল রোডের ফেইথ শিক্ষা পরিবার, মল্লিক রোডের শাহিন শিক্ষা পরিরবার, শিক্ষণ একাডেমি কোচিং সেন্টার কতৃপক্ষ জানিয়েছে সরকার থেকে তারা এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা হাতে পায়নি। 

সাইন্স একাডেমি কোচিং সেন্টারে আসা শিক্ষার্থীর অভিভাবক রাজিয়া সুলতানা ও সোহেল হায়দার বলেন, সন্তানদের পড়াশোনার কথা বিবেচনা করে তাদের নিয়ে কোচিংয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তবে কোচিং পরিচালকরা যদি সরকারের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেন তাহলে তারাও তা স্বাগত জানাবেন।একইকথা জানিয়েছেন বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারে আসা অভিবাবকরা। 

ফেইথ শিক্ষা পরিবার কোচিং সেন্টারে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার ও জান্নাত আরা জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইচএসসি পরীক্ষা চলার সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকলে তাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হবে। তবে স্যার কোচিং সেন্টার বন্ধ দিয়ে দিলে তারা আসবেন না।

এ বিষয়ে শাহিন শিক্ষা পরিরবার ক্যাডেট কোচিং সেন্টারের পরিচালক জালাল সরকার বলেন, সরকার এভাবে যদি দুই মাস এক মাস কোচিং বন্ধ দেয়। তাহলে আমরা কি ভাবে চলবো, অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করে চলে যেতে হবে। 

প্লান্টিপ্লাস কোচিং সেন্টারের পরিচালক মাহাবুব হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধে সরাসরি কোনো নির্দেশনা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কথা বিবেচনা করে কোচিং চালু রেখেছেন।

এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা সব কোচিং সেন্টারগুলোকে বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তারপরও কোচিং সেন্টার চালু রাখা হলে অভিযানের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: কোচিং বাণিজ্য

আরও খবর



বসুন্ধরা চা ক্যাম্পেইনে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
Image

বসুন্ধরা চা মন কী যে চায় ক্যাম্পেইনে বাকি ১১ জন বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের করপোরেট অফিসে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বসুন্ধরা চা মন কী যে চায় ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদানের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনচিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার ক্যাপ্টেন শেখ এহসান রেজা, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং সি ও ও এম. এম. জসীম উদ্দীন, হেড অব সেলস মো. রেদোয়ানুর রহমান, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স এজিএম সুমন কুমার কণ্ডু। এ ছাড়া বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২২ মে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে শুরু হওয়া ২৫ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেয় ১৫ হাজারেরও বেশি চা প্রেমিক। বসুন্ধরা চা মন কী যে চায় ক্যাম্পেইন স্টলে বসুন্ধরা চা উপভোগ করে মতামত প্রকাশ করে সবাই। এ সময় চা প্রেমীরা শেয়ার করেছেন মন কী যে চায় অর্থাৎ তাদের একান্ত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

ভাবনার গুরুত্ব ও বলার ভঙ্গির ওপর মূল্যায়ন করে তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ২৫ জন পেয়েছেন বসুন্ধরা চা এর পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার। প্রথম ধাপে গত ১২ জুন ১৪ জন বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



বিপৎসীমার ওপরে মুহুরী, বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ফুলগাজী বাজারে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এতে মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হবে। গতবছর এ ভাঙন স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজারে প্রায় দুই ফুটের বেশি ওঠে গেছে। দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতপুর থেকে জগতপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, নদীর পানি এখনো বাড়ছে। রাত ১টা পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ফুলগাজীর তিনটি ও পরশুরামের একটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশে ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লে বাঁধের আরও কয়েকটি অংশে ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানিতে ফুলগাজী বাজার ও লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান ইউএনও।


আরও খবর



এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

এবার মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। একটি গবেষণায় পরীক্ষা করা সব শুক্রাণুর নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষকরা বলছেন, মানব শুক্রাণুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় প্রজননের ওপর এর প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা করা জরুরি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরেই পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ (স্পার্ম কাউন্ট) কমেছে। ৪০ শতাংশ স্পার্ম কাউন্ট কমার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। রাসায়নিক দূষণ এটির কারণ হতে পারে বলে অনেক গবেষণায় ইংগিত দেওয়া হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চীনের জিনানে ৪০ জন সুস্থ পুরুষের শুক্রাণুর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। ইতালিতে আরেক গবেষণায় ১০ জন পুরুষের থেকে নমুনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া চীনের অপর এক গবেষণায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় অর্ধেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক মিলেছে।

সম্প্রতি ইঁদুরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে ইঁদুরের স্পার্ম কাউন্ট কমে গিয়েছে। এছাড়া এটির কারণে অস্বাভাবিক আচরণ ও হরমোনে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।

বর্তমানে মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে বিস্তর গবেষণা চলছে। এতে সবত্রই মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের প্রমাণ মিলছে। গত মে মাসে চালানো এক পরীক্ষায় ২৩টি পুরুষ অন্ডকোষের নমুনায় এ পরীক্ষা চালানো হয়। এতে সবকটিতেই এ ক্ষতিকর কণার উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

এর আগে মানুষের রক্ত, প্লাসেন্টা ও বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিকের অস্তিত্ব মেলে। এ সব গবেষণার ফলাফলে মানবদেহে সর্বত্র ক্ষতিকর এ কণার উপস্থিতির ইংগিত মিলে। তবে স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব এখন জানা যায়নি। গবেষণাগারে দেখা গেছে, মানবদেহের কোষের ক্ষতি করে মাইক্রোপ্লাস্টিক।

প্রতিবছর লাখ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যার একটি অংশ সৃষ্টিজগতের খাবার থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে গিয়ে মিশছে। এভারেস্ট পর্বতের চূড়া থেকে সমুদ্রের তলদেশেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের দূষিত কণা পৌঁছে গেছে।

চীনের কিংদাও ইউনিভার্সিটির গবেষক নিং লি ও তার সহকর্মীরা জানান, মানব স্বাস্থ্যের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে বলে গবেষণা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে প্রজননের ওপর এটির সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তারা।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার একটি বাড়িতে আগুনে পুড়ে ৬ জন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি।

জর্জিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বয়স ৬ থেকে ৭৪ বছর। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে আটলান্টার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

সিনহুয়ার প্রতিকেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৫টার দিকে আটলান্টার দক্ষিণ-পশ্চিমের কোয়েটা কাউন্টির একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়া মাত্র ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়িটিতে ১১ জন বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



টেকনাফে প্রবল বৃষ্টিতে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার (১৯ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় ৪টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, উংচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকার বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।

হোয়াইক্ষং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, আমার ইউনিয়নের উনছিপ্রাং, রইক্ষং, কানজর পাড়া, উলুবুনিয়া, সাতঘড়িয়া পাড়াও হারাংখালী এলাকা অতিবৃষ্টির ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে আমার ইউনিয়নের ছৈয়দ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, মাটির ঘর সব ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনা খাবার দেওয়া হবে। তাছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।


আরও খবর