আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

নৌকা প্রার্থীর হুঙ্কার ‘গ্রেফতার করতে এলে পুলিশের হাড্ডি ভেঙে দেব’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, আমার কোনো কর্মীকে গ্রেফতার করতে আসলে একেবারে হাড্ডি ভেঙে দেব। পুলিশেরা আমাকে বলছেন এটা সরকারি নির্দেশ। আমি তাদেরকে বলেছি আমার বিনা অনুমতিতে আমার কোনো কর্মী, আমার কোনো লোক বা কাউকে গ্রেফতার করতে পারবেন না। আমি তাহেরপুরের রাজা। আমিই এখনকার সরকার।

নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বাড়ি বাগমারার তাহেরপুরে এবং তিনি তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন।  

কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে উদ্দেশ্য করে কালাম বলেন, শালা...বাচ্চারা তোরা আমাকে চিনিস না। আমরা বহু সহ্য করেছি। আর সহ্য করব না। আর যদি আমাদের লোককে কোনো ভয় দেখানো হয়, তা হলে কাউকে আমি আস্ত রাখা হবে না। শালারা আমাকে চেনে না। আমি যে কি করতে পারি তা তুই জানিস না।

এদিকে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বেপরোয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, তফশিল ঘোষণার পর থেকে কালাম এভাবেই বাগমারার সর্বত্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে তার এসব বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের দুই সশস্ত্র ক্যাডারের ধারালো অস্ত্র হাতে পোজ দেওয়া আরেকটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। আয়েশি ভঙ্গিতে মুখে সিগারেট গুঁজে কালামের দুই ক্যাডার দুটি বড় ও ধারালো কান্তাই হাতে পোজ দিয়েছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগে জানিয়েছেন, ধারালো কান্তাই হাতে পোজ দেওয়া পেছনের জনের নাম শামীম হোসেন (৩৫)। এলাকায় দাগি সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত শামীমের বাবার নাম ইদ্রিস আলী। তিনি বাগমারার রামগুইয়া গ্রামের বাসিন্দা। মুখে সিগারেট থাকা সন্ত্রাসীর নাম নাঈম হোসেন (২৫)। তার বাবার নাম বাক্কার আলী। নাঈমের বাড়িও রামগুইয়া গ্রামে। এলাকায় নির্বাচনি কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই দুই সন্ত্রাসীসহ তাদের দলটি বাগমারা চষে বেড়াচ্ছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিসে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে হামলার অভিযোগে ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি।

এদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, বাগমারার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। সহিংসতার আশঙ্কায় অনেকেই এলাকা ছাড়ছেন। ফলে নির্বাচনের দিন বড় সহিংসতার আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ।

তাদের আরও অভিযোগ, রাতের বেলা কালামের মাইক্রোবাস বাহিনী আগের মতোই টহল দিয়ে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করছে। তারা যেখানেই কাঁচি প্রতীকের পোস্টার দেখতে পাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে তা তুলে ফেলছে। ইতোমধ্যে বাগমারায় কাঁচি প্রতীকের ২৬টি নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট মোসলেহ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, নৌকার প্রার্থী কালামের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলায় কাঁচি প্রতীকের ৪৫ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাগমারার মানুষ অনেক বছর শান্তিতে ছিলেন। কালাম আবার সন্ত্রাস আমদানি করল।

বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী-৪ আসনের কালাম সরাসরি কোনো জবাব না দিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল ও তার কর্মী-সমর্থকদেরই দায়ী করেন।

তিনি বলেন, আমার কোনো কর্মী-সমর্থক সন্ত্রাস করছে না। এনামুলের লোকেরাই সন্ত্রাস করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশান) ও সনাতন চক্রবর্তী বলেন, বিষয়গুলো আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।

নৌকা প্রার্থীর হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে আমরা প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কেউ এমন হুমকিমূলক বক্তব্য দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সোনারগাঁওয়ে লিচু চাষিদের মাথায় হাত

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সোনারগাঁও (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

সোনারগাঁয়ে এখন প্রতিটা বাড়ির আঙিনা ও উচু জমিতে ব্যপক ভাবে লিচুর চাষ হচ্ছে। লিচু চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও লিচু ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় সোনারগাঁয়ে এখন  ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক লিচু বাগান রয়েছে। এর মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে সোনারগাঁয়ের লিচু।

তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ও সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় কারণে সোনারগাঁয়ে লিচুর ফলন অনেকটা কম হয়েছে। তাছাড়া গুটি থাকার সময় শিলাবৃষ্টিতে লিচুর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। ফলে সোনারগাঁয়ের লিচু ব্যবসায়ীদের এবার মাথায় হাত।

