আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই নিপুণের

প্রকাশিত:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নিপুণের শিল্পী সমতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পক্ষে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর আগে নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছিল আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল গ্রহণ করে তাকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে চলচ্চিত্র সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।


আরও খবর



মাদক মামলায় পুলিশ সদস্যকে বাঁচাতে চার্জশিটে ‘জালিয়াতি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে ইয়াবা ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে বাঁচাতে মামলার চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দের বিরুদ্ধে।

ওই মামলার এক আসামি এ বিষয়ে অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায়, মামলার বাদী ফরহাদ আকন্দ চার্জশিটের পাতায় অগ্রগামীর জন্য ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার স্থলে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন এবং স্বাক্ষরকৃত চার্জশিট আদালতে দাখিলও করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, এটি এক ধরনের জালিয়াতি। কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে মামলার বাদী স্বাক্ষর করতে পারেন না।

তবে ফরহাদ আকন্দ বলছেন, সফট কর্নার থেকেই পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে মাদক মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০২ পিস ইয়াবা ও ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আতিকুল ইসলাম আতিক ও পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক আজাহারুল ইসলাম।

মামলার এজাহারের মধ্যভাগে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত দুজন আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ট্যাবলেট ও হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিল। পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মরত।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক সৌমিক রায় বদলি হয়ে যায়। এ সময় মামলার চার্জশিট তৈরি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর ওই চার্জশিটে সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার সিল ব্যবহার করে মামলার বাদী ফরহাদ আকন্দ নিজেই চার্জশিট অগ্রগামীর জন্য স্বাক্ষর করেন এবং গত ২১ মে আদালতে তা দাখিল করা হয়।

স্বাক্ষরকৃত চার্জশিটে আতিকুল ইসলাম আতিককে অভিযুক্ত করা হয় এবং পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, পুলিশ কনস্টেবল হওয়ার কারণেই মাদক মামলা থেকে বাঁচাতে তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এটা বোঝা যায়। এখানে কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, এটা গুরুতর অপরাধ।

ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক সৌমিক রায় বলেন, ২৫ এপ্রিল আমি বদলি হয়ে যায় এবং ২৭ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে শেষ কর্মদিবস ছিল। মামলার চার্জশিট থেকে আসামিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

ফরহাদ আকন্দ বলেন, সফট কর্নার থেকে চার্জশিটে পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে। চার্জশিট দেওয়ার সময় এখানে সহকারী পরিচালক ছিলেন না। তাই নিজেই চার্জশিট অগ্রগামীর জন্য সহকারী পরিচালকের পক্ষে স্বাক্ষর করে আদালতে জমা দিয়েছি এবং বিষয়টি রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা অবগত রয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও জজকোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোজাফ্ফর আহমেদ মানিক বলেন, দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক বদলি হয়েছেন। এই সুযোগে জালিয়াতি করে ওই কর্মকর্তার সিল ব্যবহার ও স্বাক্ষর করে চার্জশিট অগ্রগামী করেন মামলার বাদী। কোনোভাবেই এটি তিনি করতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট দপ্তর অথবা আদালত নিতে পারবেন।

বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, আমার কর্মস্থল নীলফামারী জেলায়। কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলায় সহকারী পরিচালকের পদটি শূন্য। ফলে গত ২৮ মে অতিরিক্ত হিসেবে আমাকে ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মাদক মামলা থেকে আসামিকে উপযুক্ত ডকুমেন্টস ছাড়া বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। সেই সঙ্গে সহকারী পরিচালকের সিল ব্যবহার ও স্বাক্ষর করার বিষয়টি নজরে এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন বলেন, চার্জশিটের বিষয়টি জানতে চেয়েছি, আসুক তারপর দেখব। আর সব মামলায় যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতামত লাগবে এমনটি নয়। তবে কোনো মামলা যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কীভাবে কী হলো। চার্জশিট দাখিলে অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত ২৪ জুন আফগানিস্তানের কাছে হেরে সুপার এইট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এরপর কিছুদিন ক্যারিবীয় দীপপুঞ্জে কাটানোর পর শুক্রবার (২৮ জুন) দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে তারা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানে হেরে যায় শান্তর দল। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শেষ আটে জায়গা করে নেয় টাইগাররা।

তবে শেষ আটে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যায় শান্ত বাহিনীরা। এরপর ভারতের কাছেও হারে বাংলাদেশ। তবে দুই ম্যাচ হেরেও সেমিতে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। শেষ আটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। তবে নাটকীয় সেই ম্যাচ হেরে শেষ আট থেকেই বিদায় নেয় শান্তর দল।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে সাবেকরা প্রশংসা করলেও ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা করেছেন সকলে। ব্যাট হাতে কেউ এবারের বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেনি। সবাইকে হতাশ করেছেন সাকিব-শান্তরা। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহও ছিলেন অনুজ্জ্বল।

তবুও তাদের মাঝে নিজেকে মেলে ধরেছেন তাওহীদ হৃদয়। আর বল হাতে তো সবার সুনাম কুড়িয়েছেন তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন। মুস্তাফিজ, তাসকিনরাও নিজেদের ছন্দেই ছিলেন।


আরও খবর



ঝিনাইদহে ট্রাকের ধাক্কায় আলমসাধু চালক নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহ সদরের গোপিনাথপুর এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে মাছ বোঝাই আলমসাধুর মুখোমুখি সংঘর্ষে আছাদুল (৩৫) নামের এক আলম সাধু চালকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল এ ঘটনা ঘটে। সে মেহেরপুর জেলার গাংনি থানার যুগীরগোফা গ্রামের তাইজুল মিস্ত্রির ছেলে।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক তানভীর হাসান জানান, সকালে আলমসাধু যোগে মেহেরপুরের গাংনী এলাকা থেকে ড্রামে মাছ নিয়ে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিল আছাদুল। পথিমধ্যে ঝিনাইদহের গোপিনাথপুর এলাকায় ডিঙ্গেমারা ব্রিজের সামনে পৌঁছালে সামনের দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে আলমসাধুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরে মৃতদেহটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।


আরও খবর



আফতাবনগরে পশুরহাট বসানো যাবে না: আপিল বিভাগ

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আসন্ন ঈদে আফতাবনগরে পশুরহাট বসানো যাবে না।

সোমবার (৩ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ওই এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন ঢালী।

এরপর গত ৮ মে আফতাবনগরে গরুর হাট বসানোর ইজারার বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।

রাজধানীর যেসব স্থানে বসবে পশুরহাট

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে গাবতলী গবাদিপশুর হাট (স্থায়ী হাট), ভাটারা সূতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা এলাকার খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ী ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড, মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা, মোহাম্মদপুর বছিলা, ঢাকা পলিটেকনিক এলাকার খালি জায়গায় হাট বসার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্থায়ী পশুর হাট সারুলিয়ায়। এছাড়া উত্তর শাহজাহানপুর, লেদার টেকনলজি কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, পোস্তগোলা শ্মশান সংলগ্ন খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার এলাকা, কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকা, দনিয়া কলেজ মাঠ যাত্রাবাড়ী, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল এলাকা, আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন এলাকা লালবাগ, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ডে হাট বসার কথা রয়েছে।


আরও খবর



কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে এমপি আনারের হাড় উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে কলকাতার সিআইডি। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম। তবে হাড়গুলো এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। রোববার সকালে এ অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার (৭ জুন) এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শনিবার তাকে ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালত।

শনিবার সারারাত ধরে সিয়াম হোসেনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিআইডির কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হোসেন সিআইডিকে বেশ কিছু তথ্য জানান। রোববার সকালে সিয়াম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাগজোলা খালে আসেন সিআইডি কর্মকর্তারা। যে স্থানে এমপি আনারের দেহাংশ ফেলা হয় সেই স্থানটি দেখিয়ে দেন সিয়াম হোসেন। তারপর সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন সদস্যের দল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে তল্লাশি অভিযান চালান।

তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়। হাড়গুলো উদ্ধার করে ফরেনসিক টেস্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে সিআইডি। তবে সেই হাড়গুলো মানুষের না অন্য কিছুর তা জানা যাবে, ফরেনসিক পরীক্ষার পর।

সিয়ামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা।), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয় সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে গত ২৮ মে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তবে সেগুলো এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ।


আরও খবর