আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এগিয়েছে : আইএমএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক পর্যবেক্ষণে বলেছে, বাংলাদেশ তার সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি করছে। আইএমএফর এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের (এপিডি) পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে এবং দেশটি  ইতোমধ্যে বিতরণের প্রাথমিক অর্থ পেয়েছে। এই প্রোগ্রামের প্রথম পর্যালোচনাটি অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের শেষ দিকে, সেসময় আইএমএফ স্টাফ টিম প্রোগ্রামের পরিমাণগত লক্ষ্যসমূহ এবং সংস্কার বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে । তবে আইএমএফর সুপারিশ অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

এক সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণা বলেন ভর্তুকি যৌক্তিককরণ, জ্বালানি মূল্যের ব্যয় সমন্বয়, বাজার-নির্ধারিত একক বিনিময় হারের দিকে অগ্রসর হওয়ার পাশাপাশি, মুদ্রানীতি কাঠামোকে শক্তিশালীকরণসহ কর্মসূচির লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ পদক্ষেপ নিচ্ছে। অধিকন্তু, বিনিময় হারের নমনীয়তা শিথিল এবং ফরেক্স রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা কাঠামো শক্তিশালীকরনে বৈদেশিক সহনশীলতা বাড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: এবার শুক্রবার মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক খাতে ঋণ বরাদ্দ উন্নত করতে আরও দক্ষ আর্থিক খাত  প্রয়োজন। তিনি বলেন,  কার্যকর একটি ব্যাঙ্কিং খাতে দক্ষ আর্থিক সম্পদ বরাদ্দ-  পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করতে এবং সেইসঙ্গে, পুনরায় ব্যাপক প্রবৃদ্ধির গতি সঞ্চারে সহায়তা করবে। আর, তার মতে অগ্রাধিকারে থাকছে- বিশেষত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির (এসওসিবি) এনপিএলসমুহের মতো আর্থিক খাতের দুর্বলতাগুলো প্রশমন এবং বেসরকারী খাতে ঋণ বরাদ্দ বৃদ্ধি।

তিনি স্বাধীন পরিচালকদের ভূমিকাসহ ব্যাঙ্কগুলির কর্পোরেট গভর্ন্যান্স শক্তিশালীকরণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তিনি বলেন, পুন:তফসিলকৃত ও অকার্যকর ঋণ প্রক্রিয়াকরনসহ শ্রেণীকরণ ও বিধিবদ্ধকরণ শর্তাবলী বেসেল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়িই হওয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত বর্তমান বিচক্ষন কাঠামো কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। যেসব আইনী বিষয়গুলোর ফাঁক-ফোঁকড় ঋণ পরিশোধ বিলম্বিত করার সুযোগ করে দেয়, সেগুলোর সমাধান এবং ঋণদাতার অধিকারের জোরালো প্রয়োগ ও ঋণ পরিশোধে ঋণগ্রহীতার প্রণোদনার সহায়তায় আইনী ব্যবস্থা চালু করা দরকার।

আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করলে কঠোর ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান অর্থায়ন চাহিদা মেটাতে বন্ড বাজারের আরও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া  উচিত। জাতীয় সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থার আরও সংস্কার এবং সরকারি সিকিউরিটিজের  সেকেন্ডারি বাজারের উন্নয়নও হবে গুরুত্বপূর্ণ।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের বৈঠক আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বাংলাদেশ ও কাতারের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকের পর দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) সই হবে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। এ সময় বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

জানা গেছে, আমিরের সফরে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন।

সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে- শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

এদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে কাতারের আমির সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হবে। এ ব্যাপারে গত ২১ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে।

২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম ঢাকায় সফরে এলেন কাতারের কোনো আমির।


আরও খবর



হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে শাহাদত হোসেনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল ও তামান্না ফেরদৌস। ইসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান।

এর আগে গত ৯ মে আপিলেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী শাহদাত হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান হলফনামায় মামলা ও আয় বিবরণীর তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন শাহাদত হোসেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী আনারস প্রতীক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল দোয়াত কলম প্রতীক ও আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন চশমা প্রতীক ও মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন তালা প্রতীক পেয়েছেন। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার ফুটবল প্রতীক ও ফাতেমা বেগম পারুল প্রজাপতি প্রতীক পেয়েছেন।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামের হালিশহর আর্টিলারি সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার সকালে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন এই স্থাপনা উদ্বোধন করেন তিনি। পরে তিনি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দরবার করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা ৭৫ জন বাঙালি এবং বেসামরিক কিছু যোদ্ধা নিয়ে ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ত্রিপুরার কোনাবনে গঠিত হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি। এই ফিল্ড ব্যাটারি দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত মান্দাবাগ বাজার, সালদা নদী, কসবা, আখাউড়া সিংগাইর বিল, ফেনী ও চট্টগ্রাম অভিমুখে পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেই বাংলাদেশের প্রথম ফিল্ড ব্যাটারি নামকরণ করা হয়।

রোববার আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বাড়াতে এবং মুক্তিযুদ্ধে এই ব্যাটারির অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের হালিশহরে এই কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ফলক উন্মোচনের পর তিনি ঊর্ধ্বতন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, চট্টগ্রামের মেয়র এবং সেনাপ্রধানকে নিয়ে মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর তিনি কমপ্লেক্সের ভেতর আর্টিলারি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। জাদুঘরে এই আর্টিলারির মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং তারপরের বিভিন্ন স্মারক রাখা হয়েছে।


আরও খবর



কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রাখা নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সেইসঙ্গে বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন– চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল বিচারাধীন রয়েছে।

গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।


আরও খবর



আবারও পেছাল রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অর্থ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পেছালো। আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী নতুন দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা। ১৬ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলাটিতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় করা মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি।


আরও খবর