আজঃ শনিবার ২৯ জুন ২০২৪
শিরোনাম

মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্ট ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে তোলা হয় নগ্ন ছবি। এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। শুধু তাই নয়, ফাঁদে পড়া মেয়েদের ভিডিও কলে নগ্ন হওয়া এবং যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হয়। সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে চালানো হয় যৌন ব্যবসা।

এসব অসামাজিক কাজের নেতৃত্বে রয়েছেন দুই বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান (২৫) ও তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬)।

দীর্ঘদিন ধরে অতি কৌশলে শতশত তরুণীকে ফাঁদে ফেলে আধুনিক যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছেন তারা। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে যেমন টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করা হয়। সেখানে থাকা থাকা লাখ লাখ দেশি-বিদেশি সাবস্ক্রাইবারদের কাছ থেকেও নেওয়া হয় টাকা। এভাবে চক্রটি গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর চক্রটিকে শনাক্ত করে এর প্রধানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- চক্রের প্রধান ও মেডিকেল শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান (২৫), তার প্রধান সহযোগী খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), অন্য সহযোগী মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিভিন্ন সময়ে রাজধানী ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করায় ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং আয়ের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেয়। এরপর ব্ল‍্যাকমেইলের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদের দেহব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর কার্যক্রম চালায়।

চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যেসব তরুণীরা পারিবারিক ভাঙনের শিকার এবং আর্থিকভাবে সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করে। কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে প্রথমে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। এরপর বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নেয়। প্রাথমিকভাবে কাজে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদা মতো টাকা ও প্রয়োজন মেটায় তারা। এরপর ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে। 

এই চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান। তিনি টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তার তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তোলে। শেখ জাহিদ কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা চিকিৎসাবিদ্যার আড়ালে অল্প বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ম্যাসেঞ্জারে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে।

এসব অনৈতিক কাজের মাধ্যমে গত ৭ বছরে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে দাবি করে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় করেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি। তাদের আত্মীয়-স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।

প্রতারণার ফাঁদ ও নগ্ন ভিডিও তৈরি সম্পর্কে তিনি বলেন, শুরুতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন, মডেল তৈরি ও ট্যালেন্ট হান্ট শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করত চক্রটি। যারা সাড়া দিত তাদের নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলত। তারপর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিদেশি বায়ারদের কাছে পাঠানোর কথা বলে আপত্তিকর ছবি তুলত। সেই সব ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগ্ন হয়ে ভিডিও কল বা সরাসরি অসামাজিক কাজে বাধ্য করত।

মোহাম্মদ আলী জানান, চক্রটির নিয়ন্ত্রণে ১০টি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান মিলেছে। এসব টেলিগ্রাম গ্রুপে দেশি-বিদেশি গ্রাহকের সংখ্যা তিন লাখের বেশি। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গ্রাহকেরা ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকত। চক্রটি ভিডিও কলের সবকিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। এরপর মেয়েদের বাধ্য করা হতো যৌন সম্পর্ক স্থাপনে। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌন দাসিতে পরিণত হয় শত শত তরুণী।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গোপনে ধারণ করা ভিডিও বিক্রি করে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। অর্থ লেনদেনের জন্য তারা ব্যবহার করে এমএফএস বা মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস। এছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেদের আড়াল করতে তারা বেনামি কয়েকশ মোবাইল সিম ব্যবহার করছিল। যেগুলোর কোনোটিই প্রকৃত ন্যাশনাল আইডি দিয়ে নিবন্ধন করা নয়। নিম্নআয়ের মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে সামান্য অর্থ দিয়ে তাদের নামে তোলা হতো সিম কার্ড। কন্টেন্ট আদান-প্রদান ও সাবস্ক্রিপশনের জন্য ছিল টেলিগ্রাম প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট এবং বিভিন্ন পেইড ক্লাউড সার্ভিস। অল্প বয়সী ভয়ানক চতুর এই দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর কাছে এখনও জিম্মি কয়েক হাজার নারী। এর মধ্যে আছে টিকটক, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সেলিব্রিটিও।

অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা প্রায় ১০ লাখ নগ্ন ছবি ও ২০ হাজার অ্যাডাল্ট ভিডিওর সন্ধান পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া চক্রের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিঅইডি।


আরও খবর



প্রথম ঘণ্টায় শেষ উত্তরবঙ্গের ১২ হাজার টিকিট

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদযাত্রার প্রথম দিনে পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ঘণ্টাতেই রংপুর বিভাগের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে।

রবিবার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চল আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

জানা গেছে, প্রথম ঘণ্টাতে পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ হাজার ১৫৭টি টিকিটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৯৪০টি।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, প্রথম ঘণ্টাতেই ১১ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে। আর বিক্রি শুরুর আধা ঘণ্টায় ৬০ লাখ হিট হয়েছে সহজের সার্ভারে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উত্তরবঙ্গের ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী একতা, দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এর পরই রয়েছে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম ও রংপুর এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নীলফামারী রুটের চিলাহাটি ও নীলসাগর এক্সপ্রেসের চাহিদা। এই তিন রুটের টিকিট প্রথম ১০ মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে।


আরও খবর



সিলেট সেনানিবাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও সিলেট সেনানিবাসে ১৭ পদাধিক ডিভিশন ও সিলেট এরিয়ার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে যা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

রবিবার (৯ জুন) দুপুরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি শেষে কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও এরিয়া কমান্ডারের পক্ষে সিলেট সেনানিবাসের ১১ পদাধিক ব্রিগেড কমান্ডার ফারুক আহমদ এ এফ ডব্লিউ সি, পিএসসি।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ২০২৪ উদ্বোধনের সাথেই সাথেই সিলেট ও জালালাাদ সেনানিবাসের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ, ঔষধি ও সৌন্দর্য বর্ধনমূলক গাছ রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৬ হাজার গাছ রোপণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট ও জালালাবাদ সেনানিবাসের সকল কমান্ডার, এরিয়া সদর দপ্তর সিলেট ও ডিভিশন সদর দপ্তরের গ্রেড-১ অফিসার এবং সিলেট এরিয়ার সকল ইউনিটের জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে ১৭ পদাধিক ডিভিশন ও সিলেট এরিয়ার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি রয়েছে : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে শরীয়তপুরের শেখ রাসেল সেনানিবাসে নবগঠিত ১২৯ ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, আমাদের কথা একেবারে পরিষ্কার। দেশে যদি ভবিষ্যতে আক্রমণ হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিহত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে প্রস্তুত সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বর্ডার ভায়োলেশন, যেমন রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ওইখানে কোস্ট গার্ড ও বিজিবি রয়েছে। তারা বিষয়টি সম্পূর্ণ তদারকি করছে। সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিচ্ছে। আমরা প্রস্তুত আছি, যদি লেভেল ক্লোজ করে তাহলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমানে কুয়েত ও কাতারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এসব দেশে সেনাসদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে শেখ রাসেল সেনানিবাস।

বিদায়ী সেনাপ্রধান বলেন, আমার দায়িত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবার মানসিকতা নিয়ে প্রদত্ত দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে পারায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত ও স্বাধীন ভূখণ্ড নিরাপদ রাখতে অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের সংকটময় মুহূর্তসহ যেকোনো পরিস্থিতিতে অকুতোভয় দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আকাশপথে বরিশাল থেকে শরীয়তপুরের শেখ রাসেল সেনানিবাসে আসেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আগামী ২৩ জুন অবসরে যাবেন তিনি। দীর্ঘ ৪৩ বছর সফলতার সঙ্গে একটি বাহিনীতে কাজ করে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব শেষ করা ভাগ্যের ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পতাকা উত্তোলন ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নতুন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সেনা সদরের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাগণসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ ও পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম।


আরও খবর



চট্টগ্রামে হেলে পড়া ভবন খালি করতে চসিকের চিঠি দিয়েছে সিডিএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরের বাহির সিগন্যাল এলাকার নবরত্ন নামের একটি পাঁচ তলা ভবন হেলে পড়ায় ঝুঁকিতে রয়েছেন ওই ভবনের বাসিন্দারা। সেজন্য বড় ধরেনের ঝুঁকি এড়াতে ভবন খালি করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

বৃহস্পতিবার বিকালে চসিকের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিডিএ অথরাইজড কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরে ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি জানার পর সিডিএ থেকে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পাশের আরেকটি ভবনের পাইলিং করার জন্য নিচের মাটি দুর্বল হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এতে নবরত্ন ভবন থেকে পাশের ভবনের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি থাকলেও বর্তমানে ওপরের অংশের সাথে দূরত্ব ৬ ইঞ্চি। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন খালি করতে বলার এখতিয়ার চসিকের। তাই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে; এতে হেলে পড়া ভবনে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বলা হয়।

তিনি বলেন, দুই ভবন মালিককে অনুমোদিত নকশা নিয়ে সিডিএতে আসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পর ভবনের অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় বাহির সিগন্যালের বড়ুয়াপাড়ায় বৌদ্ধ মন্দিরের পাশে পাঁচতলা নবরত্ন ভবন হেলে পড়ার ছবি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নবরত্ন ভবন ও পাশের ভবনে থাকা বাসিন্দারা।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

একাত্তরের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই, সারাবাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে স্লোগান নিয়ে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহীদ মিনার হয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। এরপর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পাঁচ মিনিট প্রতিকী অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা আমরা কখনো মানব না। ২০১৮ সালে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সে সময় কোটা পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু আজকে হাইকোর্ট সেই কোটা পুনর্বহাল করেছেন, এটা আমাদের সাথে বৈষম্য। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।

এসময় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, ১৮ সনের কোটা আন্দোলনের পর পুনরায় কোটা বহাল করার যেই পায়তারা চলছে তা দেশের মেধাবী, যোগ্য চাকুরি প্রার্থীদের সাথে বৈষম্য। এই অন্যায় সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেয়া যায়না। একটি স্বাধীন দেশে এরকম বৈষম্য থাকবে, তা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। এর জন্য যতো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার প্রয়োজন সে পর্যন্ত যাবে এদেশের আপামর জনতা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করায় আমরা আজ প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি। কোটাব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

উল্লেখ্য, গতকাল এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা বহালের রায় দেন।


আরও খবর