১৯৭১ সালের
যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে ইমরান খানকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেছেন, এ ইস্যুতে বেশিদূর কথাবার্তা চললে দেশের
রাজনীতিতে উদ্বেগ উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
কয়েক দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইমরান খানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়। সেখানে বলা
হয়, ‘প্রকৃত
দেশদ্রোহী জেনারেল ইয়াহিয়া খান নাকি শেখ মুজিবুর রহমান— তা জানার জন্য প্রত্যেক পাকিস্তানির উচিত হামুদ উর রহমান কমিশনের প্রতিবেদনটি
পড়া।’
১৯৭১ সালে যৌথ
বাহিনীর হাতে পরাজিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তান খোয়ানোর পর পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি হামুদ
উর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার। এই কমিশনের মূল
দায়িত্ব ছিল, কেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব সৃষ্টি হলো এবং
এই যুদ্ধ হলো— তার কারণ অনুসন্ধান
করা।
হামুদ উর রহমানের
নেতৃত্বাধীন কমিশন নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর আপত্তির
কারণে আজ পর্যন্ত সেই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
দুর্নীতির দায়ে
দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা জেলে রয়েছেন ইমরান খান। কারাগারে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সুযোগ নেই। তাই পোস্টটি তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।
জানা গেছে, ইমরানের এক্স একাউন্টটি বর্তমানে পরিচালনা করছেন তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই
ইনসাফের সোশ্যাল মিডিয়া টিম।
জিও টিভিকে
দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধ পাকিস্তানের জন্য একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এটি একটি ট্র্যাজেডি
এবং ইমরান খানও এ সম্পর্কে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। কিন্তু তারপরও তিনি ইস্যুটি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে
উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’
‘ইমরান খানের প্রতি আমার পরামর্শ এবং আহ্বান থাকবে, তিনি যদি দেশের রাজনীতি
অস্থিতিশীল করতে না চান, তাহলে যেন নিজের মুখ বন্ধ রাখেন।’