আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে মরুভূমির শাম্মাম চাষে যুবকের চমক

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

দেখতে অনেকটা তরমুজের মতো। বাংলাদেশে অনেকেই এই ফলটিকে রকমেলন নামে চেনেন। দেশের মাটিতে মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষ করে লাভবান হয়েছেন মোন্নাফ আলী মন্ডল। ৭৫ শতক জমিতে সাম্মাম ফলের আবাদ করে এখন পর্যন্ত তিনি আড়াই লাখ টাকা আয় করেছেন। নতুন জাতের এ ফল উৎপাদনের খবর পেয়ে দেখতে আসছেন আশপাশের কৃষক ও দর্শনার্থীরা। অনেকেই নতুন জাতের এ ফল খেয়ে দেখছেন, আবার কেউ বা ক্রয় করছেন।

কৃষি অধিদপ্তরের মতে, এটি মরুভূমির ফল হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের আবহাওয়া ও মাটির সাথে ভালোভাবে অভিযোজিত। স্থানীয় পর্যায়ে এটির বাজার তৈরি হলেও এটি একটি লাভজনক ফসল হিসেবে কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মুন্নাফ আলী মন্ডল। তেঁতুলতলা এলাকায় ভাতারমারি ফার্মের পশ্চিম পাশে ৭৫ শতাংশ জমিতে রকমেলন চাষ শুরু করেছেন। তিনি একজন ভালো ও অভিজ্ঞ তরমুজ চাষি হলেও তরমুজের পাশাপাশি এবার এই মরুর ফল চাষ করেছেন। ইউটিউব দেখে মালচিং পলিথিন ছিদ্র করে এর ফাকে ফাকে বীজ বপন করেন তিনি। বপনের মাত্র ৬০-৭০ দিনের মধ্যে রকমেলন বা সাম্মাম ফল কর্তন (হারভেস্ট) করে বাজার জাতকরণ করছেন। ফলে তিনি যেমন লাভবান হচ্ছেন। তেমনি এখানে কাজ করে ৮-১০ জন নারী পুরুষ পেয়েছেন আয়ের উৎস।

মাত্র ৬০-৭০ দিনের মধ্যে এই ফলন ও দাম ভালো পেয়ে খুশি এই কৃষি উদ্যোগক্তা। ৭৫ শতাংশ জমিতে রকমেলন চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই আড়াই লাখ টাকা ফল বিক্রয় করে ফেলেছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তরমুজ চাষের মত করেই তৈরি করা হয়েছে সারিবদ্ধ মাটির ঢিপি। দুর দেখে যে কেউ দেখলে মনে করবেন এটা তরমুজ খেত। কিন্তু কাছে যেতেই বোঝা গেল এটি তরমুজ সাদৃশ্য নতুন জাতের সাম্মাম ফল। মাটির উপরে মালচিং বিছিয়ে শাম্মাম ফলের চারা রোপণ করা হয়েছে সেখানে। আর ছিদ্রকরা মালচিং এর ফাকা দিয়ে গজিয়ে উঠেছে সাম্মাম ফলের গাছ।

সাম্মাম ফলের চাষী কৃষক মোন্নাফ আলী মন্ডল বলেন, ফলটি এই অঞ্চলে পরিচিত না হওয়ায় বাজার জাত করতে একটু সমস্যা হচ্ছিল কিন্তু এখন পাইকার এসে ক্ষেত থেকেই ফল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এখনো মাঠে যা ফল আছে তাতে আরও লক্ষাধিক টাকা বিক্রয়েরে আশা করছেন তিনি। চুয়াডাঙ্গার এক পরিচিত কৃষকের কাছ থেকে মোন্নাফ আলী মন্ডল সাম্মাম ফলের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর সেসব বীজ থেকে তিনি বাড়িতে চারা তৈরি করেন।

তিনি আরো বলেন,  চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাথমিকভাবে ৭৫ শতক জমিতে সাম্মাম ফলের চারাগুলো রোপন করা হয়। তরমুজের মত করে মাটিতেই এই ফলের চাষ করা হয়। জমিতে রোপণের দেড় মাসের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। তিন মাসের মধ্যেই পরিপক্ক হয় মরুভূমির ফল সাম্মাম। ফলটি সর্বনিম্ন ৫০০ গ্রাম থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। ফলটি প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হয় বাজারে। আর আমি পাইকারিভাবে বিক্রি করছি ৬০-৮০ টাকা দরে।

আগে ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে সাম্মাম ফলটি বিক্রি করেছি। এখন ক্ষেত থেকেই ঢাকার পাইকার এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দেশে এই ফলের বাজার সম্প্রসারণ হলে দেশের কৃষকরা এটি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

ক্ষেতে কাজ করে তাদের সংসারও ভালো চলছে বলে জানান স্থানীয় নারী শ্রমিক কৌশলা। এর আগে কখনো এমন ফল দেখেননি ও খাননি বলে স্থানীয়রাসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ফসলের মাঠে।

আরিফ নামে দর্শনার্থী বলেন, রকমেলন ফলটি আগে কখনো সরাসরি দেখিনি ও খায়নি তাই বউ -বাচ্চাকে নিয়ে এখানে দেখতে আসলাম। দেখ ও ফলটি খেয়ে ভালই লাগল। স্থানীয় কৃষক সুমন হোসেন বলেন, মুন্নাফ এর রকমেলন ক্ষেত দেখতে আসছি। দেখে ভালই লাগল। চিন্তার করছি আগামীতে আমিও এর চাষ করবো। এছড়াও আশেপাশের কৃষকরাও উদ্ধবুদ্ধ হচ্ছেন।

রাজধানীতে চাহিদা থাকায় ক্ষেত থেকে রকমেলন ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে দেড়শটাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রয় করনে বলে জানান ব্যবসায়ী উজ্জ্বল।

রকমেলন একটি ভিটামিন খনিজ সমৃদ্ধ ফল। এটি একটি লাভজনক ফসল ও এর দামও ভালো। তাই রকমেলন চাষে মুন্নাফ আলী মন্ডলকে পোকা-মাকড় দমন রোধসহ সকল প্রকার সহযোগীতা এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।

মো: রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

নিউজ ট্যাগ: শাম্মাম রকমেলন

আরও খবর



অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কুইন অব ফুটবলখ্যাত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা ভিয়েরা দা সিলভা ইতোমধ্যে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন। এখন কেবল ফুটবলকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানোটা বাকি। নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ব্যালন ডিঅরজয়ী এই তারকা ফুটবলার এবার অবসর নেওয়ার সময় জানিয়ে দিলেন। তার তথ্যমতে, চলতি ২০২৪ সালের শেষদিকেই ফুটবলকে বিদায় বলবেন মার্তা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মার্তা বলেন, এটি আমার শেষ বছর, আমি ইতোমধ্যে এর নিশ্চয়তা দিয়েছি। এমন মুহূর্ত থাকে যখন আমরা বুঝতে পারি সেই সময় (বিদায়ের) এসে গেছে। এ নিয়ে আমি শান্ত আছি, কারণ তরুণ অ্যাথলেটদের সঙ্গে যে সম্পর্ক রয়েছে, তার মাধ্যমে ফুটবলের ব্যাপক উন্নতি হবে বলে আমি অনেক আশাবাদী।

এই বছর শেষেই অবসরের কথা বললেও, আরও একটি অলিম্পিকে ব্রাজিলের হলুদ জার্সি গায়ে তোলার আশা করছেন মার্তা। এর আগে তিনি পাঁচটি অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দুবার রোপ্য পদক পেয়েছিলেন (২০০৪ এবং ২০০৮)। আবারও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মার্তা বলেন, আমি যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, সেখানকার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করব। কারণ সেটি অলিম্পিক হোক কিংবা অন্যকিছু, এটি ব্রাজিল জাতীয় দলে আমার শেষ বছর। ২০২৫ সালে ব্রাজিল জাতীয় দলে মার্তা বলে কোনো অ্যাথলেট থাকবে না।

বর্তমানে একেবারে নতুন একটি দল হয়ে ওঠার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ব্রাজিলের মেয়েরা। আর্থুর ইলিয়াসের ডাকে শেষবার কনকাক্যাফ গোল্ড কাপের দলে ছিলেন মার্তা। এখন ৩৮ বছর বয়সী এই তারকা স্ট্রাইকার ফিফার পরবর্তী মের উইন্ডোতে ডাক পাওয়ার আশায় আছেন। সেটি হবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের আগে খেলোয়াড়দের যাছাইয়ের শেষ সুযোগ কোচের সামনে।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে নারী এবং পুরুষ দুই সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি গোলের (১৭) রেকর্ড রয়েছে মার্তার দখলে। তবে বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপ রয়ে গেছে এই সেলেসাও কিংবদন্তির। ব্যক্তিগতভাবে ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত টানা ৫ বছর জিতেছেন বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব। ৮ বছর বিরতি দিয়ে ২০১৮ তে আরও একবার সেই সম্মাননা জেতেন তিনি। অবশ্য ব্রাজিলের জার্সিতে একেবারেই শূন্য নন তিনি। প্যান অ্যামেরিকান ফুটবলের শিরোপা আর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ের কীর্তি আছে তার। এছাড়া কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছেন তিনবার।


আরও খবর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




গরু বিতর্কের জবাব দিলেন আশনা হাবিব ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝেমেধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এই তো গত শুক্রবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে নিজের আবেগ উপচে দিয়েছেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, একটি ট্রাকে কিছু গরু রয়েছে। একটি গরুর চোখ ছলছল। সেই ছবির ক্যাপশনে ভাবনা লিখেছেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে। ওমনি ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি।

মাসখানেক পরই ঈদুল আজহা। এ কারণেই ওই ছবির ক্যাপশন পড়ে ভাবনার ওপর চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের একাংশ ভেবে নিয়েছেন, গরুর প্রতি মায়া দেখিয়ে ভাবনা হয়তো ঈদে পশু কেরাবানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। যদিও ভাবনার পোস্টে কোরবানি দেওয়া কিংবা না দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো বক্তব্যই ছিল না।

