আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্থানীয় নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image
২০০৮ এর নির্বাচনে জোটবদ্ধ আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর দলটি টানা তিনটি মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতটা দীর্ঘ সময় কোন ব্যক্তি বা দল রাষ্ট্র পরিচালনা করে নাই

১৩ অক্টোবর তারিখে বাংলা ট্রিবিউনের একটি খবরে চোখ আটকে গেল। শিরোনাম: নৌকা পেল বিতর্কিত অনেকে, তৃণমূলের ক্ষোভ।এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার এটাই মোক্ষম সময়। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন। এখন চলছে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি। নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতিতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যেহেতু এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও দলীয় প্রতীকের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন আগামী সাধারণ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবে।

সাধারণ দৃষ্টিতে ভোটের মাধ্যামে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের মতো সাংগঠনিক সক্ষমতা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ব্যতীত আর কোন দলের নাই। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর বিএনপিও তার সাংগঠনিক শক্তি অনেকাংশেই হারিয়ে ফেলেছে। ১৩ বছরে তাদের কর্মকাণ্ডই মূলত তাদের এই অবস্থার জন্য দায়ী। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া বন্ধ রেখে তারা রক্ষণাত্মক রাজনীতির পথে হাঁটছে। তাই আমরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে পারি।

২০০৮ এর নির্বাচনে জোটবদ্ধ আওয়ামী লীগের ভূমিধ্বস বিজয়ের পর দলটি টানা তিনটি মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতটা দীর্ঘ সময় কোন ব্যক্তি বা দল রাষ্ট্র পরিচালনা করে নাই। আগামী নির্বাচনেও জয়ী হয়ে দলটি আবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চাইছে, এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বর্তমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে দলটির ভূল, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সক্ষমতায় হয়তো কোন চিড় ধরাতে পারে।

টানা তের বছর ক্ষমতায় থাকায় তৃণমূলের নেতৃত্বে একটা ঢিলেমী ভাব এসে যাওয়া স্বাভাবিক। বৃহৎ দল হিসাবে দলটির ভেতরে সাংগঠনিক গ্রুপিং তো রয়েছেই। এছাড়াও যুক্ত হয়েছে সুবিধালোভী ব্যক্তিদের অণুপ্রবেশ। এই সুবিধালোভী ব্যক্তিরা নিজেদের আখের গোছাতেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দলটির সাংগঠনিক সক্ষমতায় চিড় ধরাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়। আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি সংগঠন ও জনগনের ওপর নির্ভর করে জয়ী হতে চায়, তবে বর্তমানের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলটির উচিত হবে যোগ্য সাংগঠনিক ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া। কিন্তু অনেকাংশেই সেই কাজটি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিদিনের খবর দেখলেই বোঝা যায় সুবিধালোভী বিতর্কিত ব্যক্তিরা অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন পেয়ে যাচ্ছে। বঞ্চিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজপথের কর্মীরা। যারা শুধু রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন আওয়ামী লীগের কর্মী নয়, বরং আওয়ামী লীগের বিপদের দিনে রাজপথের কর্মী। পাঠক, আসুন, কিছু খবরের শিরোনামে চোখ বোলানো যাক।“বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা নৌকার প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ” (প্রথম আলো-১১.১১.২০২১), নাটোরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে পদত্যাগের হুমকি” (প্রথম আলো-১০.১১.২০২১), ঘোড়াশালে তৃণমূলের তালিকায় নাম না থাকা মুজাহিদ পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন” (প্রথম আলো-৮-১০-২০২১), কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম পাঠানোয় অনিয়ম করলে ব্যবস্থা: কাদের” (বাংলা ট্রিবিউন-৮-১০-২০২১)। এইসব খবরে আশংকা জাগে সাধারণ নির্বাচনের দুই বছর আগের এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন ঘিরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের শক্তি দুর্বল করে দেয় কিনা।

দেশজুড়ে ইউপি নির্বাচনের পাশাপাশি কিছু পৌরসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৭ অক্টোবর দশটি পৌরসভার দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড, যার মধ্যে নীলফামারী জেলার ডোমার পৌরসভাও রয়েছে। ডোমার পৌরসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে গনেশ কুমার আগরওয়ালকে, যার নাম তৃণমূল থেকে পাঠানো প্রার্থী তালিকায় ছিল না। ডোমারের আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এই মনোনয়নে বিষ্মিত। গনেশ কুমার আগরওয়ালা তার দলীয় পরিচয়ে উল্লেখ করেছেন তিনি উপজেলা যুবলীগের নেতা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সহ-সভাপতি। কিন্তু তার সময়ের ডোমার ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মীই তাকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে চেনেন না। ডোমারের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার কিংবা তার পরিবারের কারোরই আওয়ামী লীগের সাথে কোন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা কখনোই ছিল না। বরং বরাবরই তার পরিবার আওয়ামী লীগের বিরোধীপক্ষ হিসাবেই পরিচিত। গণেশ কুমার আগরওয়ালার পিতা বানোয়ারি লাল আগরওয়ালা ডোমারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত।