খরার কারণে ঝরে পড়েছে অধিকাংশ বাগানের লিচু। অনাবৃষ্টি ও অতি তাপের কারণে লিচুর সাইজও হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ছোট। এ বছর বেশিরভাগ লিচু ব্যবসায়ীই লিচুর সঠিক দাম পাচ্ছেনা।

সোনারগাঁয়ে সাধারণত তিন প্রজাতির লিচুর ফলন হয়ে থাকে। পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচু।

বাংলাদেশের অনেক জেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হলেও আবহাওয়ার বৈশিষ্ট্যের কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু আগে পাকে। যে কারণে সোনারগাঁয়ের লিচু প্রতিবছরের মে মাসের প্রথমদিকেই বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যায় লিচু চাষিরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার খাসনগর, চিলারবাগ, দৈলরবাগ, পানাম, নোয়াইল, দত্তপাড়া, বাগমুছা, অর্জুন্দী, হাতকোপা, দরপত, ছাপেরবন্ধ, গোয়ালদী, টিপরদী, হরিষপুর, ভট্টপুর, লোকশিল্প জাদুঘর, গোবিন্দ্রপুর, গাবতলী, হারিয়া, বৈদ্যেরবাজার, তাজপুর, সাদীপুর, ইছাপাড়া, দুলালপুর, বারদী, সেনপাড়া, বালুয়া দিঘীরপাড়সহ প্রায় ৫০টি গ্রামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দুই শতাধিক লিচু বাগান। এসব লিচু বাগানে প্রতিবছর পাতি লিচু, কদমী লিচু ও বোম্বাই (চায়না-৩) লিচুর ফলন হয়ে থাকে।

সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লিচুচাষিরা তাদের লিচু বাগানে অব্যাহতভাবে পাহারা দিচ্ছেন। কাক, বাদুর, চামচিকা ও চোরের হাত থেকে লিচু রক্ষা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

হাড়িয়া চৌধুরী পাড়া গ্রামের লিচু ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁয়ে এবার লিচুর ফলন খুবই কম হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় লিচু অনেকটা ঝরে পড়েছে। তাছাড়া আকারে অনেকটা ছোট হয়েছে। তাই এবছর লিচু ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হবে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বিক্রি করার জন্য সোনারগাঁয়ের লিচু বাজারে তোলা হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে লিচু পাকার জন্য চাষিরা কোনো কেমিক্যাল প্রয়োগ করে না। তবে লিচু বড় হওয়ার ক্ষেত্রে হরমোন জাতীয় ওষুধ, লিচুর কালার নষ্ট না হওয়ার জন্য ছত্রাকনাশক ও পোকার উপদ্রব বন্ধ করার জন্য তারা কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এসব কীটনাশক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার কথা নয়। তবে পরিমাণে বেশি প্রয়োগ করলে অবশ্যই তা ক্ষতিকর।


আরও খবর



ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ফুল মিয়া এবং সাঘাটা উপজেলায় মুক্তিনগর ইউনিয়নের শিপন নামের দুই কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে জেলার পৃথক জায়গায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ফুলমিয়া অন্যদের সঙ্গে গড়দীঘি গ্রামে জমিতে ধান কাটতে যায়। দুপুরে হঠাৎ করে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হয় ফুল মিয়া। আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ফুল মিয়া গড়দীঘি গ্রামের জোবায়ের আলীর ছেলে।

অপরদিকে সাঘাটা উপজেলায় শিপন মিয়া বুধবার দুপুরের দিকে মুক্তিনগর ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে হালিম মেম্বারের জমিতে শ্রমিক হিসেবে ধান কাটছিলেন। এরই মধ্যে মেঘাচ্ছন্ন আকাশে হঠাৎ বজ্রপাত হয়। এতে শিপন মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মুক্তিনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান শেফালী বেগম বলেন, বেলতৈল এলাকায় বজ্রপাতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি।

সাঘাটা থানার ওসি মো. মমতাজুল হক সন্ধ্যা ৬টায় কৃষি শ্রমিক শিপন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: বজ্রপাতে মৃত্যু

আরও খবর



ভারতের কাছে হার দিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত বছর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালোই প্রতিরোধ দেখিয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। তবে এবার প্রথম ম্যাচে হারমানপ্রীত কৌরদের সামনে কোনো পাত্তাই পেল না টাইগ্রেসরা। বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ শুরু করল নিগার সুলতানার দল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলকে ৪৫ রানে হারিয়েছে ভারতীয় নারী দল। ভারতের দেয়া ১৪৬ রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করেছে টাইগ্রেসরা।    

