চীন ও ভারতের বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলে
উত্তেজনা প্রশমনে একমত হয়েছে দেশ দুটি। বুধবার (২৩ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস
শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং। বৈঠকের পর বিতর্কিত সীমান্তে
উত্তেজনা প্রশমনে একমত হয়েছেন তারা। ভারতের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বেইজিং জানিয়েছে, মোদির অনুরোধে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর বিবিসির।
ভারত ও চীনের সম্পর্কে অবনতি ঘটছে ৩ বছরেরও
বেশি সময় ধরে। হিমালয় অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নামে পরিচিত ৩ হাজার
৪৪০ কিলোমিটার (২১০০ মাইল) দীর্ঘ সীমান্তে দুই বিশ্বশক্তি একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র
সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেন, উভয় পক্ষই এলএসি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রচেষ্টা
জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
কোয়াত্রা বলেন, ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক
করার জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং এলএসি পর্যবেক্ষণ ও
সম্মান করা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে
বলেছে, দুই নেতা বর্তমান চীন-ভারত সম্পর্ক এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রশ্নে
খোলামেলা ও গভীরভাবে মতবিনিময় করেছেন। প্রেসিডেন্ট শি জোর দিয়ে বলেছেন, চীন-ভারত
সম্পর্কের উন্নতি দুই দেশ ও জনগণের অভিন্ন স্বার্থে কাজ করে। এছাড়া বিশ্ব ও এই অঞ্চলের
শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও সহায়ক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উভয় পক্ষকে তাদের
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক স্বার্থের কথা মাথায় রাখতে হবে এবং সীমান্ত ইস্যুটি
যথাযথভাবে পরিচালনা করতে হবে। যেন যৌথভাবে সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা
করা যায়।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, মোদি
ও শি যখন আলোচনা করেন তখন সেখানে কোনো দোভাষী বা নোট গ্রহণকারী ছিলেন না।