আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকায় অগ্রণী ব্যাংক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ মেগাপ্রকল্প পদ্মা সেতু নির্মাণে জড়িয়ে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের অগ্রণী ভূমিকা। বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে এগিয়ে আসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যাংকটি। এর ফলে এক সময়ের চরম অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলকে বদলে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন তর তর করে এগিয়ে চলেছে।

শুধু তা-ই নয়, দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানামুখী মেগাপ্রকল্পে অর্থায়ন করেছে অগ্রণী ব্যাংক। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারেও অর্থায়ন করেছে ব্যাংকটি। এর ফলে ওই রাস্তায় জনদুর্ভোগ কমেছে। ১৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে এই ব্যাংকের অর্থায়ন রয়েছে, যেখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে দুই হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে অবদান রেখে জাতির পিতার রেখে যাওয়া নামের গুরুত্ব ধরে রাখার চেষ্টা করছে অগ্রণী ব্যাংক।

জানা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মাণে অগ্রণী ব্যাংক একমাত্র বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহকারী। এ পর্যন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণে এ ব্যাংক এককভাবে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করেছে; যেখানে দরকার হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যূনতম সহযোগিতা। দেশে প্রথম পিপিপির আওতায় নির্মিত ১১.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে (যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার) বিনিয়োগ করার সাহসী পদক্ষেপও নেয় ব্যাংকটি।

ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বর্তমানে সরকারের অন্যতম নির্বাচনী ইশতেহার ছিল শহর থেকে গ্রামে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্টে এক হাজার ৭১৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে অগ্রণী ব্যাংক। বর্তমানে এসব কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দুই হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াট। এ ছাড়া পুরনো অবস্থান থেকে সরে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চালু করা হয়েছে ঋণের নিত্যনতুন প্রডাক্ট। এই সময়ে ব্যাংকটি কমপক্ষে ২৫টি নতুন লোন প্রডাক্ট চালু করেছে। যুগোপযোগী করেছে নতুন প্রডাক্ট। পাশাপাশি মনোযোগ দেয় করপোরেট গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার দিকে। করপোরেট গ্যারান্টি এবং সিন্ডিকেট ব্যবস্থার মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় অঙ্কের ঋণ প্রদান করে।

জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তাতে অগ্রণী ব্যাংক সহযোগিতা করেছে। আমরা সে সময় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, সেতু তৈরিতে যত বিদেশি মুদ্রা প্রয়োজন হবে, অগ্রণী ব্যাংক একাই তা সরবরাহ করতে পারবে। পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে ডলারের চাহিদা মেটাতে আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমঝোতা চুক্তি হয়। এর অধীনে পদ্মা সেতুতে যত ডলার প্রয়োজন হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সরবরাহ করবে। কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে এক ডলারও নিইনি। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় থেকে সব ডলারের জোগান দিয়েছি।

এমডি আরো বলেন, পদ্মা সেতুতেও অগ্রণী ব্যাংক শতভাগ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করে আসছে। যদিও সমস্যা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা দেবে বলেছিল। তবে আজ পর্যন্ত আমরা তাদের থেকে এক ডলারও নিইনি। আমাদের রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় থেকে এ পর্যন্ত ১.৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করেছি। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে যত বৈদেশিক মুদ্রা লাগছে, এর পুরোটাই আমরা দিচ্ছি এবং সামনেও দিতে পারব।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলামও বলেছেন একই কথা। তিনি বলেন, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমেই বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। এখনো কোনো সমস্যা হয়নি। যেহেতু একটি অ্যাকাউন্ট থেকেই সব অর্থ লেনদেন হচ্ছে, সে কারণে অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমেই দেশীয় ও বৈদেশিক সব অর্থই লেনদেন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ক্রান্তিকালে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্যাংকের সব ব্যাবসায়িক সূচকে বিগ পুশ সৃষ্টির লক্ষ্যে হাতে নেওয়া হয় ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা। তা বাস্তবায়নে আশানুরূপ সাফল্যও অর্জিত হয়।

এদিকে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও রয়েছে অগ্রণী ব্যাংকের দারুণ ভূমিকা। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে তারল্য সরবরাহ করার লক্ষ্যে অগ্রণী ব্যাংক ১৮টি ব্যাংক এবং ২৭টি নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চার হাজার ৫৩১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। পুঁজিবাজার শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আইসিবিকে এক হাজার ৭৫০ কোটি টাকা তহবিল সরবরাহকরণ ছাড়াও ব্যাংকটি পুঁজিবাজারে এক হাজার ৬৫০ কোটি টাকা নিজস্ব বিনিয়োগ করেছে। তা ছাড়া ইক্যুয়িটি পার্টিসিপেশনের আওতায় ব্যাংকটি পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডে ১৬৫ কোটি টাকা, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১৬ কোটি টাকা, আইসিবিতে ৬৩ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ৯ কোটি টাকা এবং বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডে ৩৭৫ কোটি টাকা ইক্যুয়িটি বিনিয়োগ করেছে। নারী উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে এসএমই খাতে ২১১ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।

