আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

ওভার ইনভয়েসিংয়ে অর্থ পাচার কমেছে ৯০ শতাংশ : গভর্নর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাড়তি নজরদারির কারণে ওভার ইনভয়েসিং বা আমদানি করা পণ্যের অতিরিক্ত দাম দেখিয়ে টাকা পাচার কমেছে প্রায় ৯০ শতাংশ। তা ছাড়া হুন্ডি নিয়ন্ত্রণেও চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এদিকে ক্যাশ ডলার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে টাকা পাচারের অন্যতম পথ 'ট্রেড বেসড মানি লন্ডারিং'। ব্যবসার ছদ্মবেশে এ মাধ্যমকে অত্যন্ত নিরাপদভাবে ব্যবহার করে থাকে অপরাধ চক্র। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে অতিরিক্ত আমদানি মূল দেখিয়ে সন্দেহজনক লেনদেনের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি। তার আগের দুই অর্থবছরে ছিল ৭ হাজারের বেশি।

ধারাবাহিকতায় শেষ দুই অর্থবছর ব্যবসার আড়ালে কত টাকা পাচার হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে বছরখানেক ধরে ডলার সংকট বাদ সেধেছে সে পন্থায়। আমদানি-রফতানিতে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য যাচাই করতে ব্যাংকগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে প্রায় ৯০ ভাগ অর্থ পাচার বন্ধ সম্ভব হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। আর হুন্ডি নিয়ন্ত্রণেও সতর্ক বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমি বিগত ১৫ থেকে ১৬ মাস ধরে যে কাজ করছি, তাতে ওভার ইনভয়েসিং মোটামুটি ৯০ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছি। ১০০ ভাগ তো কমানো যাবে না। কিন্তু ৯০ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছি। কাজেই আমি আপনাকে বলতে পারি যে ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচার মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যেটি হচ্ছে, সেটি হলো হুন্ডির মাধ্যমে কিছু টাকাপয়সা যাওয়া-আসা করছে। তাই হুন্ডি কীভাবে বন্ধ করা যায়, আমরা সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।

রফতানি আয়ের বিষয়ে গভর্নর বলেন, আমাদের পণ্য রফতানির মূল গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপ এবং আমেরিকা। সেখানে পণ্য আমদানি অনেক কমে গেছে। তা সত্ত্বেও সেখানে আমাদের বিগত ৪ মাসের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশের বেশি রয়েছে। তা ছাড়া আমরা আমাদের আমদানিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি এবং সেটি অনেকটাই কমে এসেছে। এখন আমাদের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত রয়েছে।

প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নিয়ে তিনি বলেন, এর বাইরে রেমিট্যান্স যা আসছে, তা আগের বছরের একই সময়ের প্রায় সমান। চলতি বছর রেমিট্যান্সের হার মাত্র ১ শতাংশ কম রয়েছে। তবে আমরা আশা করি যে এই মাস থেকে এটি বেড়ে যাবে। তার এটি ক্রমেই বাড়তে থাকবে।

ডলার রেটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে সব ব্যাংকের কথা হয়েছে। তারা রাজি হয়েছে যে তারা প্রতিযোগিতায় যাবে না এবং তারা ন্যায্য দামে থাকবে। তা ছাড়া এখানে সরকার আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেয়। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোও রাজি হয়েছে যে তারা নিজেরা তাদের নিজস্ব সামর্থ্য হিসেবে প্রণোদনা দেবে। তাহলে আমার মনে হয়, আমরা যদি সব কটি একসঙ্গে যোগ করি, তাহলে এখন যে দাম, তা মোটামুটি বাজার দরের সমান। তা ছাড়া আমি মনে করি না ডলারের বিপরীতে টাকার মান খুব বেশি পড়ে যাবে। উল্টো ভবিষ্যতে এ মান বাড়তে পারে।

এদিকে দেশের বাইরে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কাজে যেতে বছরে কোটি কোটি ডলার ব্যয় হয়। যার প্রভাবে অস্থির থাকে নগদ ডলারের বাজার। তাই চাপ কমাতে ডলার আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, সংকট যেন না থাকে, মানুষ যেন ক্যাশ পেতে পারেন, তাই আমরা একটি ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ডলার আনবে। আরও যদি দু-একটি ব্যাংক আনতে চায়, তাহলে আমরা তাদের অনুমতি দেব। সুতরাং, ক্যাশ ডলারের সংকট যেন না হয়। আর আমরা তো এরই মধ্যে টাকা পে কার্ড করেছি। আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা এটির সঙ্গে রুপি অন্তর্ভুক্ত করতে পারব। ফলে কেউ যখন ভারত যাবে, তখন আর তাকে ক্যাশ ডলার নিয়ে যেতে হবে না। টাকা পে কার্ড নিয়ে ব্যবহারকারী তার যে ১২ হাজার ডলারের কোটা রয়েছে, সেটি সেখানে খরচ করতে পারবেন।

এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তারল্য সংকট কাটাতে অর্থ সহায়তা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মনিটরিংয়ে জোর দেয়ার কথাও জানান বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর।


আরও খবর



সাত নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারী বৃষ্টিতে দেশের ৭ নদীর পানি এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এরমধ্যে সুরমা নদীর পানি সর্বোচ্চ বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে আগামী দুইদিন ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমায় পৌঁছাতে পারে। এদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

জানা যায়, সুরমা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উজানে ভারি থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নেত্রকোনা জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে ও সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। অপরদিকে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু-খোয়াই নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি স্বল্পমেয়াদে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

বিপদসীমার ওপরে থাকা নদীগুলোর মধ্যে আছে তিস্তা, সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, পুরাতন সুরমা এবং সোমেশ্বরী।

উজানের বৃষ্টির বিষয়ে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কোচবিহারে ১৩৬ মিলিমিটার। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্য দিকে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

শনিবারের পূর্বাভাসেও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে পঞ্চগড়ে ১৫৩ মিলিমিটার। এর বাইরে সিলেট ও হবিগঞ্জে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



সিসিক কাউন্সিলরের বাসায় হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসায় হামলার প্রতিবাদে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।

রোববার (৩০ জুন) নগর ভবনসহ একই সঙ্গে নগরীর ৪২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে ১ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নগরীর ভাটাটিকর এলাকায় কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে কাউন্সিলর আজাদের বাসায় হামলার ঘটনায় শনিবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পরিষদ সভা করে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর অংশ হিসেবে রোববার এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হয়। আগামীকাল ১ জুলাই সোমবার টিলাগড় পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি ও ২ জুলাই মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।

হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। শুক্রবার রাতে ১৪ জন অভিযুক্তের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন তিনি।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলরের বাসায় হামলার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



‘পুলিশ কেন পুলিশকে গুলি করেছে জানতে তদন্ত করা হচ্ছে’

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কাউসার আলী নামে এক পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলাম নামে আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে। কাউসার কি কারণে মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। শনিবার (৮ জুন) দিবাগত ২ টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এ তথ্য জানান।

আইজিপি বলেন, ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুইজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিল। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান । এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তার শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং বিশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।

প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কি জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ঘটনার কারণ জানতে আমরা কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আক্রমণকারীকে আমরা ইতিমধ্যে আটক করেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।

এর আগে, গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এক পুলিশ সদস্য আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করেছে।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ২৮৩

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এ হামলায় ২৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। সোমবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

আনাদোলুর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আটটি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে একদিনে ২৮৩ জন শহীদ হয়েছেন এবং আরও ৮১৪ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা কমপক্ষে ৩৭ হাজার ৮৪ জনে পৌঁছেছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৪৯৪ জন আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, শনিবার কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকার নুসিরাত ক্যাম্পে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে ইসরায়েলি দখলদাররা। এতে ২৭৪ জন নিহত ও ৬৯৮ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা কেন্দ্রীয় গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর একটি ভয়াবহ হামলায় চালিয়েছে এবং চার জিম্মিকে উদ্ধার করেছে।

শনিবারের হামলার বিষয়ে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অনেক সংখ্যক ভুক্তভোগী মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকে রয়েছেন এবং অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স ক্রুরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’


আরও খবর



সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পুরো বিশ্বই এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় বিদেশি ফান্ডিং কমে এসেছে। আমাদের এখন শ্যাম ও কুল দুটিই রক্ষা করে চলতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ে দেরি করছে। এটা আমাদের ভোগাচ্ছে। পুরো বিশ্বই এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে। সবাই ব্যয় সংকোচন করছে। বড় বড় দেশগুলো বিশ্বযুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে। আমরাও এর শিকার হচ্ছি। এ কারণে বড় বড় প্রকল্পগুলো অনেকটা স্লো হয়ে গেছে। বিশ্বের অনেক দেশ অর্থ সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। সারা বিশ্বে অর্থ সংকট কবে শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না।

এ সময় কাদের বলেন, ইদানিং বেপরোয়া ড্রাইভিং, মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও দায় আছে। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা ইজিবাইকগুলোকে মহাসড়কে চলতে দিচ্ছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে একটি মোটরসাইকেলে দুজন এবং হেলমেট পরার বাধ্যবাধকতা থাকায় দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। এটা শুধু শহর নয়, মফস্বল ও‌ গ্রামেও মানছে। নো‌ হেলমেট, নো‌ ফুয়েল কার্যকর করায় এটা সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের অনেক জেলায় রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব রাস্তা‌ মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কগুলো শিগগিরই সংস্কার ও মেরামত করা হবে। এ ছাড়া এসব কাজের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।


আরও খবর