আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সুলতানি আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ‘দরসবাড়ি মসজিদ’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর

বাংলাদেশে মুসলিম শাসন ও ইসলামি সভ্যতার অনেক নিদর্শন আবিষ্কার হয়েছে। তবে বাংলার ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্রের একমাত্র প্রাচীন নিদর্শন দরসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশকিছু ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্রের উল্লেখ পাওয়া গেলেও প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে কেবল দরসবাড়িতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় কানসাটের কাছাকাছি দরসবাড়ি মসজিদ ও মাদরাসা। এর আশেপাশে রয়েছে বাংলার প্রাচীন রাজধানী গৌড়-পাণ্ডুয়ার বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন। এগুলো হলো ছোট সোনা মসজিদ, তাহখানা কমপ্লেক্স, কোতয়ালী দরজা, সোনা মসজিদ স্থলবন্দর, চামচিক্কা মসজিদ, বালিয়াদীঘি, খানিয়াদীঘি। এসব প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা কাছাকাছি অবস্থিত। তাই সবখানেই একবেলায় ঘুরে আসা যায়।

আজ থেকে ৫০০ বছর আগে বাংলার প্রাচীন রাজধানী গৌড়ে স্থাপিত হয়েছিল দরসবাড়ি মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স। বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্যমতে, সুলতান শামছুদ্দীন আবুল মুজাফফর ইউসুফ শাহ (শাসন ১৪৭৫-১৪৮১) ১৪৭৯ খ্রিষ্টাব্দে অনিন্দ্যসুন্দর এই কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু ১৪৮১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করলে এর নির্মাণকাজ স্থগিত হয়ে যায়। কিছুদিন পর বাংলায় অল্প সময়ের জন্য হাবশী শাসনের গোড়াপত্তন হয়। বিভিন্ন বিশৃঙ্খলায় তখন রাষ্ট্রীয় উন্নয়নমূলক কাজে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তী সময়ে সুলতান আলাউদ্দীন হোসাইন শাহ (শাসন ১৪৯৪-১৫২০) ১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে দরসবাড়ি মসজিদ-মাদ্রাসার নির্মাণ বাকি কাজ সম্পন্ন করেন।

২. দরসবাড়ি মসজিদ বা মাদ্রাসার কথা বললে স্থানীয়রা খুব একটা চেনে না। তাদের কাছে পরিচিত নয় গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটি। অথচ সোনা মসজিদ বা তাহখানা কমপ্লেক্সের কথা অনেকেই জানে, এগুলোর নাম বললেই তারা অনায়াসে চিনতে পারে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে দরসবাড়ি মাদ্রাসার গুরুত্ব অনেক বেশিই হওয়ার কথা।  সোনা মসজিদ ও দরসবাড়ি মসজিদ কাছাকাছি, বড়জোর এক কিলোমিটার দূরত্বে দুটির অবস্থান। কানসাট থেকে সোনা মসজিদ ও দরসবাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আমরা যে অটোরিকশায় দরসবাড়ি যাচ্ছি, তার চালক দরসবাড়ির নাম শোনেননি আগে। আমরাই রাস্তার পশ্চিম পাশে ধুলো জমা সাইনবোর্ড দেখতে পেলাম। আশেপাশে পাথর ব্যবসায়ীদের ভাঙানো পাথর স্তূপ করে রাখা। সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতীয় ট্রাকে করে এসব পাথর আমদানি হয়। পাথরের জগদ্দলের ভেতর দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা ধরে সামনে এগোলে দরসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা।

কাঁচা রাস্তা ধরে ১০০ গজ সামনে এগিয়ে পাকা রাস্তা চোখে পড়লো। তারপর আবারও কাঁচা রাস্তা ধরে আরেকটু সামনে এগোলে হাতের ডান দিকে দরসবাড়ি মসজিদ। রাস্তা থেকে আমবাগানের ভেতর দিয়ে তাকালে লাল ইটের ইমারতের অবয়ব নজরে আসে। সাধারণ পথচারী কেউ না জানলে রাস্তা ধরে সামনে চলে যাবে। কেননা রাস্তা থেকে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে না দেখলে আমবাগানের ভেতর দিয়ে মসজিদটি চোখে পড়ে না। এখানে সরকারি কোনও নির্দেশিকা দেওয়া নেই। আমরা কৌতূহল নিয়ে এসেছি বলে আশেপাশে নজর রেখে এগোচ্ছিলাম। আমবাগানের ভেতর দিয়ে মসজিদে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও রাস্তা নেই। স্থানীয়দের যাতায়াতের একটি মাটির আলপথ তৈরি হয়েছে। সেটাই মসজিদে যাওয়ার একমাত্র পথ। সেই সরু মাটির পথ ধরে মসজিদ চত্বরে দাঁড়ালাম। আমাদের স্বাগত জানালো ছড়িয়ে রাখা মাসকালাই। আশেপাশের কৃষকরা ক্ষেত থেকে মাসকালাই গাছ তুলে শুকাতে দিয়েছেন মসজিদ চত্বরের সামনে ও পেছনে। মাসকালাই মাড়াইয়ের একটি যন্ত্রও বিদ্যমান এখানে। ভটভট শব্দে চলছে সেটি। পাঁচ-সাতজন কৃষক-মজুর মাসকালাই মাড়াই করে হাত-পা থেকে ধুলো ঝেড়ে ফেলছিলেন। পঞ্চদশ শতকের একটি প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ এমন জবুথবু, ভাবা যায়! এটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নাকি কৃষকদের গুদাম তা ভেবে অবাক হতে হয়।

৩. মসজিদ চত্বর পেরিয়ে আমরা দরসবাড়ি মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করলাম। চারপাশের দেয়াল প্রায় সম্পূর্ণই অক্ষত। মূল মসজিদের ছাদ খসে পড়েছে অনেক আগেই। বারান্দার পিলারগুলোর শুধু নিচের অংশ অবশিষ্ট রয়েছে, উপরিভাগ এখন আর নেই। ভেতরের অনেক পাথরের পিলার খসে পড়েছে।  মসজিদটি পোড়া ইটের তৈরি হলেও পিলারগুলো পাথরের। পাথরের পিলারের কারণে হয়তো মসজিদের দেয়াল এখনও দাঁড়িয়ে আছে। যেসব পিলার খসে পড়েছে সেগুলো অবিন্যস্তভাবে মসজিদের ভেতরের মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। মেঝে বলতে যদিও এখন আর কিছু অবশিষ্ট নেই। মাটি ও ঘাসের ওপর পড়ে আছে বিরাটাকার পাথরের পিলার, ভেঙে পড়া দেয়াল এবং খসে পড়া ইট। মসজিদের ভেতরে সামনের দেয়ালে আঁকা টেরাকোটা নকশা বেশ নান্দনিক ও নিখুঁত। বিশেষত মসজিদের মিহরাব ও এর পাশে ছড়ানো নকশা এখনও যেকোনও শিল্পমনকে বিমোহিত করতে পারে। মসজিদের বাইরের দেয়ালে নিখুঁত ও নান্দনিক টেরাকোটা নকশা এখনও প্রায় অক্ষত। ৫০০ বছর আগে কত শত শিল্পীর মনন ও শ্রম মিশে আছে এই দেয়াল, পোড়ামাটির ইট ও টেরাকোটা নকশায়। মসজিদের ভেতরে শতাব্দী ধরে নামাজ আদায় করেছে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান। তাদের প্রার্থনা এখনও হয়তো মিশে আছে মসজিদের দেয়ালে।

মসজিদটি একটি উঁচু ঢিবির ওপর নির্মিত। পাশের একটি পুকুর খনন করে ঢিবিটি তৈরি হয়েছে। পুকুরের অপর পাশে দরসবাড়ি মাদ্রাসার ধ্বংসাবশেষ। সেটিও উঁচু ঢিবির ওপর নির্মিত। দরসবাড়ি মসজিদে প্রায় এক ঘণ্টার মতো সময় কাটালাম। এরমধ্যে দুই-তিন জন তরুণ-তরুণীকে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে দেখা গেলো। মসজিদের চারপাশে বিস্তীর্ণ আমবাগানে কিছুক্ষণ হাঁটলাম। আমবাগানের ভেতর প্রাচীনকালের প্রচুর ইট, ইটের টুকরো, ভাঙা তৈজসপত্র এখনও দৃশ্যমান। এতে বোঝা যায়, দরসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা ঘিরে গড়ে উঠেছিল বিরাট কোনও নগরী। প্রাচীন গৌড় নগরীর অনেক অজানা স্থাপনা এখনও হয়তো মাটিচাপা পড়ে আছে আমবাগানের নিচে।

সুলতান শামছুদ্দীন আবুল মুজাফফর ইউসুফ শাহ এবং সুলতান আলাউদ্দীন হোসাইন শাহ বাংলার দুই সফল সুলতান ছিলেন। তাদের সময়ে বাংলার সীমানা ত্রিপুরা থেকে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। গৌড়-পাণ্ডুয়া ছাড়াও সোনারগাঁওয়ে আধুনিক নগরী নির্মাণে সুলতান হোসাইন শাহ অমর হয়ে থাকবেন। কিন্তু তাদের শাসনের অন্যতম স্মৃতিচিহ্ন এই দরসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা অবহেলায় হারিয়ে যেতে বসেছে। যেহেতু এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি, সেহেতু এর সুষ্ঠু সংরক্ষণ করার দায়িত্ব তাদের।

৪. দরসবাড়ি মসজিদের চারপাশে কোনও নিরাপত্তা দেয়াল নেই। অথচ দেশের প্রতিটি প্রত্নতত্ত্ব স্থাপত্য সংরক্ষণের জন্য নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণ করা হয়। মসজিদের পাশে একটি সাইনবোর্ড ছাড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আর কোনও নিদর্শন বা নির্দেশিকা চোখে পড়েনি। মসজিদ ও মাদ্রাসায় যাওয়ার সঠিক কোনও সড়ক নির্দেশিকাও নেই। দর্শনার্থীরা জানতেই পারে না দরসবাড়ি নামে এখানে কোনও মসজিদ ও মাদ্রাসা আছে। তাই মসজিদ ও মাদ্রাসায় যাওয়ার নির্দেশিকা সংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করা জরুরি। মসজিদ ও মাদ্রাসায় যাওয়ার রাস্তাটি কাঁচা। কিছু অংশ দুই বছর আগে পাকা করা হলেও বাকি অংশ এখনও কাঁচাই রয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে লালমাটি বৈশিষ্ট্যের এই কাঁচা রাস্তায় চলাচল প্রায় দুঃসাধ্য। ছোট সোনা মসজিদ, তাহখানা কমপ্লেক্স ইত্যাদি স্থাপত্যে দর্শনার্থী সংখ্যার হিসাব রাখার জন্য একজন সার্বক্ষণিক হিসাবরক্ষক আছে। কিন্তু দরসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসার দর্শনার্থীদের জন্য তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই।

মসজিদ ও মাদ্রাসা রক্ষণাবেক্ষণে কোনও কেয়ারটেকার বা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগকৃত কোনও ব্যক্তি আছেন কিনা জানা নেই। অন্তত আমরা ঘণ্টাখানেক এমন কাউকে দেখতে পাইনি। এমন কেউ থাকলে প্রাচীন স্থাপত্যের চত্বরে মাসকালাই শুকানো বা কালাই মাড়ানোর যন্ত্র চলার কথা নয়। এমন কর্মকাণ্ডের কারণে মসজিদের ভিটি, দেয়াল ও পুরনো নকশা ক্ষয়িষ্ণু হয়ে খসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। মসজিদের ভেতরে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ যেমন- পাথরের পিলার, দেয়ালের নিম্নাংশ, ইট, টেরাকোটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রাচীন স্থাপনার প্রতিটি অংশ সংরক্ষণে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

নিউজ ট্যাগ: দরসবাড়ি মসজিদ

আরও খবর



মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মুক্তি পেতে যাচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অন্তত ১১টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি মামলাগুলোতেও জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। মামুনুল হক যেন এসব মামলায় জামিন পান সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সরকারও ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই মামুনুল হক মুক্তি পাবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঈদের আগে আগে মাওলানা মামুনুল হকের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু এবার যদি এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কর্মসূচি দেব বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ওই মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির একটি মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৮ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন মামুনুল হক।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) সকাল ১০টার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন। পরে সম্মিলিত ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুরের পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফলাফল জানতে পারবেন।

গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছেন মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন।

ফল জানা যাবে যেভাবে

শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের Result কর্নার-এ ক্লিক করে ফল জানা যাবে।

এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC Dha ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।

নিউজ ট্যাগ: এসএসসি

আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ খান, সম্পাদক শাওন বেপারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে জাজিরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী পরিষদ পুনঃগঠন ও মফস্বল সাংবাদিকতা বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে উক্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মো. পলাশ খানকে সভাপতি ও দৈনিক আজকের দর্পণের প্রতিনিধি শাওন বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন - নির্বাহী সভাপতি জামাল মাদবর(দেশ২৪নিউজ), সহ-সভাপতি সাইদ আকন(দিন প্রতিদিন), মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ্(বিডি স্টার টিভি ও ঢাকা ক্যানভাস) ও মানজারুল ইসলাম মিলন(দৈনিক মাতৃজগত), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম(দৈনিক কালবেলা), সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মিয়া(দৈনিক খবরপত্র), দপ্তর সম্পাদক হানিফ বেপারী(দৈনিক দিনের কণ্ঠ), কোষাধ্যক্ষ রাসেদুল ইসলাম রিয়াদ(বাংলাদেশ সমাচার), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল আহমেদ(আমাদের মাতৃভূমি), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব মিয়া(আজকের দৈনিক)।

উক্ত কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন, মাহমুদুল হাসান, শাহিন আলম, দেলোয়ার মুন্সি, মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বাবু এবং সদস্য জাফর আহমেদ, মো: মাহবুব আলম, মনির হোসেন ও শফিকুজ্জামান রুবেল।

জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন স্বপন খানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বুলেটের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা, জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়া, সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো: আরিফুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুল হাসান।


আরও খবর



বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক, টাকা চেয়ে চিরকুটে নম্বর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। শুধু তাই নয়, মিটার চুরি করে সেখানে আবার বিকাশ নম্বর লিখে যাচ্ছেন চোররা। বিকাশে টাকা ঢুকলেই ফেরৎ দেওয়া হচ্ছে মিটার। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুবিধাভোগীরা।

সোমবার (১৩ মে) রাতে ধনবাড়ী পৌরসভার চালাষ এলাকা থেকে দুটি রাইস মিলের মিটার চুরি করে নিয়ে কাগজে ফোন নম্বর রেখে যায় চক্রটি।

ভুক্তভোগীরা জানান, আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতির কারণেই দিন দিন এই মিটার চুরির ঘটনা বেড়েছে। এতে করে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষদের মাঝে মিটার চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিটার চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল ব্যবস্থা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দাবি ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী বলেন, অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (৬ মে) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে জানানো হয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ২ এপ্রিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বকবি ও জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে উদযাপন করতে হবে।

আগামী ২৫ বৈশাখ ৮ মে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী এবং ১১ জৈষ্ঠ্য ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালননের জন্য অনুরোধ করা হলো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর সোমবার (৬ মে) দেশের মাদ্রাসাগুলোর অধ্যক্ষ, সুপার ও এবতেদায়ি প্রধানদের দুই কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে পালনের নির্দেশ দেয়।


আরও খবর