তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সোমবার ভোর ৫টা) এগিয়ে রয়েছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তবে
তার ভোট সংখ্যা ৫০ শতাংশের নীচে নেমেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৯৫ শতাংশ
ব্যালট বাক্সের ভোট গননা হয়ে গেছে। আর সবমিলিয়ে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট গননার কাজ শেষ
হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল। এদিকে, ব্যবধান কমতে থাকে কিলিকদারোগলুর সঙ্গে।
ফলে এই পদে নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে (রান অফ) যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: তুরস্কের নির্বাচন: পরাজয়ের ঝুঁকিতে এরদোয়ান
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এএ-এর খবর অনুযায়ী এরদোয়ান এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৪৯.৫২ শতাং ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলুর পেয়েছেন ৪৪.৭৬ শতাংশ ভোট। বাকি তুর্কি সংবাদমাধ্যমও একই রকমের খবর দিচ্ছে।
কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত না
করতে পারলে আবারও ভোটাভুটি হবে তুরস্কে।
তবে এখনো নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী
এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল।
আরও পড়ুন: তুরস্কে নির্বাচন: এগিয়ে এরদোয়ান
ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার দল
রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধান বিরোধী
দলীয় নেতা কামাল কিলিচদারোগলু।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রোববার সন্ধ্যায়
প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন তিনি। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্র আমরা
ভোট বেশি পেয়েছি শাসকদল সেখানে ফলাফলে আপত্তি তুলেছে। অনেক কেন্দ্র ১১ বারও বেশি আপত্তি
করা হয়েছে। খবর আলজাজিরা, বিবিসি ও রয়টার্সের।
তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ
এরদোগানকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি তুরস্কের জনগণের ইচ্ছাকে বাধা দিচ্ছেন। ভোটে আপত্তি
তুলে আপনি জনগণের ইচ্ছাকে আটকাতে পারবেন না। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলভাবে
কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে, ভোট নিয়ে এখনো কোনো কথা বলেননি
বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি শিগগির কথা বললেন বলে আশা প্রকাশ
করেছেন কর্মী-সমর্থকেরা।