আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

সংসদ সদস্য পদ খোয়াচ্ছেন গাজিপুরের বিধায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাহুল গান্ধীর পর ভারতের লোকসভায় এবার পদ খারিজ হতে চলেছে বিরোধী শিবিরের আরো এক সংসদ সদস্যের। দেশটির উত্তর প্রদেশের গাজিপুর থেকে নির্বাচিত বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সংসদ সদস্য আফজাল আনসারি। ২০০৫ সালে গাজিপুরের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত একটি অপহরণের ষড়যন্ত্রের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজালকে শনিবার চার বছর জেলের সাজা দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের এমপি-এমএলএ আদালত।

আদালতের এই রায়ের ফলে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১) ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের (১৯৫১) ৮(৩) নম্বর ধারা অনুযায়ী আফজালের সংসদ সদস্য পদ খারিজ হওয়া নিশ্চিত। কারণ ৮(৩) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের বেশি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সাজা ঘোষণার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার অধিকার হারাবেন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হয়ে ইতিহাস গড়ার পথে সালমা

আফজালের পাশাপাশি তার ভাই, সাবেক বিধায়ক মুখতার আনসারিকে ওই অপহরণ ও খুনের মামলায় ১০ বছরের জেলের সাজা দিয়েছেন গাজিপুরের আদালত। ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর মোহাম্মদাবাদের কোতোয়ালি থানায় আনসারি ভাইদের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে ওই মামলা রুজু করা হয়েছিল। একাধিক অপরাধমূলক মামলায় অভিযুক্ত মুখতারের পাঁচ লাখ এবং আফজালের এক লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে।

২০০৭-এর গ্যাংস্টার আইন অনুযায়ী তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক দুর্গেশ। আফজালকে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়েছিল। অন্যদিকে জেল থেকে শুনানিতে অংশ নেন মুখতার।


আরও খবর



বিপদ আঁচ করতে পেরে পালাতে চেয়েছিলেন এমপি আনার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীব গার্ডেনের ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় অভিযুক্ত ফয়সাল আলী সাহাজি পেছন থেকে তাকে টেনে নিয়ে ক্লোরোফর্ম ভেজানো রুমাল তাঁর মুখে চেপে ধরে। তারপরই আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াসহ অন্যরা তাকে হত্যা করে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এমপি আনারের মেয়ের দায়ের করা অপহরণ মামলার তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাফুজুর রহমান আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফয়সাল এমপি আনারকে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের কলকাতার বাসা থেকে প্রলোভন দেখিয়ে বের করে এনেছিলেন। এরপর দুজনে একটা গাড়িতে উঠে অন্য জায়গায় চলে যায়। সেখানে আমানুল্লাহ তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এবং তারা অন্য একটি গাড়িতে উঠে। এরপর তারা তিনজন নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে যান, যেখানে আরেক আসামি শিলাস্তি রহমান আগে থেকেই ছিলেন।

তদন্তকারীরা জানান, শিলাস্তি ট্রিপলেক্স ওই অ্যাপার্টমেন্টের উপরের তলায় গেলে শিমুল ও অন্য অভিযুক্তরা আনারকে একটি কক্ষে নিয়ে যায়।

ক্লোরোফর্মের প্রভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলার আগে অভিযুক্তের সঙ্গে এমপি আনারের ধস্তাধস্তিও হয়। এরপর অভিযুক্তরা আনারকে হত্যা করে, তারপর বিবস্ত্র করে মরদেহ চেয়ারে বাঁধে। পরে লাশ টুকরো টুকরো করা হয়।

তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যার জন্য ফয়সাল ও মোস্তাফিজুরকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মূল পরিকল্পনাকারী আমানুল্লাহ ও আক্তারুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। সেখানেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। ১৮ মে পশ্চিমবঙ্গের বরানগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার বন্ধু বরানগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস। ২০ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করার তথ্য জানায় ভারতীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ঘাতকদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, ১৩ মে দুপুরেই আনারকে হত্যা করা হয়েছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই কোটি টাকার টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়ের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতুতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি। সোমবার (১০ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টা থেকে রোববার (৯ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব-পশ্চিম টোলপ্লাজা দিয়ে ২৫ হাজার ২৫৭টি পরিবহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৫০ টাকা।

গত ২৪ ঘণ্টায় যাত্রীবাহী বাস পারাপার হয়েছে ৪ হাজার ৭৮টি। বাসের তিনগুণ ট্রাক পারাপার হয়েছে। এ সময় সেতু পারাপার হয়েছে ১২ হাজার ৩৯৬টি ট্রাক। এ ছাড়া ছোট-বড় পরিবহন পার হয়েছে ৭ হাজার ৬৯৬টি এবং মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে এক হাজার ৮৭টি।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, অন্যান্য দিনের চেয়ে মহাসড়কে পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।’


আরও খবর



জীবিত তিনজনকে মৃত্যু সনদ, ভাতা তুলছেন অন্যরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জীবিত তিন ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে তাদের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও খবিরুল আহসান।

ভুক্তভোগীরা হলেন খলিশাউড় ইউনিয়নের গড়ুয়াকান্দা গ্রামের হযরত আলী (৭১), হোগলা ইউনিয়নের জামিরাকান্দা গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ফকিরের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৭৭) ও পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর মেয়ে খাদিজা আক্তার (৬০)। তাদের মধ্যে হযরত আলী ও জহুরা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মিলে তাদের মৃত দেখিয়ে অন্য ব্যক্তিদের ভাতা সুবিধা করে দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানদের দাবি, তাদের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বরাবর দেওয়া হয়েছে।

হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন বয়স্ক ভাতা পেতেন তিনি। ভাতার দুই কিস্তি তাঁর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে না আসায় বিষয়টি জানতে সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারের দেওয়া প্রত্যয়ন মোতাবেক তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর নামে বরাদ্দ বয়স্ক ভাতা অন্য ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, একই গ্রামের হযরত আলী নামে দুই ব্যক্তির একজন মারা গেলে ভুলবশত জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে। এই ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে সমাজসেবা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।

জহুরা খাতুনের অভিযোগ, তিনিও নিয়মিত বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন। হঠাৎ ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। পরে জানতে পারেন তাঁকেও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর পরিবর্তে হালিমা খাতুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এক বছর ধরে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

তবে হোগলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের দাবি, তাঁর অজান্তে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভুলবশত এমনটি করেছেন। তবে ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে কাগজপত্র নিয়ে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। অতি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার ২০১৯ সালে যাচাই-বাছাই শেষে বিধবা ভাতার কার্ড পান। ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভাতা পান তিনি। এই ভাতার টাকায় নিজের ব্যয় বহন করতেন। গত বছরের মার্চ মাসের পর থেকে ভাতা পাচ্ছেন না তিনি। কারণ জানতে সমাজসেবা অফিসে খবর নিতে গেলে তাঁকে জানানো হয়, আপনি তো মারা গেছেন। তাই ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, বিধবা ভাতা না পাওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ জানায়নি। এ ধরনের বিষয় অহরহ ঘটছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সমাধানের জন্য আমরা সমাজসেবা বিভাগে পাঠিয়ে দিই।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা মৃত্যু সনদ দিয়ে সুপারিশ পাঠালে ভাতাভোগী দুজনকে মৃত দেখিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রকৃত বিষয়টি যেহেতু জানা গেছে, কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান জানান, জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দিয়ে ভাতা কেটে দিয়ে অন্যজনের নামে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে খাদিজা আক্তার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সমাজসেবা বিভাগে বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতাসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর



আন্তঃদেশীয় মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল বন্ধ শুক্রবার থেকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল আজহায় ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা এবং শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদযাত্রার সময় ঢাকা ও খুলনা থেকে ভারতের কলকাতাগামী এই ট্রেন দুটি বন্ধ থাকবে।

সম্প্রতি ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়, আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৪ জুন থেকে ২২ জুন (৯ দিন) এবং বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন ১৪ জুন থেকে ২০ জুন (৫ দিন) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এর আগে গত ১২ জুন থেকে ৯ দিনের জন্য চলাচল বন্ধ হয়েছে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেসের।

আরও বলা হয়, ঈদুল আজহার দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস বা বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না। ১৪ জুন রাত ১২টার পর থেকে ঈদের পরের দিন সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া অন্যান্য সব গুডস ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।


আরও খবর



মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিলেন বাইডেন-ট্রাম্প

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে এই বিতর্ক শুরু হয়। চার বছর পর প্রথমবারের মতো মুখোমুখি এ বিতর্কে অংশ নিলেন বাইডেন ও ট্রাম্প।

বিতর্কের শুরুতে আসে অর্থনীতি ইস্যু। এরপর একে একে গর্ভপাত অধিকার, কর, স্বাস্থ্যসেবা এবং আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বিতর্কে জড়ান বাইডেন ও ট্রাম্প। প্রসঙ্গক্রমে আসে করোনাভাইরাসের সময় নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপও।

এবার বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয় টেলিভিশন স্টুডিওতে। আগের বিতর্কগুলোতে দর্শকদের উপস্থিতি থাকলেও এবার তেমনটা ছিল না। ফলে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সরাসরি পাওয়া যায়নি। বাইডেনের প্রচার দলের অনুরোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এ ছাড়া এবারের বিতর্কে একজনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বরাদ্দ সময়ে অন্যজনের মাইক্রোফোন বন্ধ ছিল। সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা এড়াতেই এটি করা হয়েছে। ২০২০ সালে বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রথম বিতর্কের সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল।

এদিকে বিতর্ক মঞ্চে উঠলেও প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি বাইডেন ও ট্রাম্প। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কেও কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে করমর্দন করেননি দুজন।

এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, তার বিশ্বাস ভ্লাদিমির পুতিন একজন যুদ্ধাপরাধী। পুতিন পুরোনো সোভিয়েত সাম্রাজ্য আবার প্রতিষ্ঠা করতে চান বলেও অভিযোগ তোলেন বাইডেন।

বিতর্কে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থের চেয়ে বেশি অস্ত্র দেওয়ার কথাও জোরালোভাবে বলেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এসব কারণেই আমরা শক্তিশালী।

এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের শর্ত নিয়ে ট্রাম্পকে প্রথমে একবার প্রশ্ন করেন সিএনএনের সঞ্চালক ডানা বাশ। প্রথমবার ট্রাম্প এর উত্তর এড়িয়ে যান। এরপর বাশ দ্বিতীয়বার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, পুতিনের শর্তগুলো আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য কি না? এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, না, এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।

পুতিন বলেছেন, মস্কোর নিজেদের বলে দাবি করা চারটি অঞ্চল কিয়েভ ফিরিয়ে দিতে রাজি হলে ও ন্যাটোতে যোগ দেওয়া থেকে সরে আসলে ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধ থামাবে। এসব শর্ত নিয়েই ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন ডানা।

ট্রাম্প বলেন, তিনি নির্বাচনে জিতলে ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাবেন। নির্বাচনী প্রচারেও ট্রাম্প এমনটা বলে থাকেন। তবে তিনি কীভাবে যুদ্ধ থামাবেন তা স্পষ্ট করেননি।


আরও খবর