আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

রাজধানীতে শিশু পর্নোগ্রাফির দায়ে যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
অভিযুক্ত তার ব্যবহৃত হোয়াটসএ্যাপ আইডিতে ভারতীয় এক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর অশ্লীল ছবি এবং তার ব্যক্তিগত অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই ছবি বিভিন্ন স্যোসাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল করবে মর্মে হুমকি

শিশু পর্নোগ্রাফির দায়ে রাজধানীর মুগদা থেকে কে এম মীরাজুল আজম (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ মুগদা থানাধীন অতিশ দীপংকর সড়ক থেকে মীরাজুলকে গ্রেফতার করে।

রবিবার (৩ জানুয়ারি) সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর অভিযান পরিচালনা করে মীরাজুল আজমকে গ্রেফতার করা হয়। সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। এসময় শিশু পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত তার মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডিগুলো জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত মীরাজুল অনলাইনে উঠতি বয়সী শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্নোছবি ও ভিডিও সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছে এবং তাদের নিজেদের পর্নোছবি ও ভিডিও দিতে উৎসাহিত করছে। এভাবে দেশি-বিদেশি শিশুদের কাছ থেকে তাদের পর্নোছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে আপলোড করে আসছে।

অভিযুক্ত তার ব্যবহৃত হোয়াটসএ্যাপ আইডিতে ভারতীয় এক অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর অশ্লীল ছবি এবং তার ব্যক্তিগত অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই ছবি বিভিন্ন স্যোসাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল করবে মর্মে হুমকি দেয়। এর জন্য ভিক্টিমের কাছ থেকে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার ভারতীয় রূপি ব্যাংক একাউন্ট এ দেওয়ার জন্য দাবি করে।

কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়া মনিটরিং তথ্যের ভিত্তিতে সাইবার পেট্রোলিং করার সময় পুলিশ এ অভিযুক্তের সন্ধান পায় ও প্রযুক্তিক সহায়তায় তাকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়। রমনা মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।


আরও খবর



হলি আর্টিজানে হামলা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের অপেক্ষা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০১৬ সালের ১ জুলাই (শুক্রবার) রাত ৮টা ৪৫ মিনিট। রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করেছিল। সশস্ত্র হামলাকারীরা ২২ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিক ছিলেন। পরে সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির যৌথ অভিযোগে ভয়াবহ এই ঘটনার অবসান ঘটে। অভিযানে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি নিহত হয়।

ভয়াবহ এই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।

দণ্ডিতরা হলেন রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ।

এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। পরে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। তবে এই মামলায় হাইকোর্টের রায় এখনও প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ উভয়ই এ মামলা আপিলে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের রায় প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রায়ের অনুলিপি পেলে বুঝতে পারব কোন যুক্তিতে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিমুল এহসান জুবায়ের জানান, হাইকোর্টের অনুলিপি আমরা এখনও পাইনি। রায় প্রকাশের পর আসামিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

যেদিন কী ঘটেছিল

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন গুলশান থানার রোড নম্বর-৭১ থেকে ৯২ এবং এর আশপাশ এলাকায় পেট্রোল ডিউটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওয়্যারলেসে ভেসে আসে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে গুলির খবর। খবর পেয়েই ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৮টা ৫০ মিনিটে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসআই রিপন। হলি আর্টিজানের কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পান, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কতিপয় সন্ত্রাসীরা আল্লাহ্ আকবর ধ্বনি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করছে।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে এসআই ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস ও আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এসআই রিপন কুমার দাস বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এরপর পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানের বেকারির চারপাশে কর্ডন করে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে অনবরত গ্রেনেড ও গুলি করতে থাকে।

এ অবস্থায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা হলি আর্টিজানের বেকারির পশ্চিম দিকের বাড়ির সামনে অবস্থানরত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে অন্তত ৩০-৩৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হন, কেউ কেউ মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়। সে সময় চারদিকে ঘিরে থাকা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে যান। আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ২০ মিনিটে বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিমের মৃত্যু হয়।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে রাতেই সিদ্ধান্ত হয় পরের দিন ২ জুলাই অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানের মধ্য দিয়েই জিম্মিদশার অবসান ঘটান সেনা, নৌ, পুলিশ, র‍্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল। নিহত হয় আট জঙ্গি, আহত অবস্থায় ধরা পড়ে একজন।

রাত দেড়টায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে ২০ জন নিহত হওয়ায় কথা জানায়। আইএসের পক্ষ থেকেও হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের সৈনিক বলে দাবি করে।


আরও খবর



পদ্মা সেতুর নদী শাসনে ব্যয় বাড়ল আরও ২৪৯ কোটি

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পদ্মা বহুমুখী সেতুর নদী শাসন ব্যয় আরও একদফা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নতুন করে এ খাতে ব্যয় ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে নতুন করে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ আগামীকাল (৩০ জুন) শেষ হচ্ছে। তার মানে আগামীকাল প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন। তাদের কাজ সমাপ্তির তারিখ ছিল ৩০ জুন ২০২৩। ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড আছে এক বছর। তার মানে তাদের কাজ শেষ হবে আগামীকাল।

তিনি বলেন, এ সময়ে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত কিছু কাজ করতে হয়েছে। দুটি কারণে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছে। একটা হলো প্রকল্পের জাজিরা প্রান্তে নদী শাসন কাজের সীমানায় অবস্থিত কাঁঠালাবাড়ি ফেরি ঘাট, লঞ্চ ঘাট এবং আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে জায়গা পেতে বিলম্ব হয়েছে। এতে তিন বছরের বেশি সময় বিলম্ব হয়েছে।

দ্বিতীয় কারণ হলো, কাজ করতে যাওয়ার সময় ডিজাইন চূড়ান্ত হওয়ার পর মাওয়া প্রান্তে মূল সেতুর ওজনে নদী শাসন কাজের সীমানা বরাবর ২০১২ সালে নদীর প্রচণ্ড স্রোতে নদীভাঙন হয়ে ঠিকাদারের কাজের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ডিজাইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিজাইন তৈরিতে বিলম্ব হয়। এ কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দাখিল করেছে জানান সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান।

পদ্মা সেতুর প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৯৯৮-১৯৯৯ সময়ে। ২০০৩-০৫ সময়ে নিজস্ব অর্থায়নে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করে জাপানের জাইকা। ২০০৬ সালে ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে। ২০০৯-১১ সময়ে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হয়। নিউজিল্যান্ডভিত্তিক মনসেল এইকম সেতুর পূর্ণাঙ্গ নকশা তৈরি করে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর জন্য অর্থায়ন করে এডিবি ও বাংলাদেশ সরকার।

২০১২ সালের জুনে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ বাতিল করে। একই বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৪ সালের ১৭ জুন মূল সেতু নির্মাণ কাজের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর সেতুর মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর কাজ উদ্বোধন করেন।

এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যান বসানো হয়। আর ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হয়।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতুর কাজ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এর অ্যাপ্রোচ সড়ক ১২ দশমিক ১১৭ কিলোমিটার। ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৪৮ কিলোমিটার (সড়ক) এবং ৫৩২ মিটার (রেল)।

পদ্মা সেতু সংলগ্ন নদী শাসন কাজের উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত দরপত্র গ্রহণ করা হয় ২০১৪ সালের ১৯ জুন। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের নদী শাসন কাজের জন্য চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।

প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর সিনোহাইড্রো কর্পোরেশনের সঙ্গে ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর ৪৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্নের লক্ষ্যে চুক্তিপত্র সই হয়। যার চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকা। পরে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় সময়। এই কাজ তদারকির জন্য কন্সট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট হিসেবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নিয়োজিত রয়েছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহান চলাচল শুরু হওয়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নদী শাসনের ব্যয় ৮৭৭ কোটি ৫৩ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৩ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। এখন দ্বিতীয় দফায় পদ্মা সেতুর নদী শাসনের ব্যয় ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা বাড়ানো হলো। এতে মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা।


আরও খবর



বন্যায় আক্রান্ত সিলেট: পানিবন্দি সাত লাখ মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

মাত্র ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটে চলমান দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি। মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরের ১৫টি এলাকার ১০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। বন্যায় ঝুঁকিতে পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিদ্যুতের সাবস্টেশন। সুরমা নদী ছাপিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এটি প্লাবিত হলে দক্ষিণ সুরমার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারেন।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তাদের সহায়তা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ। নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন তারা।

গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই গত শনিবার ফের কবলিত সিলেট।

সোমবার ঈদের দিন ভোর রাত থেকে সিলেটে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সাথে নামে পাহাড়ি ঢল। সকাল হতে না হতেই তলিয়ে যায় মহানগরের অনেক এলাকা। জেলার বিভিন্ন স্থানেও অবনতি হয় বন্যা পরিস্থিতির। সোমবার বিকালে বৃষ্টি থামলে ধীরে ধীরে কিছুটা কমে পানি। কিন্তু মঙ্গলবার ভোররাত থেকে ফের শুরু হয় বৃষ্টি। উজানেও বৃষ্টিপাত হয় প্রচুর। ফলে হু হু করে বাড়তে থাকে সিলেটের সব নদ-নদীর পানি। ঈদের দিন দুটি নদীর পানি ২টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও মঙ্গলবার সকালে ৪টি নদীর পানি ৬ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকালে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় পানি আরও বেড়েছে।

চৌকিদিঘির বাসিন্দা মতিন মিয়া জানান, ঘরে কোমর পানি, আমার পরিবার গাঙ্গের হপাড় রাইক্কা আইছি আশ্রয়কেন্দ্রত। একবারে নিরাশ অবস্থা, খাবারদাবার কিচ্ছুই নাই। এই অবস্থার মাঝে আছি। আমরা বারবার ভোগান্তির শিকার হইরাম। কেউ দেখেরও না। সরকারের পক্ষ থাকিও কুন্তা দেয়া ওর না।

এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। আর সারি-গোয়াইন নদীর সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ০.২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটজুড়ে ৮৬৪টি গ্রাম ও এলাকা প্লাবিত। এসব গ্রাম ও এলাকার ৬ লাখ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৭ জন বন্যা আক্রান্ত। এর মধ্যে সিলেট মহানগরের ৪টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। জেলা ও মহানগর মিলিয়ে ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৮০টি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহানগরের সব নিচু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর প্রায় পুরোটাই পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচতলায় গলা পর্যন্ত পানি। এছাড়া যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, আখালিয়া ও মেজরটিলাসহ মহানগরের অধিকাংশ এলাকা বন্যাকবলিত।

এছাড়া মহানগরের মধ্যে অনেক প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি রয়েছে। এয়ারপোর্ট সড়ক, সিলেট-তামাবিল সড়ক, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডসহ বিভিন্ন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান পানির নিচে। এদিকে মহানগর পুরোটা না হলেও জেলার সব উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাটসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষিজমির ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পানিবন্দি লোকদের উদ্ধারের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়গুলোতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ডেডিকেটেড অফিসার নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আগামী ৩ দিন সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ সময় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সিলেটে ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন দিন সিলেটে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান বুধবার দিনভর সিলেট নগরীর বিভিন্ন বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করে মিরাবাজার কিশোরী মোহন বালক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন।

এসময় নগরীর বন্যা পরিস্থিতি দেখে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ লক্ষ টাকা, ১ শ' মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন প্রতিমন্ত্রী।

ত্রাণ সহায়তায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যার খবর রাখছেন। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবারের পাশাপাশি রান্না করা খাবার বিতরণ করছে সিটি কর্পোরেশন। পানি না কমা পর্যন্ত আমাদের ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এসময় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি, সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ের সেই স্বর্ণের পাহাড়ের মাটি পরীক্ষায় নেমেছে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ঠাকুরগাঁওয়ের সেই স্বর্ণের পাহাড়ে মাটি পরীক্ষায় নেমেছে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের কাতিহার এলাকায় আরবিবি ইটভাটার মাটি পরীক্ষা- নিরিক্ষা করেন ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) মোহাম্মদ আল রাজী।

গত এক মাস ধরে ওই ইউনিয়নের আরবিবি ইটভাটায় বিভিন্ন স্থান থেকে আনা মাটি খুড়লেই পাওয়া যাচ্ছে সোনা এ খবরে এলাকার লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কোদাল-বশিলা ও সাবল নিয়ে স্বর্ণের খোঁজে মাটি খুড়তে থাকে তারা। এভাবে মাটি খোঁড়া চলতে থাকলে উপজেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলার অবনতি কথা চিন্তা করে শনিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করেন এবং সেই স্থানে লাল ফ্লাগ উড়িয়ে দেওয়াসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

তবে সোনা পাওয়ার বিষয়টি কতটুকু সত্য তা যাচাইয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মেহেদী হাসান শুভ ইটভাটার স্তুপের মাটি ও মাটি সরবরাহকৃত স্থানসহ অন্যান্য মাটি পরীক্ষা করতে মঙ্গলবার (২৮ মে) ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তরে আবেদন করেন।

পরবর্তীতে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর দুইজন সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) কে সোমবার থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত মাটির স্তূপ সহ অন্যান্য স্থানের মাটি পরীক্ষা, অনুসন্ধান ও স্ক্যান করে প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য নির্দেশ দেয়।

এ বিষয়ে ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, আমরা তিনটি স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। এরপর এ মাটির নমুনা প্রতিবেদনসহ সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরিতে জমা দেবো পরীক্ষার জন্য। তবে পরীক্ষার আগে কিছুই বলা যাবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, বাচোর ইউপি চেয়ারম্যান জীতেন্দ্রনাথ বর্মণ প্রমুখ।


আরও খবর



নেপাল থেকে ফিরে যা জানালেন ডিবির হারুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়াম কাঠমণ্ড পুলিশের হাতে আটক আছে। এখন তাকে ভারতে বা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (৪ জুন) নেপাল থেকে ফিরে শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, কোথায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং কাকে হত্যা করা হয়েছে, এসব বিষয় বিবেচনা করে ভারত বা বাংলাদেশকে দিতে পারে। তবে ভারতের সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। তাদের দিলেও আমাদের তদন্তকাঝ বাধাগ্রস্ত হবে না।

এ সময় সিয়ামকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং এমপি আনারের বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিনের সবচেয়ে কাছের মানুষ বলে উল্লেখ করেন ডিবি কর্মকর্তা হারুন। তিনি বলেন, এ অবস্থায় ভারতীয় পুলিশের কাছে সিয়ামকে দিলেও ভালো হবে। কারণ তাকে নিয়ে আলামত উদ্ধারসহ তদন্তকে এগিয়ে নেয়া সহজ হবে।

এ সময় সিয়ামের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে আনঅফিসিয়ালি জানানো হয়েছে। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। এছাড়া সেখানকার যে সব হোটেলে সিয়াম ছিল সে সবের ফুটজও সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১ জুন সিয়ামকে নেপালে আটকের খবর পেয়ে সেখানে উড়ে যান ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতা যান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৩ মে তিনি খুন হন। ২২ মে কলকাতার নিউটাউনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ভারতের কলকাতায় তদন্তের পর চার সদস্যের ‌ডি‌বির এক‌টি টিম নেপা‌লে যায়।


আরও খবর