বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি রাশেদা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ছয় আসনে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে, কোনো আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হবে না।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের নিখোঁজের ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, প্রার্থীকে দ্রুত খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে খুঁজে বের করতে পারবে।
নিখোঁজ আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাত থেকে আসিফ ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন বলে জানান তার স্ত্রী মেহেরুন্নিছা।
তিনি অভিযোগ করেন, দুই দিন ধরে তার স্বামী আবু আসিফের খোঁজ মিলছে না। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ বাড়িতে এসে নানাভাবে হয়রানি করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, আবু আসিফ বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হয়রানি করেনি। পুলিশ কখনই তার বাড়িতে যায়নি। তিনি নিখোঁজ কি না সে বিষয়েও আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এমনকি আমাদের কাছে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। অভিযোগ না করলে এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে লড়তে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে আটজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে ইতোমধ্যে চারজন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম ওরফে সাজু এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধা।