আজঃ শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ন্যাটোর সদস্য হতে ফিনল্যান্ডকে সায় দিলেও সুইডেনে আপত্তি তুরস্কের

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ন্যাটোর সদস্য হতে সুইডেনের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আঙ্কারা ফিনল্যান্ডকে সংস্থাটির সদস্য হিসেবে গ্রহণ করতে রাজী আছে।

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে কট্টর ডানপন্থি এক রাজনীতিক প্রতিবাদ সমাবেশে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার কারণে আঙ্কারা ন্যাটোর সদস্যসংখ্যা বাড়াতে আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিন পর এরদোগান এই বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন।

গতকাল রোববার (২৯ জানুয়ারি) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় এরদোগান বলেন, আমরা ফিনল্যান্ডের জন্য একটি আলাদা বার্তা দিতে পারি এবং সুইডেন আমাদের বার্তাটি দেখে হতবাক হতে পারে। তবে সুইডেন যে ভুলটি করেছে ফিনল্যান্ড একই ভুল করবে না বলে আশা করি।

গতবছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরপর সুইডেন ও ফিনল্যান্ড তাদের সামরিক নিরপেক্ষতার অবস্থান থেকে সরে এসে ন্যাটো জোটের সদস্য হতে আবেদন করে।

এই জোটের সদস্য হতে ৩০ জাতির জোটের প্রতিটি সদস্যের অনুমোদন নিতে হয় আর তুরস্ক ও হাঙ্গেরি এ বিষয়ে এখনও অনুমোদ দেয়নি। ফেব্রুয়ারিতে হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির কয়েক ডজনেরও বেশি সদস্যকে সুইডেন থেকে তুরস্কে ফেরত পাঠাতে সুইডেনের আপত্তি এ বিষয়ে এরদোগানের প্রধান অভিযোগ। ওয়ার্কার্স পার্টির ওই সদস্যরা ২০১৬ সালে তুরস্কে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করে আসছে আঙ্কারা। রোববার এরদোগান আবারও সুইডেনের কাছে ১২০ জন সন্দেহভাজন অভিযুক্তকে হস্তান্তরের দাবি জানান।

এদিকে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টার্সেন বলেছেন তার দেশ নতুন করে তুরস্কের সঙ্গে ন্যাটো সংলাপ শুরু করতে চান।

নিউজ ট্যাগ: ন্যাটো

আরও খবর



ডিম পেঁয়াজ আলুর দামে নাভিশ্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজারে ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অত্যন্ত চড়া। এই তিন পণ্য ছাড়াও প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই কমবেশি বাড়তি। যে কারণে বাজারে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাজার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম-আয়ের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দ্রব্যমূল্যের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যে কারণে বাজারেও বাজেটের কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়নি।

এদিন বাজারে দেখা যায়, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর একটি ডিমের দাম নেওয়া হচ্ছে ১৪ টাকা। এ দাম প্রায় বছরের যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ।

বাজারের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সবজি আলু। গত বছর থেকে আলুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি। এখন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা কয়েকদিন আগেও ৫০ টাকা ছিল।

মালিবাগ বাজারের আলু বিক্রেতা মজনু মিয়া বলেন, এ বছর আর আলুর দাম কমবে না, বরং দিন দিন আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। কারণ কোল্ড স্টোরেজ থেকেই আলু প্রায় ৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে, যা পাইকারি বাজারে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ভারত থেকে আমদানির সুযোগ থাকলেও দেশে প্রতিদিন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৭০ টাকা ছিল।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। যে কারণে হু হু করে দাম বাড়ছে। ঈদের আগে দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ থাকলেও ওই দেশ ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে। শুল্ক-করসহ এ পেঁয়াজ দেশে আনতে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা খরচ হয়। যে কারণে কেউ পেঁয়াজ আমদানি করছে না। এতে বাজার শুধু দেশি পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করেই চলছে।

এদিকে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তি আদা-রসুনের দামও। প্রতি কেজি আদা ও রসুন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বিভিন্ন সবজিসহ তেল, চিনি ও আটার মতো অন্যান্য নিত্যপণ্য চড়া দামে আটকে রয়েছে।


আরও খবর



গাজায় ১৩ হাজার মানুষ নিখোঁজ, কী ঘটেছে তাদের ভাগ্যে?

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজায় যখন প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তখনো ১৩ হাজারের বেশি মানুষের কোন সন্ধান নেই, এক রকম নিখোঁজ তারা। এদের অনেকে হয়তো এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে, কিন্তু অনেক মানবাধিকার সংস্থা বলছে বাকি অনেকেই সম্ভবত গুমের’ শিকার হয়েছেন। আহমেদ আবু ডিউক তার ভাই মুস্তাফাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন মাসের পর মাস ধরে। যুদ্ধের কারণে শরণার্থী হওয়া এই পরিবারটি এখন খান ইউনিসের দক্ষিণে নাসের হাসপাতালের সামনের উঠানে আশ্রয় নেয়।

কিন্তু তারা যখন জানতে পারে যে কাছেই তাদের ঘর আগুনে পুড়ে গিয়েছে, তখন সেটার অবস্থা জানতে ওখানে যান মুস্তাফা। এরপর তিনি আর কখনোই ফিরে আসেন নি। আমরা যতটা পারি খুঁজেছি’, আহমেদ বলছিলেন একসময় যেখানে তাদের বাড়ি ছিল সেটা এখন পুড়ে যাওয়া এক ধ্বংসস্তুপ। আশেপাশের সব বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং অনেক উঁচু উচুঁ ভবন মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে, বলেন তিনি।

অবসরপ্রাপ্ত অ্যাম্বুলেন্সের চালক মুস্তাফার খোঁজ চালাতে থাকে পরিবার, হামাস নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্সের দল ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে যেসব মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সেখানে এবং নিকটস্থ গণকবরগুলোতে, কিন্তু তার দেখা পাওয়া যায় নি। আমাদের এখনো আশা যে হাসপাতালে প্রতিনিয়ত যেসব অ্যাম্বুলেন্স আসছে তার কোন একটাতে আমরা খুঁজে পাব তাকে, বলেন আহমেদ।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে যে পরিমাণ মানুষ মারা গিয়েছে সেটি ৩৫ হাজারের বেশি, কিন্তু সংখ্যাটা শুধুমাত্র হাসপাতাল থেকে যে মৃতের সংখ্যা জানা গিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। মুস্তাফাদের মতো এমন অনেক পরিবার আছে যারা আসলে জানেনা গত সাত মাসে নিখোঁজ হওয়া তাদের প্রিয়জনেরা কোথায় আছে, কেমন আছে।

গত ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্ত পেরিয়ে হামাসের এক অতর্কিত হামলায় ১২০০ জন মারা যায় ও ২৫২ জনকে বন্দী করা হয়। জবাবে ইসরায়েল এক সামরিক অভিযান শুরু করে।

জেনেভা ভিত্তিক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের মতে, এই অভিযানে হাজার হাজার মানুষ মারা যাওয়ার পাশাপাশি ১৩ হাজারের উপর ফিলিস্তিনি নিখোঁজ হয়েছে, তাদের কোন সন্ধানই আর নেই। এই পরিসংখ্যানে কতজন হামাস যোদ্ধা ও কতজন সাধারণ নাগরিক আছে তা আলাদা করা নেই।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা সংস্থার অংশ গাজার সিভিল ডিফেন্সের হিসেবে ১০ হাজার উপর মানুষ শুধু এসব ধ্বংস হওয়া ভবনের নিচে চাপা পড়ে আছে।

জাতিসংঘ হিসেব দিয়েছে গাজা উপত্যকাজুড়ে যে পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ জমা হয়েছে তার পরিমাণ হবে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন টন আর এর নিচে যেরকম শরীর চাপা পড়ে আছে তেমনি প্রায় আরও সাড়ে ৭ হাজার টন অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ আছে, যা স্বেচ্ছাসেবক ও ত্রাণকর্মীদের জন্য আরেকটা ভয়াবহ হুমকি।

সিভিল ডিফেন্স বলছে তারা তাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে চাপা পড়া শরীর উদ্ধারে কাজ করছেন, কিন্তু তাদের খুবই সাধারণ কিছু যন্ত্রপাতি আছে যাতে প্রায়শই মৃতের শরীরে কাছে পৌঁছানোটা কঠিন হয়ে যায়।

এছাড়া আরেকটা শঙ্কাও আছে যে শরীর যদি না ঢেকে নিচে ওভাবেই পচাঁ অবস্থায় ফেলে রাখা হয়, তাহলে সামনে গরম যখন আরও বাড়বে তখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটতে পারে। আবদুর রহমান ইয়াঘি নিচে চাপা পড়া তার আত্মীয়ের শরীর বের করতে গিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন।

মধ্য গাজার দেইর আল বালাহ শহরে তাদের পরিবারের একটি তিনতলা বাড়ি ছিল, ২২শে ফেব্রুয়ারি যখন এতে মিসাইল আঘাত হানে তখন তার পরিবারের ৩৬ জন সদস্য সেই বাড়িতে ছিলেন। তিনি জানান ১৭টা মৃতদেহ তারা উদ্ধার করতে পেরেছেন, এছাড়া শরীরের যেসব অংশ বিশেষ পাওয়া গিয়েছে সেগুলো শনাক্ত করা যায় নি।

‘আমরা বাড়িতে থাকা বেশির ভাগ শিশুর মৃতদেহ খুঁজে পাই নি, বলেন তিনি। সিভিল ডিফেন্স জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশ যাদের উদ্ধার কাজে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী কর্মী আছে তাদের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।

তারা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কাছেও আবেদন করেছে যাতে এক্ষেত্রে জরুরি হস্তক্ষেপ’ করা হয় এবং ইসরায়েলের উপর চাপ দেয়া হয় যাতে তারা গাজায় উদ্ধারকাজের জন্য ভারী যন্ত্রাপাতি আসার অনুমতি দেয়, কিন্তু তাদের সেই আবেদনে এখনও কোন সাড়া মিলেনি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিশ্বাস যাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাদেরকে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) তাদের পরিবারকে অন্ধকারে রেখে আটক করে থাকতে পারে, যেটাকে তারা বর্ণনা করছে গুম’ হিসেবে।

ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের হিসেবে আইডিএফ পরিবারদের না জানিয়েই গাজার শত শত ফিলিস্তিনকে আটক করেছে। কিন্তু জেনেভা কনভেনশন, যেটাতে ইসরায়েলও স্বাক্ষর করেছে, সেখানে বলা আছে একটা দেশ যদি কোন বেসামরিক নাগরিককে আটক করে রাখে তাহলে তার পরিচয় ও তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সেটা জানাতে হবে।

গত ৭ই অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের আটক কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির সমস্ত পরিদর্শন বাতিল করেছে। গাজায় রেডক্রসে কর্মরত হিশাম মুহানা বলেন, আমরা বারবার ফিলিস্তিনিদের যেখানে ধরে রাখা হয় সেখানে প্রবেশাধিকার চেয়েছি কিন্তু আমাদের সেই অনুমতি এখনো দেয়া হয় নি।’

আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি জানায় ইসরায়েলি বন্দীদের রাখা হামাসের আটককেন্দ্রেও তারা যাওয়ার অনুমতি পায়নি। এ ব্যাপারে বিবিসি আইডিএফের কাছে মন্তব্য জানতে চেয়ে কোনও উত্তর পায়নি। তবে সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ইসরায়েলের জাতীয় নিরপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির লিখেছেন, ইসরায়েলে বন্দী করে রাখা হামাস যোদ্ধাদের ব্যাপারে রেডক্রসকে কিছুই জানতে দেয়া হবে না, যতক্ষণ না তারা ইসরায়েল রাষ্ট্রকে আমাদের যাদের বন্দী করে নেয়া হয়েছে গাজায়, তাদের ব্যাপারে কোন তথ্য না জানাতে পারবে: মানবিকতার বিনিময়েই কেবল মানবিকতা।’

মধ্য গাজার আরেকটা শহর আল জুয়াইদাতে আরেকটা পরিবার তাদের হারানো সন্তানের সন্ধানে রয়েছে। তাদের ভয় তাদের সন্তানকেও হয়তো গুম’ করা হয়েছে।

মোহাম্মদ আলীর মা, তার সন্তানের একটা ছবি হাতে নিয়ে ততদিন পর্যন্ত খুঁজেছেন যতদিন না তাকে কেউ বলেছে যে তার ছেলেকে আইডিএফ ধরে নিয়ে গিয়েছে। তারা বলছে যে শেষবার জীবিত অবস্থায় তার সাথে দেখা হয়েছে কিন্তু তারা এরপর আর জানে না যে তার কি হয়েছে।

গত ২৩ শে ডিসেম্বর যখন উত্তর গাজার জাবালিয়ায় মারাত্মক বোমাবর্ষণ শুরু হয়, তখন এই পরিবারটি আশ্রয়ের খোঁজে নিজ বাসা ছেড়ে একটা স্কুলে এসে উঠে, আর সেদিন থেকেই মোহাম্মদের কোন খোঁজ নেই।

মোহাম্মদের স্ত্রী আমানি আলী বলেন, একপর্যায়ে ইসরায়েলি সেনারা স্কুলেও ঢুকে পড়ে এবং নারী ও শিশুদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তিনি বলেন এরপর সেই রাতে সব পুরুষরা তাদের পরিবারের কাছে ফেরত আসলেও মোহাম্মদ আর আসেনি। সে কোথায় আছে, কেমন আছে কিছুই তারা আর জানে না।

আমানি বলছিলেন তিনি বুঝতে পারছেন না যে তার স্বামী কি মারা গিয়েছে নাকি তাকে আইডিএফ ধরে গিয়েছে, আর একারণেই তার বেঁচে থাকার একটা ক্ষীণ আশা এখনো রয়ে গিয়েছে তার। আমানির বিশ্বাস, যদি সে বেঁচে থাকতো ও মুক্ত থাকতো তাহলে সে ঠিকই আমাদের খুঁজে বের করতো।’

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিবারগুলোর জন্য একটা অনলাইন ফর্ম তৈরি করেছে যেখানে তারা মৃত ও নিখোঁজদের ব্যাপারে জানাতে পারে, যাতে করে ৭ই অক্টোবর থেকে যারা নিখোঁজ তাদের ব্যাপারে একটা পরিপূর্ণ তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা যায়। তবে তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে না জানা পর্যন্ত অনেক পরিবারই তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে ফিরবে।


আরও খবর



বিষখালী নদীর ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বামনা(বরগুনা) প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় রেমালে বরগুনার বামনা উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিষখালী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় পানি ঢুকে সাধারণ জনগণের ব্যপক ক্ষতি হয়। অধিকাংশ জায়গায় বেড়িবাঁধ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

আজ মঙ্গলবার পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বামনা উপজেলার চলাভাঙ্গা, রামনা ও চেচান এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে আশ্বস্ত করেন।

এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু, সংরক্ষিত ১৪ আসনের মহিলা সদস্য মোসাঃ ফারজানা সুমি, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আঃ ছালাম পিপিএম।

মন্ত্রী আজ সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে পাথরঘাটা আসেন। পাথরঘাটা থেকে স্প্রিডবোট যোগে বরগুনা জেলার বামনা, বেতাগী, পাথরঘাটা ও বরগুনা সদর উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।


আরও খবর
গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪




শিক্ষক নিয়োগে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে এ ফল প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।

প্রকাশিত ফলের চিঠিতে বলা হয়, ৩১ মার্চ প্রকাশিত পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধনধারী প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীদের মেধাক্রম, পছন্দক্রম ও প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিও শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের জন্য মামলার কারণে সহকারী মৌলভী এবং সহকারী শিক্ষক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) পদ ব্যতীত অবশিষ্ট শূন্য পদে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।

গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ৯ মে। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পেরেছেন আবেদনকারীরা।


আরও খবর



ইয়েমেনে নৌকা ডুবে নিহত ৩৮, নিখোঁজ ১০০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইয়েমেনে নৌকাডুবে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ১০০ জন যাত্রী। স্থানীয় সময় সোমবার (১০ জুন) দেশটির লোহিত সাগর উপকূলবর্তী বন্দর শহর এডেনে এ ঘটনা ঘটে।

রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, হর্ন অফ আফ্রিকা থেকে ইয়েমেনের এডেন শহরে একটি নৌকা যাচ্ছিল। নৌকাটি এডেনের পূর্বে শাবওয়া গভর্নরেটের তীরে পৌঁছানোর আগেই ডুবে যায়। পরে ৩৮ জনের দেহ এবং ৭৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আরও ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকাজ চলছে।

অভিযাত্রীদের সবাই আফ্রিকার হর্ন অব অফ্রিকা’ অঞ্চলের চার দেশ ইথিওপিয়া, ইরিত্রিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়ার বাসিন্দা।

জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে এডেন বন্দরে অন্তত ৯৭ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী এসেছেন। সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার লক্ষ্য তাদের।

উল্লেখ্য, তুরস্ক ও লিবিয়ার পাশপাশি সম্প্রতি ইয়েমেনের এডেন বন্দর শহরও সাগরপথে ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভিড় বাড়ছে। তাদের অধিকাংশই আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আসা।


আরও খবর