অন্যদিকে কভিড মহামারির প্রভাবে ২০২০ সালে পরিচালন মুনাফা কিছুটা কমলেও ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এ সময় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থেকেছে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জীভূত আমদানির পরিমাণ এক লাখ ৫০ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। অনুরূপভাবে একই সময়ে ক্রমপুঞ্জীভূত রপ্তানির পরিমাণ ৫৯ হাজার ১১ কোটি টাকা। 


আরও খবর



বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে, এ দিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৫ জনকে।

এ ঘটনায় ১ মার্চ পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া, তুচ্ছতাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিদগ্ধ ও শ্বাসনালিতে ধোঁয়া প্রবেশ করে জীবন বিপন্নসহ মারাত্মক জখম ও এর ফলে মৃত্যু ঘটানো এবং ক্ষতি সাধন করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।


আরও খবর



গরমে ক্লান্তি দূর করবে চিয়া সিড

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

গরমে লেবুর ঠান্ডা পানি মন জুড়িয়ে দেয়। কিন্তু অনেকেই গলা ভেজান কোল্ড ড্রিংসে। এই ধরনের পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কোল্ড ড্রিংস ছাড়ুন। এই গরমের ফল আর সুপারফুড চিয়া সিড দিয়ে শরবত বানিয়ে খান। এতে ক্লান্তি দূর হবে।

এই বীজে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। চিয়া সিডের পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মুক্তি দেয়। রক্তে সুগার লেভেল ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

চিয়া সিডের মধ্যে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

চিয়া সিডের শরবত বানাতে বেশি কষ্ট করতে হয় না। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখলেই কাজ শেষ। তবে, এই চিয়া সিড পানিকে আরও মজাদার বানাতে পারেন।

লেবু ও চিয়া সিডের পানি : পাতিলেবুর রস দিয়ে লেবুর পানি বানিয়ে নিন। চিনির বদলে এই পানিতে মধু মেশান। কয়েকটা পুদিনা পাতা পানিতে মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে এই লেবুর পানিতে চুমুক দিন। এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।

তরমুজ ও চিয়া সিডের পানীয় : তরমুজের শরবত শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের শরবতের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে দিলে এর স্বাস্থ্য গুণ বেড়ে যায়। ব্লেন্ডারে তরমুজ ব্লেন্ড করে নিন। এবারে এতে পুদিনা পাতা ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এই পানীয় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর খান। শরীরে সতেজতা এনে দেবে এই পানীয়।

নিউজ ট্যাগ: চিয়া সিড

আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রশিদ শিকদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আব্দুর রশিদ শিকদার। রোববার আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ শিকদারের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন আব্দুর রশিদ শিকদার। আজ আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রশিদ শিকদার বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। আব্দুর রশিদ শিকদার লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পুরান ঢাকার উষা ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক।

এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বি এম শোয়েব এবং বেজগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লাকি মল্লিক।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রশিদ শিকদার ও বি এম শোয়েবের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটারদের অভিমত।

নির্বাচন অফিস জানায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


আরও খবর



মুক্তি পেতে যাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মুক্তি পেতে যাচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর অন্তত ১১টিতে জামিন পেয়েছেন তিনি। বাকি মামলাগুলোতেও জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। মামুনুল হক যেন এসব মামলায় জামিন পান সে বিষয়ে সহযোগিতা করতে সরকারও ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই মামুনুল হক মুক্তি পাবেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ঈদের আগে আগে মাওলানা মামুনুল হকের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু এবার যদি এই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কর্মসূচি দেব বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ওই মাদ্রাসা থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরির একটি মামলায় মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাগারে আছেন। অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৮ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কারাগারেই রয়েছেন মামুনুল হক।


আরও খবর



চেয়ারম্যান প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন, ৭ পাতিল খিচুড়ি জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে খিচুড়ি রান্না করায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ৭ পাতিল খিচুড়ি জব্দ করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা আচরণবিধি ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন খান এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারের সমর্থনে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ভাদুর বাড়িতে নির্বাচনী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে উপস্থিত ভোটারের জন্য খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উপজেলা আচরণবিধি ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান ওই বাড়ির পাশের খোলায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ৭ পাতিল খিচুড়ি জব্দের পাশাপাশি তরিকুল ইসলাম ভাদুকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা আচরণবিধি ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহাদাত হোসেন খান খিচুড়ি জব্দ ও জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সমাবেশের জন্য ভাদুর বাড়ি পাশের খোলায় খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। পরে জব্দকৃত খিচুড়ি পাকশী ফুরফুরা শরীফ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত: গত ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১৪ মে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন শোকজ করেন। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। রিটার্নিং অফিসার প্রথমবারের মতো ক্ষমা করেন।


আরও খবর