হয়তো পোস্ট করার পর কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই তো দেড় হাজার শেয়ার হওয়া পোস্টে কমেন্ট মোটে তিনটি। ওই পোস্টে বয়ে গেছে হা-হা রিয়েক্টের বন্যা। মন্তব্যের ঘর খোলা না পেয়ে পোস্ট শেয়ার করেই ভাবনাকে এক হাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর এই পোস্টটি গত কয়েকদিন ধরেই আছে তুমুল আলোচনায়। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে নাতিদীর্ঘ আরেকটি পোস্ট করে গরুর ছবিতে ওই ক্যাপশন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেত্রী।

ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। যেই ছবি তাকে ভাবায়, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেত্রী। গরুর ছবিটি যেদিন তুলেছিলেন, সেদিন ছিল তীব্র তাপদাহ। দীর্ঘসময় গরমে থাকায় ভীষণ কাঁদছিল গরুটি। অবলা প্রাণীর কান্না ভাবনার সমস্ত চৈতন্যকে স্পর্শ করেছিল। সেই অনুভূতিই প্রকাশ করেছেন ছবির ক্যাপশনে।

গরুর বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই বেশ বাজে কথা শুনিয়েছেন অভিনেত্রীকে। কেউ কেউ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভাবনাকে। তাকে কেউ-কেউ গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি অভিনেত্রীকে দেশছাড়া করার আহ্বানও জানিয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। এ ছাড়া কবে কোথায় ভাবনা গরুর মাংস খেয়েছেন ও রেঁধেছেন, সেসব পুরোনো পোস্টও খুঁজে-খুঁজে বের করে পোস্ট করেছেন অনেকে।

সেসবের উত্তরে ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি কোথাও লেখেননি যে তিনি গরুর মাংস খান না। এমনকি কাউকে গরুর মাংস না খেতেও উৎসাহিত করেননি এই অভেনেত্রী। ভাবনার ভাষ্য, একটি প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক।

ভাবনা আরও জানান, তিনি প্রকৃতিপ্রেমী নাকি প্রাণীপ্রেমী, সেটার প্রমাণ কোথাও দিতে রাজি নন। এ ছাড়া ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর কোনো বিষয়ে তার অবস্থানের প্রমাণ হয় না। তবে গরুর ছবিটি নিয়ে তিনি আরও লিখবেন। নিজের কবিতা, গল্পে কিংবা চিত্রে পরবর্তী গরুর বিষয়টি তুলে আনবেন তিনি। কেননা, ভাবনা মনে করেন, শিল্পীর বেদনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করে নিজের পোস্টের ইতি টেনেছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৯৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৫তম।

ভারতের দিল্লি, মিসরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৮৫, ১৮৭ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



সৌদিতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ইসরায়েল বিরোধীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ইসরায়েলবিরোধী কথা বলায় ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। বৃহস্পতিবার, (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টের সঙ্গে কাজ করে।

নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।

আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়। বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব।


আরও খবর



ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকাস্থ বরিশালের আইনজীবীদের বৃহত্তম সংগঠন বরিশাল বিভাগীয় আইনজীবী কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গঠনতন্ত্রের ১২ ধারা অনুযায়ী উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি, অ্যাডভোকেট মো. শাহাজাদা ২০২৪-২০২৭ তিন বছরের জন্য ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটির অনুমোদন করেন।

কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাগফুর রহমান শেখ ও সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানকে।

এছাড়া কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ সভাপতি সৈয়দ মাহবুব হোসেন, এ কে এম আক্তার হোসেন, মোসাম্মৎ সুরাইয়া বেগম, জাকির হোসেন সরদার, মো. নাসির উদ্দিন, এম এ হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল হাওলাদার, মো. আসাদুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ মো. আল-আমিন রিজভী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আল আমিন, মো. আল-কুদরত এ্যাপোলো, পারভেজ হোসেন, শফিকুল ইসলাম মিজান, গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুর হমান বাদল,  সৈয়দ বশির হোসেন চৌধুরী, মো. সাইদুর রহমান মাঈনুল,  নাসরিন হেনা, শ্যামল কুমার রায়, এম, মান্নান (মান্না), আইন সম্পাদক ব্যারিষ্টার শেখ তানভীর করিম রাসেল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার সানিয়ান রহমান, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সরদার মো. খলিলুর রহমান, সমাজ সেবা সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব, আবাসন সম্পাদক মো. জাফর আহম্মেদ, তথ্য সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, শিক্ষা সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস, ক্রিড়া সম্পাদক সৈয়দ ইউনুস আলী রবি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নার্গিস পারভীন এলিজা, প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল (বাচ্চু), দপ্তর সম্পাদক  মো. রুবেল আল মামুন, নির্বাহী সদস্য মো. নুরুল ইমান বাবুল, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আকবর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোসা. মৌসুমী আক্তার, ফাতিমা আক্তার, মো. মাজহারুল আনোয়ার উজ্জ্বল, এরশাদুল কাওছার, হাফিজ আল মামুন, হাবিবা আক্তার, মাহবুবা জুই, মেহেদী মিলন, নুরুল ইসলাম সজিব এবং ৬ জেলার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর