আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেড় শতাধিক আহত ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। আহতদের চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এ কথা জানিয়েছেন। তিনি চিকিৎসকদের দ্রুত হাসপাতালে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২ শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আশপাশের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছেন।


আরও খবর



স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি: কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথ সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এক কথায় বলতে পারি, সংগ্রাম, সাফল্য ও সংস্কৃতির বর্ণিল প্রতিভাসের নাম আওয়ামী লীগ। দুটি পর্বে আমাদের এই সংগ্রাম, আন্দোলন, অর্জন উন্নয়নকে যদি ভাগ করি একটি অংশে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা কেন্দ্রাতীত শক্তি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পলাশীতে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ১৯৪৯ সালে সে সূর্য আবার উদিত হয়েছিল। উদিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথকে সামনে রেখে।

তিনি বলেন, জনগণের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়ে প্রতিরোধের দাবানল ছড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়াই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংগ্রাম, আন্দোলন মুক্তি সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর পর একাত্তরের ৭ মার্চ যা বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম স্বাধীনতা বিজয়ী আমরা হয়েছি কিন্তু আমাদের মুক্তির স্বপ্ন তখনো বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তির যে সংগ্রাম তা ব্যাহত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে জিয়াউর রহমান নিঃশেষ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ সব কিছুই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত। ঐতিহাসিক ৭ জুন ছিল না, ৭ মার্চ ছিল না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিষিদ্ধ। জয়বাংলা ছিল নিষিদ্ধ। তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঘুরে বেড়াতো বুক ফুলিয়ে জিয়াউর রহমানের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে। কারাগারে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়ার পরে এরশাদ, এরশাদের পর বেগম খালেদা জিয়া একুশ বছর ধরে আমরা অন্ধকারে ছিলাম। একুশ বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ছিল নির্বাসনে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বিজয়ের নায়ক, স্বাধীনতার স্থপতিকে বাদ দিয়ে উদযাপন করা হতো।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অন্ধকারে আশার আলো হয়ে এসেছিল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। তিনি এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুত্থান হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন বাংলাদেশের জন্য সারা পৃথিবীতে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বব্যাংককে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। আমাদের সামর্থ্যের প্রতীক, আমাদের সক্ষমতার প্রতীক এই পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবারি গভীর সমুদ্র বন্দর, স্যাটেলাইট, ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা, ছিটমহল সমস্যার সমাধান এসব অর্জন বঙ্গবন্ধুর কন্যার।

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরে অর্জন কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অর্জনের কথা আমরা বলবো না। ৭৫ বছরে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, আমরা আমাদের রক্তের মূল্যে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করবো। আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বিএনপি, মুক্তিযুদ্ধের নামে এরা ভাওতাবাজি করে। আমাদের সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের আজকে শপথ এই অভিন্ন শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। পরাভূত করতে হবে। আমাদের বিজয়কে আমরা সুসংহত করবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবো।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির সফর নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা নিয়ে এসেছেন সেটা নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যাননি। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে এখানে যা বলার দরকার কোনো কিছু বলতে সংকোচ করেননি। ভুলে যাননি।


আরও খবর



উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-কানাডা

রাত পেরোলেই পর্দা উঠছে কোপা আমেরিকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের শুরু থেকেই চলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর তার মধ্যে কয়েক দিন আগে শুরু হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপের পর ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহরণ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ অথবা ইউরো কাপ। এতে করে ক্রীড়াপ্রেমীরা খুব ব্যস্ত সময়ই পার করছে। এর মধ্যেই আগামীকাল ভোর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে লাতিন ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা আমেরিকা।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। এই কথার সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো অবকাশ নেই। অনেকের কাছে ফুটবল শুধু একটি খেলাই নয়, এটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ-অনুভূতি। প্রিয় দল জিতলে যেমন উল্লাসে মেতে উঠে তেমনিভাবে প্রিয় দল হারলে চোখ থেকে বেয়ে পড়ে বেদনার অশ্রু। বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আসলে ফুটবল নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে কয়েক গুণ। প্রিয় দলের জার্সি গায়ে, অনেকে বাড়ির আঙিনায় টানান প্রিয় দলের পতাকা। টং দোকানের চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, সবখানে হয় ফুটবল কেন্দ্রিক আলোচনা।

চলছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ইউরো। এর মধ্যে আগামীকাল সকালে পর্দা উঠতে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর কোপা আমেরিকা। অনেকের মতো ফিফা বিশ্বকাপের মতো এই টুর্নামেন্টের অবস্থান। তাই তো ফুটবল ভক্তরাও চাতক পাখির মতো মুখিয়ে থাকে এই টুর্নামেন্টের জন্য। কেননা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে দেখা যায় ফুটবলের সবচেয়ে বড় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো এই বঙ্গ দেশে ছড়িয়ে পড়ে সেই রেশ। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে তো ইউরোপ-আমেরিকা থেকে প্রিয় দলকে নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাসে মাতেন লাল-সবুজের এই দেশের মানুষরা। গেল কাতার বিশ্বকাপেও নতুন করে যা জেনেছে গোটা বিশ্ব।

এবারের কোপা আমেরিকার আয়োজক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যা এই টুর্নামেন্টের ৪৮তম আসর। এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো কোপা আয়োজন করবে দেশটি। প্রথম বারের মতো ২০১৬ সালে কোপা আয়োজন করে দেশটি। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর ৬টায় মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও কানাডা। ম্যাচটি আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। শক্তি ও অভিজ্ঞতার দিক নিয়ে কানাডার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচে একবারই মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। তাও সেটা এক যুগের বেশি সময় আগে, ২০১০ সালে। সে ম্যাচে কানাডাকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তাই বলাই যায় এই ম্যাচের কানাডাকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারেন স্কালোনির শিষ্যরা।

১৯১৬ সালে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আমেরিকা শ্রেষ্ঠের এই লড়াই। সেবার আসরটি আয়োজন করে আর্জেন্টিনা। ঐ আসরে স্বাগতিকদের ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতে উরুগুয়ে। ১০৮ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এই টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। এই দুই দলের শিরোপার সংখ্যা ১৫টি করে। এছাড়াও  কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালে ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছিল আলবিসেলেস্তারা। সেইসঙ্গে এবারের আসরেও শিরোপার অন্যতম দাবিদার মেসি বাহিনী।

অন্যদিকে গেল আসরে ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও পরিণত হয়ে মার্কিন মুল্লুকে পা রাখেন গেল আসরের রানার আপ ব্রাজিল। তাদের বর্তমান পারফরম্যান্সের দিকে নজর বোলালে দেখা যায় সেই চিত্র। এছাড়াও চিলি, উরুগুয়ে, পেরু, মেক্সিকোও ছেড়ে কথা বলবে না কাউকে। এছাড়াও এবারের আসরে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়াই করবেন মোট ১৬টি দল। প্রতিটা গ্রুপের শীর্ষে থাকা দুই দল খেলবে সেরা আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ী চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। এছাড়াও আগামী ১৫ জুলাই ফাইলের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামবে কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের।

এ-গ্রুপ: আর্জেন্টিনা, কানাডা, চিলি, পেরু

বি-গ্রুপ: ইকুয়েডর, মেক্সিকো, জ্যামাইকা, ভেনিজুয়েলা

সি-গ্রুপ: যুক্তরাষ্ট্র, পানামা, উরুগুয়ে, বলিভিয়া

ডি-গ্রুপ: ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, কোস্টারিকা, কলম্বিয়া


আরও খবর



নিজের নিরাপত্তারক্ষীর কাছেই হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালের তালিকায় আছে বালিকা বধূ। হিন্দি সিরিয়ালটিতে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা মিলেছিল অভিকা গোরের। প্রথম কাজ দিয়েই দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছিল অভিকা। এখন নায়িকা হিসেবে সিনেমা, সিরিয়াল আর ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন তিনি। সম্প্রতি হেনস্তার হওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন নিজের নিরাপত্তারক্ষীর হাতেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল এ অভিনেত্রীকে। কাজের জন্যই কাজাখস্তান গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে এই ঘটনা ঘটে।

কাজাখস্তানে একটি অনুষ্ঠান করতে যান অবিকা। মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এক জন দেহরক্ষী তাকে স্পর্শ করেছিলেন। প্রথমটায় বুঝতে পারেননি অবিকা। দ্বিতীয় বার একই ঘটনা ঘটে। পিছন থেকে তাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন তার নিরাপত্তাকর্মীদের একজন।

অভিকা গোর বলেন, আমার স্পষ্ট মনে আছে, কাজাখস্তানে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় কেউ একজন আমাকে পিছন থেকে স্পর্শ করেছিলেন। পিছন ফিরে দেখি, আমার নিরাপত্তারক্ষীরাই রয়েছেন। আমি যখন মঞ্চে যাচ্ছিলাম, ফের সেই স্পর্শ। পিছনে ফিরতে ওই নিরাপত্তারক্ষীকেই দেখতে পাই।

অবিকা আরও বলেন, আমি ওই ব্যক্তির হাত চেপে ধরি। যখন ওই ব্যক্তির দিকে এটা কী হচ্ছে? তিনি ক্ষমা চেয়ে নেনে। তখন আর কী-ই বা করতে পারতাম অচেনা দেশে। ভাষাও জানি না সেখানকার। তাই বাধ্য ছেড়ে দিই তাকে।


আরও খবর



কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল ঢাবি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কর্পোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ফের বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে একে একে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা, সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে, আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার, জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে, কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই, কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, কোটা না মেধা? মেধা মেধা, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি উপস্থাপন করে। সেগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ছাত্র সমাবেশের শেষের দিকে হাজারো কণ্ঠে আপেল মাহমুদের দেশাত্মবোধক গান তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে গাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।


আরও খবর



কলকাতার বাগজোলা খাল থেকে এমপি আনারের হাড় উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড় উদ্ধার করেছে কলকাতার সিআইডি। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম। তবে হাড়গুলো এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। রোববার সকালে এ অভিযান চালানো হয়।

শুক্রবার (৭ জুন) এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সিয়ামকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শনিবার তাকে ১৪ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালত।

শনিবার সারারাত ধরে সিয়াম হোসেনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালান সিআইডির কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হোসেন সিআইডিকে বেশ কিছু তথ্য জানান। রোববার সকালে সিয়াম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাগজোলা খালে আসেন সিআইডি কর্মকর্তারা। যে স্থানে এমপি আনারের দেহাংশ ফেলা হয় সেই স্থানটি দেখিয়ে দেন সিয়াম হোসেন। তারপর সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন সদস্যের দল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে তল্লাশি অভিযান চালান।

তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করা হয়। হাড়গুলো উদ্ধার করে ফরেনসিক টেস্টে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে সিআইডি। তবে সেই হাড়গুলো মানুষের না অন্য কিছুর তা জানা যাবে, ফরেনসিক পরীক্ষার পর।

সিয়ামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩০২ (অপরাধমূলক নরহত্যা।), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট) এবং ৩৪ (সংঘবদ্ধভাবে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত করা)- এই চার জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয় সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে গত ২৮ মে মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। তবে সেগুলো এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডাংশ কি না সেটা এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ।


আরও খবর