আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

শেখ হাসিনার মতো কৃষিবান্ধব সরকার অতীতে কেউ ছিল না : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষকের কষ্ট তিনি বোঝেন। কৃষকের বেদনা বোঝেন। শেখ হাসিনা কৃষকদের অনেক সুযোগ দিয়েছেন। কারণ শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন কৃষিকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে আগে। এই রকম কৃষি বান্ধব অতীতে আর কোন সরকার ছিলো না।

মন্ত্রী আজ শুক্রবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ২৩-২৪ অর্থবছরে রবি ফসল ও বোরো হাইব্রীড ধান উৎপাদন বৃদ্ধির  লক্ষ্যে সরকারি প্রনোদণা কর্মসূচির আওতায় কৃষক/কৃষাণীদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও মানুষের জীবন ধ্বংস করে ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৫ সালে বিএনপি সরকারের কাছে কৃষকরা কম টাকায় সারের দাবি করেছিলেন। সেই সরকার ভর্তুকি তো দেয় নাই কানসার্টে, ঠাকুরগাঁও, গাইবন্ধায় সারের জন্য পাখির মত গুলি করে ১৮ জন কৃষককে মেরে ফেলেছেন। তারা বিনা মূল্যে কীটনাশক দিত না, বীজ দিত না। ঠিক মত বিদ্যুৎ দিত না। আগে পানি সেচের জন্য বিদ্যুতের জন্য বসে থাকতে হতো। এখন আর বিদ্যুৎ যায় না। গ্রাম-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। আর এই সব কিছু শেখ হাসিনা সরকারের অবদান। আর এই সব কিছু ধরে রাখতে হলে আগামী নির্বাচনেও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। এর কোন বিকল্প নাই।

মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গরীববান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি গরীবের কষ্টটা বোঝেন। কৃষকদের জন্য বর্তমান সরকার শুধু সারের জন্য ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। আমরা টিএসপিতে এক কেজিতে ভর্তুকি দিচ্ছি ৫০ টাকা, এমপিও তে ৪১ টাকা, ডিএফপি ৭৯ টাকা, ইউরিয়ায় ৮২ টাকা, সব মিলিয়ে বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছি। কীটনাশক, ধানের বীজ, সরিষার বীজসহ অন্যান্য চারা, কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। আগেও তো প্রধানমন্ত্রী ছিলো তারা কেন দেয় নাই। কারণ তার বড়লোকের প্রধানমন্ত্রী ছিলো। আর শেখ হাসিনা গরীববান্ধব প্রধানমন্ত্রী। এই দরদী মানুষ, এই দরদী প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আর হবে না শুধু শেখ হাসিনা ছাড়া।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহম্মেদ সাব্বির সাজ্জাদ এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে যে ফল ভুলেও খাওয়া যাবে না

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

হিটস্ট্রোক মানে হলো অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ -১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে ওঠা, যা সাধারণত প্রচণ্ড জ্বরে হয়। হিটস্ট্রোকের ফলে অস্বাভাবিক মানসিক আচরণ দেখা দিতে পারে। যেমন কনফিউশান, বিড় বিড় করা, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা, হ্যালুসিনেশন, মাথাব্যথা হওয়া, ঝিম ঝিম করা, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেরা।

হিটস্ট্রোকে মূলত শরীরের কুলিং সিস্টেম ফেইল করে। এতে ঘাম কমে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, ডিহাইড্রেশনের ফলে ইলেকট্রোলাইটস ইম ব্যালেন্স হয়, মানুষ অজ্ঞান হয়ে যায়। এমনকি শুরু হতে পারে খিচুনি। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

ফল কি হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী : ফল খাওয়া হিট স্ট্রোকের জন্য উপকারী হলেও কিছু ফল হিটস্ট্রোকে বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই হিট স্ট্রোকে কোন ফল উপকারী এবং কোন ফল অপকারী এটা না জেনে ফল খেলে হতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোকে এড়াতে উপকারী ফল : কম ক্যালরি যুক্ত এবং কম চিনিযুক্ত রসাল ফল হিটস্ট্রোকের জন্য উপকারী। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে শসা, জাম্বুরা, আনারস, তরমুজ। এ ছাড়া নাশপাতি, কাঁচাআম (সবুজ আম), কাঁচা পেঁপে (সবুজ পেঁপে) , আপেল, স্ট্রবেরি, গোলাপ, জাম্বুরা, লেবুও কম ক্যালরি যুক্ত ফল। এসব ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের জন্য খুবই  উপকারী।

হিটস্ট্রোকের জন্য অপকারী বা ক্ষতিকর ফল : সাধারণত প্রচুর চিনিযুক্ত ফল এবং উচ্চ ক্যালরি উৎপন্নকারী ফল যেমন পাকা কাঁঠাল, পেয়ারা, পাকা আম, আঙুর, লংগান, লিচু, পাকা কলা, পাকা পেঁপে (হলুদ পেঁপে), প্যাশন ফল, লাল ডালিম, মিষ্টি তেঁতুল, পেয়ারা। মনে রাখবেন পাকা পেঁপে ও পাঁকা কাঁঠাল হিট স্ট্রোকের বিপত্তি বাড়িয়ে দেবে এবং গরম পানীয় যেমন চা ও কফি পান করা যাবে না।

হিটস্ট্রোকে করণীয় : শরীরকে ঠান্ডা করা অর্থাৎ ঠান্ডা পানি দিয়ে মুছে দেওয়া বারবার, ছায়া ও বাতাসযুক্ত স্থানে বসা, ঠান্ডা পানি দিয়ে তোয়ালে বা গামছা ভিজিয়ে ঘাড় মাথা, উরু স্পঞ্জিং করা। ঘাড়ে ঠান্ডা পানিতে ভিজানো রুমাল রাখা যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন ও পিপাসা কমাতে নরমাল ঠান্ডা পানি, লেবুর শরবত এবং খাবার স্যালাইন খুবই উপকারী। তবে খাবার স্যালাইন নিয়মমতো বানাতে হবে।


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



নিজের গোপন কীর্তি ফাঁস করলেন অভিনেত্রী কাজল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

গত বছর দুর্গাপূজায় মহাসপ্তমীর দিন সকালেই সেজেগুজে মুখার্জি বাড়ির পুজোতে ছেলে যুগকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। আনন্দও করছিলেন বেশ। কিন্তু মণ্ডপ থেকে নামার সময় ঘটে বিপত্তি। হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান নায়িকা। মুম্বাইয়ের এক শপিংমলে প্রোমোশন্যাল ইভেন্টে দ্রুত হাঁটতে গিয়ে পড়ে যান অভিনেত্রী। দিলওয়ালে সিনেমার প্রচারের সময়ও মঞ্চে কথা বলতে বলতেই পড়ে যাচ্ছিলেন কাজল, সে সময় পাশে থাকা বরুণ ধাওয়ান নাটকীয় কায়দায় সামলে নেন তাকে।

১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া কুছ কুছ হোতা হ্যায় সিনেমার ইয়ে লড়কি হ্যায় দিওয়ানি গানের শুটিং চলছে। সবাই সাইকেল চালাচ্ছেন, সামনে রয়েছেন শাহরুখ খান ও কাজল অর্থাৎ রাহুল ও অঞ্জলি। হঠাৎ করে ব্যালেন্স হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়লেন মাটিতে। সম্প্রতি একটি কোলাজ ভিডিওতে কাজলের এমন সব দৃশ্য দেখা গেছে। আর ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী নিজেই।

নিজের লুকানো কীর্তি ফাঁস করলেন নিজেই। এমনিতেই হাঁটতে-চলতে দুমদাম পড়ে যান কাজল। উৎসবের মেজাজ, ফিল্মের ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্ট কিংবা শুটিং সেট, তার পড়ে যাওয়ার ইতিহাস সব জায়গায়ই বিদ্যমান। এভাবে পড়ে গিয়ে কুছ কুছ হোতা হ্যায় সিনেমার সেটে হারিয়েছেন স্মৃতিও! এভাবে বহুবার ক্যামেরার সামনে পড়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।

গত রবিবার ওয়ার্ল্ড লাফটার ডে উপলক্ষ্যে সেসব ভাইরাল ভিডিয়োর কোলাজ ইনস্টাগ্রামে নিজের আইডিতে শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, আমার ছবি ফিরে দেখে নিশ্চিত যে, আমি স্থিরচিত্রেই সভ্য আচরণ করি! তাই শান্ত হয়ে বসুন আর ফিরে দেখুন কিছু ভিডিও যেখানে আমি অন্যদের হাসিয়েছি

নিউজ ট্যাগ: কাজল

আরও খবর



বাসমতি চালের বিকল্প হতে পারে ‘বিনা ধান-২৫’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়েবিনা ধান-২৫এর পরীক্ষামূলক চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। কম সময়ে ধানের বাম্পার ফলনে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা জুগিয়েছে। নতুন উদ্ভাবিত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির বোরো জাতেরবিনা ধান-২৫ বাসমতি চালের বিকল্প হিসেবে ধান চাষাবাদে চিকন চাল আমদানি কমাতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামেবিনা ধান-২৫জাতের প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখা যায়, ধানের শীষে সোনালি আভা। সবগুলো ধানের গোচা সোজা সারি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ধান গাছের প্রতি শীষে ধরে আছে চিকন ধান। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। দুই একর জমিতে জামালপুর গ্রামের বাবুল কান্তি মজুমদার, পলাশ দত্ত, রাজু মজুমদার, সুমন চন্দ্র দে কমল কান্তি দে পার্টনারশিপ প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলকভাবেবিনা ধান-২৫চাষ করেছেন। ধানের ফলন দেখে তাদের মুখে হাসি দেখা গেছে।

কৃষক পলাশ দত্ত বলেন, ‘আমরা কৃষি প্রণোদনা পেয়ে দুই একর জমিতে পরীক্ষামূলক বিনা-২৫ ধানের আবাদ করেছি। এই প্রথম নতুন জাতের চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান গাছের শিষ প্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০টি ধান ধরেছে। অন্য জাতের তুলনায় জাতে শীষ প্রতি ধানের পরিমাণও বেশি। বিঘাপ্রতি ২০-২৫ মণ উৎপাদনের পাশাপাশি বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় বেশি লাভের আশাবাদী আমরা।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মিরসরাইয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাস্টার প্রযুক্তি প্রদর্শনী (বোরো) ‘বিনা ধান-২৫আবাদ করা হয়েছে।

উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের জামালপুর, মিরসরাই সদর ইউনিয়নের তালবাড়িয়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে জাতের ধানের প্রদর্শনী করা হয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে পার্টনারশিপে একাধিক কৃষককে একর জমির জন্য ২০ কেজি করে মাদার সিড দেওয়া হয়। পরীক্ষামূলক আবাদে এবার সুবিধাভোগী কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধানের বীজ সরবরাহ করা হয়েছিল।

হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. এমরানুল হক বলেন, ‘জামালপুর গ্রামের পাঁচজন কৃষক পরীক্ষামূলকবিনা ধান-২৫প্রদর্শনী দেখে এখানকার অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবারে বাম্পার ফলন এবং বাসমতি চালের বিকল্প ধানের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় অনেক চাষি ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিনা ধান-২৫জাতটি মিরসরাইয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান প্রিমিয়াম কোয়ালিটির এবং সুগন্ধি। ধানটি দেশে বাসমতি চালের বিকল্প হতে পারে। কৃষিকে বহুমুখীকরণ কৃষকদের ভালো লাভের মাধ্যমে কৃষিকাজে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে জাত আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।


আরও খবর



আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সর্বশেষ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজে ভালো ছন্দে থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিসমাহ। পরে নতুনদের সুযোগ করে দিতে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন ২৭৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলা বিসমাহ। দেশটির যে কোনো নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। এ ছাড়া দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৯৬ টি ম্যাচে।

অবসর ঘোষণার বিবৃতিতে বিসমাহ মারুফ বলেছেন, 'আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, চ্যালেঞ্জ, বিজয় এবং অবিস্মরণীয় অনেক স্মৃতিতে ভরা।'

ক্যারিয়ারজুড়ে সমর্থন ও পাশে থাকার জন্য পরিবার, সতীর্থ থেকে শুরু করে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসমাহ। বলেন, 'আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে। আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার কাছে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের যে বন্ধুত্ব হয়েছে, তা আমি চিরকাল লালন করব।'

২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল বিসমাহ মারুফের। ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ৩৩টি ফিফটিসহ ৬,২৬২ রান করেছেন এবং বোলিংয়ে ৮০টি উইকেট শিকার করেছেন।


আরও খবর