আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সরকারের বিরোধী ষড়যন্ত্র, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে মিথ্যাচার এবং ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করার অভিযোগে বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন।

সিএমএমের পক্ষে মহানগর হাকিম (শাহবাগ আমলী আদালত) বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও অভিযোগের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পুলিশ ব‍্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্য প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সেখানে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ২০ বছর মন্ত্রী থেকেও ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন খাতের উন্নয়নে ও দুর্ঘটনা রোধে কিছুই করতে পারেননি। তিনি চাইলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন।

বাদী হানিফ খোকন মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন, ওবায়দুল কাদের ২০ বছর মন্ত্রীত্ব করছেন না। তিনি ১৪ বছর সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন এবং তার আমলে সড়ক যোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মোজাম্মেল হক সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখ না করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই সংখ্যা বাড়িয়ে বলেছেন।

বাদী অভিযোগ করেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং পরিবার ও সমাজে ব্যাপকভাবে সম্মানহানী করেছে। যা পেনাল কোড ৫০০/৫০১/৫০৬ ধারায় অপরাধ। জনগণকে বিভ্রান্ত ও সরকারকে বিব্রত করতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি এসব মিথ্যাচার করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদী হানিফ খোকনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ মুশতাক আহমেদ। এর আগে একই অভিযোগে ২৩ এপ্রিল শাহবাগ থানায় জিডি করা হয়েছে।


আরও খবর



সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম : মিষ্টি জান্নাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের গুঞ্জন উঠেছে চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতের। এই গুঞ্জনের সূত্রপাত, কিছু সংবাদকে কেন্দ্র করে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, শাকিবের জন্য চিকিৎসক পাত্রী খুঁজছে তার পরিবার। ইতোমধ্যে একজনকে নাকি বেশ পছন্দ হয়েছে তাদের। তবে সেই পাত্রীর পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

চিকিৎসক পাত্রীর খবর প্রচার হতেই অনেকে দাবি করছেন শাকিবের হবু বউয়ের নাম ডাক্তার মিষ্টি জান্নাত। যিনি ঢাকাই সিনেমার একজন অভিনেত্রী। পাশাপাশি চিকিৎসকও বটে।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা নিজেও। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের খবরটি অস্বীকার না করলেও গুঞ্জন হিসেবেই রাখতে চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বলেছেন, শাকিব খানকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করেন।

শাকিব-মিষ্টির বিয়ের সেই গুঞ্জনে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। সম্প্রতি মিষ্টি জান্নাতকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ওই মেয়ে ভাইরাল হতেই শাকিবকে জড়িয়ে এসব কথা বলছেন। শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মিষ্টি জান্নাত। তার দাবি, শাহরিয়ার নাজিম জয় তাকে চেনেন। তবুও না চেনার অভিনয় করেছেন।

এই অভিনেত্রী বলেন, ‘‘জয় ভাইয়াকে দেখলাম, সে বলছেন- ওই যে একটা মেয়ে, শাকিব খানকে নিয়ে ভাইরাল হতে চান। তিনি একজন ডাক্তার পাশাপাশি অভিনেত্রী, যেটা মিলে গেছে। তাদের বিয়ে হলেও সেটা টিকবে না। এটা উনি কীভাবে জানলো? কীভাবে বললো? এটা আমার প্রশ্ন।’’

মিষ্টি জান্নাত বলেন,  সে আমাকে চেনে। গত পরশুদিন আমাকে টেক্সট করে বলছে, মিষ্টি কোথায় আছো? চলো লং ড্রাইভে যাই। অথচ, এমন একটা ভাব নিল, সে আমাকে চেনেই না।  জয় তাকে প্রায়শই মেসেজ দেন। নিকেতনে আসলে একসঙ্গে বসে কফি খান। তবুও তাকে না চেনার ভান করেছেন।

মিষ্টি জান্নাত বলেন, সে বললো, ওই যে একটা মেয়ে। এটা কেন বলবে? আমি কষ্ট পেয়েছি। যদি সে সিনিয়র না হতেন, তাহলে তাকে ধরে থাপড়াতাম। তার প্রোগ্রামে গেলেও এমন করে। অফস্ক্রিনে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কাছে সেসবের ভিডিও আছে। সে অনেক নেগেটিভ কথা বলে।

উল্লেখ্য, ঢাকাই সিনেমায় পরিচিত মুখ মিষ্টি জান্নাত। ২০১৪ সালে লাভ স্টেশন সিনেমার মাধ্যমে শুরু করেন রুপালি পর্দার ক্যারিয়ার। এরপর নিয়মিত কাজ করেছেন সিনেমায়। অভিনেত্রী পরিচয়ের বাইরে মিষ্টি জান্নাত একজন দন্ত্য চিকিৎসক।


আরও খবর



বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

বিপুল পরিমাণ অর্থসহ পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুই উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে ঠিকাদারের সঙ্গে অবৈধ টাকা লেনদেনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজিবসহ কয়েকজন।

সূত্র বলছে, ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধানে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে যান সংবাদকর্মীরা। এ সময় তথ্য ও বক্তব্যের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পান। কয়েকবার নক দেবার পর মাসুদ রানা দরজা খুললে ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মোশাররফ সহ কয়েকজনকে দেখতে পান সংবাদকর্মীরা।

এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখা যায় এবং এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক সেখানে হাজির হন। সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সাথে বন্ধ কক্ষে কিসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন সংবাদকর্মীরা বিষয়টিকে সন্দেজনক মনে করে পুলিশকে জানালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের আটক করে। এ ঘটনায় দুদকও তদন্ত শুরু করেছে।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুনামগঞ্জের হাওড়ে বাধ নির্মাণকাজে দুর্নীতির দায়ে বার বার প্রত্যাহার হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে মাসুদ রানা ও এসডি মোশাররফের সহযোগিতায় ডিপিএম ও আরএফকিউ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দেখিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মাসাত করা হয়েছে। রাফি কন্সট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ঠিকাদার আরিফুজ্জামান রাজিব কমিশনার এবং ঠিকাদার কনকের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এসব তদন্তে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছেন। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, দুই কর্মকর্তাকে আটক করাসহ টাকাগুলো জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত টাকা দুদকের কর্মকর্তারা গণনা করছেন। টাকার উৎস অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



উন্নয়ননের অপর নাম শেখ হাসিনা : মাহবুবুর রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হয় এটা সকলের জানা। সরকারের কাজ উন্নয়ন করা আর উন্নয়নের অপর নাম শেখ হাসিনা।

শনিবার ঢাকার দোহার উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার রাজনীতির জীবনে স্বপ্ন ছিলো তৃণমূলের মানুষদের সেবা করবো। মহান আল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আমাকে সেই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আমাকে দেওয়া দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাচ্ছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

চেয়ারম্যান বলেন, আমি কারো মুখের কথায় কোনো উন্নয়ন কাজ করি না। আমি সরাসরি ওই এলাকায় গিয়ে যেসকল উন্নয়ন প্রয়োজন তাই করে দিচ্ছি।

এসময় দিনব্যাপি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি আরসিসি রাস্তা, একটি ড্রেন ও একটি মসজিদের উন্নয়ন ফলক উদ্বোধন করেন।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল রাজ্জাক, উপসহকারী প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন, নারিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ শাহাবুদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মোস্তফা মোল্লা, আজাদ খান, চঞ্চল মোল্লা, মুক্তার হোসেন, মেহেদী হাসান সাদ্দামসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীরা।

নিউজ ট্যাগ: দোহার

আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকার ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ৪০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধবিরোধী এই প্রতিবাদের সূচনা হয় দেশটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তা দ্রুত সময়ের মধ্যে গোটা দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে। বিক্ষোভ সামাল দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে চাপে পড়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিক্ষোভ থামাতে বিভিন্ন পদক্ষেপে ব্যর্থ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃপক্ষ। আটক করা হয়েছে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে। কোথাও কোথাও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্যাতনের বিষয়টিও সামনে এসেছে। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট প্রেসিডেন্ট মিনোশি শফিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটি ৬২-১৪ ভোটে পাস হয়।

শান্তিপূর্ণভাবে এসব বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখার মতো বিষয়।

শুক্রবার রাতে এনবিসি টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকাজুড়ে ৪০টিরও বেশি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ক্যাম্পাসে তাঁবু তৈরি করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বোস্টনের ইমারসন কলেজেও। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে কমপক্ষে ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এছাড়া ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশি।

জর্জিয়ার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গত বৃহস্পতিবার রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন দর্শন বিভাগের প্রধান নো লি ম্যাকাফিকে আটকের পরপরই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। আটকের আগে তিনি আটলান্টা পুলিশকে শিক্ষার্থীদের তাঁবুর দিকে এগোনোর একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তিনি ওই সময় পুলিশকে থামতে বলার পর তাকে আটক করা হয়। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারোলিন ফোহলিনকেও আটক করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে হাতে হাতকড়া পরানো হয়।

ওহাইওতেও পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষার্থীদের আটকের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। সেখানে ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে লাগাম টানতে আইনপ্রণেতাদের ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই জেরে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল কলাম্বিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের কার্যক্রম তদন্ত শুরু করেছে।


আরও খবর