আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

নোয়াখালীতে ইউপি সদস্য প্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে পূর্ব শক্রতার জের ধরে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় আরো ৩জন আহত হয়েছে। আহতরা হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। আহতরা হলো নিহতের ছেলে জীবন (২২), মেহেদী (২৫), রাজু (৩৫)। আহতের মধ্যে রাজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহত মো. জোবায়ের হোসেন (৪৫), উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত তাহের মিয়ার ছেলে। সে সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (২১), স্থগিতকৃত নির্বাচনে ওই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড থেকে ফুটবল মার্কায় ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিল।

শুক্রবার (৭ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন চরচেঙ্গা বাজারের একটি দোকানে তাকে কুপিয়ে হত্যার এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের ছেলে জীবন অভিযোগ করেন, সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো.নুরুল ইসলামের শালা সন্ত্রাসী আবদুল বাতেন ও তার সহযোগী সুজন, ফকির, জামাল, শাহেদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী চরচেঙ্গা বাজারের একটি দোকানে তার বাবাকে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিঠে, পায়ে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.নুরুল ইসলাম জানান, জেলেদের চাল বিতরণ নিয়ে বাকবিন্ডার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত জোবায়েরের নেতৃত্বে জেলেদের চাল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষে তার মৃত্যু হয়। তবে তিনি দাবি করেন, ইউপি সদস্য আবদুল বাতেন তার শালা হওয়ায় তার নাম এ ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠাচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: নোয়াখালী হত্যা

আরও খবর



৫ ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা, মালিকদের তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিককে তলব করেছেন আদালত।ড্রিংকগুলো হলো- এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো।

আজ মঙ্গলবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


আরও খবর



দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, এক অদৃশ্য শক্তি, দেশ চালাচ্ছে । সেই শক্তির নির্দেশে তারা (আওয়ামী লীগ) বাংলাদেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বিলীন করে দিয়েছে। সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন মোড়কে দেশে পুনরায় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন।

শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশ করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৮ বছর ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় গণজাগরণকে নষ্ট করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ব্যাংকগুলো লুটপাটের মাধ্যমে শেষ করে দিয়েছে। নতুন আইনের মাধ্যমে ব্যাংক লুটপাট করছে সরকার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সহযোগী হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতেও হয়রানি করা হয়। এখানে জড়িত আছেন দেশের পুলিশ, প্রশাসনসহ অনেকেই। বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নেই। এখন আবার ডামি নির্বাচন শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে, আর তাদেরই লোকজন বিরোধী প্রার্থী হবে। এখানে কিছু গৃহপালিত দলও আছে। সরকার একটা তামাশা শুরু করেছে। এজন্য তো দেশ স্বাধীন করিনি। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন করেছিলাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টিকেই আছে মিথ্যা মামলা ও আদালতকে ব্যবহার করে। নির্যাতনের হাতিয়ার হিসাবে মিথ্যা মামলা ও আদালতকে ব্যবহার করছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে নিদারুণভাবে পণ্ড করে দিয়েছে। তারা এভাবে আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এভাবে নির্যাতন-নিপীড়ন ও গুম-খুন করে গণতন্ত্র ও স্বাধিকারের আন্দোলন কখনোই স্তিমিত করা যাবে না। অতীতেও যায়নি।

যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে ক্ষমতায় এসে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ৭৫ সালের মতো আবারও একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়। সেটা হলো গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল। তাই তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। জনগণকে নিয়ে রাজপথে নামতে হবে। শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। না হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি যাবে।

খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বাংলাদেশের মজলুম নেত্রী নন। তিনি সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা, আত্মত্যাগকারী নেতাদের অন্যতম। তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা ও ফিরে পাওয়ার জন্য আজীবন লড়াই করছেন। যিনি গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী। কিন্তু দানব সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। কারণ সরকার মনে করে খালেদা জিয়া মুক্ত হলে, তাদের মসনদ টিকবে না। জনগণের উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে ভেসে যাবে। সেজন্য খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মী দীর্ঘদিন কারাগারে। আমি খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতার সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জেলখানার  ভেতরে নির্যাতন করা হয়েছে। জেলখানা হচ্ছে বর্তমানে একটি নির্যাতনের জায়গা। সরকার ২৮ অক্টোবর বোমা ফাটিয়ে, জোরজবরদস্তি করে আমাদের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। দেশের সর্বস্ব বিলিয়ে দিলেও সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়।

যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও শফিকুল ইসলাম মিল্টনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুবদল নেতা নূরুল ইসলাম নয়ন, রুহুল আমিন আকিল, জাকির হোসেন সিদ্দিকী, গোলাম মাওলা শাহিনসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন ও যুবদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ৫৭ জন কর্মকর্তা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন একজন উপ-পরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল)।

এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে।

চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

এক সময় বিসিএস, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকরি ছেড়ে অনেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু এখন হয়েছে উল্টো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের অন্য যে কোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না। আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদি নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু।

মিশা সওদাগর ভোট পেয়েছেন ২৬৫টি। অন্যদিকে মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। আর অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। তার থেকে ১৬ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার, তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট, ও ডি এ তায়েব, তিনি ২৩৪ ভোট পেয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, তিনি পেয়েছেন ২৩৭ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, তিনি পেয়েছেন ২৫৫ ভোট, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, তিনি পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, দফতর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন, তিনি পেয়েছেন ২৩৫ ভোট এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল, তিনি পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা, তিনি পেয়েছেন ২২৮ ভোট, রোজিনা, তিনি পেয়েছেন ২৪৩ ভোট, আলীরাজ, তিনি পেয়েছেন ২৩৯ ভোট, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, তিনি ২১৮ ভোট, শাহনূর, তিনি পেয়েছেন ২৪৫ ভোট, নানা শাহ, তিনি পেয়েছেন ২১০ ভোট, রত্না কবির, তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট ও চুন্নু, তিনি পেয়েছেন ২৪৮ ভোট।

কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি, তিনি পেয়েছেন ২২০ ভোট, ও সনি রহমান, তিনি ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে ৯টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৫৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৪৭৫টি।


আরও খবর



রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় পিকআপভ্যানের চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাবুল চিশতা (৪৫) ও অপরজনের নাম কবির হোসেন। তার বয়স আনুমানিক (৫০) বছর।

রবিবার (৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম জানান, মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাত পৌনে ২টার দিকে একটি পিকআপভ্যান ইউটার্ন নিচ্ছিল। তুহিন পরিবহনের একটি বাস তখন পিকআপভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা পিকআপভ্যানের ভেতর থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে বের করে রাস্তায় রাখেন। তখন তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই বাসটিতেও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তবে তারা সামান্য আহত হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যে যার বাসায় চলে গেছেন। নিহত বাবুল চিশতি পিকআপভ্যানটির চালক। মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত বাবুল চিশতির স্ত্রী নার্গিস আক্তার জানান, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তশা গ্রামে বাবুলের বাড়ি। বাবার নাম আব্দুর রশিদ আকন। পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকেন। ভাড়ায় পিকআপভ্যান চালাতেন তিনি। সোমরাত রাত ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। বের হওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাবেন। সেখান থেকে পিকআপভ্যানে করে মাছ নিয়ে কোথাও যাওয়ার কথা ছিল তার।


আরও খবর