আজঃ বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪
শিরোনাম
ছাগলই মতিউরকে চিহ্নিত করেছে : বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে: আইজিপি আনার হত্যা: সীতাকুণ্ড পাতাল মন্দিরে ২৩ দিন আত্মগোপনে ছিল ফয়সাল-মোস্তাফিজ আরও এক বছর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ইসি মতিউরের বিরুদ্ধে গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ‘জবরদখলের’ অভিযোগ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু এস কে সিনহা ও তার ভাইয়ের মামলায় প্রতিবেদন ২ সেপ্টেম্বর ‘ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে দেরিতে এলে কিছুই করার থাকে না’ মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্কুলের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতে গুলসান আরা বেগম নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছে আব্দুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি। গুলসান আরা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর পোকাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আর আব্দুর রশীদ ওই এলাকার মৃত খাদেম আলীর ছেলে।

গত সোমবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে রুখব দুর্নীতি গড়ব দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে ওই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দশ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলে।

গত রোববার (৯ জুন) দ্বিতীয় শুনানিতে তাদের উভয় পক্ষকে ডাকা হয় এবং সোমবার (১০) দুইজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল আলম ও মুমিনুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্তের জন্য ওই স্কুলে যান।

তবে তদন্তের বিষয়ে এই দুই কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

দুদকে দেওয়া সেই অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, বোচাপুকুর পোকাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টির ২.৮৩ একর জমি রয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগমের স্বামীর বাড়ি পোকাতিতে হওয়ার সুবাদে তিনি এ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে কর্মরত আছেন।

প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ের জমি নিজের ইচ্ছামতো চুক্তি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছে। এলাকার নিজস্ব লোকজন নিয়ে স্কুলের কমিটি করেন। ইতিপূর্বে জমি দাতাগণ ও ছাত্র অভিভাবকগণ অবৈধ স্কুল কমিটির অনুমোদন না দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মতিয়র রহমান বিদ্যালয়ের জমিতে ৪২টি কাঁঠাল গাছ, ৪টি আম গাছ, ৩টি ডাব গাছ ও বিভিন্ন বনজ গাছ আছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা বনবিভাগকে না জানিয়ে উক্ত গাছগুলোর মধ্যে কতগুলো গাছ বিক্রি করে দেয়। প্রতিনিয়তই প্রধান শিক্ষিকা সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে আসছে বলে অভিযোগে পাওয়া যায়।

অভিযোগকারী আব্দুর রশীদ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা ১৫ বছর ধরে একই স্কুলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। তিনি ব্যক্তির স্বার্থে স্কুলের জমি ও হাট লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন। স্কুলের গাছ বিক্রি করেছে। তিনি তাঁর লোক দিয়ে রাতের অন্ধকারে কমিটি গঠন করেন। জমিদাতার কোনো নাম নেই। যারা জমি দান করেছে তাদের তিনি স্কুলে ঢুকতে দেয় না। প্রবেশ করলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয় বলে জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা গুলসান আরা বেগম বলেন, স্কুলের কোন জমি বা হাট লিজ দেওয়ার কোন প্রশ্নেই আসে না। আর সকলের সামনে প্রকাশ্যে কমিটি করা হয়েছে। আমার নামে যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট।

তিনি আরো বলেন, আইন অমান্য করার কোন সুযোগ আমার নাই। যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই শিক্ষা অফিস আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আর স্কুল কমিটি সভাপতি ও নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, গুলসান আরা বেগম চাকুরি আর বেশি দিন নেই। তাকে হয়রানি করার জন্যই আব্দুর রশীদ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বা টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবেই কমিটি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকাকে মানসিকভাবেই দুর্বল করার জন্য তিনি মামলা ও অভিযোগ দিয়ে আসছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মো: মোকাদ্দেস ইবনে সালাম জানান, প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি এ ব্যাপারে কোন কিছুই বলা যাবে।


আরও খবর



জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের কাছ থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক।

জাতীয় শুদ্ধাচার সম্মাননা গ্রহণ শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এই সম্মাননা আমার জন্য নিরন্তর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমি বরাবরের মতই সততা, নিষ্ঠা এবং নির্ভরযোগ্যতার সাথে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রামের নৈতিকতা কমিটি ও বাছাই কমিটির সভায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কার্যাবলী পর্যালোচনা করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। কর্মক্ষেত্রে তার পদচারণা নিঃসন্দেহে সকলের জন্য অনুসরণীয় এবং একই সাথে অনুপ্রেরণাদায়ক।

উল্লেখ্য, সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শিরোনামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২ সালে মন্ত্রীসভা বৈঠকে অনুমোদন করা হয় এবং ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।

শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য ১৮টি গুনণাবলি হচ্ছে- কর্মচারীর পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা। বিবেচিত কর্মচারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।


আরও খবর



ব্যাটারদের রান না পাওয়ার প্রশ্নের উত্তর নেই শান্তর কাছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে দলের বোলাররা যেমন প্রতিটি ম্যাচে পারফর্ম করেছেন তেমন একইভাবে প্রতিটি ম্যাচে ব্যর্থ দলের টপ অর্ডার।

ব্যাট হাতে দলের টপ অর্ডারের প্রত্যেক ব্যাটারের ব্যর্থতা রীতিমতো হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে। অবশ্য এমন ব্যর্থতার মধ্যে বন্দি তারা বছরের শুরু থেকেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এভাবে শুরু করে যদিও বোলারদের নৈপুণ্যে এ রকম পারফরম্যান্সি ঠিক সেভাবে নজরে আসেনি। তবে শুক্রবার (২১ জুন) সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে বোলাররা ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকতে হয়েছেন ব্যর্থ। ব্যাটারদের বারবার এমন রান না পাওয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর নেই বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে।

অজিদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর টেস্ট সুলভ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস। অধিনায়ক শান্তর সাথে তার ৫৮ রানের জুটি হলেও সেটিকে ঠিক টি-টোয়েন্টি গতির বলা যায় না।

বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ৫৮টি ডট বল। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে। বিশেষ করে অভিজ্ঞ লিটন দাস ২৫ বলে ৬৪ স্ট্রাইকরেটে ১৬ রান করেন। থিতু হয়েও এমন ইনিংস খেলে আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ফেরেন স্বল্প রানে।

শুরুতে এ রকম ঘুম পাড়ানো ব্যাটিং প্রসঙ্গে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, আসলে শুরুর দিকে আমরা একটু সতর্ক খেলারই পরিকল্পনা করেছিলাম। আগের ম্যাচগুলোতেও আমাদের শুরুটা ভালো ছিল না। পাওয়ার প্লেতে কীভাবে উইকেট হাতে রেখে শেষ করতে পারি এই পরিকল্পনা ছিল আমাদের। আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী শেষ করতে পেরেছি বলে মনে করি। রান আরেকটু ভালো হতে পারত। আমি বাজে সময় আউট হয়েছি, আউট না হলে হয়তো ১৬০-১৭০ এর কাছাকাছি যেতে পারতাম।

রানখরাও ভুগতে থাকা লিটন আজও হয়েছেন ব্যর্থ তার ওপর খেলেছেন স্লো একটা ম্যাচ। শান্ত অবশ্য সতীর্থের খেলায় দোষ দেখেন না। তিনি বলেন , শুরুর দিকে উইকেট স্লো ছিল। খুব যে বল ব্যাটে আসছিল তা না। তবে সেট ব্যাটার থাকা খুব জরুরি ছিল।

বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের বিশ্বকাপে দৈন্যদশার কারণ অবশ্য জানা নেই শান্তর, কেন তারা পারছে না এটা তো বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয় সবার সামর্থ্য আছে। সবাই অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় করে দেখিয়েছে। এবার কেন হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে যার যার স্বাভাবিক খেলা খেলার স্বাধীনতা দেওয়া আছে। কোনো কারণে হচ্ছে না। সবাই ম্যাচে গিয়ে যার যার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করছে, তবে এভাবে খেললে অবশ্যই বোলারদের জন্য কঠিন।


আরও খবর



নির্বাচনের আগে দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্প, সাজা ঘোষণা ১১ জুলাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে নিউইয়র্কের একটি আদালতে। ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট।

দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহ ধরে শুনানির পর বৃহস্পতিবার ১২ জুরির উপস্থিতিতে আদালত ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলায় আনা ৩৪টি অভিযোগের সবকটিতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রিপাবলিকান নেতা। এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় দোষী হয়ে সাজা পেতে যাচ্ছেন। আদালতের বিচারক জুয়ান মার্চান আগামী ১১ জুলাই সাজা ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে। সাবেক এ প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তাঁকে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি।

৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলাটির অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়। তাঁর হাতে এ অর্থ তুলে দিয়েছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল। যদিও এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন ট্রাম্প।

এমন সময় এই রায় ঘোষণা করা হলো, যার কয়েক মাস পরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার প্রেসিডেন্ট পদে আসতে চাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে মামলার রায়ের কারণে তাঁর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কোনো বাধা আসবে না।

অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি অপমানজনক। এটি একটা সাজানো মামলা, যেটি পরিচালনা করেছেন একজন দুর্নীতিবাজ বিচারক। রায় ঘোষণার পর আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটা তাঁর জন্য মর্যাদাহানিকর। তিনি ন্যায়বিচার পাননি। আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন।


আরও খবর



ঈদকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা হুমকি নেই : র‍্যাব ডিজি

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোববার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন র‍্যাব ডিজি।

মো. হারুন অর রশিদ বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটকেন্দ্রীক মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে র‍্যাব সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে, জাল টাকা শনাক্তের জন্য ডিভাইস রয়েছে। প্রতিটা বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ১০ জনের একটি দলকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় আসছে। এসব গাড়ি যাতে কোথাও বাধাগ্রস্ত না হয় আমরা নজর রাখছি।

তিনি বলেন, ঈদের দিনে ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, শোলাকিয়া, রংপুর, দিনাজপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে। চামড়া নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ঈদ ঘিরে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা-নাশকতার তথ্য নেই। তবে কোনো আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না, সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা প্রতিরোধ করতে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে, যেকোনো গুজব প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো ধরনের হামলার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরেও যদি এমন কিছু হয়ও আমরা প্রস্তুত আছি। যেকোনো ঘটনা প্রতিহত করতে র‍্যাবের প্রস্তুতি রয়েছে। র‍্যাব বর্তমানে ত্রিমাত্রিক এলিট ফোর্সে পরিণত হয়েছে। জলে-স্থলে-আকাশে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। নিশ্চয়তা দিচ্ছি শোলাকিয়ায় হামলার মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।


আরও খবর



ঢাকায় প্রতি বর্গফুট চামড়ার সর্বোচ্চ দাম ৬০ টাকা, বাইরে ৫৫

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। সোমবার (৩ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এ দাম ঘোষণা করেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাহিরে ১ হাজার টাকা।

ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর এবার ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা।

তিনি আরও জানান, গতবারের তুলনায় খাসির কাঁচা চামড়ার দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেশি এবং বকরির চামড়ার দাম ৬ টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল‍্য প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার ক্রয়মূল‍্য ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর