আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

সাভারে একই পরিবারের তিনজনকে খুনের ঘটনায় আটক দুই

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারের আলোচিত ও ক্লুলেস একই পরিবারের ০৩ জনকে গলা কেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

সোমবার (২ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান, একটি সংক্ষিপ্ত প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা সাগর আলী ও তার স্ত্রী  ইশিতা বেগমকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাদেরকে গাজীপুর জেলার শফিপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় মঙ্গলবার ( ৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ ঢাকা, কারওয়ান বাজার, র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে, আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও গ্রেফতার পুরো বিষয়টি ব্রিফ করবেন।

এর আগে শনিবার রাতে আশুলিয়ার ইউনিক ফকির বাড়ি মোড় এলাকার, তালতলা মসজিদের বিপরীতে মেহেদী হাসানের বাড়ির চারতলার ফ্লাট বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, ঠাঁকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ থানার লোহাগড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন (৫০), তার স্ত্রী সহিদা বেগম (৪০) ও তাদের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (১২)। সহিদার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।

এঘটনায় নিহত বাবুল হোসেনের ভাই আয়নাল হক বাদী হয়ে গত ১ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হয়েছিল।

নিউজ ট্যাগ: সাভার

আরও খবর



চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে : সাঈদ খোকন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা শহরের কাঁচাবাজারগুলোতে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

সোমবার (১৩ মে) পুরান ঢাকার ওয়ারীর নরেন্দ্রনাথ বাসক লেনে ৮০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে।

কাঁচাবাজারে টোলের নামে চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, কাঁচাবাজার কেন্দ্রিক টোল আদায়ের নামে যে চাঁদাবাজিটা হয়, এই চাঁদাবাজি আমাদের পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের একটা ছোট সংসারে বাসা ভাড়া দেওয়ার পর হাতে কতটুকুই টাকা থাকে। এ দিয়ে একটা সীমিত আয়ের সংসার চালাতে হয়।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে মুরগি-সবজি ট্রাক থেকে নামালে টাকা দিতে হয়, উঠালে টাকা দিতে হয়, বিক্রি করলে টাকা দিতে হয়, বাড়িতে নিয়ে গেলেও টাকা দিতে হয়, সবখানে টাকা দিতে হয়। এসব কাজ করে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন এবং সুনাম ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি কথাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইন হিসেবে মেনে কাজ করেন। শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করা শোভনীয় নয়। আমাদের কিছু কাজ-কারবার, আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। গরিবের কষ্ট লাঘব করতে প্রধানমন্ত্রী চাল-ডাল ইত্যাদি দিয়েই যাচ্ছেন, যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের কষ্ট না হয়। আমরা আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দ্রব্যমূল্য সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে। আমাদের অর্জন রয়েছে, আমাদের চেষ্টা রয়েছে। কিছু দুষ্টুলোকের কাজের কারণে আমাদের চেষ্টাগুলো ম্লান হয়ে যায়। চেষ্টাগুলো মলিন হয়ে যায়।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে সাঈদ খোকন বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে এই চাঁদাবাজি বন্ধ করুন। আমরা গরিবের কষ্ট দেখতে চাই না। শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দিন নেই রাত নেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এই অবস্থা দেখার জন্য নয়। এই অরাজকতা হতে দেওয়া যায় না। খুব দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে, কোনোভাবেই এটা চলতে দেওয়া যাবে না। যেসব কাজে মানুষের কষ্ট হয় সে কাজ শেখ হাসিনা কখনোই মেনে নেবেন না। যারা এই কাজ করছেন তারা যদি আওয়ামী লীগের পরিচয় দেন তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের কাতারে আসুন। মানুষের সেবা করুন, আমাদের সঙ্গে আসুন, আমাদের পাশে থাকুন।


আরও খবর



৯ মাসে শতাধিক অটোরিকশা ছিনতাই করে চক্রটি : হায়াতুল ইসলাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে চালককে অজ্ঞান করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই ও চালক নিহতের ঘটনায় একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রামপুরা থানা পুলিশ।

গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে আপডাউন যাতায়াতের কথা বলে চালক শাহ আলম মিয়ার রিকশা ভাড়া করে চক্রটি। পরে মাঝপথে কৌশলে রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে নেয় চক্রটি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ছিনতাই চক্রের হোতা মো. শরীফুল ইসলাম (৩২) ও তার অন্যতম সহযোগী চান্দু (৪০) এবং চোরাই রিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া (৫৯) ও মো. আল আমিন (৩৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭টি চোরাই রিকশা উদ্ধার করা হয়। গত ৪ মে রাজধানীর মুগদা মানিক নগর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম।

হায়াতুল ইসলাম বলেন, ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে চক্রের হোতা শরীফুল ইসলাম। সে পেশায় কাভার্ডভ্যান চালক। ৯ মাস আগে তিনি যে কাভার্ডভ্যান চালাতেন সেটি মালিক বিক্রি করে দেওয়ায় বেকার হয়ে যায়। এরপর একজনের মাধ্যমে অটোরিকশা চুরি শেখে। তারা প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪টি রিকশা ছিনতাই করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে অটোরিকশা চালক শাহা আলমের (নিহত) রিকশায় দুজন যাত্রী ওঠে। পরে পথে তাকে অজ্ঞান করে রিকশাটি নিয়ে যায় চক্রটির সদস্যরা।

শাহা আলমকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ এপ্রিল মারা যায় সে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রামপুরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে বনশ্রী ও খিলগাঁও এলাকার শতাধিক সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এ বিশ্লেষণ করে অজ্ঞান পার্টির হোতা শরীফুল ইসলাম ও তার সহযোগী চান্দু, শাহাবুদ্দিনকে শনাক্ত করা হয়। পরে শনিবার (৪ মে) রাতে মুগদা থানার মানিক নগর এলাকা অভিযান চালিয়ে শরীফুল ও চান্দুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২টি চেতনানাশক ট্যাবলেট ও একটি অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ফুল মিয়া ও আল আমিনকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৭টি চোরাই অটো রিকশা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার শরীফুল প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে গত ৯ মাসে শতাধিক রিকশা চুরি করেছে। এমন কি শাহা আলমের রিকশা ছিনতাই করার পরেও অন্তত ৯টি অটো রিকশা ছিনতাই করেছে। এই সকল রিকশা তারা ফুল মিয়া ও অপর একটি চক্রের কাছে বিক্রি করত।


আরও খবর



কাল শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় গবেষণা মেলা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার কাজগুলোকে জাতির সামনে তুলে ধরা এবং নতুন গবেষকদের উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে গবেষণা মেলা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চের প্রাঙ্গনে আগামী ৮ ও ৯ মে অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা, উদ্বোধন করবেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। মেলার সমাপনী দিনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। এদিন শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ক্লাস নিবেন তিনি।

গত বুধবার (১ মে) ২য় গবেষণা মেলা-২০২৪ এর আহ্বায়ক এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক ড. মার্জিয়া আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা মনস্কতা বাড়ানো এবং বিদেশের সাথে যোগাযোগ করে যাতে তারা আরো বেশি গবেষণায় উদ্ভুদ্ধ করতে পারে নিজেদের সেজন্য এই মেলার আয়োজন একটি অনবদ্য সিদ্ধান্ত।

জানা গেছে, এবারের গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তর, আইকিউসি ও ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ অংশগ্রহণ করবে। গত ৬ মে (সোমবার ) তাদেরকে ১টি করে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মোট ৩০টি স্টলের মধ্যে ২টি স্টলকে অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন স্টল হিসেবে রাখা হবে। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হবে। এছাড়াও গবেষণা মেলায় ২য় গবেষণা মেলা-২০২৪ নামে একটি প্রকাশনির মোড়ক উন্মোচন করা হবে যাতে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে করা সকল গবেষণা প্রকল্পের শিরোনাম থাকবে। ৯ মে মেলার দ্বিতীয় দিন অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে একটি ব্রিফিংয়ের সুযোগ পাবেন; যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। এছাড়া বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।

ফোকলোর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমি আসলে প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। এর আগে কখনো গবেষণা বিষয়ে কোন মেলায় অংশগ্রহণ করিনি, তাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি এই মেলার জন্য। এই মেলা হয়তো ভবিষ্যতে আমাকে গবেষণা করতে উদ্বুদ্ধ করবে। আসলে আমি মনে করি গবেষণা যত বেশি হবে শিক্ষার গভীরতা ততই বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানসৃষ্টির আধার উল্লেখ করে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এটি আমাদের ২য় গবেষণা মেলা। শিক্ষকদের গবেষণার প্রতি আকৃষ্ট করতে এই মেলার আয়োজন। এই মেলায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণা মনস্কতা বাড়াবে। এই মেলায় অংশগ্রহণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে। আমরা মনে করি জ্ঞানসৃষ্টির জন্য গবেষণার কোনো বিকল্প নেই।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে সবার সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের আয়োজনে এই গবেষণা মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




