আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশের হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় সারাদেশের সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম মিটিংয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সর্পদংশন ও রাসেলস ভাইপার নিয়ে কথা বলেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে খোজ খবর নেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাসেল'স ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি জনগণকে বলব আপনারা আতংকিত হবেন না। রাসেলস ভাইপারের যে এন্টিভেনম সেটা আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি কোনো অবস্থাতেই এন্টিভেনমের ঘাটতি থাকা যাবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

তিনি বলেন, সর্পদংশনের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রুবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



গবাদি পশুর ওপর প্রথম কর নির্ধারণ, গরুপ্রতি গুণতে হবে সাড়ে ১১ হাজার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর ওপর কর নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু পালনকারী এবং খামারীকে গরুপ্রতি বছরে কর দিতে হবে ৯৬ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা। ইউরোপের অন্যতম কৃষি ও খামার নির্ভর অর্থনীতির দেশ ডেনমার্কে এই সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে।

চুক্তিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর উত্তাপ বাড়াতে পশু থেকে নির্গত গ্যাস (কার্বন) বিশেষভাবে দায়ী। তাই পশুপালনকারীকেও এই দায় বহন করতে হবে। প্রতি গরুর জন্যে পালনকারীকে দিতে হবে ৬৭২ ক্রোন বা ৯৬ মার্কিন ডলার।

দেশটির জোট সরকার চলতি সপ্তাহে কৃষিতে বিশ্বের প্রথম কার্বন নির্গমন কর চালু করতে সম্মত হয়েছে। ২০৩০ সাল থেকে পশুর ওপর নতুন এই কর আদায় কার্যকর হবে। ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক একটি প্রধান দুগ্ধ এবং শুয়োরের মাংস রপ্তানিকারক দেশ। কৃষি নির্ভর অর্থনীতির এই দেশটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমনের বড় উৎস।

জোট সরকারের এই চুক্তির উদ্দেশ হচ্ছে, ৪০ বিলিয়ন ক্রোন খরচ করে বিশাল এলাকায় বনভূমি এবং জলাশয় পুনরুদ্ধার করা। এই বিনিয়োগ দেশটির জলবায়ু সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।

এই বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লার্স লোককে রাসমুসেন মঙ্গলবার (২৫ জুন) বলেন, 'আজকের চুক্তির মাধ্যমে, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ডেনমার্কের পরিবেশগত উন্নয়নে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। বিপুল অঙ্কের কর আমরা পরিবেশ সুরক্ষায় বিনিয়োগ করবো। একই সময়ে, আমরা কৃষিতে (কার্বন) কর নির্ধারক হিসেবে বিশ্বের প্রথম দেশ হবো।'

নিউজ ট্যাগ: গবাদি পশু

আরও খবর



এনবিআরের প্রথম সচিবের ১৬ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে-বেনামে থাকা সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।

এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্য মোস্তাফিজ অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের জন্য ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। পরে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ ও স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার নিজ নামে ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট ক্রয় করেছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালীন জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রয় করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন হতে অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ/সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে নিম্নবর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে অপরাজিতা নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণমূলক অগ্রযাত্রা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অপরাজিতার সৃষ্টি। দীর্ঘ ৭ বছরের (২০১৮-২০২৪) পদযাত্রায় সোমবার (১০ জুন) প্রকল্পটির সমাপনী সভা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে অবস্থিত কারিতাস হল রুমে। যার প্রতিপাদ্য ছিলো নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অপরাজিতাদের সাফল্য শেয়ারিংয়ের গল্প।

অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন শীর্ষক একটি প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ে ২০১৮ সাল থেকে বাস্তবায়িত হয়ে এসেছিলো বাংলাদেশে। ৪টি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত প্রকল্পটিতে অন্যতম সহযোগি ছিলো বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি) ও হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোঅপারেশন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় সহযোগী সংস্থা ডেমোক্রেসিওয়াড, খান ফাউন্ডেশন, প্রিপ ট্রাস্ট ও রূপান্তর।

মূলত এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিলো, স্থানীয় সরকার তথা গভর্নেন্স প্রক্রিয়ায় নারীদের সমান অংশগ্রহণ, প্রতিনিধিত্ব ও নেতৃত্ব প্রসার এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা ও নারীর জন্য গৃহীত রাষ্ট্রীয় আইনগুলো নিশ্চিত করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জনাব শাহিনা সুলতানা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কামরুম মোয়াজ্জেম, জেলা সমাজ সেবা অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুল পাশা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় অপরাজিতা নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি ও সিনিয়র নারী সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ, জনাব মাজেদা বেগম শিরু, এডভোকেসি এন্ড নেটওয়ার্কিং কো অর্ডিনেটর ইসমত আরা ইয়াসমিন, মনিটরিং এন্ড ইভ্যালুয়েশন কো অর্ডিনেটর মোঃ সায়েদুল ইসলাম, জেলা প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর মোঃ আসাদুজ্জামান লিওনসহ অনেকে।

জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলার নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চুমকি চৌধুরী, জুইদন্ডী ইউনিয়নের মোঃ ইদ্রিসসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে আগত নারী ইউপি সদস্যবৃন্দ।

এতদিন ধরে প্রায় নয় হাজার তৃণমূল নারী নেত্রীদের নিয়ে কাজ করে আসছে এ সংস্থাটি যার প্রত্যক্ষ সুবিধা ভোগী প্রান্তিক নারীরা। আর পরোক্ষ ভাবে যারা কাজ করে গিয়েছেন তারা অধিকাংশই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক, বর্তমান বা আগামীর সম্ভাব্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।

প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯ হাজার তৃণমূল নারী নেত্রী যাঁরা নিজেদেরকে অপরাজিতা বলে পরিচয় দেন অধিকতর আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার সাথে এবং দৃশ্যমান নেতৃত্বের ভূমিকায় ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের সাথে যোগ দেওয়া অন্যান্য পর্যায়ের নারী জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরার চেষ্টা করেন।

দশম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চট্টগ্রামে অপরাজিতা কর্ম এলাকায় ১১জন নারী চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য হার দেশের অন্যান্য এলাকায় চেয়ারম্যান পদে নারীদের জয়লাভের হারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুসারে রাজনৈতিক দলসমূহের সকল কমিটিতে কমপক্ষে ৩৩% নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবিতে অপরাজিতারা অভাবনীয় সাফল্যের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকশ রাজনৈতিক নেতানেত্রীকে (অধিকাংশই পুরুষ) সংলাপে যুক্ত করেছেন। অপরাজিতার কর্ম এলাকায় বাল্যবিবাহের পাশাপাশি লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা রোধে ব্যপক কাজ করে গেছে।

অনুষ্ঠানে আগত অপরাজিতার সাথে যুক্ত নারীরা বলেন, অপরাজিতা আমাদের রাজনীতি শিখিয়েছে, ঘর থেকে বের হতে শিখিয়েছে, সমাজে কথা বলতে ও মাথা উচু করে চলতে শিখিয়েছে। আজ আমরা পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন বাঁধা ডিঙিয়ে প্রত্যেকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল।

জনাব শাহীনা সুলতানা বলেন, নারীরা আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার খুবই নারী বান্ধব। তবুও প্রত্যেকটা জায়গায় প্রত্যেকটা বিষয়ে নারীদের আজও নিজেদের প্রমান করতে হয়, যেটা আমরা নারী অফিসার হয়েও রেহাই পাই না। একজন শিরিন শারমিন, একজন শেখ হাসিনা সবাই হতে পারেনা। তাই নারীদের মনেবল হারালে চলবেনা, এগিয়ে যেতে হবে।

সিনিয়র সাংবাদিক ডেইজি মওদুদ বলেন, সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে আজও মেয়েরা এক পা এগুলো ২ পা পিছায়। এখানে যারা উপস্থিত আছেন প্রত্যেকে একেকজন আলোকবর্তিকা। প্রত্যেকের জন্য শুভ কামনা। নারীদের সমাজের জন্য অনেক কিছু করার আছে।

মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কামরুম মোয়াজ্জেম বলেন, যে নারীরা প্রত্যেকে নিজের চিন্তা করতে শিখেছেন, প্রত্যেকে অপরাজিতা। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই নিরাপদ কৃষিতে নারীদের আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে। নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের কৃষিতে মহিলাদের ৩০% অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

আনোয়ারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চুমকি চৌধুরী বলেন, মেয়েরা মেয়েদের শত্রু নয়। তাই সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে দেশের অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে হবে।

সমাপনী বক্তব্য প্রদান কালে মাজেদা বেগম শিরু বলেন, নারীরা আজ অনেক বেশি এগিয়ে। অপরাজিতার প্রকল্প শেষ হলেও অপরাজিতা সকলের মধ্যে যে আন্তঃযোগাযোগ তৈরি করে গেলো তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আমরা অপরাজিতার অনুপ্রেরণায় কাজ করে যাবো সারাজীবন।


আরও খবর



বন্যা পরিস্থিতি: হাসপাতালে স্যালাইন-ওষুধ মজুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারি বৃষ্টি এ উজানের ঢলে বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেট বিভাগে। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও বন্যাকবলিত এলাকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের কয়েক জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় ডায়রিয়া এবং পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও ওষুধ মুজত রাখতে হবে।

একই সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে, বন্যার সময় এবং বন্যা পরবর্তী রোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সিলেট। মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরে ১৫টি এলাকার ১০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত।

বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার বিদ্যুতের সাবস্টেশন। সুরমা নদী ছাপিয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এটি প্লাবিত হলে দক্ষিণ সুরমার প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। তাদের সহায়তা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ। নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন তারা।

গত ২৭ মে সিলেটে আগাম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সব উপজেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হন। সেই বন্যার পানি পুরোপুরি নামার আগেই গত শনিবার ফের বন্যাকবলিত সিলেট।


আরও খবর



চলচ্চিত্র নির্মাণে ১৪ কোটি টাকা অনুদান দিল সরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জন্য চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ২০ জনকে ১৪ কোটি টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) ঘোষণা করা হয়েছে অনুদান পাওয়া এ বছর ২০টি সিনেমা ও ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার নাম। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় দুটি সিনেমা অনুদান পেয়েছে। একটি পাকিস্তানে বন্দিজীবন’। এটি পরিচালনা ও প্রযোজক সাজেদুল ইসলাম। অন্যটি ছোঁয়া’, এর পরিচালক ও প্রযোজক রাকিবুল হাসান। দুটি সিনেমাই ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে।

শিশুতোষ শাখায়ও একইভাবে দুটি সিনেমা অনুদান পেয়েছে। অদ–ভুত’ নামে সিনেমাটির প্রযোজক রাইদ মোরশেদ। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন তাওকীর ইসলাম। প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলনবিলের মানিক’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন নিয়ামুল মুক্তা। দুটি সিনেমাই ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে।

প্রামাণ্যচিত্র শাখায় ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান পেয়েছে নো ম্যাডস অব দ্য নর্থ’। এর পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন পিপলু আর খান। অন্যটি কালের যাত্রা’। তথ্যচিত্রটির প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে রয়েছেন রাসেল রানা দোজা।

এবার সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে ১৪টি সিনেমা। প্রতিটি সিনেমা ৭৫ লাখ টাকা করে অনুদান পাবে। পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে মিহিন গাথা’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছে মির্জা শবনব ফেরদৌসী। ঠিকানা’ সিনেমার জন্য পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর। অন্যদিকে ফজলে হাসান শিশির সুরাইয়া’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন রবিউল আলম রবি।

‘জয়া’ সিনেমার জন্য পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন গোলাম মোস্তফা। লোভ’ সিনেমার প্রযোজক পিংকি আক্তার, সিনেমাটি পরিচালনা করবেন সঞ্জয় সমাদ্দার। এটির প্রযোজক হিসেবে অনুদান পেয়েছেন পিংকি আক্তার। পরিচালনা ও প্রযোজক হিসেবে সখী রঙ্গমালা’ সিনেমার জন্য অনুদান পেয়েছেন এন রাশেদ চৌধুরী।

সাধারণ শাখায় আরও অনুদান পেয়েছে শেলী কাদের প্রযোজিত জাত’। এটি নির্মাণ করবেন নারগিস আক্তার। আরেকটি সিনেমা ময়নার চার’–এর প্রযাজক সুমন পারভেজ, পরিচালক এ জেড এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, কালবেলা’ নামে নির্মিতব্য আরেকটি সিনেমার প্রযোজক ও পরিচালক ইব্রাহীম খলিল মিশুক (মিশুক মনি)।

এই তালিকায় আরও আছে মনোজ প্রামাণিক প্রযোজিত সেয়ানা’, এটি পরিচালনা করার কথা ইকবাল হাসান খানের। আছে আজিরন’ নামে আরও একটি সিনেমা, এটির প্রযোজক ও পরিচালক গীতালি হাসান। এ ছাড়া আছে পোস্টমর্টেম’। ছবিটির প্রযোজক মো. নিজাম উদ্দিন, পরিচালক, আরিফ সিদ্দিকী, হা ঘরে’ নামে আরেকটি সিনেমাও আছে তালিকায়। ছবিটির প্রযোজক নূর মনির, পরিচালনা করবেন নাসরুল্লাহ মানসুর।সাধারণ শাখায় মনোনীত আরেকটি সিনেমা হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’। সিনেমাটির প্রযোজক ও পরিচালক দেওয়ান নজরুল।

এ ছাড়া ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজককে অনুদান প্রদানের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় অনুদান পেয়েছে দুটি সিনেমা। এগুলো হলো অপরাজিত ৭১’। এরপর প্রযোজক ও পরিচালক মঈন উদ্দিন পাঠান। আরেকটি সিনেমা হলো জলদাসী’। এটির প্রযোজক ও পরিচালক মো. আবদুল খালেক (খালেক সাদমান)। দুটি সিনেমাই ২০ লাখ টাকা করে অনুদান পাচ্ছে।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের শিশুতোষ শাখায় ২০ টাকা অনুদান পাচ্ছে ডালিমকুমার ও তালপুকুরের কিচ্ছা’। এটি প্রযোজক ও পরিচালক সামির আহমেদ।

এ ছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছে তিনটি সিনেমা। এগুলো হলো জুয়েইরিযাহ মউ–এর মৌতালি পিঠার ঘ্রাণ’, এস এম কামরুল আহসানের ফিনিক্স পাখি’ ও মোহাম্মদ মামুন ছোবহানীর আবু ইব্রাহিমের মৃত্যু’। তিনটি সিনেমাই ২০ লাখ করে টাকা অনুদান পাচ্ছে।


আরও খবর