আজঃ শনিবার ২২ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদি কেউ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ওষুধের দাম বেশি রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যখাতের বড় চ্যালেঞ্জ কি জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যানসারসহ অধিকাংশ মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত রোগীরা একদম শেষ সময়ে চিকিৎসা নিতে আসে। যার ফলে সময় মত সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় মৃত্যুর হার বাড়ছে। এছাড়া ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কি করছে, সেটারও মনিটরিং করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মাতৃমৃত্যু রোধ করতে হলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান বাড়ালে, সাধারণ মানুষ ঢাকামুখী হবে না। এর ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও ভোগান্তি দূর হবে।


আরও খবর



লোকসভা নির্বাচন: চূড়ান্ত ফলে বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ৫৪২টি আসনের মধ্যে ২৪০টিতে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস।

অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) সাতটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে।

পাঁচটি আসন পেয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)- সিপিআই (এম), ওয়াইএসআরসিপি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। আম আদমি পার্টি, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) তিনটি করে আসন পেয়েছে।

কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট) (লিবারেশন)সিপিআই (এমএল) (এল), জনতা দল-জেডি (এস), জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন), রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি), জনসেনা পার্টি (জেএনপি) ও ভিসিকে দুটি করে আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি দল একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাতজন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর তথ্যমতে, ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স–এনডিএ জোটের মোট আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৬টি। অপর দিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের মোট আসনসংখ্যা হয়েছে ২০১টি। যে আসনটির ফল এখনো ঘোষণা হয়নি, সেটিতে এগিয়ে আছে শারদ পাওয়ারের এনসিপিএসপি। এই দলটিও ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে রয়েছে। আসনটি তারা পেলে বিরোধী এই জোটের আসন সংখ্যা হবে ২০২টি।

এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। সেবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। এবার বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সে ক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। গত নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।

লোকসভার মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৭২ আসন। সে ক্ষেত্রে বিজেপি তার জোটসঙ্গীদের নিয়ে সরকার গঠন করতে পারবে। তবে জোটসঙ্গীদের মধ্যে বেশি আসন পাওয়া দলগুলো বিরোধী শিবিরে গেলে চিত্র ভিন্ন হতে পারে।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদের প্রধান অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি ১৬টি এবং বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল-ইউনাইটেড (জেডি–ইউ) ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। এই দুই দল ছাড়া আরও একাধিক এনডিএ শরিকের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে। এদের মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনার সিন্ধে গোষ্ঠী, বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এবং উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোক দল।


আরও খবর



উদ্ধারকাজে গিয়ে ফায়ারফাইটারের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পড়ে যাওয়া গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ফায়ারফাইটারের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার আলুটিলা এলাকায় সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল।

গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়ারফাইটার রাসেল হোসেনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।

প্রাণ হারানো রাসেলের বাড়ি ঢাকার ধামরাইয়ের বাসনা গ্রামে। তিনি ২০২৩ সালে একজন ফায়ারফাইটার হিসেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে যোগদান করেন।

ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানায়, গতকাল সারা দেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমালের ফলে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা এলাকায় গাছ পড়ে যায়। রাত ১০টার সময় সংবাদ পেয়ে খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায় এবং গাছ অপসারণ করতে থাকে। গাছ অপসারণের একপর্যায়ে আকস্মিক বিদুৎ চলে আসায় ফায়ারফাইটার রাসেল হোসেন বিদ্যুতায়িত হন।


আরও খবর



ধামরাইয়ে বাস উল্টে আহত ৩০

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সূতিপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সকালে কালামপুরের সূতিপাড়া ব্রিজের একটু আগে সেলফি পরিবহনের একটি দ্রুতগতির বাস উল্টে সড়ক থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় বাসে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। খবর পেয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, সকালে মানিকগঞ্জ থেকে ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে সেলফি পরিবহনের বাসটি। পথিমধ্যে ধামরাইয়ের কালামপুর এলাকায় পৌঁছলে বাসটি উল্টে সড়ক থেকে নিচে পড়ে যায়। এসময় অন্তত ৩০ জন আহত হন।


আরও খবর



কাশ্মীরের বনাঞ্চলে দাবানল, বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক ল্যান্ডমাইন

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজৌরির বনাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বিস্ফোরিত হচ্ছে একের পর এক ল্যান্ডমাইন বলে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পাহাড়ি অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার করে আগুনের সঠিক অবস্থান এবং গতিবিধি অনুমান করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন ভারতীয় দমকল কর্মীরা।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গরমের কারণে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন মানকোট জঙ্গলে প্রথমের আগুনের সূত্রপাত হয়। কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই আগুন আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। কারণ, এই সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে সেখানে প্রচুর সংখ্যক ল্যান্ডমাইন বিছানো ছিল। আগুনের কারণে সেই ল্যান্ডমাইনগুলোতে ক্রমাগত বিস্ফোরণ ঘটছে। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে আগুন দেখা যাচ্ছে।

এদিকে গত তিন দিন ধরে উধমপুর জেলার ঘোর্ডি ব্লকের দয়া ধারের জঙ্গলে আগুন জ্বলছে। ক্রমাগত অগ্নিনির্বাপণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বর্তমানে এই আগুন আরও তীব্র হয়েছে। দয়া ধর বন এলাকায় ময়ূরের আবাসস্থল, যা এই আগুনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা পুড়ে যাওয়ায় শুধুমাত্র ময়ূরই নয়, অন্যান্য বন্যপ্রাণী এবং সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করেছে।

ভারতজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যেই এ দাবানল যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের জন্য। আগুন নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা।

মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ভারতে সাধারণত বনাঞ্চলে দাবানল বেড়ে যায়। চলতি মাসে মেনধর উপজেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন বনাঞ্চলে এটি চতুর্থ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত এলাকার বনাঞ্চলের আগুন ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে এসেছে। পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য ল্যান্ডমাইন অকার্যকর করতে এ ধরনের আগুন লাগিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশিদের তথ্য বিক্রি করে দিয়েছেন পুলিশের দুই কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি নাগরিকদের অতি সংবেদনশীল এবং ক্লাসিফায়েড তথ্য অনলাইনে বিক্রি করেছে পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) ডাটাবেইজে প্রবেশ করে এসব তথ্য নিজেদের দখলে নিয়েছিলেন তারা।

ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন এবং র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-৬ (র‍্যাব) এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আমান বান্না।

আইনশৃংখলা রক্ষাকারী এই দুই ইউনিটের প্রবেশাধিকার বন্ধ করাসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে এনটিএমসি।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনটিএমসির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।

জানা যায়, পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন এবং এএসপি তারেক আমানের আইডি থেকে ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্ট প্ল্যাটফর্মে (এনআইপি) প্রবেশ করা হয়। সেখান থেকে নাগরিকদের অতি সংবেদনশীল এবং ক্লাসিফায়েড গোপনীয় তথ্য নেওয়া হয় যার মধ্যে আছে জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যবহৃত মোবাইল হ্যান্ডসেটের তথ্য, কল রেকর্ডস, ক্রিমিনাল প্রোফাইলসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য।

বিষয়টি এনটিএমসির নজরে এলে সংস্থাটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ বাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি চিঠি দেন। গত ২৮ এপ্রিল প্রেরিত ঐ চিঠিতে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।

প্রযুক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টেকক্রাঞ্চে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বাকের বলেন, বিডি সাইবার গ্যাং নামক টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেল, ফেসবুক গ্রুপ এবং হোয়াটস অ্যাপে সংগৃহীত তথ্য বিক্রি করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এসব গ্রুপের এডমিনদের তথ্য সরবরাহ করতেন। ইন্টারনেটে বিক্রির বিষয়টি সেসব এডমিনরা দেখভাল করতেন। তবে ঠিক কত সংখ্যক নাগরিকের কী পরিমাণ তথ্য এভাবে অনলাইনে বিক্রি হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি জেনারেল বাকের।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২৫ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন এসপি ফারহানা এবং এএসপি তারেক। ২৫ এপ্রিল রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে ডাটা ব্রিচ এর তথ্য জানতে পারে এনটিএমসি।

এনটিএমসির একটি সূত্র জানায়, ৪২টি সরকারি সংস্থার প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা এনআইপিতে প্রবেশাধিকার পান। বিভিন্ন সরকারি সেবা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন হয় তাদের। এনআইপিতে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) থাকে। প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজেদের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে এই পোর্টালে প্রবেশ করেন।

লগ সার্ভার বিশ্লেষণ করে ফারহানা এবং তারেকের আইডি থেকে অস্বাভাবিক লগ-ইন দেখতে পায় এনটিএমসি।

এ বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে তথ্য বিক্রির প্রমাণ পায় এনটিএমসি। এর প্রেক্ষিতে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এনআইপিতে পুলিশের এটিইউ এবং র‍্যাব-৬ এর প্রবেশাধিকার বন্ধ রেখেছে এনটিএমসি।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এনটিএমসির ডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। সংস্থাটির এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি সঠিক। আমাদের নজরে এলে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আগ পর্যন্ত ঐ দুই সংস্থার প্রবেশাধিকার (সাময়িকভাবে) বন্ধ রাখা হয়েছে। দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ এবং র‍্যাবকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানি।

এদিকে, এসপি ফারহানা ইয়াসমিন এবং এএসপি তারেক আমানকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে টেকক্রাঞ্চকে জানিয়েছে এনটিএমসি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারেক। তবে এনটিএমসিকে দেওয়া এক চিঠিতে পুলিশের এটিইউ থেকে দাবি করা হয়, এসপি ফারহানা ইয়াসমিনের আইডি ব্যবহার করে সেসব তথ্য সংগ্রহ ও বিক্রি করেছেন দুই কনস্টেবল।

তারা হলেন- সাইবার ক্রাইম উইং এর কনস্টেবল মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী এবং অপারেশন্স উইং এর খায়রুল ইসলাম। ঐ দুই কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে এটিইউ।


আরও খবর