সনদ জালিয়াতি: অভিযুক্ত সাংবাদিকরা ডিবির মুখোমুখি হতে পারেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সার্টিফিকেট জালিয়াত চক্রের মূলহোতা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান যেসব সাংবাদিকের নাম বলেছেন সেসব সাংবাদিক চাইলে তার মুখোমুখি হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (১১ মে) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিবিপ্রধান।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম বলেছেন এ কে এম শামসুজ্জামান। সার্টিফিকেট জালিয়াতির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সাংবাদিক, দুদক কর্মকর্তা ও বোর্ডের চেয়ারম্যানের আশপাশে থাকা দালাল শ্রেণির লোকদের মোটা অংকের অর্থ দিতেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, সাংবাদিকরা ডিবির শত্রু বা প্রতিপক্ষ নয়। আমরা অন্যায়ভাবে কোনো সাংবাদিকদের নাম বলতে চাই না। শামসুজ্জামান গুটিকয়েক সাংবাদিকের নাম বলেছেন। কখন কোন সাংবাদিককে কোথায় কত টাকা দিয়েছেন তা সবকিছু স্বীকার করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিকের নাম এসেছে তারা চাইলে শামসুজ্জামানের মুখোমুখি হতে পারেন অথবা ডিবির মুখোমুখিও হতে পারেন। যদি তাদের (সাংবাদিকদের) স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ থাকে, তা উপস্থাপন করতে পারেন। যাদের নাম এসেছে প্রয়োজন হলে আমরাও তাদের সঙ্গে কথা বলবো। সার্টিফিকেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাবো।

শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ঈদের আগে যখন প্রথম রিমান্ডে ছিল তখন এক সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করে বলেন, ঈদ চলে এসেছে টাকা কবে দেবেন? সেই মুহূর্তে শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তোমার কাছে সাংবাদিক টাকা চাইছে কেন? তখন শামসুজ্জামান আমাদের কাছে খোলামেলা জানান, তার এ পদ ধরে রাখার জন্য তাকে অনেককে ম্যানেজ করতে হয়েছে। তাদের ম্যানেজ না করলে এ পদ থেকে সরিয়ে দিতো।

রিমান্ডে থাকা শামসুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিবির কাছে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সবকিছু জানানো হবে। এছাড়া বুয়েটের অভিজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে কতগুলো সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করে তারা বিক্রি করেছেন সবগুলো বিষয় তদন্তে চলবে।

ডিবিপ্রধান বলেন, জালিয়াতির অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। উচ্চপর্যায়ের এ তদন্ত কমিটির কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্য থাকার পরেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব করে। অভিযুক্ত শামসুজ্জামান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চাকরিচ্যুত ফয়সালকে দিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করছিল। জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বোর্ডের ওয়েবসাইটে তারা আপলোড করেন। যা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে যাচাইয়ের জন্য বৈধ বলে ওয়েবসাইট থেকে প্রমাণ করতো।

তিনি বলেন, দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি রয়েছে। দুদক সম্পর্কে শামসুজ্জামান যা বলেছেন যদি সেগুলো দুদক যাচাই-বাছাই করতে চায় তবে তারা প্রয়োজন মনে করলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

দুদকের কর্মকর্তারা কীভাবে জড়িত। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের চারপাশে দালাল শ্রেণির লোক, শিক্ষা বিটের সাংবাদিক এবং দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা যদি শামসুজ্জামানের সঙ্গে থাকে তবে সে তার সার্টিফিকেট বাণিজ্য আরও বড় আকারে করতে পারে। এ উদ্দেশ্যে সে ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসার ভেতর সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারখানা গড়ে তুলেছিল।


আরও খবর



ইত্তেফাকের টুঙ্গিপাড়া সংবাদদাতা বিএম গোলাম কাদের আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি:

টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা বিএম গোলাম কাদের (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (১১ মে) ভোর ৪টায় গোপালগঞ্জ আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি চার সন্তান ও স্ত্রী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১০ মে) রাতে স্ট্রোক জনিত কারণে অসুস্থ হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন সাংবাদিক গোলাম কাদেরের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গোপালগঞ্জ আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পরে ভোর ৪ টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শনিবার জোহর বাদ মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে দৈনিক ইত্তেফাকের টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা বিএম গোলাম কাদেরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।


আরও খবর