আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

প্রতিদিন যক্ষ্মায় দেশে ১০০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে যক্ষ্মায় প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে যক্ষ্মা শনাক্ত ও সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করলে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৩। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‌হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি।

বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা নির্মূলে গবেষণার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. মাহফুজা রিফাত বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখের মতো রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী হয়তো চিকিৎসা সেবার বাইরে থেকে যায়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন রোগটিতে ১০৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংখ্যা দৈনিক ১৮৫।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষের শরীরে টিবি বা যক্ষ্মা আছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর বসবাস মাত্র ৮ থেকে ১০টি দেশে। সেই তালিকার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আশার দিক হলো, অতীতের চেয়ে যক্ষ্মা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০২ সালে যেখানে বছরে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেত, এখন সেটা কমে ৪০ হাজারে নেমেছে। তবে কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, যক্ষ্মার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। রোগী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে চিকিৎসা এবং ওষুধ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে এই সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সবাই এগিয়ে এলে ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব হবে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দিনব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প সম্পন্ন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য ও পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসেবার আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষায়িত ল্যাব এসপেরিয়া হেলথ কেয়ার লিমিটেডের সহযোগিতায় মঙ্গলবার দুপুরে একদিনের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসপেরিয়া হেলথ কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাম বাকি মাসুদ।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রব, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (ইউএসটিসি) কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ রউফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চিকিৎসাসেবায় আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই। বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা এখন বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিয়েছি। তারাও আমাদের দেশের ডাক্তারদের নির্দেশনার সাথে একমত পোষণ করেছেন। তবে আমাদের দেশের ল্যাবগুলোর পরীক্ষা-নীরিক্ষার মান আরো উন্নত করা দরকার। পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্ট সঠিক পাওয়া গেলে যেকোনো রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দ্বারা সম্ভব। এসপেরিয়া সেলক্ষ্যে কাজ করছে বলে আমি মনে করি। চিসিৎসাসেবাও ব্যবসার উর্ধে নয়। তবে সে ব্যবসায় সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা বলেন, নন-ট্রেডিশনাল টেস্টগুলো চট্টগ্রামের এসপেরিয়ায় হচ্ছে। যে কারণে বিদেশনির্ভরতা কমছে। মানুষের সাধ্যের মধ্যে তাদের সেবাগুলো অব্যাহত রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। 

স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, চিকিৎসার জন্য বিশাল অংক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমাদের দেশে ভালো চিকিৎসক রয়েছেন। পাশাপাশি মানসম্পন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা গেলে এ উদ্বেগের নিরসন হবে ।

এসপেরিয়া হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান গোলাম বাকি মাসুদ বলেন, সাংবাদিকদের সেবায় এসপেরিয়ার এটি প্রথম উদ্যোগ। আগামীতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যদের জন্য এসপেরিয়ার সেবা গ্রহণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, ক্রীড়া সম্পাদক এম সরওয়ারুল আলম সোহেল, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, কার্যকরী সদস্য জসীম চৌধুরী সবুজ এবং মো. আইয়ুব আলী। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আজ ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কদিন আগেই ভারত সফর করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সে দেশে গিয়েছিলেন তিনি। ১১ দিনের মাথায় আজ শুক্রবার ফের ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। দুদিনের এই রাষ্ট্রীয় সফর পূর্বনির্ধারিত। আনুষ্ঠানিক এই সফর ঘিরে তাই চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাবে বাংলাদেশ ও ভারত। নিকটতম প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক চলমান থাকায় এবারের সফর থেকে ইতিবাচক প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।

নির্ধারিত সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুক্রবার দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন।

দুই সপ্তাহের কম ব্যবধানে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর এটি। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এই মেয়াদে সরকার গঠনের পর কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় আনুষ্ঠানিক সফর। এ সময় উভয় প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা হবে। উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। সেইসঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূচি অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগামীকাল শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সরকারি বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হবে। শেখ হাসিনা একই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। পরে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখার ও সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ করে দেশে ফিরবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গত তিন মেয়াদে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সফল কূটনৈতিক তৎপরতায় ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থলসীমানা ও সমুদ্রসীমা শান্তিপূর্ণভাবে নির্ধারিত হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ ভারত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। দুদেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে নিবিড় ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক।


আরও খবর



‘শরীফার গল্প’ বাদ, পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হবে নতুন গল্প

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে শরীফার গল্প নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে গল্পটি পাঠ্য বই থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এনসিটিবিকে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে শরীফার গল্পটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে আরেকটি গল্প সংযোজন করতে জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া যেতে পারে। গল্পের পরিবর্তে নতুন গল্প সংযোজনের করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। সেই আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, চলতি বছরে শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন বিতর্ক শুরু হয়। এর মধ্যে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ের শরীফার গল্প নিয়ে আপত্তি তোলে একটি পক্ষ। মূলত শিক্ষক আসিফ মাহতাব একটি অনুষ্ঠানে বই থেকে ওই গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন এবং অন্যদেরও ছেড়ার আহ্বান জানান।

মাহতাবের বই ছেড়ার সেই ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শরীফার গল্পর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: চলছে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ধাপে ৬০টি উপজেলা মধ্যে ছয়টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে।

এদিকে আজকের ভোটযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে বলে ইসির তথ্য বলছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত করা ২০টি উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।

চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ধাপে মোট ভোটার ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি।

তপশিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণবিধি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি উপজেলার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিন দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি ৩টি ইউনিয়নের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৭টি উপজেলায় অতিরিক্ত ২৯ প্লাটুন বিজিবি, ১৪ টিম র‍্যাব, ১২৮ জন আনসার ও ১৬ জন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।

দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পার হন ২২ জন। ২১ মে অনুষ্ঠিত এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর ২৩টি উপজেলার নির্বাচন নানা কারণে বাতিল ও স্থগিত হয়েছে।


আরও খবর



সাবেক ভ্যাট কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোম্পানিকে (ফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেড) ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের অভিযোগ রয়েছে। শুনানিতে অংশ নেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।

গত মঙ্গলবার (১১জুন) সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন। সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।

এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের অভিযোগ রয়েছে। শুনানিতে অংশ নেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।


আরও খবর