২৩.০৬.১৯৯২ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরী ডোমারে গেলে ডোমার বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে বওয়ারি লাল আগরওয়ালা বিএনপিতে যোগদান করেন এবং মন্ত্রী তার বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রী, জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ডোমার গেলে তার বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করেন।

এছাড়াও ১৯৯৬ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় তৎকালীন ডোমার ছাত্রদল নেতা আসাদুজ্জামান চয়ন ও আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিএনপির সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে এবং বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির অবমাননা করে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ (বর্তমান ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৬, তারিখ: ২৯.০৭.১৯৯৬, জি আর নং- ৪৬/৯৬)। এই মামলার অন্যতম আসামী গণেশ কুমার আগরওয়ারের বড় ভাই গোবিন্দ কুমার আগরওয়ালা।  কথিত আছে, গণেশ কুমার আগরওয়ালা টাকার বিনিময়ে ডোমার উপজেলা যুবলীগের কমিটিতে নিজের নাম লেখান।

ডোমার পৌরসভার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন ডোমার আওয়ামীলীগের দুইজন ত্যাগী নেতা। এনায়েত হোসেন রতন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ময়নুল হক মনু ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দুইজনই ৮৯’র স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ৯৫’র সারের দাবিতে আন্দোলন, ৯৬’র অসহযোগ আন্দোলন সহ গত ৩৫ বছরে আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন-সংগ্রামের প্রথম সারির কর্মী। ১৯৯৫ সালে সারের দাবিতে কৃষকদের সাথে আন্দোলন করতে গিয়ে তৎকালীন বিএনপি সরকারের রোষানলে পড়ে ময়নুল কারাবরণও করেন। এমন ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামীবিরোধী হিসাবে পরিচিত ও অবাঙালি সংস্কৃতির পরিবারের সদস্য একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার পুরো উপজেলাজুড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো সাধারণ নির্বাচনের পূর্বপ্রস্তুতি। আওয়ামী লীগ যদি দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনে সত্যিকার অর্থেই জয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করতে চায়, তবে তাদের উচিত হবে এইসব বিতর্কিত ব্যক্তিদের মনোনয়ন বাতিল করে দল থেকেও বহিষ্কার করা। নইলে পরবর্তীতে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক রূপ অনেকবেশি লুপ্ত হবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা রাজনীতিবিদের চেয়ে আমলা ও ব্যবসায়ীদের হাতে বেশি চলে যাবে। যা কোনভাবেই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

লেখকঃ সৈয়দ এরশাদুল হক মিলন

লিটলম্যাগ সম্পাদক ও

সাবেক যুগ্ম আহবায়ক

ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগ।


আরও খবর



সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী এলিস মুনরো মারা গেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কানাডার লেখক এলিস মুনরো মারা গেছেন। সোমবার কানাডার অন্টারিওর পোর্ট হোপের একটি সেবাকেন্দ্রে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ছোটগল্প লিখেছেন এলিস মুনরো। কানাডার গ্রামীণ জীবন উপজীব্য করেই বেশির ভাগ লেখা লিখেছেন তিনি। তার গল্পে যে অন্তর্দৃষ্টি ও সমবেদনা ফুটে উঠত, সেজন্য তাকে প্রায়ই রাশিয়ার লেখক আন্তন চেখভের সঙ্গে তুলনা করা হতো।

২০১৩ সালে এলিস মুনরো সাহিত্যে নোবেল পান। সে সময় পুরস্কারের ঘোষণায় মুনরোকে সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’ অভিহিত করে নোবেল কমিটি বলেছিল, তিনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্প বলতে পারেন। তার গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও বাস্তববাদী।’

মুনরোর জন্ম ১৯৩১ সালের ১০ জুলাই, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায়। সেখানকার গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশেই তার বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন খামারের মালিক ও মা স্কুলশিক্ষক।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নাজিরপুরে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে সাংবাদিক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক ও সমাজসেবক এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী (শাহিন)।

নাজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, সৎ-পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের এলাকায় রয়েছে ব্যপক গ্রহণযোগ্যতা। বয়োজ্যেষ্ঠ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের কাছেও সমান জনপ্রিয় তিনি।

নাজিরপুরের বাসিন্দা শেখ রাসেল বলেন, আমরা তরুণ ভোটার, আর শাহিন ভাই তারুণ্যের প্রতীক, তাই আমার পরিবার স্বজন ও বন্ধুদের ভোট তিনিই পাবেন। নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই অধিকাংশ ভোটার তাকেই ভোট দিবেন। এছাড়া তার বিকল্প কেউ নেই।

সাংবাদিক সাকিল আহমদ অরণ্য বলেন, ২০০৭ সালের ১১ নভেম্বর এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়ঙ্কার ঘূর্ণিঝড় সিডর। সেই সময় শাহিন ভাই নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে দুস্থ মানুষের পাশে যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তা ভুলে যাওয়ার নয়। মানুষের সেবা করার জন্য মন থাকতে হয়, যা তাঁর রয়েছে। একারণেই নাজিরপুরবাসী আগামী ৮ মে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করবেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির বলেন, শাহিন ভাই একজন মানবিক মানুষ, যাকে বিশ্বাস করে ভোট দেওয়া যায়। তিনি জনগণের আমানতের প্রতিদান অবশ্যই দিবে।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্রনেতা জানান, বিগত সময়ে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন তারা ব্যস্ত ছিল নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু শাহিন ভাই ব্যতিক্রম। আমি তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি নিজের উন্নয়নে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করেন নাজিরপুরের উন্নয়ন। শাহিন ভাই মনে করেন নাজিরপুরের সবাই ভালো থাকলে তিনিও ভালো থাকবেন।

রুহুল আমীন হাওলাদার নামে একজন প্রবীন বলেন, তাকে (এস.এম. নুরেআলম সিদ্দিকী) ছোট থেকে বড় হতে দেখেছি, কিন্তু তার ভিতরে কখনও অহংকার বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখিনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে ভোট-টা তাকেই দিব।

নামপ্রকাশ না করা শর্তে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, শাহিনের পিতা ও তিন ভাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার পরিবার অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তার ভাগ্য বদলাতে হবে না। তাকে নির্বাচিত করলে এলাকায় প্রকৃত উন্নয়ন হবে, মানুষ ভালো থাকবে।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনকে ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সিডর, আইলা, করোনাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দলের সংকটকালে নেতা-কর্মীদের কাছে পেয়েছি। তাই তাকে নিয়ে মাঠে নেমেছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নূরে আলম সিদ্দিকী (শাহিন) বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও তাঁর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন নাজিরপুর উপজেলায় বাস্তবায়ন করতে চাই। বাংলাদেশের মধ্যে দুর্নীতি-মাদকমুক্ত মডেল উপজেলা হবে নাজিরপুর উপজেলা। উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ নিয়ে আমার বা পরিবারের ভাগ্য উন্নয়নের প্রয়োজন নেই, আমি চাই নাজিরপুরের মানুষ ভালো থাকুক।  

নাজিরপুর উপজেলা তথ্য বাতায়ন সূত্রে দেখা যায়, ৯টি ইউনিয়ন ৬৮টি মৌজা ও ১৭১টি গ্রাম নিয়ে গঠিত নাজিরপুর উপজেলার মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ২৩ হাজার ১ শ ১৩ জন। তার মধ্যে ৬২ হাজার ৮শ ৪০ জন পুরুষ ও ৬০ হাজার ২শ ৭৩ জন নারী।

উল্লেখ্য, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হিসাবে ওই উপজেলার ৭২টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  


আরও খবর



এসএসসিতে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (১২ মে) বেলা ১১টার দিকে গণভবনে ডিজিটালি আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তবে পাসের হার বাড়লেও এবার জিপিএ-৫ কমেছে। এ বছর ১১টি বোর্ডে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসেবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১ হাজার ৪২৬ জন।

এদিকে, ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের শীর্ষে রয়েছে যশোর বোর্ড, আর সর্বনিম্ন পাসের হার সিলেট বোর্ডে। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৮৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও যশোরে ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




বাংলাদেশে ভেসে আসল ‘টর্পেডো’

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভেসে এসেছে একটি টর্পোডো সদৃশ্য বস্তু। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭ ফুট ও প্রস্থ ৩ ফুট। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রামের ভাঙ্গার খালে এ টর্পেডোটি ভেসে আসে। অচেনা এ বস্তুটি দেখে স্থানীয়দের মাঝে কৌতূলের সৃষ্টি হয়েছে।

মৌডুবি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তুহিন মাঝি জানান, নিজকাটা খালের সঙ্গে সাগরের সরাসরি সংযোগ আছে। জোয়ার-ভাটার পানি ওঠা-নামা করে। আজ জোয়ারের পানির সঙ্গে এটি ভেসে আসে। খবর পেয়ে এটি দেখার জন্য খালের উভয় তীরে শতাধিক নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

রাঙ্গাবালী থানার ওসি হেলাল উদ্দিন জানান, বঙ্গোপসাগর থেকে রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে এই টর্পেডোটি ভাঙ্গার খালে প্রবেশ করতে পারে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোস্টগার্ডের সদস্যরা ছবি দেখে এটি প্রাথমিকভাবে টর্পেডো বলে জানিয়েছেন।

টর্পেডো হচ্ছে এক ধরনের স্ব-চালিত অস্ত্র। এটি জলের নিচে বা উপরে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে।


আরও খবর



ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ৯০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যায় ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল তলিয়ে গেছে। প্রবল বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া আরও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ব্যাপক বন্যার কারণে কয়েকশ শহর পানির নিচে চলে গেছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদেশের রাজধানী পোর্টো আলেগ্রে বন্যায় কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার বিমানবন্দর ও বাস স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধান সড়কগুলো এখন অবরুদ্ধ।

প্রদেশের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।


আরও খবর