![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/b3bbec51e75da6442dd5139fceb98662.jpeg)
লিবিয়ার জোয়ারা
উপকূল থেকে ৬১ জন অভিবাসী নিয়ে যাত্রা করা একটি কাঠের নৌকা থেকে ১০ অভিবাসীর মরদেহ
উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটিতে গ্যাসোলিনের ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু
হয়েছে বলে জানা যায়। জার্মান এনজিও রেসকিউশিপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জার্মান দাতব্য
সংস্থা রিসকিউশিপ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার (১৭ জুন) ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে তারা
একটি ডুবন্ত কাঠের নৌকা থেকে ৫১ জনকে উদ্ধার করেছেন। এ সময় নৌকার নীচের ডেকে ১০ জনের
মরদেহ পাওয়া গেছে।
সংস্থাটি বলছে,
বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সোমবার সকালে ইতালীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের
তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে মৃতদের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী
বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং জাতিসংঘের
শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নৌকাটি লিবিয়া থেকে যাত্রা
করেছিল। এতে সিরিয়া, মিসর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিবাসীরা ছিলেন। তবে কোন দেশের
কত যাত্রী ছিলেন, তা জানানো হয়নি।
একই দিনে পৃথক
আরেক নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জনের মতো শিশু
রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ ইতালির ক্যালাব্রিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১২৫ মাইল
দূরে এই ঘটনা ঘটে। মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) নামে একটি সংগঠন এই তথ্য জানিয়েছে।
এই ঘটনায় ১২
জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের সবাইকে তীরে নেয়ার পর একজন মারা যান বলে জানিয়েছে
ইতালীয় কোস্টগার্ড।
ভূমধ্যসাগর
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাইগ্রেশন রুট হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৪
সাল থেকে এই রুটে ২৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।