আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

পাকিস্তানে বন্দুকধারীর গুলিতে ৮ শিক্ষক নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৮ জন শিক্ষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জেলার সদর হাসপাতালের উপ-তত্ত্বাবধায়ক কায়সার আব্বাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনকে কুররাম জেলা পুলিশের কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরান বলেছেন, প্রথম গুলি চালানোর ঘটনাটি কুররাম জেলার শালোজান সড়কে এবং দ্বিতীয়টি তেরি মেঙ্গল স্কুল এলাকায় ঘটেছে। ওই এলাকা থেকে ডন ডটকমের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় গুলির ঘটনাস্থলের দূরত্ব শালোজান সড়ক থেকে ছয় কিলোমিটার।

কুররাম জেলা সদর হাসপাতালের ডেপুটি মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট কায়সার আব্বাস গুলিতে মোট ৮ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একটি স্কুলে গুলির ঘটনায় ৭ জন শিক্ষক নিহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় দুর্বৃত্তের হামলায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এই বিষয়ে দেশটির পুলিশ এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও টিভি বলছে, কুররাম জেলার তেহসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের স্টাফরুমে শিক্ষকদের ওপর গুলি চালিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা। দেশটিতে চলমান মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের জন্য ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন আক্রান্ত শিক্ষকরা। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ এলাকার সব হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

বন্দুকধারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। গুলির এই ঘটনার পর চলমান মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রায়পুরায় ও বেলাবতে বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু 

একই এলাকায় অন্য একটি ঘটনায় চলন্ত গাড়িতে একজনকে শিক্ষককে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় এক দিনে মোট ৮ শিক্ষক নিহত হয়েছেন।

জিও টিভি বলছে, গাড়ির ভেতরে গুলিতে নিহত শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ শরীফ। তিনিও তেহসিল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে জানিয়েছে পুলিশ। শালোজান সড়কে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

এদিকে, গুলিতে শিক্ষক নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। একই সঙ্গে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে শিক্ষার শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের এলিজা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের সঙ্গে বাড়ছে। এআইয়ের প্রম্পট থেকে কৃত্রিম ছবি তৈরি করা যায়। আর তাই নিজেদের কল্পনা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ছবি তৈরি করেন অনেকেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নারীদের ছবি নিয়ে ভার্চ্যুয়াল সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু হয়েছিল গত মাসে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ইতিমধ্যে এর আয়োজকেরা সেরা ১০ প্রতিযোগীর নাম ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে আছে বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান।

তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এআই কনটেন্টনির্ভর ওয়েবসাইট ফ্যানভ্যু আয়োজন করেছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস এআই। বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।

চূড়ান্ত পর্বে থাকা দশ এআই সুন্দরীর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান। তার ক্রিয়েটর ফ্যাশন ও রেসিং প্রোডাক্ট রিটেইল শপ অনিক্স হাব। এলিজা খান একজন জেনজি ফ্যাশনিস্তা, যে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। তার ক্রিয়েটর ফ্যাশন ও রেসিং প্রোডাক্ট রিটেইল শপ অনিক্স হাব।

মিস এআই প্রতিযোগিতার আয়োজকদের একজন ফ্যানভ্যুর সহপ্রতিষ্ঠাতা উইল মোনানাজ। এআই প্রতিযোগিতাটি নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এইআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই প্রতিযোগিতা এআই প্রযুক্তি খাতে অস্কারের সমমর্যাদা পাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৫০০এর বেশি আবেদন জমা পড়ে। সম্প্রতি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই এআই সুন্দরীদের নির্বাচন করেছে বিশেষ বিচারক প্যানেল। এই প্রতিযোগিতায় বিচারকদের মধ্যে দুজন মানুষ এবং দুজন এআই ইনফ্লুয়েন্সার।

এআই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সুন্দরীদের তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হচ্ছে। সেগুলো হলো সৌন্দর্য, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাকইত্যাদি দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেখা হবে ক্রিয়েটরের দক্ষতা এবং কোন টুলের মাধ্যমে ক্রিয়েটর এ মডেল বানিয়েছেন।


আরও খবর



জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে অবদান রাখার অঙ্গীকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে ফলপ্রসূ অবদান রাখাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। শুক্রবার (২৮ জুন) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের চতুর্থ সম্মেলনে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিনব কৌশল ও সম্ভাব্য সংঘাতের ক্ষেত্র প্রধান সেশনে প্রথম বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। 

সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাসঙ্গিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পুলিশিং-এর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চলমান দেশগুলোর আইন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থার দক্ষতাবৃদ্ধির ওপরও জোর দেন তিনি। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য প্রেরণ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে নানবিধ অপপ্রচার রোধে জাতিসংঘের গৃহীত ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদান তুলে ধরেন। 

এই সম্মেলন চলাকালে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলে সানিয়াং, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশন্স জ্যঁ পিয়েরে লাখোয়া এবং আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর অপারেশনাল সাপোর্ট অতুল খারের সঙ্গে তিনটি পৃথক বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন। 

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ২৬-২৭ জুন দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের চতুর্থ সম্মেলন  অনুষ্ঠিত হয়। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।


আরও খবর



মিয়ানমার আগ্রাসনে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন, দ্বীপে খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে তিনদিন ধরে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারের ওপার থেকে বারবার গুলি ছোড়া হচ্ছে এ রুটের ট্রলার ও স্পিড বোট লক্ষ্য করে। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটির। রবিবার (৯ জুন) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, তিন দিন ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পিড-বোট চলাচলও বন্ধ। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সংকট হয়নি। যাতায়াত নিয়ে সমস্যা হচ্ছে অনেক। অনেকেই সেন্টমার্টিনে আসতে পারছে না। আবার সেন্টমার্টিন থেকে যেতেও পারছে না। কিছুটা খাবার নিয়ে কষ্টে আছে। তবে এখনো খাবার সংকট তৈরি হয়নি। সংকট হতে পারে সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের। আর কয়েকদিন বন্ধ থাকলে খাবার সংকটও তৈরি হতে পারে।’

এদিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে সেন্টমার্টিনে দেখা দিচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্য সংকট। দ্বীপে বসবাসরত ১০ হাজারের অধিক বাসিন্দার মধ্যে যারা দিন এনে দিনে খায় আপাতত কষ্টে বেশি পড়েছেন তারাই। খাদ্য ও পণ্যবাহী বোট চলাচল করতে না পারায় সেন্টমার্টিনের দোকানগুলোতে যেমন মজুদ কৃত খাদ্য পণ্য শেষ হতে চলেছে তেমনি এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সামাধান না হলে দ্বীপবাসীর খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দু রশিদ জানান, বোটে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখে মানুষ ভয়ে যাচ্ছে না। তা ছাড়া ওই পথ ছাড়া সেন্টমার্টিনে আসার বিকল্প কোন ব্যবস্থা বা রুটও নাই। প্রতিদিন সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌ রুটে ৬/৭ টি বোটের মাধ্যমে শতাধিক মানুষ আসাযাওয়া করার পাশাপাশি খাদ্য ও নিত্য পণ্য বহন করতেন।

টেকনাফ উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আদনান চৌধুরী জানান, এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে। তবে জরুরি ভিত্তিতে শাহপরীর দ্বীপ অংশ থেকে বিকল্প পদ্ধতিতে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছি।

এদিকে বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে নাফ নদীর মোহনায় সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি নির্বাচনি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেয়া এপার থেকে করতে হয়। যেহেতু মিয়ানমার থেকে বারবার গুলি করা হচ্ছে এ কারণে আমরা সেন্টমার্টিন যাওয়ার বিকল্প নিয়ে ভাবছি। নাফ নদীর মোহনায় যেহেতু এ ঘটনা ঘটছে তাই নাফকে এভয়েড করে আমরা বিকল্প কিভাবে তাদের খাদ্যসামগ্রী এবং যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায় এসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

গুলি করা করছে সেটি বুঝা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গুলি ছোড়া হচ্ছে; কিন্তু কারা গুলি করছে আমরা বুঝতে পারছি না। যেহেতু ওপারে যুদ্ধ চলছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে সরকারকে জানিয়েছি। স্থানীয়ভাবেও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।


আরও খবর



১ জুলাই থেকে ঢাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ঘোষিত এ সর্বাত্মক আন্দোলনে আপনারা সকলেই আমাদের সংগ্রামের সারথি। আপনাদের বিপুল সমর্থন ও ম্যানডেট নিয়ে শিক্ষক সমিতি এ সর্বাত্মক আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। আমাদের এ আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলন। বৈষম্যমূলক ও মর্যাদাহানিকর প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচি নিম্নরূপ-

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

২. অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাস, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাস বন্ধ থাকবে।

৩. সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।

৪. বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন। অ্যাকাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না।

৫. অনুষদের ডিনবৃন্দ ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কর্যক্রম বন্ধ রাখবেন। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে না। কোনও সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না।

৬. বিভিন্ন ইন্সসিস্টটিউটের পরিচালকবৃন্দ ইন্সস্টিটিউটের অফিস, ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন। সান্ধ্যকালীন, শুক্রবার ও শনিবারের ক্লাস বন্ধ থাকবে।

৭. বিভিন্ন গবেষণাধর্মী সেন্টারের পরিচালকরা কোনও সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।

৮. বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ প্রাধ্যক্ষ অফিস বন্ধ রাখবেন।

৯. প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ রাখবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তার ধারাবাহিকতায় ২৬ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এরপর ২৮ মে দুই ঘণ্টা এবং ২৫-২৭ জুন তিনদিন সারা দেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়। তাছাড়া আজ ৩০ জুন পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।


আরও খবর



আদানির কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের ঝাড়খন্ডের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

এর আগে ঈদের ছুটিতে আদানি কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণে যাওয়ায় বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আগামী ৫ জুলাই ইউনিটটি উৎপাদনে আসতে পারে। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত।

কিন্তু এরই মধ্যে কারিগরি ত্রুটিতে দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন কার্যত পুরো কেন্দ্রটিই বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। কবে নাগাদ তা উৎপাদনে ফিরবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো প্রক্রিয়া চলছিল। তবে শুক্রবার সকাল পৌনে ১০ টায় উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ মার্চ দেশে আদানির বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়। ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।


আরও খবর