আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা,পাস নম্বর ৩০

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন এইচএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী হবে। এ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ হতে ৩০ নম্বর পেতে হবে। ভুল উত্তরে নম্বর কাটা যাবে।

শুক্রবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ভেতর থেকেই প্রশ্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বোর্ড পরীক্ষায় যে সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে ওই একই সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা হবে। এছাড়া ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ৩০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে।

আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

উপাচার্য বলেন, ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের মোট আসন সংখ্যা ২১ হাজার ১১৮টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৩ হাজার ২৩১টি। যেখানে ইউনিটে (বিজ্ঞান) আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৮৭৫টি। ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১৭ জন। বি ইউনিটে (মানবিকে) আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৭৪৬টি। বি ইউনিটে আসন প্রতি লড়বে ১৩ জন। সি ইউনিটে (বাণিজ্য) আসন সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯৬টি। সি ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বে ১২ জন শিক্ষার্থী।

আগামী ২০ মে বি ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে এবারের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। পরবর্তীতে ২৭ মে সি ইউনিট (বাণিজ্য ) এবং বিজ্ঞানের (এ ইউনিটের) ভর্তি পরীক্ষা ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা পরীক্ষা হবে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হাফিজুর রহমানের নিয়োগ বাতিল

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস-২) গাজী হাফিজুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) তার নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস-২) গাজী হাফিজুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৮ অনুযায়ী তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ১ জুন থেকে বাতিল করা হলো।

গাজী হাফিজুর রহমান ২০০৮ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ পদে নিয়োগ পান। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভিপি ছিলেন। পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়েও একজন গর্বিত কৃষক ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান তিনি। তার রয়েছে আরও একটি পরিচয়, কৃষক। সাত একর জায়গায় তার একটি খামারও রয়েছে। বাগানটিতে রয়েছে দেশি বিদেশি ৩৬ জাতের ফলদ, বনজ ও ঔষধি মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার গাছ। এছাড়াও রয়েছে, গরুর খামার, মাছের খামার এবং জৈব সারের প্লান্ট।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাবুলের বাজারে নিজের বাগানে চাষ করা ১৬ কেজি কচুর লতি বিক্রি করছিলেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স। বাজারে একটি প্লাস্টিকের টুলের ওপর বসে কচুর লতি বিক্রি করার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ছবিসহ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। বিষয়টি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। এই সুবাধে গত ৯ বছর ধরে তিনি কৃষিকে ভালোবেসে এই গ্রামেই বাণিজ্যিকভাবে ৭ একর জমিতে কৃষাণ সমন্বিত কৃষি উদ্যোগ নামে গড়ে তুলছেন বিশাল কৃষি খামার।

জানা যায় খামারে রয়েছে, ড্রাগন ফল, মাহালিশা, কিউজাই, ব্রুনাই কিং, বাউ-৪, কাঁচামিঠা, তাইওয়া গ্রিন, কাটিমন, পালমার, মল্লিকাসহ ১০ প্রজাতির আম, চায়না থ্রি, মঙ্গলবারিসহ তিন প্রজাতের লিচু, মিসরীয় শরিফা, স্ট্রবেরি, চেরি, থাই পেয়ারা, আম, লেবু, জাম্বুরা, লটকন, মাল্টা, সফেদা, আতাফল, কদবেল, আমলকী, ডেউয়া, ডুমুর, কাঠবাদাম, জামরুল, থাই জাম্বুরা, লটকন, মল্টা ও কলা ইত্যাদি ফলগাছ।

এছাড়াও মাছের খামারও রয়েছে। পুকুরে দেশি প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়। পুকুর পাড়ে রাজহাঁস আর চীনা হাঁসের ছোট্ট একটি খামারও আছে। মাছের জন্য বাজার থেকে আলাদা খাদ্য কিনতে হয় না। পুকুরপারে একটি শেডে কিছু গবাদি পশুও লালন-পালন করছেন।

দেশের তরুণদের কৃষিকাজে উৎসাহিত করতে তাঁর এ প্রচেষ্টা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে দাবি সুশীল সমাজের।

উল্লেখ্য যে, ড. আবু বকর সিদ্দিক প্রিন্স বরিশালের ঝালকাঠির রাজাপুরের অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনা কর্মকর্তার ছেলে। বাবার সেনাবাহীতে চাকরির সুবাদে পরিবারসহ ঢাকায় সেনা নিবাসে বসবাস করতেন তিনি। ২০০২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে ২০০৮ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এআইইউবি থেকে কৃষি ব্যবসায় এমবিএ ডিগ্রি নেন। এরপর ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল এবং ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিও করেন তিনি।

বর্তমানে তিনি বরিশাল ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: ঘন ঘন প্রেস ব্রিফিং বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলাসহ তদন্তাধীন মামলায় গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া বন্ধ চেয়ে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির তাদের এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গিয়ে নিখোঁজ হন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী তিনি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আজ অবধি তার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। টক অব দ্য কান্ট্রি’ হিসেবে পরিণত হয়েছে। ইলেকট্রনিক, প্রেস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়েল টাইম আপডেট প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করছে। সময়ে সময়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনার হালনাগাদ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে। সাংবাদিক বন্ধুরা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নানা ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। প্রেক্ষিত বিবেচনায় গণমাধ্যমের সামনে কর্তৃপক্ষ উত্তর প্রদান করছে। ছোটোখাটো অনেক বিষয় উঠে আসছে। লাইভ সম্প্রচার হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম পছন্দ অনুযায়ী হেডলাইন করছে। ফ্রিল্যান্সার ব্যক্তিরা খণ্ডাংশ উল্লেখ করে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকসহ জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রচার করছেন। এ বিষয়ে হরেক-রকম বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র (৩৯ বিএলডি ৪৭০) মামলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।

হাইকোর্ট বলেছেন, বিভিন্ন আলোচিত অপরাধের তদন্ত চলাকালীন সময়ে পুলিশ- র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করার আগেই বিভিন্নভাবে গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যা অনেক সময় মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অমর্যাদাকর ও অঅনুমোদনযোগ্য এবং বিভিন্ন মামলার তদন্ত সম্পর্কে অতি উৎসাহ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করা হয়ে থাকে। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত আদালতে একজন অভিযুক্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে বলা যাবে না যে তিনি প্রকৃত অপরাধী বা তার দ্বারাই অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে। গণমাধ্যমের সামনে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা সংগত নয় যে, তার মর্যাদা ও সম্মানহানি হয় এবং তদন্ত চলাকালে অর্থাৎ পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের আগে গণমাধ্যমে গ্রেপ্তার কোনো ব্যক্তি বা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পর্কে এমন কোনো বক্তব্য উপস্থাপন সমীচীন নয়, যা তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে বিতর্ক বা প্রশ্ন সৃষ্টি করতে পারে।

নোটিশে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের আলোকে গণমাধ্যমে তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে বক্তব্য প্রচার বন্ধ না করলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত শত শত পরিবারের মাঝে খাবারের বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয় ও চিকিৎসা সেবাও দিয়েছে কোস্ট গার্ড।

বুধবার (২৯ মে) বিকেলে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তার দায়িত্বপূর্ণ উপকূল ও চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় মানুষের সহায়তায় সবসময় পাশে থাকে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমালের পূর্বাভাসের সাথে সাথেই বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সকল উপকূল এলাকায় সাধারণ জনগণ, মৎস্যজীবী ও জলযান সমূহকে সতর্ক করা, প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ, জেলেদের সমুদ্রের গমনে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে গমনের জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।

গত ২৫ মে হতে কোস্টগার্ডের সকল স্টেশন ও আউটপোস্টগুলো উপকূলীয় এলাকার বিপদগ্রস্ত শিশু, বৃদ্ধ, মহিলাসহ শত শত পরিবারকে আশ্রয় ও খাবারের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল শেষে উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অসহায় দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সহায়তায় পুনরায় ৩ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

এই কর্মসূচির আওতায় কোস্ট গার্ড ত্রাণ হিসাবে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পরিবার কল্যাণ সংঘ ক্ষতিগ্রস্ত ও সুবিধাবঞ্চিত নারী, শিশু ও বয়স্কদের মাঝে বস্ত্র সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি নির্মাণের জন্য বিপুল পরিমাণ ঢেউটিন প্রদান করছে।


আরও খবর



আপনার ঘুস খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি, প্রকৌশলীকে বীর মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালে উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকার ১১টি স্থানে ৩৩ হাজার কেভি লাইনের ওপর গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়। ফলে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) ও পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দেড় লাখ গ্রাহক বিপাকে পড়েন। চারদিন থেকে বিদ্যুৎবঞ্চিত ছিলেন তারা।

এরপর বুধবার (২৯ মে) সকালে কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলেও ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলমসহ (৭০) ওই এলাকার দুই শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎ পাননি। এ কারণে ঝালকাঠি ওজোপাডিকো অফিসে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম।

এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের গাফিলতিকে দায়ী করে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম দায়িত্বরত ওজোপাডিকোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) মো. আব্দুস সালামকে বলেন, আপনার ঘুস খাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে রিজাইন দিয়ে চলে যাবেন।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম প্রকৌশলীর কাছে জানতে চান, রেমালের চার দিন পার হলেও এখনও কেন তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি?

প্রকৌশলীকে বলেন, আপনার দায়িত্ব কী ঘুস খাওয়া? ঘুষ খাওয়ার জন্য কী দেশ স্বাধীন করেছি? বলার পর আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে প্রকৌশলীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অফিস থেকে চলে যান মুক্তিযোদ্ধা।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শফিকুল আলম বলেন, গত রোববার থেকে একটানা চার দিন অতিবাহিত হলেও আমি বিদ্যুৎ পাইনি। বুধবার রাতে শহরের কয়েকটি স্থানে বিদ্যুৎ পেয়েছে, তাহলে আমি কেন পেলাম না। আমি বৃদ্ধ মানুষ, এই গরমে কি বিদ্যুৎ ছাড়া থাকা যায়। তারপর আবার পানির সংকট। কেননা বিদ্যুৎ না থাকলে পানি আসবে কেমনে। পানির জন্য তীব্র গরমে গোসল, খাবার পানি, বাথরুমের পরিচ্ছন্নতার কাজে অনেক কষ্ট করতে হয়।’

এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম বলেন, ঝড়ে ঝালকাঠি শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ও খুঁটি ভেঙে গেছে। যার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের লোকসহ স্থানীয় শ্রমিক ভাড়ায় এনে কাজ করাচ্ছি, তারপরও সব স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন যাদের বিদ্যুৎ লাইন সচল করে দিতে পারব তারা ভালো বলবে, ধন্যবাদ জানাবে। আর যাদের দিতে পারব না তারা খারাপ বলবে। যেহেতু এই ডিপার্টমেন্টে চাকরি করি সেহেতু এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। দুই-তিন দিনের মধ্যে শহরের সব স্থানেই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেওয়া হবে।’

জেলার ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ও খুঁটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মেরামতের জন্য দিন-রাত বিদ্যুৎ অফিসের লোকসহ ভাড়ায় লোক দিয়েও কাজ করানো হচ্ছে। এত পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে যা খুব দ্রুত সম্পূর্ণ করা সম্ভব না, সময় লাগবে। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি জেলার সব স্থানে বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে পারব।’


আরও খবর