আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বরূপকাঠিতে ১০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক সম্রাজ্ঞী শিল্পী গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে  ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী শিল্পী বেগমকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেছারাবাদ থানা পুলিশ শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে স্বরূপকাঠি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

শিল্পী স্বরূপকাঠি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মো. আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। উল্লেখ্য মাদক ব্যাবসায়ী শিল্পী এর পূর্বেও কয়েকবার মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। তার সাবেক স্বামী মৃত অহিদুজ্জামান এলাকার একজন শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী ছিলেন। প্রায় দুই বছর পূর্বে মাদক বিরোধী অভিযানে অহিদুজ্জামান ক্রসফায়ারে নিহত হয়।

নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের শেষে শনিবার আসামিকে পিরোজপুর কোর্টে পাঠানো হবে।


আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর



প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে সারা আলি খানের লন্ডন ভ্রমণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের নতুন প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় দুই নায়িকা তারা। অভিনেত্রী হিসেবে রুপালি পর্দায় পা রেখেছেন মোটামুটি একই সময়ে। জনপ্রিয়তার নিরিখেও কেউই কারও থেকে কম নয়। তবে বলিউডে সাফল্য অর্জন করার ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে রেষারেষির রাস্তায় হাঁটতে চান না তারা। কারণ, তারা নাকি একে অপরের খুব ভালো বন্ধু! বলা হচ্ছে সারা আলি খান ও জাহ্নবী কাপুরের কথা।

বলিউডের দুই আলোচিত পরিবারের সন্তান তারা। এবার একই পরিবারের দুই ছেলের সঙ্গে প্রেম করছেন তারা। জাহ্নবী ও শিখর পাহাড়িয়ার প্রেমের চর্চা এখন সর্বজনবিদিত। প্রেমিকের নামাঙ্কিত হার গালায় পরে ঘুরেছেন আজকাল। এবার শিখরের ছোট ভাই বীরের সঙ্গে লন্ডনে সারা!

বীর পাহাড়িয়া হলেন ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর নাতি এবং ব্যবসায়ী সঞ্জয় পাহাড়িয়ার ছেলে। খুব শিগগিরই বড় পর্দায় অভিষেক ঘটবে তার, এমনটাই গুঞ্জন শোনা যায়।

এদিকে পর্দায় পা দেওয়ার পর সুশান্ত সিং রাজপুত থেকে কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে সারার প্রেমের খবর নিয়ে কম চর্চা হয়নি। আবার কার্তিকের সঙ্গে এক সময় জাহ্নবীরও সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে, বীরের সঙ্গে সারার ঘনিষ্ঠতা নতুন নয়।

২০২০ সালে সারা একপ্রকার স্বীকার করেই নিয়েছিলেন যে, তিনি বীর পাহাড়িয়ার সঙ্গে প্রেম করছেন। এমনকি, কফি উইথ করণ শোয়ে এসেও সে ব্যপারে উল্লেখ করেন। যদিও মাঝে শোনা গিয়েছিল, তারা আলাদা হয়ে গিয়েছেন। তবে, সম্প্রতি বীরের সঙ্গে সারার লন্ডন ভ্রমণের ছবি দেখে ফের গুঞ্জন শুরু হয়েছে।


আরও খবর



উন্নয়ননের অপর নাম শেখ হাসিনা : মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় এটা সকলের জানা। সরকারের কাজ উন্নয়ন করা আর উন্নয়নের অপর নাম শেখ হাসিনা।

শনিবার ঢাকার দোহার উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার রাজনীতির জীবনে স্বপ্ন ছিলো তৃণমূলের মানুষদের সেবা করবো। মহান আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আমাকে দেওয়া দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

চেয়ারম্যান বলেন, আমি কারো মুখের কথায় কোনো উন্নয়ন কাজ করি না। আমি সরাসরি ওই এলাকায় গিয়ে যেসকল উন্নয়ন প্রয়োজন তাই করে দিচ্ছি।

এসময় দিনব্যাপি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি আরসিসি রাস্তা, একটি ড্রেন ও একটি মসজিদের উন্নয়ন ফলক উদ্বোধন করেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক, উপসহকারী প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন, নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মোস্তফা মোল্লা, আজাদ খান, চঞ্চল মোল্লা, মুক্তার হোসেন, মেহেদী হাসান সাদ্দামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা।

নিউজ ট্যাগ: দোহার

আরও খবর



অন্তর্বাসে লুকানো থাকত ডিভাইস, ১০ মিনিটে শেষ হতো পরীক্ষা (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

মেয়েদের অন্তর্বাসের মধ্যে এবং ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো থাকত অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস। একইসঙ্গে সংযোগ দিয়ে পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে রাখা হতো ক্ষুদ্রাকৃতির বল।

প্রশ্নপত্রের উত্তর সমাধানের জন্য বাইরে থেকে কাজ করত আরেকটি চক্র। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র সমাধান করে ডিভাইসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো পরীক্ষার্থীদের। বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করা সংঘবদ্ধ এ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তাররা হলেন মো. জুয়েল খান (৪০), মো. রাসেল (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল (৩৯), মো. আব্দুর রহমান (৩৮), মো. আরিফুল ইসলাম (৩৫), মো. আজহারুল ইসলাম (২৯) এবং মো. মাসুম হাওলাদার (২৫)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে থেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ১০টি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস, সাতটি মোবাইল ফোন ও ১০টি সিম কার্ড এবং একটি পকেট রাউটার জব্দ করা হয়।

রোববার (১২ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তর সাপ্লাই করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। প্রথমত তারা পরীক্ষা শুরুর ১ থেকে ২ মিনিট আগে পরীক্ষার কোনো না কোনো কেন্দ্র ম্যানেজ করে প্রশ্নের ফটোকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাইরে পাঠিয়ে দিত। বাইরে তাদের একটা টিম পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন সলভ করে ফেলে। এরপর তারা উত্তরগুলো বলতে থাকে। পরীক্ষার্থীর কাছে যে ক্ষুদ্র ডিভাইস থাকে সেটা পরীক্ষার্থীর কানের মধ্যে থাকে। আর পকেটে একটা রাউটার থাকে। অথবা মেয়েদের অন্তর্বাসে বা ছেলেদের গেঞ্জির মধ্যে লুকানো ডিভাইসের সঙ্গে কানেক্টেড একটা সিম রাখে। এরপর বাইরে থেকে যখনই টেলিফোন করে সঙ্গে সঙ্গে  পরীক্ষার্থী শুনতে পাবে এবং ১০ মিনিটের মধ্যে উত্তরগুলো সলভ করে ফেলবে। চক্রটি বাইরে থেকে উত্তর বলবে আর যাদের অন্তর্বাস বা গেঞ্জির সঙ্গে ডিভাইস থাকবে তারা ভেতরে থেকে উত্তরগুলো শুনে সঙ্গে সঙ্গে এমসিকিউ দাগিয়ে ফেলবে।

হারুন অর রশিদ বলেন, দিন দিন এভাবে ক্রাইমের প্যাটার্নটা চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। এক সময় আমরা নকল প্রতিরোধের জন্য কাজ করেছি। সে সময় তারা পরীক্ষার হলে বই নিয়ে যেত। এভাবে কিন্তু দিন যাচ্ছে অপরাধীরা তাদের অপরাধের প্যাটার্ন চেঞ্জ করছে। আমরাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করছি। এখন সর্বশেষ আমরা যেটা পেলাম সেটা হচ্ছে তারা ক্ষুদ্রাকৃতির বল ব্যবহার করছে এবং ডিভাইসটা এমন জায়গায় রাখছে যেখানে ধরার বা চেক করার কোনো স্কোপ নেই।

ডিবি প্রধান বলেন, চক্রের সদস্যরা প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (তৃতীয় ধাপ), বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকেট কালেক্টর (গ্রেড ২) ও বুকিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (গ্রেড ২), পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস সহায়ক, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, টাঙ্গাইলের অফিস সহায়ক, মৎস্য বিভাগের অফিস সহায়ক, গণপূর্তের হিসাব সহকারী ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপকসহ আরও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় এসব পন্থায় অপরাধ কর্ম সংঘটিত করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের সঙ্গে চুক্তি করে। চাকরি ভেদে এমসিকিউ লিখিত পরীক্ষায় টিকিয়ে দেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং লিখিত ও ভাইভাসহ ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে।

হারুন অর রশিদ বলেন, চক্রের মূলহোতা জুয়েল খান বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস সংগ্রহ ও সরবরাহ, প্রশ্নপত্র সংগ্রহ, সমাধান টিমের সদস্য সংগ্রহ ও চক্রের অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় করত। মো. রাসেল ও মো. মাহমুদুল হাসান শাকিল এবং মো. আব্দুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষার্থী সংগ্রহ এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ডিভাইসটি কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যবহারবিধি শিখিয়ে দেয়। মো. আরিফুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের অভ্যন্তর থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর সুবিধা মতো সময়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করা চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেয়। এরপর তাদের সমাধান টিম অতি দ্রুত সেই প্রশ্নপত্র সমাধান করে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে তাদের নির্ধারিত পরীক্ষার্থীদের কাছে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিত।

তিনি বলেন, বিশেষভাবে প্রস্তুত করা জিএসএম সুবিধা সম্বলিত এই ডিজিটাল ইলেকট্রনিক স্পাই ডিভাইসটি মেয়েদের অন্তর্বাস ও ছেলেদের স্যান্ডো গেঞ্জির ভেতরে এমনভাবে সেলাই করে সংযুক্ত করা থাকে যা বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় থাকে না। ডিভাইসে একটি মোবাইল সিম কার্ড সংযুক্ত থাকে। কেন্দ্রের বাইরে থেকে ওই নম্বরে কল করা মাত্রই সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিসিভ হয়ে যায়। এই ডিভাইসের সঙ্গে ব্লু-টুথের মাধ্যমে কানেক্ট থাকা ছোট্ট বল আকারের রিসিভার স্পিকারটি পরীক্ষার্থীদের কানের ভেতরে থাকে। ফলে বাইরে থেকে উত্তর বলে দিলে নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীরা অনায়াসে তা লিখতে পারে। পরীক্ষা শেষে শক্তিশালী কলম সদৃশ চুম্বকের (ডিভাইসের বিশেষ অংশ) সহায়তায় সেটি কানের ভেতর থেকে বের করা হয়।


আরও খবর



দেশের ১১ অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, ঢাকায় বেড়েছে ২ ডিগ্রি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১১টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আবার দুই জেলায় বইছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকাসহ বেশিরভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। আজ থেকে আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কাল ও পরশু সিলেট ছাড়া দেশের আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা ৩টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে যশোরে ৪২ দশমিক ২। এছাড়া ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকা অঞ্চলগুলো হলোরাজশাহীতে আজ ৪২, যা শনিবার ছিল ৪১ দশমিক ৫, চুয়াডাঙ্গায় আজ কিছুটা কমে ৪১ দশমিক ৮, গতকাল ছিল ৪২ দশমিক ৭, ঈশ্বরদীতেও আজ তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৩, শনিবার ছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সাতক্ষীরায় রবিবার তাপমাত্রা বেড়ে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি হয়েছে, শনিবার যা ছিল ৩৯ দশমিক ৪, কুমারখালী ও মোংলায় আজ ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি। গোপালগঞ্জে আজ ৪০ দশমিক ৬, শনিবার ছিল ৩৮ দশমিক ২, টাঙ্গাইলে আজ ৪০ দশমিক ৩, শনিবার ছিল ৩৬ দশমিক ৬, ফরিদপুর আজ ৪০ দশমিক ২, শনিবার ছিল ৩৮ দশমিক ৪, খুলনায় আজ রবিবার ৪০, শনিবার ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এছাড়া ঢাকায় আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা শনিবার ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সোমবারের (২৯ এপ্রিল) পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবারের (৩০ এপ্রিল) পূর্বাভাস প্রায় একই কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে এবং থাকবে। আজকে আবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে (২৯ ও ৩০ এপ্রিল) সিলেট ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


আরও খবর