আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম

একযুগে চামড়ার দাম কমেছে ৩৩ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত একযুগে গরুর চামড়ার সরকার নির্ধারিত দাম কমেছে ৩৩ শতাংশের বেশি। এবারও নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি কাঁচা চামড়া। প্রতিটি গরুর চামড়া আকারভেদে বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। আড়তদাররা বলছেন, ট্যানারিতে চাহিদা না থাকায় দাম কম। ট্যানারি মালিকদের দাবি, চামড়ার রপ্তানিমূল্যও কমেছে।

২০১৩ সালে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৮৫ থেকে ৯০ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর ঢাকার বাইরে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এরপর কমতে কমতে ২০২০ সালে চামড়ার দাম ঠেকে ৩৫ টাকা বর্গফুটে। এ বছর কোরবানির গরুর চামড়ার দাম নির্ধারিত হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

ঢাকায় একেকটি গরুর লবণজাত চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ধরা হয় এক হাজার ২০০ টাকা। প্রতি পিস চামড়ায় লবণ দিতে খরচ হয় ৩০০ টাকার মতো। সে হিসেবে লবণ ছাড়া চামড়ার দামে সন্তুষ্ট নন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। 

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব টিপু সুলতান বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপট যদি বিবেচনায় নিই, বহির্বিশ্বে কিন্তু চামড়ার দাম বাড়েনি। সবকিছুই তো ডিমান্ড-সাপ্লাই চেইনের ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতেও মূল্যস্ফীতি আছে। ফলে পাশ্চাত্যের দেশগুলো, যারা আমাদের চামড়া খাতের মূল ক্রেতা, তাদের ওখানে চাহিদা কমে গেছে। আবার চীনে আর্টিফিশিয়াল লেদার, সিনথেটিক লেদারের ব্যবহার বেড়েছে। কেডসে ফেব্রিকসের ব্যবহার বেড়েছে। ফলে চামড়ার চাহিদাটাই কমে গেছে।

ধারণা করা হয়, এক লাখ টাকার নিচের গরুর চামড়া ২০-২৪ বর্গফুট। দেড় লাখ টাকার গরুর চামড়া ২৬ থেকে ৩০ বর্গফুট, আর ২ লাখ টাকা দামের ওপরে কেনা গরুর চামড়া হতে পারে ৩২ থেকে ৩৮ বর্গফুট। প্রক্রিয়াজাতের কয়েক ধাপে রাসায়নিকসহ বিভিন্ন খরচ বাড়ায় কাঁচা চামড়ার দাম বাড়ানো সম্ভব নয় বলে দাবি ট্যানারি মালিকদের।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, হেমায়েতপুরের চামড়াশিল্প নগরের দূষণ বন্ধ না হওয়ায় ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি বাংলাদেশি চামড়া কিনছে না। ফলে বাংলাদেশি চামড়া বড় ক্রেতা বর্তমানে চীনারা। তারা কম দাম দেয়। সেটির প্রভাব কাঁচা চামড়ার দামেও পড়ছে।

লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দূষণ রোধ ও চামড়ার বাজার বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পরিকল্পনা থাকলেও বাস্তবায়ন নেই। এ জন্য সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা দেশগুলোতে চামড়ার চাহিদা কমেছে। সেই সাথে চীনের সিনথেটিক লেদার, বিশ্ববাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।


আরও খবর



পাবনায় পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে ভাইবোনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যাবার পথে পাবনা সদর উপজেলায় ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আহত আরও ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের ধোপাঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- বেড়া পৌর এলাকার শালকিপাড়ার রাজকুমার হালদারের ছেলে প্রদীপ হালদার এবং নাটোরের দিনেশের স্ত্রী শম্পা রানী। তারা সম্পর্কে ভাই-বোন। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হতাহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রদীপ কুমারের জন্য কনে দেখতে পরিবারের সদস্যরা মিলে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গ্রাম থেকে পাবনা জেলা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পাবনা সদরের ধোপাদহ এলাকায় একটি দ্রুতগামী ট্রাক অটোরিকশাটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কেই অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এতে ঘটনাস্থলেই প্রদীপ কুমারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্যদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা সম্পা রানীকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রদীপের মামা পরিমল হালদার জানান, তাঁর ভাগনে প্রদীপ পড়ালেখা শেষ করে কিছুদিন হলো একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিতে ঢুকেছেন। তাঁর বিয়ের কথা চলছিল। বিয়ের জন্য কনে দেখতেই তাঁরা সবাই জেলা শহরে যাচ্ছিলেন। পরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি এসেছেন।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, অটোরিকশাটি বেড়া থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিলো। পথে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের ধোপাঘাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৭ জন সিএনজি যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


আরও খবর



ছোট ও মাঝারি গরুতে আগ্রহ বেশি ক্রেতাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদের অন্যতম আকর্ষণ পশু কেনা। পশু ক্রয়ে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের। বাজেট ও সাধের সমন্বয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে পরিকল্পনার শুরু থেকেই তাদের লক্ষ্য থাকে মাঝারি ও ছোট আকারেরে গরু কোরবানি দেওয়া। অনেকে আবার মাংসের স্বাদের বিবেচনায় দেশীয় গরু কিনতে চান।

সবকিছু মিলিয়ে তুলনামূলক মাঝারি কিংবা ছোট গরুর চাহিদা বেশি বাজারে। বিক্রিও বেশি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজকে গরু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।

আজ রাজধানীর তেজগাঁও টেকনিক্যাল মাঠের গরুর হাট ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। দুপুরে হাটে গিয়ে দেখা যায়, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলজুড়ে এ হাট বসানো হয়েছে। হাটে ৬০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকার গরু উঠেছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই বিক্রেতাদের সঙ্গে দামাদামি করছেন। মনের মতো দাম না পেলে গরু ছাড়ছেন না তারা। অনেক ক্রেতা শেষ মুহূর্তে দাম কমতে পারে সেই আশায় অপেক্ষা করছেন। যদিও আজ সকাল থেকে গরু বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শেরপুর থেকে ২২টি গরু এনেছেন ব্যবসায়ী আরশাদ। তিনি বলেন, আমার কাছে মাঝারি ও ছোট গরুর সংখ্যা বেশি ছিল। গতকাল তেমন বিক্রি না হলেও আজ সকালেই ৮টি গরু বিক্রি করেছি। আমি আগামীকালের আশায় থাকতে চাচ্ছি না। মোটামুটি লাভ হলেও গরু ছেড়ে দেব।

মাঝারি সাইজের দুটি গরু কিনেছেন নিজামুল হক। তিনি বলেন, হাজীপাড়া থেকে এখানে এসেছি। প্রথমে ইচ্ছে ছিল বড় আকারের গরু কিনব। পরে আমার অংশীদারদের পরামর্শে ছোট আকারের দুটি গরু ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কিনেছি। দেশি গরু দেখতে ছোট হলেও মাংস ও স্বাদ বেশি। এ কারণে ছোট আকারের গরু কিনলাম। 

তেজগাঁও হাটের ইজারাদার হোসেন খান বলেন, প্রথম দিকে গরু-ছাগল বিক্রির পরিমাণ কম হলেও বর্তমানে পশু বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। দামও আগের তুলনায় কমেছে। মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি। চলছেও বেশি। আমরা ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায় করছি। 


আরও খবর



শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা-নেপাল ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বল মাঠে গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত করা হয় ম্যাচটি। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় সুসংবাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সুপার এইটে যেতে এখন সহজ সসমীকরণের সামনে টিম টাইগার।

বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এই ম্যাচে জয় পেলে সেরা আটের পথে এক পা দিয়ে রাখবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় টানা তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

বুধবার (১২ জুন) ফ্লোরিডার লডারহিলে বাচা-মরার ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। টানা দুই ম্যাচে জয়হীন লঙ্কানরা মাঠে নামার সুযোগ পেলো না। পুরো সময়টাই বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছে। আর তাই এই ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩ ম্যাচ ১ পয়েন্ট নিয়ে কার্যত বিদায় হয়ে গিয়েছে তাদের।

টানা বৃষ্টির কারণে খেলা হওয়া তো দূরের কথা, টসও গড়ায়নি মাঠে। ম্যাচ বাতিল করার জন্য অবশ্য আরেকটু অপেক্ষা করার সুযোগ ছিল দায়িত্বরত আম্পায়ারদের। তবে লডারহিলের মাঠে ড্রেনেজ সিস্টেম তেমন ভালো না হওয়ায় বেশিক্ষণ আর অপেক্ষা করেননি তারা। এমনকি ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত আসায় লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউডকে বেশ অনেকটা সময় নিয়ে আলাপ করতে দেখা যায় আম্পায়ারদের সঙ্গে।


আরও খবর



দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলেও মিলবে জাতীয় পরিচয়পত্র: সিইসি

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের নাগরিক প্রমাণ করতে পারলে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলেও মিলবে জাতীয় পরিচয়পত্র। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ কথা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে দ্বৈত নাগরিকত্বের সনদ আনা অর্থহীন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১০ জুন) সকালে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় সিইসি স্বীকার করেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এখনো জালিয়াতি হচ্ছে। এতে কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের আগামীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশনা দেন তিনি।

সিইসি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র এখনো ১০০ ভাগ চূড়ান্ত পর্যায়ে আসেনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যারা আবেদন করেন তারা সঠিক তথ্য দেন না। একইসঙ্গে যারা তথ্য নেন তারাও সঠিকভাবে তথ্য নিবন্ধন করেন না।’


আরও খবর
হজে গিয়ে ৫১ বাংলাদেশির মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪




জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কথা ভাবছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কথা ভাবছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিশেষ দূত গিলাদ এরডান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ শিশুদের ওপর হামলা ও হাজার হাজার শিশুর মৃত্যুর কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে অপরাধী দেশের তালিকায় যুক্ত করেছে জাতিসংঘ।

সে সময়ই ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, এই পদক্ষেপের কারণে জাতিসংঘের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং জাতিসংঘকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ইসরায়েল জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কথা চিন্তা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসরায়েলের একটি রেডিও চ্যানেলকে গিলাদ এরডান বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই ইসরায়েল তার ভূখণ্ড থেকে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের দেশটি থেকে প্রত্যারের এবং ইসরায়েলের ভালো-মন্দ বিবেচনা করার সময় এসে গেছে।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির পরিকল্পনায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তার দিয়েছে হামাস। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন হামাসের উদ্দেশে বলেছেন, দরকষাকষি বন্ধের সময় এসেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কিছু পরিবর্তন প্রস্তাব নিয়ে কাজ করা গেলেও অন্যগুলো নিয়ে কাজের সুযোগ নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং আলোচনার মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর এই চুক্তিটির জন্য চেষ্টা করে যাবে।

হামাস গত মঙ্গলবার বলেছে, তারা এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক তবে তারা গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহার এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিয়েছে।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও সংকটময় হয়ে উঠছে। যতই দিন যাচ্ছে সেখানে খাবার-পানির সংকটে দিশেহারা হয়ে উঠছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এমনকি শিশুদের মুখে তুলে দেওয়ার মতো খাবারের জোগানও দেওয়া যাচ্ছে না। গাজা হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ২৫০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে ১৫ হাজার ৬৯৪ জন শিশু নিহত হয়েছে এবং ১৭ হাজার শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম হয়ে গেছে।

এদিকে গাজায় খাদ্য সংকটের বিপর্যয় সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস। যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই অঞ্চলে পাঁচ বছরের কম বয়সী আট হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানানো হয়েছে।

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে কর্মরত এক সরকারি কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, সেখানে অধিকাংশ খাদ্যপণ্য ফুরিয়ে যাওয়ায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘ সমর্থিত একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজাযুদ্ধের প্রথম দিকেই ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধাপরাধ করেছে। এতে বলা হয়েছে, শুধু যুদ্ধাপরাধ নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধও করেছে ইসরায়েল। কারণ তাদের হামলায় বেসামরিক অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন।


আরও খবর