আজঃ রবিবার ৩০ জুন ২০২৪
শিরোনাম

ভারতের মহারাষ্ট্রে তীব্র গরমে ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি সরকারি অনুষ্ঠানের তীব্র গরমে (হিট স্ট্রোকে) অসুস্থ হয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শতাধিক মানুষ। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। রবিবার নবী মুম্বাইয়ের খারঘর ময়দানে 'মহারাষ্ট্র ভূষণ সম্মান' প্রদান অনুষ্ঠান ছিল।

বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়, চলে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় লাখ খানেক মানুষ।

দর্শকদের সুবিধার জন্য ওই ময়দানে একাধিক জায়গায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানোর ব্যবস্থা ছিল। যদিও দর্শকদের মাথার উপরে কোন ত্রিপল বা ছাউনির ব্যবস্থা করা ছিল না। অনুষ্ঠান চলাকালীন সেখানকার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে খোলা মাঠের তলায় দাঁড়িয়ে এদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুরু হয় বমি, মাথা ঘোরা, বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট সহ নানা শারীরিক অসুবিধা। এরপরই অসুস্থ অবস্থায় তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৮ জনের মৃত্যু হয়।

ওই অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

এই ঘটনার পর অসুস্থদের দেখতে কামথে হাসপাতালে যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে মৃতদের পরিবার প্রতি আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

অসুস্থদের দেখতে রাতেই হাসপাতালে যেতে পারেন রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর উদ্ধব ঠাকরে।

যদিও সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান 'চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সাত-আট জনের মৃত্যু হয়েছে। সানস্ট্রোকেই এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ৫০ জনের মতো অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ২৪ জনের এখনো চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'

অন্যদিকে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন 'গরমে অসুস্থ হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি তাদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ভার সরকারের।'


আরও খবর



মাদক মামলায় পুলিশ সদস্যকে বাঁচাতে চার্জশিটে ‘জালিয়াতি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে ইয়াবা ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে বাঁচাতে মামলার চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দের বিরুদ্ধে।

ওই মামলার এক আসামি এ বিষয়ে অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা যায়, মামলার বাদী ফরহাদ আকন্দ চার্জশিটের পাতায় অগ্রগামীর জন্য ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার স্থলে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন এবং স্বাক্ষরকৃত চার্জশিট আদালতে দাখিলও করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, এটি এক ধরনের জালিয়াতি। কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট ওই দপ্তরের সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে মামলার বাদী স্বাক্ষর করতে পারেন না।

তবে ফরহাদ আকন্দ বলছেন, সফট কর্নার থেকেই পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে মাদক মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০২ পিস ইয়াবা ও ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আতিকুল ইসলাম আতিক ও পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফরহাদ আকন্দ ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক আজাহারুল ইসলাম।

মামলার এজাহারের মধ্যভাগে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত দুজন আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ট্যাবলেট ও হেরোইনের ব্যবসা করে আসছিল। পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মরত।

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক সৌমিক রায় বদলি হয়ে যায়। এ সময় মামলার চার্জশিট তৈরি করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর ওই চার্জশিটে সহকারী পরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার সিল ব্যবহার করে মামলার বাদী ফরহাদ আকন্দ নিজেই চার্জশিট অগ্রগামীর জন্য স্বাক্ষর করেন এবং গত ২১ মে আদালতে তা দাখিল করা হয়।

স্বাক্ষরকৃত চার্জশিটে আতিকুল ইসলাম আতিককে অভিযুক্ত করা হয় এবং পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনকে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, পুলিশ কনস্টেবল হওয়ার কারণেই মাদক মামলা থেকে বাঁচাতে তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এটা বোঝা যায়। এখানে কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে, এটা গুরুতর অপরাধ।

ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক সৌমিক রায় বলেন, ২৫ এপ্রিল আমি বদলি হয়ে যায় এবং ২৭ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে শেষ কর্মদিবস ছিল। মামলার চার্জশিট থেকে আসামিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

ফরহাদ আকন্দ বলেন, সফট কর্নার থেকে চার্জশিটে পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেনের নাম বাদ দেওয়ার জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে। চার্জশিট দেওয়ার সময় এখানে সহকারী পরিচালক ছিলেন না। তাই নিজেই চার্জশিট অগ্রগামীর জন্য সহকারী পরিচালকের পক্ষে স্বাক্ষর করে আদালতে জমা দিয়েছি এবং বিষয়টি রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা অবগত রয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও জজকোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোজাফ্ফর আহমেদ মানিক বলেন, দায়িত্বরত সহকারী পরিচালক বদলি হয়েছেন। এই সুযোগে জালিয়াতি করে ওই কর্মকর্তার সিল ব্যবহার ও স্বাক্ষর করে চার্জশিট অগ্রগামী করেন মামলার বাদী। কোনোভাবেই এটি তিনি করতে পারেন না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট দপ্তর অথবা আদালত নিতে পারবেন।

বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দীন বলেন, আমার কর্মস্থল নীলফামারী জেলায়। কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলায় সহকারী পরিচালকের পদটি শূন্য। ফলে গত ২৮ মে অতিরিক্ত হিসেবে আমাকে ঠাকুরগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মাদক মামলা থেকে আসামিকে উপযুক্ত ডকুমেন্টস ছাড়া বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। সেই সঙ্গে সহকারী পরিচালকের সিল ব্যবহার ও স্বাক্ষর করার বিষয়টি নজরে এসেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম হোসেন বলেন, চার্জশিটের বিষয়টি জানতে চেয়েছি, আসুক তারপর দেখব। আর সব মামলায় যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতামত লাগবে এমনটি নয়। তবে কোনো মামলা যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কীভাবে কী হলো। চার্জশিট দাখিলে অনিয়ম হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার একটি বাড়িতে আগুনে পুড়ে ৬ জন নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি।

জর্জিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতদের বয়স ৬ থেকে ৭৪ বছর। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে আটলান্টার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

সিনহুয়ার প্রতিকেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৫টার দিকে আটলান্টার দক্ষিণ-পশ্চিমের কোয়েটা কাউন্টির একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়া মাত্র ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের সময় বাড়িটিতে ১১ জন বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



মুক্তির আগেই ‘কল্কি’র আয় প্রায় চারশো কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বলিউডের বহুল অপেক্ষিত সিনেমা কল্কি মুক্তি পাবে আগামী ২৭ জুন। প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান অভিনীত সিনেমাটি মুক্তির আগেই প্রায় চারশো কোটি টাকা আয় করে ফেলেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশে বিক্রি হওয়া সিনেমার স্বত্ব থেকে ৮৫ কোটি রুপি আয় হয়েছে। কিছু স্বত্বের বিনিময়ে ২৭ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। স্বত্ব মারফত আরও আয় হয়েছে ৭০ কোটি রুপি। ফলে অন্ধ্রপ্রদেশ টেকনোলজি সার্ভিস থেকে সিনেমাটির প্রযোজকরা এখনই পকেটে ভরেছেন ১৮২ কোটি রুপি।

একইভাবে স্বত্ব থেকে তামিলনাড়ু এবং কেরালায় কল্কির আয় ২২ কোটি রুপি। কর্ণাটক থেকে পাওয়া গেছে ৩০ কোটি রুপি। আর গোটা উত্তর ভারত থেকে ৮০ কোটি রুপির ব্যবসা করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদেশের স্বত্বের বিনিময়ে আরও ৮০ কোটি রুপি ধরা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মুক্তির আগেই কল্কি ২৮৯৮ এডির আয়ের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৩৯৪ কোটি টাকা। এর পর আবার অগ্রিম বুকিংও রয়েছে।

নাগ অশ্বিন পরিচালিত সিনেমাটিতে আছে মহাভারতের যোগ। তার ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের গল্প সাজিয়েছেন পরিচালক নাগ অশ্বিন। এই সিনেমার সুবাদেই দীর্ঘ ৩৮ বছর পর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন কমল হাসান। অশ্বথামার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিগ বি। আর কমল হাসান প্রধান খল চরিত্র সুপ্রিম ইয়াসকিন।

এছাড়াও ছবিতে রয়েছেন দক্ষিণী অভিনেতা ব্রহ্মানন্দম, পশুপতি, শোভনা। ভৈরবের ছায়াসঙ্গী বুজ্জির জন্য কণ্ঠ দিয়েছেন কীর্তি সুরেশ। আর সিনেমায় বাঙালির পাওনা কমান্ডার মানসের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র অভিযানে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রামে ফিটনেস, রুট পারমিটবিহীন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অভিযানে পাঁচটি গাড়িকে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট দীর্ঘদিন হালনাগাদ না করায় তিনটি ডাম্পার ট্রাককে ডাম্পিং করা হয়।

শনিবার (২২ জুন) সকালে নগরীর হালিশহর থানার নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত-১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্না।

এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ চট্টমেট্রো সার্কেল-২ এর মোটরযান পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যানের নির্দেশে সারাদেশে অবৈধ ও ডকুমেন্ট হালনাগাদ না করার যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ হালিশহর নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঁচটি গাড়িকে ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাছাড়াও ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিটসহ সবধরনের ডকুমেন্ট দীর্ঘদিন হালনাগাদ না করায় তিনটি ডাম্পার ট্রাককে (চট্ট মেট্রো-ট-১১-৯১৫১, চট্ট মেট্রো-শ-১১-১৪৮৭, চট্ট মেট্রো-শ-১১-১৫৭৬) ডাম্পিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ অভিযানে সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও ট্রাফিক পুলিশ।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: ফের ৫ দিনের রিমান্ডে তিন আসামি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করার মামলায় তিন আসামির এবার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আসামিরা হলেন- সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান।

আট দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আজ শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের আটদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৪ মে দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিন আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু-তদন্তের জন্য তাদের দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগের দিন ২৩ মে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে অপহরণ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।

এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই।

১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল- আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো।

এছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। আমার বাবার কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করেছে। বাবাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুজি করেও পাইনি।


আরও খবর