আবারও শুরু হয়েছে
তাপপ্রবাহ। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবের পর সারাদেশে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করলেও গত কয়েকদিন
থেকে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। দেশের ১৬টি জেলায় মৃদু
তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও সারাদেশে দিনের
তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। রবিবার (২ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার
পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা
হয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার,
চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে
মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। একই সময়ে
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত
থাকতে পারে।
অন্যদিকে, রংপুর,
ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু
জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে
মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের
কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাস বলছে,
এবার একটু আগেই মৌসুমি বায়ু সারাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু
ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর
হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরো অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা
জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু সারাদেশে বিস্তার হলে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে মৌসুমি
বায়ু সক্রিয় হবে আরও এক সপ্তাহ পর। তখন সারাদেশে বৃষ্টিপাত বাড়বে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
জানিয়ে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২)
ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে অতি ভারী বৃষ্টি
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান,
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও রংপুর বিভাগ
ও সিলেট জেলা ছাড়া কোথাও বৃষ্টি হয়নি। এই দুই জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে।