আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

বর্ষায় রান্নাঘরের যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরম যদিও কমেনি তেমন, তবে বর্ষাকাল তো শুরু হয়ে গেছেই। মাঝে মাঝে দুই-এক পশলা বৃষ্টি এসে মনে করিয়ে দিচ্ছে সেকথা। বর্ষাকালে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। তেমনই খেয়াল রাখতে হবে রান্নাঘরের কিছু বিষয়েও। এসময় ফ্লু, অন্ত্রের সমস্যা এবং জ্বর সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের প্রজনন স্থল হয়ে ওঠে। এসময় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি হলো রান্নাঘর। ক্রমাগত রান্না এবং পানির প্রবাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরও স্যাঁতসেঁতে করে তোলে। যা অনেক সময় খাদ্য দূষণ এবং খাদ্যের বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। তবে চিন্তা করবেন না, আপনার রান্নাঘরকে সতেজ এবং নিরাপদ রাখার কিছু সহজ উপায় আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

রান্নাঘরের চিমনি এবং এক্সজস্ট ফ্যান পরিষ্কার করুন: উচ্চ তাপে রান্না করলে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, তাই বিশেষজ্ঞরা রান্নাঘরে আলো এবং বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেন। তবে বর্ষাকালে এমন পরিবেশ বজায় রাখা কিছুটা কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে এক্সজস্ট ফ্যান এবং চিমনি কাজে আসে। বর্ষাকালের আগে এই যন্ত্রপাতিগুলোকে পরিষ্কার করুন যাতে এটি আরও ভালোভাবে কাজ করে।

এয়ার টাইট বয়াম ব্যবহার করুন: বায়ুমণ্ডলের অতিরিক্ত আর্দ্রতা আপনার লবণ এবং চিনির বয়ামে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে মসলাগুলোকে আর্দ্রতা এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত রাখতে, এবং সেইসঙ্গে আপনার খাবারের সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যবিধিকে আরও উন্নত করতে এয়ার টাইট কাঁচের বয়াম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নিরাময় মসলা হাতের কাছে রাখুন: বাঙালির রান্নাঘর হলো বিভিন্ন ধরনের মসশলার ভান্ডার। সেগুলো রান্না ছাড়াও অনেক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনো আদা ইত্যাদি মসলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার মৌসুমী স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে কাজ করতে পারে। তাই এ ধরনের মসলা হাতের নাগালেই রাখুন।

সিঙ্ক পাইপ পরিষ্কার করুন: আপনার রান্নাঘরের লুকানো জায়গাগুলোতে, বিশেষ করে সিঙ্কের পাইপ এবং ড্রেনে যেন কোনো পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ এসব স্থান থেকে মশা এবং মাছি এসে রান্নাঘর এবং সেখানে থাকা খাবারকে দূষিত করে। সুতরাং, বর্ষাকাল পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগে এটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন এবং নিজেকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন।

পর্যাপ্ত মৌসুমি ফল ও সবজি সংরক্ষণ করুন: মৌসুমি খাবারের গুরুত্ব আমাদের অজানা নয়। মৌসুমি রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টির মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করার জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত বর্ষাকালীন ফল এবং শাক-সবজি রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, আপনার খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন করুন এবং সেই অনুযায়ী খাবার কিনুন।

নিউজ ট্যাগ: রান্নাঘর

আরও খবর



শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেক মামলার আবেদন

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অপহরণের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে।

মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক র‍্যাব ডিজি বেনজির আহমেদ এবং র‍্যাবের অজ্ঞাত ২৫ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার আবেদন নিয়ে আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশে আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



অভ্যুত্থানে বিএনপির ১১৭ ও জামায়াতের ৮৭ নেতাকর্মী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যান। এই আন্দোলনে বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১১৭ নেতাকর্মী এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৮৭ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীও জীবন দিয়েছেন শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন উৎখাতে। অভ্যুত্থানকে রাজনৈতিক রূপ না দিতে হতাহত নেতাকর্মীর তালিকা গোপন রাখার কৌশল নিয়েছে দলগুলো। অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা আন্দোলনের সূত্রপাতকারী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বিরোধে না জড়াতেই এ কৌশল বলে জানা গেছে।

জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে জানা যায়, এসব দলগুলোর সূত্রে নিহত নেতাকর্মীর বড় অংশের পরিচয় পাওয়া গেছে। বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছাত্রদলের ৩৪, যুবদলের ৩৫, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৯, শ্রমিক দলের ১৪, কৃষক দলের ৪, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৬, দক্ষিণ বিএনপির ১২, মৎস্যজীবী দলের ২, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের এক নেতাকর্মীর প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বহু নেতাকর্মী চিকিৎসাধীন থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, শিবিরের নিহত নেতাকর্মীর সংখ্যা অন্তত ৫৩। জামায়াতের ৩৪ জনের প্রাণ গেছে। তীব্র আন্দোলনের প্রথম দিন গত ১৬ জুলাই শিবিরের দুই নেতা নিহত হন। ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ৪ ও ৫ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের ৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। যদিও দলটি কেউ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি।

বিএনপি এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নিহত নেতাকর্মীর বেশির ভাগের প্রাণ গেছে ৪ ও ৫ আগস্ট। যদিও সংখ্যা নিরূপণ করতে পারেনি দলটি। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের ৯ নেতাকর্মীর জীবন গেছে এই আন্দোলনে।

গণমাধ্যমের হিসাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৬২৩ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬৫০। সরকারি হাসপাতালগুলো ৪০৮ জনের লাশ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে। সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছিলেন, নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে গত ১ জুলাই আন্দোলনের সূত্রপাত করেন ছাত্ররা। আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিলেও প্রথম দিকে দল দুটির সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল না বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের রাজাকারের সন্তান আখ্যা দিয়েছেন অভিযোগে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এতে বিক্ষোভ হলে পরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।

১৬ জুলাই শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত। সেদিন নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম। একই দিনে নিহত দুই শিবির নেতার একজন চট্টগ্রামের এমইএস কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং মহানগর উত্তর শিবিরের সাথি ফয়সাল আহমেদ শান্ত। ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ আলীসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন।

গণমাধ্যমের হিসাবে ১৮ থেকে ২১ জুলাই এই চার দিনে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের নির্বিচার গুলিতে ২১২ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৬ হাজার। যাদের বড় অংশ ছিলেন গুলিবিদ্ধ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাবে ওই সময়ে ২৬৮ জনের প্রাণ গিয়েছিল। আহত অনেকে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২১ জুলাই নিহতদের বড় অংশই ছিলেন শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ। সেই সময় প্রাণ হারানোদের ছয়জন বিএনপির এবং পাঁচজন জামায়াতের বলে জানা গিয়েছিল।

দল দুটির সূত্র জানিয়েছে, এত প্রাণহানি এবং শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে ঢালাও ধরপাকড়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি হলে সর্বাত্মকভাবে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয় বিএনপি ও জামায়াত।

বিএনপির নেতারা জানান, নৈতিক সমর্থন থাকলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মতপার্থক্য ছিল। তবে দলের নির্দেশনা ছাড়াই সারাদেশে নেতাকর্মী-সমর্থকরা নিজেরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল ছাত্ররা। এতে স্বৈরাচারের দমনপীড়নে সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছিল। দেশ রক্ষার এ আন্দোলনে বিএনপির তরুণ, যুবকরা দেশপ্রেমে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বহু নেতাকর্মী নিহত এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন।

জামায়াতের এক নেতা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিলে ৩১ জুলাই সারাদেশকে ৯ ভাগে ভাগ করে পরিকল্পিত আন্দোলন শুরু হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তখন আর পিছু হটার পথ ছিল না। যে যার জায়গা থেকে খাবার, জনবল, যানবাহন ও চিকিৎসা দিয়ে সহায়তা করেছেন।

জানা গেছে, জেলা, মহানগর ও উপজেলায় হতাহতের তালিকা চেয়েছে বিএনপি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, সারাদেশে ৩৪ নেতাকর্মী নিহতের পাশাপাশি দেড় সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। অনেকে এখনও মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। কেউ অন্ধ হয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন হাত-পা।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, মাগুরা জেলা ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি, মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভা শাখার সদস্য সচিব মানিক মিয়া শারিক, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ওয়াসিম আকরাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান রাসেল, যশোর ছাত্রদল নেতা সাকিবুল হাসান মাহি, তানভীর রাইহান আলিফ ও ইউসুফ আলী, মুন্সীগঞ্জ ছাত্রদল নেতা ফরিদ শেখ, রাজবাড়ী ছাত্রদল নেতা সাগর আহমেদ, হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রদল নেতা রিপন চন্দ্র শীল, গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রদল প্রচার সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাব্বি, সূত্রাপুর থানা ছাত্রদল নেতা শাওন, জামালপুর সদরের ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর পৌর ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সুমন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার ছাত্রদল নেতা সামিম হাওলাদার, ভাটারা থানা ছাত্রদল নেতা মনির হোসেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা ইরফান ভূঁইয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ, শেরপুর সদর ৬ নম্বর পাকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব প্রমুখ।

যুবদলের নেতাকর্মীরা জানান, নিহত ৩৫ নেতাকর্মীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের সবাই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের গুলি কিংবা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। ঢাকা মহানগর যুবদলের হাফিজুর রহমান, মোসলেহউদ্দিন, ওবায়দুল, সজীব, মহিনউদ্দিন, শাহনেওয়াজ, নবীন তালুকদার, ওয়াসিম শেখ, সাঈদ খান, নাদিম, শামীম হাওলাদার, মহিউদ্দিন বয়াতি, ওমর ফারুক, শিহাবউদ্দিন, মোসলেমউদ্দিন, আরিফ, রিয়াজ, মোসলেমউদ্দিন মিলন, মেরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসাইন, ইমন হাজী, নারায়ণগঞ্জে মুহাম্মদ পারভেজ, মহানগর যুবদল নেতা সাজন, কুমিল্লা দক্ষিণ যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুম, গাজীপুর মহানগরে নুর আলম, রাজশাহীতে আজিজুল হক নিহত হয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের বিমানবন্দর থানার কর্মী শাহরিয়ার হোসেন আবির ও যুবায়ের হোসেন, দক্ষিণখান থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কর্মী মোহাম্মদ সাগর, ভাটারা থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনির হোসেন, রূপনগর থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ব্লক ইউনিট সভাপতি মিরাজ, ভাটারা থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, ঠাকুরগাঁও পৌর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঠাকুরগাঁও সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নে শাহান পারভেজ, কুমিল্লা উত্তর জেলা দেবিদ্বার পৌর যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ নিহত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মো. জাহাঙ্গীর, জালাল উদ্দিন, মনির হোসেন, মহানগর উত্তরের আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ আসিফ, মনির হোসেন, মোহাম্মদ সোহাগ, মোহাম্মদ রাজন, পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন বাংলাদেশ-পিজিসিবি শ্রমিক দলের মোহাম্মদ রাকিব, নরসিংদী শ্রমিক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও হৃদয় হাওলাদার, ফরিদপুর শ্রমিক দল নেতা শামছু মোল্লা এবং হবিগঞ্জে মোস্তাক মিয়া নিহত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ডেমরা থানা যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শরীফ, বাড্ডা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ সুমন, তেজগাঁও থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর ইসলাম,  উত্তরা পূর্ব থানার নেতা জাহিদুল ইসলাম সাগরের প্রাণ গেছে। মৎস্যজীবী দলের যাত্রাবাড়ী থানা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হৃদয়, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রুবেল মিয়া ছাড়াও জাসাসের উত্তরা পূর্ব থানার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসিমউদ্দিনের নাম রয়েছে নিহতের তালিকায়।

শিবির সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের শাকিল পারভেজ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আবদুল্লাহ আল তাহির ও মুহাম্মদ রায়হান, মহানগর পশ্চিমের মাহফুজ হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একরাম হোসেন কাউসার ও মুহাম্মদ এলেম, মডেল ইনস্টিটিউটের মুহাম্মদ নাসির ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুহাম্মদ আদিল ও সাইয়্যেদ মুনতাসির রহমান, নারায়ণগঞ্জের মুহাম্মদ ইরফান ভূঁইয়া, ভোলা শহরের নাহিদ হাসান, লক্ষ্মীপুর শহরের কাউছার হোসেন বিজয়, সাদ আল আফনান ও ওসমান পাটওয়ারী, পাবনা শহরের জাহিদ হাসান, নাটোর জেলার মিকদাদ হোসেন খান আকিব, ফেনী শহরের ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, ঢাকা জেলা উত্তরের মুহাম্মদ মারুফ হোসাইন ও রিফাত হোসাইন, রাজশাহী মহানগরের আলী রায়হান, গাজীপুর মহানগরের সামিউ আমান, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের মুনতাসির রহমান আলিফ, মাহবুব হাসান মাছুম প্রমুখ। তারা সংগঠনটির কর্মী থেকে সদস্য পর্যায়ের দায়িত্বে ছিলেন। জামায়াতের নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন মোতাকিম বিল্লাহ, আব্দুল্লাহ কবির, কবির হোসেন, মোহাম্মদ তাহমিদ প্রমুখ।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে গাজী টায়ার কারখানা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

১৪ ঘণ্টা পরও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গাজী টায়ার কারখানার আগুন। ফায়ার সার্ভিসের ১১ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনের লেলিহান শিখা এখনও দাউদাউ করে জ্বলছে। থেমে থেমে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠছে আশপাশের এলাকা।

স্থানীয়দের খবরে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে ১১টি ইউনিট।

ভবনটির ভেতরে থাকা স্বজনদের ফেরার অপেক্ষায় পরিবার পরিজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে কারখানা এলাকা।

স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেফতারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চলে। লুট করতে গিয়ে শতাধিক মানুষ ভেতরে আটকাও পড়েছেন।

দমকল কর্মকর্তারা জানান, ১১টি ইউনিট একযোগে কাজ করেও আগুন ১৪ ঘণ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে ব্যাপারটি জটিল হয়ে পড়েছে।

আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।


আরও খবর



শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) মধ্যরাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহর বাবা কামরুল হাসান।

মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রীসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজএর শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহও অংশ নেয়। গত ১৮ জুলাই, আসামিদের প্রত্যক্ষ মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান খালিদ। পরে ২০ জুলাই হাসপাতালে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়।

মামলার বাদীর অভিযোগ, মামলা নিয়ে শুরু থেকেই গড়িমসি করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

পরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাত দুটা নাগাদ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মামলার এজাহার গ্রহণ করা হয় বলে জানান বাদী কামরুল হাসান।


আরও খবর



গাজী টায়ারসে আগুন: নিখোঁজ বেড়ে ১৭৬

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসীতে গাজী গ্রুপের টায়ার তৈরির কারখানায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের ঘটনায় অন্তত ১৭৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত ১৭৬ জন নিখোঁজের তালিকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, স্বজনরা দাবি করছেন, তাদের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ রয়েছেন, যারা গত রাতে লুটপাটের সময় এই কারখানায় এসেছিলেন।তবে তারা কেউ কারখানার শ্রমিক নন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনে এখনো পুড়ছে কারখানাটি। এ সময়ে থেমে থেমে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে, যাতে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকা।

জানা যায়, রোববার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে স্থানীয়দের মাধ্যমে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিস। ঢাকা ফুলবাড়িয়া ফায়ার স্টেশন, ডেমরা, কাঁচপুর, আদমজী ইপিজেড ও কাঞ্চন ফায়ার স্টেশন থেকে একে একে যোগ দেয় ১২টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও কাজ করছে।

স্থানীয়রা বলছেন, সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারখানাটিতে গণহারে লুটপাট চলে। আগুন লাগার সময়ও লুট করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ভেতরে আটকা পড়েছেন বলে দাবি করেন তারা।

ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক রেজাউল করিম (প্রশিক্ষণ) বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। অবকাঠামোগত ও ভেতরে থাকা টায়ার উৎপাদনের দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা জটিল হয়ে পড়েছে।

এদিকে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছুই ধারণা করা যাচ্ছে না। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

কারখানা আগুনের ঘটনায় স্থানীয় শরিফ, ইসমাইল, সুজন, মতিন, বাছেদ, নুর আলম, আরিফ, ইকবাল, ইব্রাহিম, নিরব, নাইম, মোতালেব, সাহালম, আমিনুল, জজ মিয়া, আবু সাইদ, আনিস, শাহাদাত, তামিম, লাদেন, সাহালম, সুজন, রমজান, রেজাউল করিম, রাসেল, মামুন, হাসান, ইউসুফ, আবু বক্কর, রুবেল, শাহিন ও সিকদার নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের স্বজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর