আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

টানা বর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
এস এ শফি, সিলেট

Image

রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে সিলেট মহানগরের অধিকাংশ এলাকা। এসব এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও খাবারের সংকট তৈরি হয়েছে। এতে নতুন করে ৬ হাজার পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। সবমিলিয়ে এখন ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

গতকাল রোববার রাতের টানা কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে ও সুরমা নদীর পানি উপচে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। বাদ যায়নি সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালও। চিকিৎসাকেন্দ্রটির বিভিন্ন ভবনের নিচতলা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড.মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জানান, ভোররাত থেকে হাসপাতালের প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকা জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে হাসপাতাল ভবনের নিচতলার প্রায় প্রতিটি কক্ষে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী এবং চিকিৎসা দিতে আসা চিকিৎসক ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সিলেটের নদ নদীর ৪টি পয়েন্টর পানি বিপদসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার রাত ও সোমবার সকালে ২৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে নগরের উপশহর, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, তেরোরতন, সাদারপাড়, সোবহানীঘাট, যতরপুর, কুশিঘাট, তালতলা, জামতলা, মণিপুরি রাজবাড়ি সহ অনেকে এলাকা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা থেকে নামতে শুরু করে পানি। তবে এখনো পানিবন্দি উপশহরে মানুষ।

উপশহর এলাকার বাসিন্দারা জানান, অনেকের বাসার নিচের হাঁটু পর্যন্ত পানি। কোনো ঘরের মধ্যে বিদ্যুত নেই, গ্যাস নেই, খাবার নেই। কেউ সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে না।

এদিকে, উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানিবন্দি রয়েছেন লাখো মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, সোমবার বেলা ১২টার তথ্যমতে, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কুশিয়ারার অমলসিদ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টের পানি দিয়ে পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টার ২০০ মি.মি এর বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাত আগামী কয়েকদিন থাকতে পারে। এছাড়া মৌসুমি বায়ুর সিলেটের দিকে চলে এসেছে, যার ফলে সামনের দিনগুলোতে বৃষ্টি আরোও বাড়তে পারে।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশন সহ ১৪ উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। এসব উপজেলার ৫৫৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাই হয়েছে ১হাজার ৪শ মানুষের।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ শাখা জানায়, গতকাল রবিবার রাত থেকে টানা বর্ষণে প্রায় ২৮ টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এরফলে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। নগরীর প্লাবিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন নগর ভবন কতৃর্পক্ষের।

ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার পরিবার বন্যায় প্লাবিত হয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে স্থানীয় কাউন্সিলর মাধ্যমে বন্যায় আক্রান্তদের মাঝে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি ও আশ্রয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ মখলিছুর রহমান কামারন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, হমায়ুন কবির সুহিন, জয়নাল আবেদীনসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রোষ্টার ডিউটি পালন করবেন সিসিকের কর্মকর্তাগণ। জরুরি সেবায় কন্ট্রোলরুম যোগাযোগের ফোন নম্বর (০১৯৫৮২৮৪৮০০) ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, সোমবার মধ্যরাত থেকে টানাবর্ষণ হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে আরও কয়েকটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডে এরও ১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর প্লাবিত এলাকাগুলোতে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে। আজ রাতে ওইসব এলাকায় রান্না করা খাবার দেওয়া হবে। নগরীর সকল ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলরদের সাথে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছে নগর ভবন।

তিনি আরও জানান, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নগরীর ছড়াখাল পানি ভরে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল ওয়ার্ড সমূহে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সিসিক। আশ্রয় কেন্দ্রসহ ত্রাণ সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সিসিক কতৃর্পক্ষ।

ইতিমধ্যে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৫ নং ওয়ার্ডে কিশোরী মোহন বালক উচ্চ বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়, বসন্ত মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, মওদুদ আহমের বাসায় আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। ১৩ নং ওয়ার্ড মির্জা জাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২৪ নং ওয়ার্ড তেররতন স্কুল, ওমর শাহ স্কুল ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঘাসিটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউসেফ ঘাসিটুলা স্কুল, জালালাবাদ মডেল স্কুল, মঈনুদ্দিন মহিলা কলেজ, কানিশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কাউন্সিলর তাদের নিজ বাস ভবনে পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয় প্রদান করছেন। ইতিমধ্যে মহানগরীতে লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী আবস্থায় রয়েছেন।

সাজলু লস্কর আরও জানান, কাউন্সিলরদের দেয়া তথ্যমতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।


আরও খবর



ব্যাটারদের রান না পাওয়ার প্রশ্নের উত্তর নেই শান্তর কাছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে দলের বোলাররা যেমন প্রতিটি ম্যাচে পারফর্ম করেছেন তেমন একইভাবে প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থ দলের টপ অর্ডার।

ব্যাট হাতে দলের টপ অর্ডারের প্রত্যেক ব্যাটারের ব্যর্থতা রীতিমতো হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে। অবশ্য এমন ব্যর্থতার মধ্যে বন্দি তারা বছরের শুরু থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এভাবে শুরু করে যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে এ রকম পারফরম্যান্সি ঠিক সেভাবে নজরে আসেনি। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকতে হয়েছেন ব্যর্থ। ব্যাটারদের বারবার এমন রান না পাওয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর নেই বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে।

অজিদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। অধিনায়ক শান্তর সাথে তার ৫৮ রানের জুটি হলেও সেটিকে ঠিক টি-টোয়েন্টি গতির বলা যায় না।

বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ৫৮টি ডট বল। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ লিটন দাস ২৫ বলে ৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১৬ রান করেন। থিতু হয়েও এমন ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন স্বল্প রানে।

শুরুতে এ রকম ঘুম পাড়ানো ব্যাটিং প্রসঙ্গে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, আসলে শুরুর দিকে আমরা একটু সতর্ক খেলারই পরিকল্পনা করেছিলাম। আগের ম্যাচগুলোতেও আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি বলে মনে করি। রান আরেকটু ভালো হতে পারত। আমি বাজে সময় আউট হয়েছি, আউট না হলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারতাম।

রানখরাও ভুগতে থাকা লিটন আজও হয়েছেন ব্যর্থ তার ওপর খেলেছেন স্লো একটা ম্যাচ। শান্ত অবশ্য সতীর্থের খেলায় দোষ দেখেন না। তিনি বলেন , শুরুর দিকে উইকেট স্লো ছিল। খুব যে বল ব্যাটে আসছিল তা না। তবে সেট ব্যাটার থাকা খুব জরুরি ছিল।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের বিশ্বকাপে দৈন্যদশার কারণ অবশ্য জানা নেই শান্তর, কেন তারা পারছে না এটা তো বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয় সবার সামর্থ্য আছে। সবাই অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় করে দেখিয়েছে। এবার কেন হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে যার যার স্বাভাবিক খেলা খেলার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কোনো কারণে হচ্ছে না। সবাই ম্যাচে গিয়ে যার যার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছে, তবে এভাবে খেললে অবশ্যই বোলারদের জন্য কঠিন।


আরও খবর



দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এ দ্বিপক্ষীয় সফর উপলক্ষ্যে ২১ থেকে ২২ জুন ভারতে অবস্থান করবেন তিনি।

জানা গেছে, এই সফরে দুদেশের চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও এগিয়ে নেওয়ার বার্তা থাকবে। সফরে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি। পাশাপাশি আলোচনায় থাকবে ঋণ সহায়তা, সীমান্ত হত্যা ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির মতো অমীমাংসিত ইস্যুগুলো।

সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারে বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৩ দিনে সড়কে ঝরেছে ২৬২ প্রাণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে ১৩ দিনে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬২ জন নিহত এবং ৫৪৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ঈদযাত্রার ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ২৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৩২ জন, শিশু ৪৪ জন, পথচারী ৪৯ জন, যানবাহনের চালক ও সহকারী ২৮ জন রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ১৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় ৯৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে উল্লেখ্যযোগ্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।


আরও খবর



শুক্রবার হাতিরঝিলে বন্ধ থাকবে যান চলাচল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো প্রতিপাদ্যে শুক্রবার (৭ জুন) ভোর ৫টায় ঢাকার হাতিরঝিলে ‌জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ শিরোনামে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ম্যারাথন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে জনসাধারণের সুবিধার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপির ট্র্যাফিক-তেজগাঁও বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ট্র্যাফিক-তেজগাঁও বিভাগ থেকে এ বিশেষ ট্র্যাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ডিএমপির ট্র্যাফিক তেজগাঁওয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ম্যারাথন উপলক্ষ্যে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে শুক্রবার ভোর রাত ৩টা থেকে হাতিরঝিলে নিরাপত্তার স্বার্থে গাড়ি প্রবেশ আটকানো হবে। হাতিরঝিল কেন্দ্রিক মোট ৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রোড ব্লকার দিয়ে ডাইভারশন দেওয়া হবে। এছাড়া ৩২টি পয়েন্টে ফোর্স মোতায়েন করে অলিগলি থেকে গাড়ি বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

জয়বাংলা ম্যারাথনে উপলক্ষ্যে সর্ব সাধারণের জন্য নির্দেশনা

মহানগর প্রজেক্ট, মালিবাগ, রামপুরা কিংবা বাড্ডা থেকে গুলশান, বনানী, উত্তরা যাওয়ার জন্য গুলশান বাড্ডা লিংক রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

রামপুরা, মালিবাগ কিংবা মহানগর প্রজেক্ট থেকে ফার্মগেট, রমনা কিংবা শাহবাগ আসার ক্ষেত্রে রামপুরা রোড হযে ওয়ারলেস গেট লেফট টার্ন করে মগবাজার মোড় ব্যবহার করে গন্তব্যে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলো।

রমনা, শাহবাগ থেকে গুলশান, বনানী যাওয়ার জন্য মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে মহাখালী দিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। এছাড়াও এসব এলাকা থেকে রামপুরা, মালিবাগ বা হাতিরঝিলে বসবাসরত বিভিন্ন প্রজেক্টে যাওয়ার জন্য মগবাজার মোড়, ওয়ারলেস গেট হয়ে রামপুরা রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

গুলশান, বনানী, উত্তরা থেকে রামপুরা, বাড্ডা, আফতাবনগর কিংবা মালিবাগ যাওয়ার ক্ষেত্রে হাতিরঝিল ব্যবহার না করে গুলশান বাড্ডা লিংক রোড ব্যবহার করে বাড্ডা রামপুরা রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হলো।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান 

মিরপুর, ক্যান্টনমেন্ট বা উত্তরা থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: কাকলী ক্রসিং লেফট টার্ন-গুলশান ২- গুলশান ১; ড্রপিং পয়েন্ট বিএসএসএফ কনভেনশন হল; পার্কিং- বিএসএসএফ কনভেনশন হল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডে এক লেন পার্কিং।

রমনা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: মগবাজার ফ্লাইওভার-লাভরোড-তিব্বত-মহাখালী ইউটার্ন-ফনিক্স লেফট টার্ন-তেজগাঁও লিংক রোড-আড়ং; ড্রপিং পয়েন্ট জিএমজি মোড়: পার্কিং- জিএমজি মোড় থেকে হাতিরঝিল সংযোগ সড়ক (প্রয়োজনে জিএমজি মোড় থেকে শান্ত টাওয়ার পর্যন্ত এক লেন)-রাজউকের নগর ব্যবস্থাপনা ভবনের ডিজিটাল পার্কিংয়ে।

মালিবাগ, রামপুরা, গুলশান বাড্ডা লিংক রোড থেকে আসার রাস্তা এবং পার্কিং: মালিবাগ-রামপুরা-গুলশান বাড্ডা লিংক রোড-গুলশান ১ লেফট টার্ন-পুলিশ প্লাজা; ড্রপিং পয়েন্ট বিএসএসএফ কনভেনশন হল, পার্কিং- বিএসএসএফ কনভেনশন হল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তার দুই সাইডে এক লেন পার্কিং।

মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য পার্কিং ব্যবস্থা: নিকেতন ৩ নম্বর গেট এবং তার বিপরীত পাশের রাস্তা ও পুলিশ প্লাজার পেছনের রাস্তা থেকে বাড্ডা লিংক রোড রাস্তা।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর হবে ‘গেম চেঞ্জার’: রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর হবে একটি গেম-চেঞ্জার, যা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

রবিবার (২ জুন) রাতে চীনা দূতাবাসে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি (প্রধানমন্ত্রীর সফর) হবে আরেকটি ঐতিহাসিক সফর। এটি হবে একটি গেম-চেঞ্জার। এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী বেইজিং সফরের তারিখ জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, লেটস ওয়েট অ্যান্ড সি।

প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বর্তমানে বেইজিং সফর করছেন।

বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিআই) এবং চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি)-এর সহযোগিতায় চীনা দূতাবাস চীন-বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট: এ মিউচুয়ালি বেনিফিশিয়াল অ্যান্ড উইন উইন চয়েজ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-চীন মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বেইজিং।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি নিশ্চিত যে চীন-বাংলাদেশ এফটিএ স্বাক্ষর নিঃসন্দেহে পারস্পরিক সুবিধা এবং সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে, যা চীন-বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার একটি নতুন সোনালি যুগের সূচনা করবে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- আরএপিআইডি চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, বিসিসিআই মহাসচিব আল মামুন মৃধা এবং সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়াং।


আরও খবর