লক্ষ্যতাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চার মেরে গোড়াপত্তন করেন দিলারা আক্তার। তবে পরের বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান রেণুকা সিং ঠাকুর। শুরুতেই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন সোবাহানা মোস্তারি এবং মুর্শিদা খাতুন। তবে সেই সুযোগ দেননি রেণুকা। পঞ্চম ওভারে সোবাহানাকে বোল্ড করেন তিনি।

১৮ বলে ১৩ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন মুর্শিদা। বিপর্যয় সামাল দিতে এসে ১ রান করে আউট হয়ে ফেরেন ফাহিমা। ৩০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার। তবে রান এগিয়েছে খুব ধীরগতিতে।

১১ রান করে রাধার বলে স্বর্ণা আউট হওয়ার পর লড়াই থেকে একদমই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। উইকেটের একপ্রান্তে নিগার লড়াই করে গেলেও হারটা তখন সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়ায়।

৪৮ বলে ৫১ রান করে শেষ ওভারে আউট হন নিগার। তবে এই রান হার এড়ানো তো দূরের কথা, লড়াইটাকে কাছাকাছিও নিয়ে যেতে পারেনি। ১০০ রানে থামে বাংলাদেশ।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারে সুলতানা খাতুনের বলে স্মৃতি মান্ধানার সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ফারিহা তৃষ্ণা। তবে মান্ধানাকে বড় রান করতে দেননি তৃষ্ণা। পরের ওভারে নিজে বোলিংয়ে এসে তুলে নেন মান্ধানার উইকেট।

মান্ধানা না পারলেও ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেয়েছিলেন আরেক ওপেনার শেফালী ভার্মা। ২২ বলে ৩১ রান করেন তিনি। তাকে মুর্শিদার ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাবেয়া খাতুন। তৃতীয় উইকেটে হারমানপ্রীত কৌরের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াস্তিকা ভাটিয়া।

বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল ভারত, এমন সময় এসে জুটি ভাঙেন ফাহিমা। ২২ বলে ৩০ রান করে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। পরের ওভারে ইয়াস্তিকাকে ফেরান রাবেয়া। ২৯ বলে ৬ চারে ৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শেষদিকে ভারতীয় ব্যাটারদের হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। রিচা ঘোষের ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিকে অ্যাসেম্বলি বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে বইছে তীব্র থেকে মাঝারি তাপদাহ। সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

এদিকে শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



হজের ভিসায় নতুন বিধি-নিষেধ সৌদির

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রত্যেক বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মুসলিম নারী-পুরুষ পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যান। এ সময় হজের পাশাপাশি সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর ও ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনা ঘুরে দেখেন তারা। পাশাপাশি অনেকেই খণ্ডকালীন কাজেও নিযুক্ত হন দেশটিতে। কিন্তু এ বছর আর সেই সুযোগ থাকছে না।

সম্প্রতি হজযাত্রীদের ভিসার ক্ষেত্রে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি। দেশটির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, হজের ভিসায় জেদ্দা, মদিনা এবং মক্কা শহরে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন হজযাত্রীরা।

সৌদির এই মন্ত্রণালয় বলেছে, ২০২৪ সালের হজ ভিসা কেবল হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়া তীর্থযাত্রীদের সৌদিতে প্রবেশের অনুমতি হিসাবে কাজ করবে। সৌদি আরবে কোনও কাজে নিযুক্ত হওয়া, বসবাস কিংবা নির্ধারিত শহরের বাইরে ভ্রমণের জন্য হজ ভিসা বৈধ নয়।

নতুন বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারীরা ভবিষ্যতে সৌদিতে হজে অংশগ্রহণের অনুমতি পাবেন না বলেও সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি। এমনিক হজ ভিসার শর্ত অমান্যকারীদের সৌদি থেকে প্রত্যাবাসনও করা হতে পারে।

উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোর হজযাত্রীরা ছাড়া অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের মধ্যে যারা হজ করতে চান তাদের অবশ্যই হজের ভিসা নিতে হবে।

নতুন বিধি-নিষেধ অনুযায়ী, সৌদি আরবের সরকারের ইস্যু করা হজের ভিসা কেবল হজ মৌসুমের জন্য বৈধ। এই সময়ের মধ্যে হজ ভিসাধারীদের ওমরাহ পালন অথবা যেকোন ধরনের বৈতনিক বা অবৈতনিক কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদনকারীরা আগামী ৭ জিলহজের মধ্যে অথবা হজযাত্রী কোটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভিসার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

নিউজ ট্যাগ: সৌদি আরব

আরও খবর